নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
একজন জাপানি মা এবং আমাদের অনেকের বোধহীন বিবেক
ছবি কৃতজ্ঞতা অন্তর্জাল।
বাংলাদেশী এক অসহায় বাবা আর তার জাপানি স্ত্রীর চলমান আলোচিত ঘটনাপ্রবাহ আমাদের অনেকেরই জানা। মিডিয়ার কল্যানে এই ঘটনা পরম্পরা এখন শহর গ্রাম ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ কথা খুবই সত্য যে, জাপান আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর একটি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর একটি জাপান। জাপানের অনেক কিছুকে আমাদের কাছে ভাল মনে হলেও এই দেশটির পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি আইন কানূন সম্মন্ধে যারা মোটামুটি খোজখবর রাখেন, তারা একবাক্যে স্বীকার করে নিবেন যে, জাপানের আইনে পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে স্পষ্টতই জাপানি নাগরিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয় বা বড় করে দেখা হয়। পুরুষ কিংবা নারী যিনিই হোন, তিনি যদি জাপানি নাগরিক হয়ে থাকেন, সাধারণতঃ আইনের রায় তার পক্ষেই চলে যায়। শিশু সন্তানের অভিভাবকত্ব প্রশ্নেও এই নিয়মনীতির দেখা সচরাচর মেলে দেশটির বাস্তবতায়। সে দেশের পারিবারিক আইনের কিছু ধারা এমন রয়েছে, যেগুলোকে কালাকানূন হিসেবেই দেখা হয় পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে। এসব আইনকানূন এবং বিধিবিধান নিয়ে বিস্তর সমালোচনা এবং আপত্তিও রয়েছে বহির্বিশ্বে, যদিও অন্যান্য দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনের এসব সমালোচনা কিংবা আপত্তিকে তেমন গুরুত্বের সাথে নেয়ার নজির জাপানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে তেমন দেখা যায় না।
ঘটনার পেছনের ঘটনাঃ
জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো। পেশায় একজন ডাক্তার। বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরিফের সাথে। সে ২০০৮ সালের কথা। সে বছরের ১১ জুলাই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইমরান শরিফ পড়াশোনা করেছেন আমেরিকায়। চাকরিও করেছেন সে দেশেরই একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। সেই কোম্পানির চাকরি সূত্রেই মূলতঃ তার জাপান গমন। জাপানে সেই কোম্পানিতে চাকরিরত থাকাবস্থায়ই নাকানো এরিকোর সাথে পরিচয় এবং পরবর্তীতে বিবাহ। এরপরে একে একে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। এরিকো-ইমরান দম্পতির ঘর আলোকিত করে এসেছে তিন কণ্যা সন্তান। তিন মেয়ে যথাক্রমে জেসমিন মালিকা (১১), লাইলা লিনা (১০) ও সানিয়া হেনা (৭)।
যা হোক, এরিকো-ইমরান দম্পতির সংসারটি বলা চলে বেশ ভালোই চলছিল। এরিকো-ইমরান দম্পতির মামলার তথ্যাদি এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত ইমরান শরিফের বক্তব্য থেকে যতটুকু জানা গেছে, সমস্যা দেখা দেয় রাজধানী টোকিওতে এরিকো তার নিজের এবং পিতার নামে একটি ফ্লাট কেনার পরে সেই ফ্লাটটির মূল্য পরিশোধের বিষয় নিয়ে। ফ্লাটটি এরিকো এবং এরিকোর পিতার নামে কেনা হলেও সেখানে মাসে মাসে অর্থ পরিশোধ করতে হতো ইমরান শরিফকে। ইমরান শরিফের ভাষায়, এটি ছিল তার উপরে চাপিয়ে দেয়া একটি বিপদ। প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকার কিস্তি শোধ করতে করতে একপর্যায়ে তার চাকরি জীবনে জমানো অর্থ খরচ করতে করতে প্রায় রিক্তহস্ত হয়ে পড়েন ইমরান শরিফ। তিনি তখন প্রতি মাসে তার দেয়া টাকার অংক কিছুটা কমানোর অনুরোধ করেন স্ত্রী এরিকোকে। কিন্তু স্ত্রী নিজের সিদ্ধান্ত স্বামী ইমরান শরিফকে মানতে বাধ্য করতেই অনড় ছিলেন। অবশেষে যা হবার নয় সে দিকেই এগুতে থাকে পরিস্থিতি। এরিকোর দাবি না মানায় ইমরানকে বারংবার লিগ্যাল নোটিশ দেন এরিকো। বস্তুতঃ একটি সময়ে ইমরান শরিফ বাধ্য হন সেই বাসা হতে বের হয়ে আসতে। পরবর্তীতে জাপানের পারিবারিক আদালতে মামলা করেন এরিকো। সেই মামলা চলমান থাকাবস্থায়ই ইমরান শরিফ বড় এবং মেঝ মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। জাপানের আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা যেহেতু দেয়নি সেহেতু তিনি আসতেই পারেন। তিনি এসেছিলেন মূলতঃ এই মামলায় জাপানের আদালতের পূর্বাপর ঘটনা পরম্পরা সম্পর্কে তিনি জানার পরেই। কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, জাপানের আদালত সন্তানের অভিভাবকত্ব প্রশ্নে জাপানি নাগরিকদের স্বার্থ বিবেচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। পিতা বা মাতা যিনিই হোন, তিনি যদি অন্য দেশের হয়ে থাকেন, সন্তানের অভিভাবকত্ব তাদের যে দেয়ার নজির নেই, তিনি সেটা ভালোভাবে জেনেশুনেই জাপান ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হন। বাংলাদেশে আসার পরের ঘটনা পরম্পরা আমাদের সকলেরই কমবেশি জানা।
