নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ব্লগার বাউন্ডেলে'র অভিযোগটি সঠিক নয়; সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মৃত্যু হয়েছে হার্ট এ্যাটাকে
ইসহাক আলী খান পান্না, ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।
কারও মৃত্যুই আমরা কামনা করি না এবং প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। ব্লগার বাউন্ডেলে গত ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ ৯০এর গনঅভ্যুত্থানের মহানায়ক কে হত্যা শিরোনামে একটি পোস্ট দেন সামহোয়্যারইন ব্লগে। সেই পোস্টে তিনি ছাত্র জনতার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সরাসরি দোষী সাব্যস্ত করে লিখেছিলেন যে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নাকে সমন্বয়ক সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, পান্নার মৃত্যু হয়েছে হার্ট এ্যাটাকে, যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং মিডিয়ার রিপোর্টে ইতোমধ্যে সবিস্তারে উঠে এসেছে। আজকে প্রথম আলো অনলাইনেও এই ঘটনার উপরে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, পান্নার মৃত্যু হার্ট এ্যাটাকেই হয়েছে।
প্রথম আলো অনলাইনের রিপোর্টে একথাও বলা হয়েছে যে, "ইসহাক আলী খানের সঙ্গে থাকা চট্টগ্রামের আমিন নামের এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, পাহাড়ে ওঠার পর ইসহাক আলী খানের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না। সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি তাঁকে নিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে চলার সময় তিনি মারা যান। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, বিএসএফের তাড়া খেয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।"
সুতরাং, একটি মৃত্যুর দায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্দোষ ব্যক্তিদের উপরে চাপিয়ে দিয়ে তাদেরকে মানুষ হত্যাকারী সাব্যস্ত করা জঘন্য ধরণের অপরাধ। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এই ধরণের হিংসাত্মক গুজব সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভেদ, বিশৃঙ্খলা এবং হানাহানিই শুধু বাড়ায় না; অনাকাঙ্খিতভাবে হয়ে উঠতে পারে আরও প্রাণহানিরও কারণ।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার বাউন্ডেলেকে তার উপরোক্ত পোস্ট ছাড়াও সত্য মিথ্যার মিশ্রণে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যপূর্ণ বাস্তবতা পরিপন্থী আরও একাধিক পোস্ট দিতে দেখা গেছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এই ধরণের হিংসাত্মক গুজব প্রচার করা থেকে ব্লগার বাউন্ডেলেকে বিরত থাকার আহবান জানাই।
প্রথম আলো অনলাইনের রিপোর্ট-
সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলীর লাশ মেঘালয় পুলিশের কাছে, দেশে আনতে মন্ত্রণালয়ে ভাইয়ের আবেদন
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
তা ঠিক নয়, তবে অন্যান্য মিডিয়ায়ও এই সংবাদ একইভাবে এসেছে। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
খাঁজা বাবা বলেছেন: নতুন তথ্যবাবা
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
বিশাল ব্যাপার। ধরে নিতে পারেন, রীতিমত ভুল তথ্যের ভান্ডার।
কেউ একজন বলেছিল, লাগাতার মিথ্যা বলতে পারাটাও না কি একটা আর্ট। গত ১৫/ ১৬ বছরের অপশাসনের সময়কার কিছু লোককে না দেখলে এই কথা আমার বিশ্বাসই হতো না।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০২
এক্সম্যান বলেছেন: ওনার ঐ পোষ্টেই যথেষ্ট প্রমানসহ মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু ওনার কোনো রিপ্লাই স্বাভাবিক ছিলনা। আমার ধারনা ক্ষমতা হারিয়ে উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ছারা স্বাভাবিক কারো পক্ষে তার মত করে লেখা সম্ভব নয়।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
তার সেই পোস্টে তাকে সত্য তথ্য প্রচারের অনুরোধ জানিয়ে আমিও একটি কমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু তিনি উত্তর দেননি।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এবং বাস্তবতা হচ্ছে- ইসহাক আলী খান পান্না স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তেমন কোনো উল্লেখযোগ ভূমিকায় ছিলেন না। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ সভাপতি মঈনউদ্দীন হাসান চৌধুরী, জাহাংগীর কবীর টিংকু, সুজিত কুমার নন্দীদের বেশ ভালো অবদান ছিলো।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
জানা ছিল না। ধন্যবাদ।
কিন্তু এই লোককেই তো ৯০ এর স্বৈরাচার পতনের মহানায়ক বানানো হয়েছে। মজাই মজা। আমি আরও এই ক'দিন ধরে ভেবেছি, স্বৈরাচার পতনের এত বড় মহানায়ক আরেক স্বৈরাচারের পদলেহী হয়ে থাকে, ক্যামনে কি?
