![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ইসলামের প্রসার: বিশ্বজুড়ে আশার আলো ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
ইসলামের প্রসার বিশ্বজুড়ে একটি লক্ষণীয় ঘটনা। এর মূল কারণ হলো ইসলামের সার্বজনীনতা, সহজ-সরল জীবনব্যবস্থা এবং আধ্যাত্মিক প্রশান্তি। পশ্চিমা বিশ্বে ভোগবাদী সংস্কৃতির মধ্যে অনেকেই আত্মিক শূন্যতা অনুভব করেন, যা ইসলাম পূরণ করতে সক্ষম। ইসলামের ন্যায়বিচার, সাম্য ও মানবতার বার্তা মানুষকে আকর্ষণ করে। মিথ্যা প্রচার ও নেতিবাচক প্রচেষ্টা ইসলামের এই জোয়ারকে থামাতে পারবে না, কারণ সত্য সবসময়ই জয়ী হয়। ইসলামের এই প্রসার মানবতার জন্য আশার আলো বয়ে আনছে।
ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পরিসংখ্যান
ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা ও পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পশ্চিমা দেশগুলিতে ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। নিচে কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হলো:
১. যুক্তরাজ্য:
যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ব্রিটিশ মুসলিম কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি।
২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫%। এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
২. যুক্তরাষ্ট্র:
যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম গ্রহণের হার উল্লেখযোগ্য। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ২০,০০০ আমেরিকান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৪.৪৫ মিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.৩%। তবে এই সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৩. ফ্রান্স:
ফ্রান্সে ইসলাম গ্রহণের হার ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ফরাসি মুসলিম সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১০,০০০ ফরাসি নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ফ্রান্সে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৬ মিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯%।
৪. জার্মানি:
জার্মানিতে ইসলাম গ্রহণের হার ক্রমাগত বাড়ছে। জার্মান মুসলিম লিগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ৪,০০০ জার্মান নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
জার্মানিতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫ মিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬%।
৫. কানাডা:
কানাডায় ইসলাম গ্রহণের হার উল্লেখযোগ্য। কানাডিয়ান মুসলিম ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ৩,০০০ কানাডিয়ান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
কানাডায় মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪%।
ইসলাম গ্রহণের কারণ
পশ্চিমা বিশ্বে ইসলাম গ্রহণের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে:
আধ্যাত্মিক শান্তি: ইসলামের সরল ও সুসংহত জীবনব্যবস্থা মানুষকে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি দেয়।
ন্যায়বিচার ও সাম্য: ইসলামের সাম্য ও ন্যায়বিচারের বার্তা মানুষকে আকর্ষণ করে।
পরিবার ও সম্প্রদায়ের গুরুত্ব: ইসলাম পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
ভোগবাদী সংস্কৃতির প্রতি অসন্তুষ্টি: পশ্চিমা ভোগবাদী সংস্কৃতিতে অনেকেই আত্মিক শূন্যতা অনুভব করেন, যা ইসলাম পূরণ করে।
বর্তমান বিশ্বে ধর্ম অনুসারে লোক সংখ্যা
বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। তবে সাধারণভাবে, প্রধান ধর্মগুলোর আনুমানিক অনুসারীর সংখ্যা নিম্নরূপ:
- **খ্রিস্টান ধর্ম**: প্রায় ২.৪৫ বিলিয়ন (৩২.৯%)
- **ইসলাম ধর্ম**: প্রায় ২.০২৭ বিলিয়ন (২৪.৯%)
- **হিন্দু ধর্ম**: প্রায় ১.১০০ বিলিয়ন (১২.১৪%)
- **বৌদ্ধ ধর্ম**: প্রায় ১.২৪০ বিলিয়ন (১৫.১৮%)
- **ধর্মনিরপেক্ষ/ধর্মহীন/অজ্ঞেয়বাদী/নাস্তিক**: প্রায় ১.২৪৫ বিলিয়ন (১৫.৫৮%)
- **চীনা ঐতিহ্যবাহী ধর্ম**: প্রায় ৩৯৮ মিলিয়ন (৫%)
- **আফ্রিকান প্রথাগত ধর্ম**: প্রায় ১০২ মিলিয়ন (১.২%)
- **শিখ ধর্ম**: প্রায় ৩০ মিলিয়ন (০.৩০%)
- **ইহুদি ধর্ম**: প্রায় ১৫ মিলিয়ন (০.১৮%)
উপরের তথ্যগুলো বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত এবং আনুমানিক। ধর্মীয় জনসংখ্যা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন, কারণ বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায় পার্থক্য দেখা যায়। তবে, এই তথ্যগুলো থেকে বিশ্বে ধর্মীয় অনুসারীদের সাধারণ চিত্র পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র
Pew Research Center: "The Future of World Religions: Population Growth Projections, 2010-2050" (2015).