কিছু লোক ইমরান শরিফকে এরিকোর ভাষায় সন্তান নিয়ে পালিয়ে আসার অপবাদ দিতেও কার্পণ্য করেননি। কথায় কথায় এরা এরিকোকে মাথায় তুলতেও ভোলেন না। এরা জাপানের পক্ষপাতমূলক সমাজ জীবনের অঘোষিত প্রথাকে সমর্থন করে তাদের স্বরে প্রতিধ্বনি করেই যেন বলতে চান যে, বাবা আবার কে? বাবার প্রসঙ্গ কেন? তারাও যেন স্বীকার করে নিতে চান যে, বাবার কোন অনুষঙ্গ বা প্রসঙ্গই নেই সন্তানের জীবনে। বাবা যেন সন্তানের কেউই নন। বাবার যেন সন্তানের প্রতি কোন ধরনের অধিকারই থাকতে নেই। আমাদের এই অন্ধত্ববোধের অবসান হওয়া উচিত।
যারা নিজেদের পরিবারে, বিশেষ করে আপন আপন বাবার কাছ থেকে আশৈশব দুর্ভাগ্যক্রমে যথাযথ স্নেহ, মমতা এবং আদর যত্ন না পেয়েই বড় হয়েছে, তাদের পক্ষেই বাবাদের অবজ্ঞার চোখে দেখা মানায়। সন্তানের জীবন থেকে যারা বাবাদের মুছে ফেলতে চান, তারা কারা? বাবাকে, বাবার অস্তিত্বকে সন্তানের জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার কৌশল কি আদৌ কোন সুস্থ মানুষের ভাবনায় আসতে পারে? কিছু লোককে দেখা গেছে, যারা জাপানি এক মাকে ফেরেশতার কাতারে তুলে অসহায় বাবাকে নির্মমতা, প্রতিশোধপরায়নতা এবং সর্বোপরি স্ত্রী সন্তানদের প্রতি দায়িত্বহীন অথর্ব হিসেবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছেন। এটা কেবল উপরে উল্লেখিত বিশেষ লোকদের পক্ষেই হয়তো শোভনীয়।
আর এর বিপরীতে যারা বড় হওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের বাবা এবং মা উভয়ের ভালোবাসা, আদর এবং স্নেহ মমতা অবারিতভাবে লাভ করেছেন, তারা নিঃসন্দেহে বাবা এবং মা উভয়ের প্রতিই একইরকম দায়িত্বশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ শিখেছেন। তারা বাবার প্রতি অবিচার করেন না, মায়ের প্রতিও। তারা বাবাকে তিরষ্কার করেন না, মাকেও ধিক্কার দেন না।
প্রতিটি শিশুর জন্য মায়ের যেমন থাকে অকৃত্রিম ভালোবাসা, অনিঃশেষ মাতৃপ্রেম, মাতৃমমতা; বাবারও কোন অংশে কম নয়, কোনভাবেই বাবার অবদানকে, বাবার স্নেহ বাৎসল্যকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। মাতৃ এবং পিতৃস্নেহকে আলাদা করে ভাবতে যাওয়াটা কঠিন। এর পরিমান এবং পরিমাপ করাও রীতিমত অসম্ভব। তবে, গর্ভে ধারণ এবং প্রসবকালীন সীমাহীন কষ্টসহ শিশু জন্মদান এবং তাকে বড় করে তোলার ক্ষেত্রে মায়ের আত্মত্যাগ যে কোন কোন দিক বিচারে অন্য যে কারোর চেয়ে বেশি সে কথা বুঝা যায়, প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি হাদিস থেকে, যেখানে তিনি সন্তানের নিকট সবচেয়ে বেশি অধিকার কার - এমন প্রশ্নের উত্তরে মায়ের কথা তিনবার বলার পরে পিতার অধিকারের কথা বলেছেন।
মা তুলনাবিহীনঃ
মায়ের কথা তিনবার বলার পরে পিতার অধিকারের কথা উল্লেখ করার কারণ রয়েছে। মা জীবনের ঝুকি নিয়ে দশ দশটি মাস সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। সন্তান মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়টা মায়ের জন্য বড়ই স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণও বটে। সেই সময়গুলো মাকে সারাক্ষণই থাকতে হয় এক অজানা ভয় ও শঙ্কার মাঝে। অন্যরকম এক অনুভব-অনুভূতি মাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখে সারাক্ষণ। অকল্পনীয় কষ্টে মা গর্ভে ধারণ করেন একটি শিশুকে। অতঃপর পৃথিবীর আলো-বাতাসের স্পর্শে আসার পরেও তাকে দূরে সরিয়ে দেন না। বুকে আগলে রাখেন সারাক্ষণ। নিজের খেতে ইচ্ছে না করলেও মাকে খেতে হয়। তিনি বাচ্চার জন্য খান। মা না খেলে বাচ্চা দুধ পাবে না যে। বাচ্চার জন্য নিজের সর্বস্ব উজার করে দিতেও কার্পণ্য করেন না মা। এই তো মা। মায়ের কষ্ট বুঝবে কে? অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তায় অষ্টপ্রহর স্বপ্ন বুনে চলেন প্রতিটি মা। মা সাবধানে সন্তর্পনে চলেন, প্রতিটি পদক্ষেপে তার থাকে বিশেষ সতর্কতা, যাতে অনাগত সন্তানের সামান্য ক্ষতি না হয়। মা বেছে বেছে দেখে শুনে পা ফেলেন, যাতে সন্তানের কোন ধরণের অকল্যান না হয়। মা বুঝেসুঝে খান এবং পান করেন যাতে তার অনাগত সন্তান সুস্থ থাকে। মায়ের গোটা সময়টাই তখন আবর্তিত হয় সন্তানকে ঘিরে। এরপরে একটি পর্যায় আসে। মাকে আরও বড় ঝুকির ভেতর দিয়ে যেতে হয়। মা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিজেকে সমর্পন করেন নির্দ্বিধায়। এই সময়টায় একজন মা যে কেমন অবস্থায় থাকেন, প্রিয়তমা স্ত্রীকে দেখে তার বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করেছি। শত দ্বিধা, শঙ্কা আর ভীতিকাতরতার মাঝেও মা শান্তনা খুজে নিতে চেষ্টা করেন সন্তানের মুখদর্শন করে। এই একটি চিন্তাই মাকে আশ্বস্ত করে তখন। এক বুক ভয়, অপরিমেয় আতঙ্ক আর অদ্ভূত ভীতিকর অনুভূতিগুলোকেও মধুর করে নেন মা। প্রশান্ত চিত্তেই সয়ে যান সন্তান জন্ম দেয়ার অবর্ণনীয় কষ্ট। মায়ের এমন অব্যক্ত হাজারও ব্যাথা বেদনার পরেই তার কোলজুড়ে উকি দেয় নতুন চাদ। নতুন সন্তান জায়গা করে নেয় তার কোলে। সন্তানের মুখ দেখে তিনি ভুলে যান সীমাহীন দুঃখ, কষ্ট এবং জীবন সংহারি সকল যাতনা।
