নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ওকাকে কখন রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে স্বাগত জানানো হবে?
ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।
ওবায়দুল কাদের। মাল যে বহুত কামেল, তাতে সন্দেহ করার যুক্তি নেই। বহুত কামের এক জিনিষ। গুণী বলেই হয়তো অনেকে আবার আদর করে ডাকে কাউয়া কাদের। আমি ঠিক জানি না, ওকারে কাউয়া ডাকার কারণে সত্যিকারের কাউয়াদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল কি না। তয় আমার প্রবল আশঙ্কা, ওকাকে কাউয়া ডাকার কারণে কাউয়া সম্প্রদায় নিজেদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার দায়ে সুযোগ থাকলে ওকার নামে অবশ্যই আদালতে মামলা মোকদ্দমা পর্যন্তু যেত। যা হোক, ওকাকে অবশ্য কাউয়া ডাকলেও তাতে তার কিছু যায় আসে বলে ইতোপূর্বে মনে হয়নি।
ওকাকে কাউয়া কাদের কেন বলা হত? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে কাউয়া সম্প্রদায়ের সাথে কিছুকাল সময় অতিবাহিত করা দরকার মনে করি। এখন আবার আগের মত যত্রতত্র কাউয়ার দেখাও মেলে না। যা হোক, প্রাকটিক্যাল করতে না পারলেও সমস্যা নেই, মুখেই বলছি- কাকের একটি স্বভাব আছে। এরা কা কা রবে অনবরত, অনর্গল দীর্ঘ সময় ধরে একটানা ডেকে ডেকে মানুষের মাথা গুলিয়ে দেওয়ার মত অবস্থা তৈরি করতে পারে। ওকা, অর্থাৎ, ওবায়দুল কাদেরও কাউয়াদের এই গুণটি যথার্থভাবেই রপ্ত করতে পেরেছিলেন। তিনি একটানা, বিরক্তিহীনভাবে মেশিনের মত অনবরত বিএনপির বিরুদ্ধে, জামাতের বিরুদ্ধে একই কথা অনবরতঃ বলে যেতে পারতেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বলে যেতে পারতেন। সামান্য বিরক্তি, অনিহা বা অরুচি আসতে দেখা যেত না। এটা ছিল কাউয়াদের স্বভাবের অসাধারণ অনুকরণ। এই কারণে তাকে কাউয়া নামে নামকরণ করা সঠিকই মনে করা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া, তার প্রকৃতি প্রদত্ত আরেকটি অনবদ্য জিনিষও কাউয়া সম্প্রদায়ের সাথে একেবারে মিলে যায়। সেটা হচ্ছে, তার নিদারুন কন্ঠস্বর। তিনি তার ভারী গলায় কথা বললে, ভালুকও আকৃষ্ট হতো বলে মনে হয়। তার কন্ঠ আর সত্যিকারের কাউয়াদের কন্ঠের মধ্যে মর্মান্তিক রকমের(!) সাযুজ্য, মানে মিল! ওকা আর সত্যিকারের কাউয়া - এই দুই কন্ঠের অপূর্ব মিলকে কেউ যদি অনুভব করতে না পারে, তাকে বোকা ছাড়া আর কিইবা উপায় আাছে?
যা হোক, আসল কথায় যেতেই পারিনি। এত বড় ঘ্যানি (কেউ আবার ভুল করে জ্ঞানী পইড়েন না) ব্যক্তির বেশ কিছু দিন ধইরা হদিস নেই। নানান জনে নানান কথা বললেও বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, ওকা আছেন দেশেই। লুকিয়ে আছেন গর্তে টর্তে কোথাও। এমন ঘুনি (কেউ আবার ভুলে গুণী পড়ে নিয়েন না) লোক এদিক সেদিক পালিয়ে বেড়াবে- এটা হতে পারে না। তার "খেলা হবে" বলে তারস্বরে লাগাতার চিৎকার বাংলাদেশীদেরই শুধু বিনোদিত করেনি, সারা বিশ্বের বাংলাভাষাভাষী মানুষদেরই দীর্ঘ দিন যাবত আনন্দের খোড়াক যুগিয়েছিল।
বহুত দিন ধইরা তার ব্রিফিং শুনতে পাই না বইলা হৃদয় মন ভারাক্রান্ত। দেশের অনেক এলাকা পানি বন্যায় ভেসে গেলেও অন্তরটা মরুভূমির মত হইয়া গেছে। হৃদয়ের হাহাকার কিছুতেই দূর হচ্ছে না। রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নিচ্ছে না দেইখ্যা বেশুমার চিন্তায় কয় রাইত ধইরা দুই চোখের পাতা একত্রিত করতে পারি না। জাতি জানতে চায়, এই কামেল লোকটারে কখন রাষ্ট্রের মেহমান হিসেবে স্বাগত জানানো হবে?
কিছু মজা কিছু বিনোদন...
'স্মার্ট বাংলাদেশ' বলতেই মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন ওবায়দুল কাদের
খেলা হবে! : ওবায়দুল কাদের
"খেলা হবে" স্লোগানে মাতালেন ওবায়দুল কাদের
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, সেটাই। এমনিতেও লক্কর ঝক্কর হয়ে গেছে। একটু রিপেয়ার করার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে।
মিডিয়ার সামনে আনা হলে এখন আর খেলা হবে বলবে না?
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭
কিরকুট বলেছেন: কাউয়া ধরা পরলে আমার হয়ে একটা কান পট্টি বরাবর থাবড়া লাগিয়ে দেবেন ।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। কিন্তু উহার সাথে এই জগতে আমার সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ! আধুনিককালের নানাবিধ মিডিয়ার কারণে নিতান্ত অরুচি সত্ত্বেও কদাচিত ইহাদের চেহারা দর্শন করিতে হয়। তাহা না হইলে কস্মিনকালেও...।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭
রাসেল বলেছেন: বর্তমান খেলায় সবাই বল ধরার চেষ্টায় লিপ্ত ।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
"খেলা হবে" খ্যাত অসাধারণ লোককে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতেই হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: জনসম্মুখে আনার আগেই যথাযাথ ভাবে মেরামত করে স্ট্রাকচারাল কাঠামো বদলে দিতে হবে!