নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
হায়েনার বিষদাঁতে রক্তাক্ত জনপদ
হায়েনার বিষদাঁতে রক্তাক্ত জনপদ
গোটা মানচিত্রজুড়ে মৃত্যুর বিভীষিকা
কোলের শিশুরাও গুলিবিদ্ধ
নগরে বন্দরে জান্তব আস্ফালন
অপদার্থ বোধহীন দুষ্কৃতিকারীরা
চড়ে বসে দেশের কর্তার আসনে
অতঃপর চাকরির বাজারে শুণ্যের
কাছাকাছি নিয়ে আসে মেধার কোটাকে
নামে বেনামে নানান কোটা দিয়ে তারা
নিজ দলকানাদের চাকরি
নিশ্চিত করতে হয়ে ওঠে মরিয়া-
প্রতিবাদে দেশজুড়ে মাঠে নেমে আসে
প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ
অন্যায্য কোটা বাতিলের দাবিতে
রাস্তায় নেমে আসা শিক্ষার্থীদের
বুকে চালিয়ে দেয়া হয় রাইফেলের গুলি
ছাত্রদের গণদাবিকে পায়ে চূর্ণ করার দুঃসাহসে
খুনের নগরে পরিনত করা হয় গোটা দেশকে
মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় গোটা জনপদ
ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়
এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা- শত শত শিক্ষার্থীকে
পঙ্গু করে দেয়া হয় হাজার হাজার তরুন যুবককে
শুধু তাই নয়, মামলার পর মামলা দিয়ে
কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়
অসংখ্য মানুষকে
কারাগার বড় করো,
এই রাষ্ট্রের প্রতিটা গ্রাম,
গ্রাম থেকে শহর,
বাড়ি থেকে বিল্ডিং,
ডাইনিং টেবিল থেকে পড়ার টেবিলের
প্রত্যকেই সমন্বয়ক হয়ে দাঁড়াবে
যত কচলাবা, যত অত্যাচার করবা
তত রাস্তায় নামিয়ে আনবে তোমাদেরকে,
শূন্য রাস্তায় ক্লান্ত হয়ে যাবা,
বুলেট শেষ হয়ে যাবে,
কারাগারে যখন আর জায়গা থাকবে না
তখন কারাগার ধ্বংস হয়ে যাবে
তোমাদের পালানোর পথ নাই,
পথ একটাই- বুলেট সাশ্রয় করো,
বিদ্যাকে কাজে লাগাও,
বিবেকের পথে আসো,
তাছাড়া এই জেনারেশন-জেড
থেকে মুক্তি মেলা অসম্ভব, অসম্ভব
৩০ জুলাই ২০২৪ লেখা ড্রাফটে আবদ্ধ লাইনগুলো অবশেষে আজ আলোর মুখ দেখলো
©somewhere in net ltd.