বাবার অবদান অনস্বীকার্য এবং অপরিমেয়ঃ
পক্ষান্তরে আবার বাবা? জ্বি, বাবাও তো এমনই একজন যার তুলনা শুধু তিনিই। বাবাও তো এই মা এবং সন্তানের ভরনপোষন থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নেন অবলীলায়। আদর স্নেহের চরম পরাকাষ্ঠায় ডুবে পরম হৃদ্যতা আর আন্তরিকতায় বুকে জড়িয়ে নেন আপন সন্তানকে। কোলে পিঠে করে মানুষ করে তোলেন তাকে। নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য আরাম আয়েশ আর স্বকীয়তাকে বিসর্জন দিয়ে সন্তানের কল্যান চিন্তায় বিভোর হন বাবা। নিজের এত দিনের অভ্যাসগত চেনা জগত তার পাল্টে যেতে থাকে ক্রমশঃ। আপন বিলাসিতাকে ভুলে গিয়ে তখন দৃষ্টি কেবল তার সন্তানের সুখচিন্তার দিকে। মা যেমন সন্তান গর্ভে ধারণ করে বয়ে বেড়ান কলিজার টুকরোকে আপন শরীরে; বাবাও সন্তানের আরেক ধারকই বটে। গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে সন্তান যখন সামান্য কেদে ওঠে, মা তখন জেগে ওঠেন, কিন্তু বাবার চোখের ঘুমও তখন কিছুক্ষণের জন্য সরে যায় দূরে; জেগে ওঠেন পাশে থাকা তিনিও। তিনিও নিজের অজান্তেই মন ও মননে, অন্তরের মনিকোঠাকে নির্দিষ্ট করে দেন আপন সন্তানের ঠিকানা হিসেবে। বাবার সাথে, বাবার হাতে না খেলে সন্তানের তৃপ্তি মেটে না, অধিক সংখ্যক সন্তান তো এমনই। সন্তানের আবেগ অনুভূতি, দাবি আবদার, বায়না পূরণ তো বাবাদেরই করতে হয়। সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তার পেছনে অর্থ ব্যয় অধিকাংশ পরিবারে কে করেন? কতটি পরিবারের কতজন মা চাকরি বাকরি করেন? ক'জন মা নিজে উপার্জন করেন? নিঃসন্দেহে এই সংখ্যাটা নগন্য। যা হোক, নগন্য না হয়ে যদি অধিকাংশ মা নিজ হাতে উপার্জন করেও থাকেন, তাতেও কি বাবাদের দায়িত্ব কমে যাবে? মা যদি উপার্জনক্ষম হয়েও থাকেন, তাহলেই বাবারা কি সন্তানের প্রতি, পরিবার-পরিজনের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন? এমনটা তো সচরাচর দেখা যায় না। কোন বাবারই এমন হওয়া উচিত নয়। বরং প্রত্যেক বাবারই এইসব দায়দায়িত্ব পালনে সচেতন হওয়াই মানবতার দাবি। বাবারা হয়েও থাকেন এমন। বাবাদেরই এইসব গুরুদায়িত্ব পালন করে যেতে হয়। বাবারাই তো করেন। বাবাদের দান-অবদানও সন্তানের প্রতি সীমাহীন। বাবার স্নেহ মমতাও মায়ের মতই মাপ-পরিমাপের উর্ধ্বে। বাবাও সন্তানকে ভালোবাসেন নিঃস্বার্থভাবে। বাবারাও তো সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই নিজেদের জীবনের দিকে তাকান না। সন্তানের মুখে নিজের খাবার তুলে দিয়ে প্রশান্তির অন্যরকম পরশ অনুভব করেন হৃদয়ে।
অধিকারকে এড়িয়ে গিয়ে অন্ধ আনুগত্য কাম্য নয়ঃ
মা এবং বাবা দু'জনেরই সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম যে ভালোবাসা তা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন প্রদত্ত। এই ভালোবাসাকে খন্ডিত করার সুযোগ নেই। এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পরিমাপেরও উপায় নেই। মা যেমন সন্তানের জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ করতে কার্পণ্য করেন না, প্রত্যেক বাবাও তেমনই। এই কারণে মা এবং বাবা দু'জনেরই অবদান অপরিসীম, অগনন এবং অকল্পনীয়। দু'জনের একজনকে যখন খাটো করা হয়, একজনের অবদানকে যখন তুচ্ছ করা হয়, একজনের অবদানকে যখন অস্বীকার করার প্রবনতা পরিদৃশ্যমান হয় তখন সেটাকে অবিচার না বলে উপায় থাকে না। কোন দেশের আইন কানূন, নিয়ম নীতি এবং প্রথা ও পদ্ধতি যদি এমন প্রবনতার প্রতি আত্মসমর্পন করে তাহলে সে দেশের আইন এবং বিচার ব্যবস্থাকেও প্রশ্নের উর্ধ্বে মনে করার কোন কারণ নেই। সেটা হোক জাপানের মত উন্নত দেশ কিংবা ইউরোপ আমেরিকার আরও অগ্রসর কোন দেশ জনপদ কিংবা তৃতীয় বিশ্বের আমাদের মত হা-ভাতে মানুষদের বসবাসের অঞ্চল।
সন্তানের অভিভাবকত্বলাভে মা বাবার অচিন্ত্যনীয় লড়াই এবং সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যতঃ
ইমরান শরিফ জানেন, জাপানের পারিবারিক আদালত তার পক্ষে সন্তানের অভিভাবকত্ব প্রদানের রায় দিবে না। তিনি নিজের এবং সন্তানদের পাসপোর্ট ফেরত দিতে এরিকোকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এরিকো তা দেননি। এরিকো কেন দেননি, এই প্রশ্ন কি করা যাবে? যারা এরিকোর অন্ধভক্ত তারা হয়তো অন্যের পাসপোর্ট আটকে রাখার বিষয়টিকে এরিকোর অধিকার বলে ধরে নিতে পারেন। যা হোক, এক পর্যায়ে ইমরান শরিফ পাসপোর্ট উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়াও অনুসরণ করেছেন। কিন্তু কোন কিছুতে যখন কাজ হয়নি তখন নিতান্ত দায়ে পড়ে নতুন পাসপোর্ট বানানো ছাড়া তার গত্যন্তর ছিল না। তিনি সেটাই করেন এবং এভাবেই একপর্যায়ে বাংলাদেশে আসতে সক্ষম হন। এই সময়ের অবস্থাটা একটু চিন্তা করলে খুব সহজেই বুঝা যায়, কী ভয়ঙ্কর একটি পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে ইমরান শরিফকে। সেই সময়গুলোতে। একে একে অনেকগুলো হয়রানিমূলক মামলা তার নামে জাপানের আদালতে। অন্য দিকে পাসপোর্ট পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে, যাতে তিনি দেশত্যাগ করে কোথাও যেতেও না পারেন। কী ভয়ানক কৌশল।