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫১
রাসেল বলেছেন: দেশ একজন সুমহান নিষ্পাপ দেশপ্রেমিক মুক্ত হলো। আলহামদুলিল্লাহ।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। কারও মৃত্যুতে খুশী প্রকাশ করা নীতিবিরুদ্ধ। কিন্তু এদের মত দেশের অর্থ পাচারকারী নিকৃষ্ট খুনী ফ্যাসিবাদের দোসরদের মৃত্যু সংবাদে মানুষের মুখ থেকে অবলীলায় "আলহামদুলিল্লাহ" শব্দ বেরিয়ে আসে।
জালিমদের হাত থেকে দেশ মুক্ত হওয়ায় তাদের এই আনন্দ। দুর্ণীতিবাজ, ধোকাবাজ, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, ভিনদেশী তাবেদার, ব্যাংক লুটেরা, ভোটাধিকার হরনকারী, বিচার বিভাগ ধ্বংসকারী আওয়ামী লীগ এবং ধর্ষনের সেঞ্চুরি করা ছাত্র লীগ নামধারী পাশবিক লাঠিয়াল বাহিনীর পতন এবং পলায়নে মানুষ যে আনন্দিত- এটি তারই বহিপ্রকাশ মাত্র।
ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: উনি ব্লগে অনেক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি এবং গুজব প্রচারের লাগাম টেনে ধরা একান্তভাবেই উচিত। মাননীয় ব্লগ এডমিন আশা করি, সদয় হয়ে তার গুজব ছড়ানোর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
কিরকুট বলেছেন: মইরা বাচ্ছেন । বাইচা থাকলে খবর ছিলো । তারো কান্নাকাটির খবর পড়তাম ।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক।
৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬
দেখা হবে রাজপথে বলেছেন: বাউন্ডুলে নামেই তো 'বাউন্ডুলে' উনি আর কি খবর ছড়াবেন
এমন দু'চারটা মাল ব্লগে থাকার দরকার আছে না হলে কেউ বুঝতে পারবে না সামু ব্লগাররা যে অন্যান্য পত্র-পত্রিকা ঘাঁটেন -অন্য সব খোঁজ খবর রাখেন।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
এমন দু'চারটা মাল ব্লগে থাকার দরকার আছে না হলে কেউ বুঝতে পারবে না সামু ব্লগাররা যে অন্যান্য পত্র-পত্রিকা ঘাঁটেন -অন্য সব খোঁজ খবর রাখেন।
-ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জুলভার্ন ভাই জাহাংগীর কবীর নানক আর জাহাংগীর সাত্তার টিংকুকে এক করে নতুন মানব খাড়া করেছেন.............জাহাংগীর কবীর টিংকু। যেমন গাধা আর ছাগল মিলে হয় গাগল!!!!
আর ব্লগার বাউন্ডেলে'র কথা বাদ দেন। বেচারা শকে আছে। যে কোনও সময়ে ইন্নালিল্লাহ হইতে পারে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
বেচারা শকে আছে।
-হয়তো সেটাই। ধন্যবাদ।
১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ভালো মানুষ থাকতেও পারে। কিন্তু ছাত্রলীগের কোন নেতা ভালো মানুষ হয় এটা আমার বিশ্বাস হতে চায় না। গাড়িতে করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গেলে পথে বিভিন্ন এলাকার ছাত্রলীগের নেতাদের ছবি টানানো থাকে। আমি কখনও ভোলাভালা, সাদাসিধা চেহারার কোন নেতার ছবি দেখি নাই। প্রত্যেকটাকে দেখলে মনে হয়েছে এরা ভয়ংকর প্রকৃতির।
পাবলিকে পিটিয়ে মারলেও আমি কোন সমস্যা দেখি না। এরাও তো কত মানুষকে পিটিয়ে মেরেছে, গুম করেছে।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
একেবারে বাস্তবতাটাই উঠে এসেছে আপনার মন্তব্যে। ছাত্রলীগের নেতা বলে কথা। ওরা থাকে লুটতরাজে। ওরা থাকে হল দখলে। ওরা থাকে চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজিতে। ওরা থাকে মানুষকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করতে। জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করতে। ওরা থাকে দলবদ্ধ ধর্ষনের নেতৃত্বে।
গত কয়েক বছরে বিরোধী মতের কন্ঠরোধে, তাদের রাজনৈতিক সভা সমাবেশ পন্ড করে দিতে, জমায়েত ভন্ডুল করে দিতে, বিরোধী মতের লোকদের নিঃশেষ করে দিতে, তাদের দমনপীড়নে রাজপথে হাতুড়ি, লগি বৈঠার পরে অবৈধ মারণাস্ত্র হাতে জাতি এই ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দৌরত্ম দেখেছে।
দিনের বেলায় প্রকাশ্য রাস্তায় বিশ্বজিতকে শিবির বলে কুপিয়ে খুন করেছিল এই ছাত্রলীগ। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মম নির্যাতনে নিঃশেষ করেছিল এই সোনার ছেলেরা। আর আইন আদালত আর বিচারের ভয় ইত্যাদিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া দানবে পরিণত হওয়া এই ছাত্রলীগের মূল প্রশ্রয়দাতা আশ্রয়দাতা ছিলেন আওয়ামীলীগের দলনেত্রী শেখ হাসিনা।
ওদের সাম্প্রতিককালের ইতিহাস অন্ততঃ এগুলোই প্রমান করে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রথম আলো কি এখন বাইবেল হয়ে গেছে?