British Muslim Council: "Conversion to Islam in the UK" (2021).
French Muslim Association: "Islam in France: Statistics and Trends" (2020).
German Muslim League: "Islam in Germany: Growth and Challenges" (2021).
Canadian Muslim Forum: "Muslim Population in Canada: A Growing Community" (2020).
উপসংহার
ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলামের প্রসার একটি আশাব্যঞ্জক ঘটনা। ইসলামের সার্বজনীনতা, সহজ-সরল জীবনব্যবস্থা এবং আধ্যাত্মিক প্রশান্তি মানুষকে আকর্ষণ করছে। মিথ্যা প্রচার ও নেতিবাচক প্রচেষ্টা ইসলামের এই জোয়ারকে থামাতে পারবে না। ইসলামের এই প্রসার মানবতার জন্য আশার আলো বয়ে আনছে এবং ভবিষ্যতে এর প্রসার আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ঠিক বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনাসহ।
২| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:১০
Ruhin বলেছেন: অন্য অঞ্চলে ইসলামের প্রসারে আমাদের ভারত উপমহাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ার কোনো লাভ নাই । ভারত উপমহাদেশে মুসলিম ৮০%+ হওয়া দরকার। তাহলে ধর্ম নিয়ে রেষারেষিও কমবে ।
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো বলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন। শুভকামনা জানবেন।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন থেকে ৫০ বছর পরে সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ১ নাম্বার ধর্ম হবে ইসলাম। ইসলাম বিদ্বেষীরা বলে যে ইসলামের বিধান নারীদের প্রতি বৈষম্যমুলক, অথচ সারা বিশ্বেই নারীরা পুরুষদের চেয়ে অধিক সংখ্যায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। অনেক দেশে গির্জায় যাওয়ার লোক পাওয়া যায় না এবং গির্জা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ সারা বিশ্বে মসজিদের সংখ্যা শুধু বেড়েই চলেছে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি ইসলাম বিদ্বেষীদের বিষয়ে যা বলেছেন তা পুরোপুরি সঠিক, আপনার কথার আলোকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
প্রথমত, ইসলাম নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক নয়। ইসলাম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তাদেরকে সম্মানজনক অবস্থানে রাখার জন্য বিভিন্ন বিধান দিয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষা, সম্পত্তির মালিকানা, বিবাহ ও তালাকের অধিকার, এবং সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে নারীদের প্রতি সম্মান ও মর্যাদার কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সারা বিশ্বে ইসলামের দ্রুত প্রসারের একটি কারণ হলো এর সহজবোধ্য ও যুক্তিসঙ্গত শিক্ষা। ইসলাম মানবতার কল্যাণ ও ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। এটি শান্তি, সমতা ও ন্যায়ের বার্তা দেয়, যা অনেক মানুষকে আকর্ষণ করে। বিশেষ করে নারীরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন কারণ ইসলাম তাদেরকে সম্মান ও নিরাপত্তা দেয়।
তৃতীয়ত, গির্জা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ফলাফল হতে পারে। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তন নয়, বরং সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এর প্রভাব রয়েছে। ইসলামের বিস্তার ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার পেছনে এর সহজবোধ্যতা ও মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সর্বোপরি, ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক ধর্ম যা সকল মানুষের কল্যাণ কামনা করে। ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধ সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত এবং এটি সকলকে সমানভাবে গ্রহণ করার সুযোগ দেয়। ইসলামের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়া এবং এর বিস্তার হওয়া এই ধর্মের সার্বজনীনতা ও মানবিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন।
শুভকামনা জানবেন।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মহীনের সংখ্যা বাড়ছে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ।বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে আছে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
যার যেমন দৃষ্টিভঙ্গি। এটা আপনার চিন্তা ভাবনার ফলাফল।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করার জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই।
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করার জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই।
-এই কথাটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যাদের মাথার ঠিক নেই তাদের ধর্মেরও প্রয়োজন নেই। কারণ, পাগলের আবার ধর্ম অধর্ম কী?
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ইসলামের সার্বজনীনতা, সহজ-সরল জীবনব্যবস্থা এবং আধ্যাত্মিক প্রশান্তি মানুষকে আকর্ষণ করছে।
ইহাই সত্য।