যা হোক, ইমরান শরিফ দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে আসার কয়েক মাস পরে এরিকোও বাংলাদেশে আসেন। ইমরান শরিফের যেমন সন্তানের জন্য মন কাঁদে, অন্তর কাঁদে তারও। তিনি ছুটে এসেছেন সন্তানের মায়ায়। সাত বছরের ছোট মেয়েকে জাপানে রেখেই চলে আসেন এরিকো। বাংলাদেশে থাকেন মাসের পর মাস। কথা হচ্ছে, মেয়েদের জন্য, সন্তানের জন্য যার অন্তরে এত দরদ, এত মায়া, এত ভালোবাসা, এত স্নেহ, এত হৃদ্যতা, এত সন্তান বাৎসল্য যাকে জাপান থেকে সুদূর বাংলাদেশে নিয়ে এল; মাত্র সাত বছরের সন্তানটিকে মাসের পর মাস দূরে রেখে, বুক থেকে সরিয়ে রেখে, কোল থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে রেখে তিনি মাতৃমমতার নতুন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন কি না, কিছু লোক বুঝতে পারলেও আমাদের মত লোকদের জন্য বুঝা কঠিন বৈকি।
যা হোক, জাপানের হোন আর যে দেশেরই হোন, এরিকো একজন মা। একজন মা হিসেবে তার প্রতি অনেকের মত আমাদের সহমর্মিতা। কিন্তু তার এই লড়াই এবং দুর্বিসহ পরিস্থিতির জন্য প্রথমত দায়ী সন্তানের অভিভাবকত্ব প্রশ্নে জাপানের পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিয়ম নীতি। সবকিছু দেখে শুনে ইমরান শরিফকে মনে হয়, তিনি অনেকটাই পরিস্থিতির শিকার। ইমরান শরিফের বড় এবং প্রথম ভ্রম, জাপানের আইনকানূন সম্পর্কে অবিহত না হয়ে সেখানে বিয়ে করা। এ পর্যন্ত তার ভাগ্য প্রসন্ন বলতে হবে এই কারণে যে, তাকে সেখানে শেষমেষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হেফাজতে যেতে হয়নি। কপাল খারাপ হলে এমনটা হওয়াও সেখানে বিদেশীদের জন্য বলা চলে ডালভাত। জাপান কাউকে পাত্তা দিয়ে চলার দেশ নিশ্চয়ই নয়।
সর্বোপরি কথা হচ্ছে, ইমরান এরিকো বিবাদের ফলে তিন তিনটি শিশুর ভবিষ্যত পড়েছে গভীর উদ্বেগে। যখন তাদের বয়সী শিশুরা বেড়ে উঠছে বাবা মায়ের যৌথ আদর স্নেহে, সেই বয়সে তাদের দেখতে হচ্ছে বাবা মায়ের আইন আদালতে লড়াই করে যাওয়ার এমনসব অনাকাঙ্খিত এবং নেতিবাচক ঘটন অঘটন। এসব ঘটনার ঘনঘটা ছোট ছোট এই বাচ্চাগুলোর অন্তরে যে কতটা দাগ কেটেছে, তাদেরকে কতখানি বিপর্যস্ত করেছে, তা ভাষায় ব্যক্ত করাও রীতিমত কঠিন। কোন মেয়ে কার পক্ষে যাবে, এই এক দুশ্চিন্তা সর্বক্ষণ তাদেরকে কাবু করে রেখেছে। তাদেরকে দেখা গেছে সবসময় তারা ছিল সঙ্কুচিত। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে পারলেই যেন তারা ভালো থাকে। তারা কে কার সাথে থাকবে- এতকিছু চিন্তা করার, এত বড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার, সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এবং বয়সই তো তাদের হয়নি। তো তাদেরকে কেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হচ্ছে? কেন তাদেরকে এমন বিপজ্জনক অবস্থায় নিপতিত করা হচ্ছে? তারা বুঝতে পারছে না, বাবার পক্ষে থাকবে, না কি মায়ের পক্ষে কথা বলবে। তারা বুঝতে পারছে না, কার কাছে থাকলে তাদের কল্যান হবে। তারা সিদ্ধান্তহীনতায়, হীনমন্যতায় ভুগতে ভুগতে দ্বিধান্বিত, ভীত এবং আতঙ্কিত। এই আতঙ্ক এবং দ্বিধার ভেতরেই বড় মেয়ে মায়ের সাথে এবং মেঝ মেয়ে বাবার সাথে থাকবে বলে নিজেদের অভিমত জানায়।
আমাদের মতে, সন্তানদের এই অভিমতও কর্তপক্ষের দীর্ঘ মেয়াদের জন্য গ্রহণ করা উচিত নয়। বরং বিজ্ঞ আদালতের উচিত এই মেয়েদের কল্যানে এমন একটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যার ফলে বাবা এবং মা দু'জনই সন্তানের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন, সন্তানদের অভিভাবকত্ব প্রশ্নে উভয়ের অধিকারই বহাল থাকে। পিতা বা মাতা কাউকেই যেন বঞ্চিত করা না হয়, সন্তানদের জীবন থেকে একেবারে মুছে দেয়া না হয়।
বাবা মা দু'জনই থাকার পরেও এই আতঙ্ক, এই টানাপোড়েন বাচ্চাগুলোকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এই বাচ্চারা বেড়েও উঠবে হয়তো এই নিঃস্বতাকে সঙ্গী করেই। এরিকো-ইমরান, তোমাদের অতি লোভ, নির্বুদ্ধিতা আর খামখেয়ালিপনার জন্যই বাচ্চাগুলোর আজকের এই অনিশ্চিত যাত্রা। তোমাদের জন্য শুভকামনা।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ আপনি সেই পোস্ট পড়েছিলেন বলে। সে পোস্টটি ঝড়ও তুলেছিল, এটাও সঠিক। তবে আমার দ্বিমত ছিল সেই পোস্টটির কিছু কথার সাথে। বাবার অবদান এবং সন্তানের জন্য বাবার অধিকারকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এটা উচিত নয়।
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে অভিনন্দন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইমরানকে তার ভুলের মাসুল দিতে হচ্ছে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। স্বপ্ন দেখা ভাল। কিন্তু অপরিনামদর্শী স্বপ্ন জীবনকে দুমড়ে মুচড়ে নিঃশেষ করে দেয় কখনও কখনও। ইমরান শরিফ তার বাস্তব উদাহরণ। তার জন্য শুভকামনা। তার মেয়েদের জন্যও। একজন বাবা হিসেবে তার কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। আপনার পরিবারের সকলের জন্যও শুভকামনা।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২
কলাবাগান১ বলেছেন: বাচ্চা তিনটার নাম গুলি দেখুন তাহলে আপনাদের মত মানুষ রা জাপানী মাকে বুঝতে পারবেন। এই সমস্ত মনের মাধুরী মিশিয়ে গার্বেজ লিখতেন না
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
তিন মেয়ের নাম যথাক্রমে- জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা। এই নামগুলো দিয়ে আপনি কী বুঝাতে চেয়েছেন- বিষয়টি বোধগম্য হচ্ছে না। চলুন, তিন কণ্যার নামগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করে একটু দেখি-
জেসমিন ليَاسَمِين একটি ফুলের নাম। এটি এমন একটি নাম যা অন্যান্য ভাষা এবং দেশ ছাড়াও আরব বিশ্বের অনেক দেশে বিস্তৃত। এটি আরবি, ফরাসি, ফার্সি এবং হিব্রু ভাষায় একটি সাধারণ স্ত্রীবাচক নাম। এই নামটির উৎপত্তি অনুসন্ধানে আরবি ভাষা পাওয়া যায়। এর উৎস হল জুঁই ফুল (যা লেভান্টে বিস্তৃত, বিশেষ করে দামেস্ক শহরে)। যেমনটি আরবি ভাষায় বলা হয় صباحُ الفلِّ واليَاسَمِين সাবাহুল ফুল ওয়াল-ইয়াসমিন, অর্থাৎ, আপনার সকালটি সুন্দর ও সুগন্ধিময় হোক। আর মালীকাহ নামের অর্থ হচ্ছে Maleekah is an Arabic name for girls that means queen, lady, owner.
দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা ليلى লিনার নামও চমৎকার। লাইলা আরবি শব্দ এর অর্থ রাত, রাত্রি, রজনী, ভাবাবেশ, প্রণয়ী ইত্যাদি। আর নামটিও যতদূর জানা যায় আরবি। এই নামের অর্থ- জীবিত, অঙ্গীকার, উন্নতচরিত্র, আভিজাত্য, আলো, উজ্জ্বল ইত্যাদি।
ছোট মেয়ে সানিয়া হেনা। সানিয়া (ثانية) শব্দটির ব্যবহার আরবি, উর্দু এবং ফার্সিতে রয়েছে। স্ত্রীলিঙ্গবাচক এই শব্দের অর্থ উইকিপিডিয়া অনুসারে "দ্বিতীয় কার্ডিনাল নম্বর " এবং "জাঁকজমকপূর্ণ"। অবশ্য কোথাও কোথাও এই শব্দের অর্থ 'মেধাবী' এবং 'মহিমান্বিত'ও পাওয়া যায়। আর হিন্দি 'হেনা' শব্দটির অর্থ 'মেহেদী' বা 'মেন্দি'।
অন্ধ সাপোর্ট কিংবা অতি ভক্তি কখনোই ভালো জিনিষ নয়। এগুলোই মূলতঃ আমাদের সমস্যা। কথায় বলে না, হুজুগে বাঙ্গালী। এই হুজুগে বাঙ্গালীর কারণেই মূলতঃ পোস্টের এমন শিরোনাম দিতে বাধ্য হয়েছি।
এ কথা সত্য, জাপান উন্নত একটি দেশ। আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্রও বটে। দেশটির সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। মোট কথা, সুখে দুঃখে দেশটি সবসময়ই আমাদের পাশে থাকে। কিন্তু তাই বলে জাপানের কোন নাগরিক যদি আমাদের দেশের কোন নাগরিকের প্রতি অন্যায় অবিচার চাপিয়ে দিতে চান, বন্ধু দেশ বলে, উন্নত দেশ মনে করে অন্ধ ভক্তিতে গদগদ হয়ে সেটার পক্ষেও কথা বলতে হবে, বিষয়টা এমন নয়।
পারলে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরা উচিত অন্যথায় নিরব থাকাই শ্রেয়। অন্যের পোস্টকে গার্বেজ বলার যুক্তি থাকতে পারে না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে আমি একটা পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেক আইনি বিষয় জড়িত তাই সাহস করলাম না। উলটাপালটা লিখে মানুষের গালি খাব তাই পোস্ট দেই নাই। ভালো হয়েছে আপনি লিখেছেন। অনেকে বিস্তারিত না জেনেই ইমরান শরীফকে ক্রিমিনাল বলতে চাচ্ছেন। আইনগত দিকগুলি বিবেচনায় না এনে আবেগ সর্বস্ব কথা বলছেন।
জাপানের আইনে সন্তান হল সম্পত্তির মত। সম্পত্তি যেভাবে হস্তান্তরিত হয় একইভাবে সন্তানও হস্তান্তরিত হয়। বিচ্ছেদের পরে সন্তান আইনের মাধ্যমে বাবা বা মায়ের কাছে চলে গেলে তার পূর্ণ মালিকানা থাকে এককভাবে বাবা বা মায়ের। এমন কি সেই মা বা বাবা যদি পুনরায় বিয়ে করে সেই ক্ষেত্রেও বাচ্চার প্রকৃত বাবা বা মায়ের কাছে বাচ্চাকে ফেরত দেয়ার কোন বিধান নাই। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সকল দেশে বাচ্চাকে মানুষ হিসাবে দেখা হয়, সম্পত্তি হিসাবে নয়। বাচ্চার মতামতের মূল্য জাপানের আইনে নেই। জাপানে বিদেশী বাবা বা মায়ের নাম ফ্যামিলি রেজিস্টারে আসে না। জাপানে কখনওই বিদেশী বাবা বা মাকে সন্তান দেয়া হয় না। সব ক্ষেত্রেই জাপানীরা প্রাধান্য পায়। যেটা ন্যায় বিচারের পরিপন্থি।
এরিকো এবং ইমরান এখনও বিবাহিত দম্পতি। জাপানের আইনে পিতা বা মাতা বাচ্চাদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করলে কোন আইন ভঙ্গ হয় না। ইমরান সাহেব বাচ্চা ছিনতাই করে থাকলে জাপানেই তাকে গ্রেফতার করা হত যখন ১ মাস তিনি ২ বাচ্চাকে নিয়ে টোকিওতে আলাদা ছিলেন। কিন্তু পুলিশ গিয়ে নিশ্চিত হয় যে এটা কোন ফৌজদারি ঘটনা না এবং তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা তারা নেয়নি। ইমরান সাহেব জাপানের কোন আইন ভঙ্গ করেননি। জাপানের আইনে বিধান থাকলে এরিকো সেই আইনের সাহায্যে ইমরান সাহেবকে ঠেকাতে পারতেন। কিন্তু কোন আইন ভঙ্গ না করার কারণে ইমরান সাহেবকে ঠেকানো যায়নি। বরং জোর করে এরিকো ইমরান সাহেবের পাসপোর্ট আটকে রেখেছিলেন।
পৃথিবীর সকল দেশের আইনে বাবা এবং মায়ের গুরুত্বকে স্বীকার করা হয়ে থাকে জাপান ছাড়া। ইসলামের বিধানে বাবার চেয়ে মায়ের অধিকার ৩ গুণ বেশী। কিন্তু তারমানে এই না যে বাবার কোন গুরুত্ব নেই।
জাপান সরকারও চাচ্ছে তাদের এই কালো আইনে পরিবর্তন আনতে। অনেক উন্নত দেশের চাপে তারা হেগ কনভেনশনে সাক্ষর করলেও দেশের ভিতরে আইনের পরিবর্তন পুরোপুরি করতে পারেনি। বহু বছরের সামাজিক নিয়ম পরিবর্তন করতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আশা করা যায় কয়েক বছরের মধ্যেই জাপান তাদের পারিবারিক আইনে পরিবর্তন করতে পারবে।
এরিকো জানে জাপান সরকার তার সাথে আছে। তাই সে কোন রকম সালিশ বা মীমাংসায় যেতে চায় না। বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ে তার যোগাযোগ আছে। জাপানী দুতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে সাহায্য করছে। জাপান একটা ধনী দেশ আর বাংলাদেশ একটা গরীব দেশ। পৃথিবীতে গরীব দেশের নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। হয়তো এসবের জোরে সে সন্তানদের পেয়ে যাবেন। কিন্তু এটা সুবিচার হবে না।
এখনও পৃথিবীর বহু উন্নত দেশের অনেক বাবা বা মার সন্তান জাপানে আছে যাদেরকে অন্য দেশ থেকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছে তাদের জাপানী বাবা বা মা। জাপানের কালো আইনের কারণে এই বাচ্চাদের মুখ বিদেশী বাবা বা মায়েরা আর কোন দিন দেখতে পারবেন কি না সন্দেহ আছে। জাপানী কালো আইন পরিবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরাম তৈরি করেছেন ভুক্তভুগি বাবা এবং মায়েরা।
বাচ্চা দুটি বেশ বড় হয়েছে। এদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে রায় দেয়া উচিত হবে। জাপানের কালো আইনের খরগ যেন ইমরান সাহেবের উপর না পড়ে সেটা বাংলাদেশের আদালতের ভাবা উচিত হবে। এরিকো মুসলমান হয়ে বিয়ে করলেও এখন সে বলছে সে মুসলমান না। কিন্তু বাচ্চারা মুসলমান পিতার সন্তান। তাই বাংলাদেশের আইনে বাচ্চারাও মুসলমান। এরিকোর কাছে গেলে ইসলামী নিয়ম নীতি বাচ্চারা পালন করতে পারবে না এবং হয়তো ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবে। এই বিষয়গুলিও বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের আইনে বাচ্চার কল্যাণ বিবেচনা করা হয়। ধর্ম একজন মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। জাপানে বাচ্চা নিয়ে গেলে ইমরান সাহেব বাচ্চাদের উপর অধিকার হারাবে যেমন হারিয়েছে আরও কয়েক হাজার বিদেশী বাবা মা। জাপান সরকারও চাচ্ছে তাদের এই কালো আইন পরিবর্তন করতে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে রায় দেয়া উচিত হবে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
বোন সোহানীর আলোচিত সেই পোস্টে আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আনন্দিত হয়েছিলাম। আরও অনেকের মন্তব্য সেখানে ন্যায়ানুগ এবং যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছিল। সত্যি কথা বলতে, আমি সেই পোস্টটিতে মন্তব্য লিখেও আবার পাবলিশ করা থেকে বিরত থেকেছি।
আপনার বক্তব্য যথার্থ। সহমত পোষন করছি। বস্তুতঃ ইমরান শরিফের বক্তব্য, পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যাদির আলোকে ঘটনার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষন করে যতটুকু বুঝতে পারছি, আমার মনে হচ্ছে, ইমরান শরিফের ভাগ্য প্রসন্ন। এবং এই ধারণাটি এই কারণে করছি যে, তার একটি ইউএসএ পাসপোর্ট ছিল বলে অল্পতেই তিনি রক্ষা পেয়েছেন। জাপান ছাড়তে পেরেছেন। অন্যথায় জাপানে অন্য অনেক বিদেশীর মত তার জন্যও যে কী ভয়ানক দশা অপেক্ষমান ছিল, সেটা ভাবাই কঠিন। জাপানের আইনে বহু বিদেশীর এমন নির্মমতা প্রত্যক্ষ করার নজির সাম্প্রতিক দশকগুলোতে যেহেতু সেখানে বিদ্যমান।
ইমরান শরিফ আমেরিকা-বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক না হয়ে শুধুমাত্র আমাদের দেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র্য কবলিত একটি দেশের নাগরিক হলে এই ঘটনা মামলা মকদ্দমার বর্তমান পর্যায় পর্যন্ত গড়াতো কি না, সেটা যেমন একটা প্রশ্ন; এই ঘটনা এত এত আলোচনায় আসার সুযোগ পেত কি না, তাও বলা মুশকিল।
যা হোক, আমরা চাই, বিজ্ঞ আদালত নাকানো এরিকো এবং ইমরান শরিফ উভয়ের প্রতিই যাতে সুবিচার করেন এবং তিন সন্তানের অধিকার থেকে পিতা মাতা কাউকেই যাতে বঞ্চিত না করেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: এত ঝামেলা না করে এরা নিজেরা বসে এই সমস্যার সমাধান ক রে ফেলতে পারতো।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আপোষ মিমাংসার মাধ্যমেই হওয়া উচিত ছিল এই সমস্যার সমাধান। তাতে বাচ্চাগুলোর কল্যান হতো। কল্যান হতো উভয় পরিবারেরও। কিন্তু সেটা যে কোনভাবেই হচ্ছে না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বাবা-মা'র ইগোর জন্য সন্তানদের দূর্দশা!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই, এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ একটা সমাধান হোক।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নীল আকাশ - এরিকো জানে তার সাথে জাপান সরকার আছে জাপানী দুতাবাস আছে। এরিকো আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছে সাথে ছিল জাপানী দূতাবাসের কর্মকর্তারা। তাই নিজের জোর সম্পর্কে এরিকোর আত্মবিশ্বাস আছে। সে জানে যে কোনভাবে বাচ্চা দুটিকে জাপান দুতাবাস কিংবা জাপান নিতে পারলে তার আর কোন চিন্তা নাই। তাই সে কেন বসতে যাবে অভাগা এবং দুষ্ট ইমরান সাহেবের সাথে।
এরিকো বিয়ের আগে মিথ্যা দাবী করেছে যে তার অ্যামেরিকান ডাক্তারি ডিগ্রি আছে। কিন্তু পরে ধরা পড়ে যায় ইমরান সাহেবের কাছে। সে একবার বলে তার সাথে ইমরানের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে আবার অন্য সময় সুবিধা মত বলে যে তারা এখনও বিবাহিত। বাংলাদেশের আদালত সম্পর্কে সে এক সময় খুব বাজে মন্তব্য করেছে।
আদালতের চাপে এর আগে মীমাংসার চেষ্টা করেছে। এবারও আদালত মীমাংসার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ জাপানের কাছে অনেকভাবে ঋণী। জাপান অনেক ধনী একটা দেশ। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটা গরীব দেশ। এরিকো এগুলি ভালো করেই জানে। কোন রকমের সমঝোতার মনোভাব তার মধ্যে নাই। তাই সেই আশায় গুড়ে বালি। বাংলাদেশে একমাত্র ভরসা উচ্চ আদালত। আশা করা যায় উচ্চ আদালতে মামলা গেলে ইমরান সাহেব সুবিচার পাবেন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
বাংলাদেশ জাপানের কাছে অনেকভাবে ঋণী। জাপান অনেক ধনী একটা দেশ। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটা গরীব দেশ। এরিকো এগুলি ভালো করেই জানে। কোন রকমের সমঝোতার মনোভাব তার মধ্যে নাই। তাই সেই আশায় গুড়ে বালি। বাংলাদেশে একমাত্র ভরসা উচ্চ আদালত। আশা করা যায় উচ্চ আদালতে মামলা গেলে ইমরান সাহেব সুবিচার পাবেন।
-সহমত।
শুভকামনা জানবেন।
৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শুধু বলতে চাই, তিন তিনটি শিশুর জীবন বিপন্ন। সেনসেটিভ বিষয়, আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, এই শিশুদের জন্যই আমাদেরও যত চিন্তা। আশা করি, বিজ্ঞ আদালত এমন পদক্ষেপ নিবেন যাতে শিশুদের কল্যান হয়।
কৃতজ্ঞতা জানবেন, ঠাকুর মাহমুদ ভাই।
১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক যে আপনি একগাদা মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে পোস্টটি লিখেছেন। বোধহীন বিবেক হচ্ছে আপনাদের যারা মিথ্যাচারের মাধ্যমে অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে চান।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
কোন কথাটা মিথ্যা এখানে যদি বলতেন। একপেশে চিন্তা ভাবনা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা দরকার। সন্তানের জীবন থেকে বাবার অস্তিত্বকে মুছে দেয়ার প্রক্রিয়াকে আপনি সমর্থন করেন? আপনার এমন চিন্তা দেখে কিছুটা আশ্চর্য্য হচ্ছি বৈকি।
আপনি যদি অন্য দেশে বিয়ে করতেন আর আপনার বিদেশি স্ত্রী যদি তার নিজের নামে এবং তার বাবার নামে ফ্লাট বা বাড়ি কিনতেন, সেই ফ্লাট বা বাড়ি কেনার অর্থ বা দায় পরিশোধ করতে আপনাকে চাপ প্রয়োগ করা হতো, আপনি কখনো তা করতেন?
সর্বোপরি আমরা চাই, বাবা এবং মা দু'জনের কাউকেই যেন সন্তানদের দায় দায়িত্ব পালনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা না হয়।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা আপনার জন্য।
১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া করিয়া ভাবিও না। লোকটা আবেগে পড়ে বিয়ে করে এখন চোখের জল ফেলতেছে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। পূর্বাপর না ভেবে কাজ করলে এমন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পড়তে হয় কখনও কখনও।
কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মায়ের প্রতি সবারই দুর্বলতা আছে। আমাদের ব্লগারদেরও আছে। কিন্তু মায়েরাও অনেক সময় ভুল করে বসে থাকেন। জাপানি মা একজন মায়ের সাথে সাথে একজন মেয়েও বটে। মেয়েরা অনেক সময় কোন কিছুতে জিদ করলে সেখান থেকে তাদেরকে আর সরানো যায় না। জিদের বশবর্তী হয়ে তারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়। ইমরান সাহেবের বক্তব্য মিডিয়াতে খুব কম এসেছে , অনেক সময় মিডিয়াতে যা উপস্থাপন করা হয় ঘটনা তার বিপরীত হয়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রজ্ঞাপূর্ণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: মেয়ে তিনটির মুসলিম নাম....
আপনার সিম্পল জিনিস টা বুঝার ক্ষমতা নাই আর আসছেন মনের মাধুরী নিয়ে এক পেশে গল্প বলতে...যেন আপনি উনাদের বাসায় আত্মীয় হিসাবে বসবাস করতেন আর সব নিজ চোখে দেখেছেন।
ধর্মের নামে অনেকেই অন্যায় কে সাপোর্ট করে যায়।
গার্বেজ পোস্ট কে গার্বেজ বলাই বান্চনীয়
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
মেয়ে তিনটির মুসলিম নাম... তো, কী সমস্যা হয়েছে, মুসলিম নামে? এই মেয়েদের নাম তো আপনি আমি রাখিনি। নিশ্চয়ই তাদের বাবা মা কিংবা পরিবারের লোকজনই রেখেছিলেন।
এই শিশুরা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচিত হবার এবং বড় হবার অধিকার অবশ্যই রাখে। এটা তাদের নাগরিক অধিকারও বটে।
পোস্ট নিজের মতের পক্ষে না গেলে কিংবা পছন্দ না হলে শালীনতার সাথে তার প্রতিবাদ করা যায়। তা যদি সম্ভব না হয়, নিদেনপক্ষে এড়িয়ে তো যাওয়াই যায়। তাই না? কিন্তু সাধারণ সৌজন্যতা বিস্মৃত হয়ে অন্যের পোস্টকে 'গার্বেজ' আখ্যায়িত করাকে আমার কাছে শোভনীয় মনে হয় না। বিশেষ করে আপনার মত বিজ্ঞ একজন ব্যক্তির এমন দৈন্যতায় যারপরনাই আশ্চর্য্য। যা হোক, ক্ষমা করবেন আমি যদি বেশি কিছু বলে থাকি, অথবা আপনার কষ্টের কারণ হয়ে থাকি।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি ইমরান সাহেবের পক্ষে। এরিকা স্ত্রী হিসাবে কেমন ছিলেন জানতেও চাই না কিন্তু মা হিসাবে মোটেও সুবিধাজনক নয় তার মধ্যে মমতার থেকে রুক্ষতা বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। জাপানি নাগরিক বলে ধরাকে সরা জ্ঞ্যান করছে। আর একটু ভালো করে দেখুন তার আইনজীবী কে একজন জামাত শিবিরের নেতা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
মতামত জানিয়ে যাওয়ায় অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ইমরান শরিফের পক্ষের লোক? বেশ ভালো। আপনি তাহলে বর পক্ষের লোক। বর পক্ষের লোকদের দাপট সাধারনতঃ একটু বেশিই দেখা যায় আমাদের সমাজের কোথাও কোথাও। অবশ্য, এখানের চলমান এই ঘটনাটিতে আপনারা যারা বরের পক্ষ নিয়েছেন তারা যে বর পক্ষের সেই দাপটওয়ালা লোকদের মত অবস্থায় নেই তা আপনাদের বর ইমরান শরিফের চোখের পানি আর কান্না বিজড়িত চেহারা দেখে খুব সহজেই অনুমান করা যায়।
আমি অবশ্য এইক্ষেত্রে বর কিংবা কণে পক্ষের কোনটাতেই থাকতে চাই না। সোজাসুজি আমার পছন্দ আমি এখানে তৃতীয় পক্ষে থাকবো, অর্থাৎ, তিন শিশুর পক্ষে।
শুভকামনা জানবেন।
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: কে অপরাধী আর কে নয় সে আমার জানার খুব একটা আগ্রহ নেই কিন্তু এই সুযোগে কেউ কেউ বাবা কিংবা মা-কে চরম দোষী সাব্যস্ত করে প্রকারন্তে দুনিয়ার সব বাবা মার অবদানকেই খাট করছেন কিংবা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন সেখানেই আমার আপত্তি।
সোহানী আপুর পোস্টে বাবাদের পক্ষ হয়ে মন্তব্য করেছিলাম- এমনকি মনোকষ্টে 'গর্ভধারিনী বাবা' নামে একটা পোষ্টও দিয়েছি।
আসল সত্য ঘটনা হয়তো কেউ জানে না। সত্য মিথ্যা দু'জনেই বলছে। কিন্তু বাড়ির ব্যাপারটা এভাবে চাপিয়ে দেবার বিষয়টা আমার কাছে সত্য মনে হচ্ছে না। তাদের সম্পর্ক বিবিধ কারনে অনেক আগে থেকেই অবনতি হচ্ছিল যার চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হয় বাড়ি নিয়ে। তিনটে সন্তানকে জাপানে পড়াশুনা করার খরচ ব্যাপক! মা একজন ডাক্তার;সম্ভবত তিনি প্রফেশনাল, সে হিসেবে তার আয় রোজগারও কম হবার কথা নয়! মোদ্দা কথা বিদেশী স্ত্রীদের সাথে খুব কম বাঙ্গালীর এডজাস্টমেন্ট হয়। এখানেও সেই সমস্যা- আমার দেখা প্রায় নব্বুই ভাগ বাঙ্গালী তাদের বিদেশী স্ত্রীদের সাথে কোন না কোনভাবে প্রতারনা করে- যার বেশীরিভাগই যৌন ঘটিত।
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।পড়ে ভাল লাগল।
১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
বিটপি বলেছেন: মেয়ে তিনটির বাঙালি মার্কা নাম নিয়ে কলাবাগান মহাশয়ের ঢেঁকুর উঠতে শুরু করেছে। উনি কি লক্ষ্য করেছেন যে তিনটি মেয়ের নামের শুরুতেই 'নাকানো' নামখানি আছে? কারো নামের পশ্চাতে তো শরীফ নামটি অঙ্কিত নেই। তাহলে নামের মধ্যে এখানে মায়ের ভালোবাসা কিভাবে ফুটে উঠল?
উচ্চ আদালতে গেলে ইমরান শরীফ সুবিচার পাবে - সে আশার গুঁড়ে বালি। জাপানি দুতাবাসের হুমকি উপেক্ষা করার মত হ্যাডম বাংলাদেশের সরকার বা আদালতের নেই। এজন্যে নিম্ন আদালতের রায় হাইকোর্টে এসে পালটে যায়। নিম্ন আদালতের কার্যক্রম চলাকালে জাপানী এম্বাসাডরের সাথে এরিকোর গ্রুপ ফটো ছিলনা - কিন্তু হাইকোর্টের মামলা চলাকালে ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২০
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: এ বিষয় নিয়ে সোহানী ব্লগার লিখে ঝড় তুলেছিলেন। সেখানকার মন্তব্যগুলোতে প্রচুর তথ্য ও তত্ত্ব দেখেছি, কিছুটা ক্লান্তও হয়েছি এ বিষয়ে।