![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
তুলসী গ্যাবার্ডদের ভণ্ডামি: বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ, কিন্তু ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনে নীরব কেন?
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের বাস্তবতা
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি বাস্তবতার প্রতিফলন, নাকি যুক্তরাষ্ট্রের চিরাচরিত ভণ্ডামির আরেকটি প্রকাশ? বাংলাদেশ সবসময়ই একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। যদিও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ নয় বরং ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত অপতৎপরতার ফল। অথচ ভারতের মতো রাষ্ট্র, যেখানে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরা রাষ্ট্রীয় মদদে নিপীড়নের শিকার, সে বিষয়ে তুলসী গ্যাবার্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কোনো উদ্বেগ নেই।
ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র
ভারতে গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানো হয়েছে। বিজেপি সরকারের উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির ফলে মুসলমানরা নাগরিকত্ব হারানোর শঙ্কায় রয়েছে, খ্রিস্টান সম্প্রদায় গির্জায় হামলার শিকার হচ্ছে, শিখরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গোহত্যার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা, মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নামাজের জায়গায় বাধা প্রদান এবং ধর্মীয় পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা—এসব ঘটনার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে লাখ লাখ মুসলমানের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উচ্চবাচ্য নেই। বরং তারা ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ববিরোধিতা
যুক্তরাষ্ট্র সবসময় মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তাদের অবস্থান অত্যন্ত স্ববিরোধী। তারা যে দেশগুলো তাদের রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি উপেক্ষা করে, আর যেসব দেশ তাদের স্বার্থের বাইরে, সেসব দেশকে নানাভাবে চাপে রাখে। উদাহরণস্বরূপ, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা কিংবা সৌদি আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? তারা কি কখনো এসব নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বা কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে? বরং তারা বরাবরই দখলদার ও দমনপীড়নকারী শক্তির পাশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের বাস্তবতা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বহু বছর ধরে বসবাস করছে এবং সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কোনো একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেই সেটিকে রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে চিত্রিত করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর পেছনে বহির্বিশ্বের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে, যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে, যা মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শের অংশ।
শেষের কথা
যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে বিশ্বের প্রকৃত সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র বিশ্লেষণ করা এবং স্ববিরোধিতা পরিহার করা। শুধু রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশকে চাপে রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং ভারতসহ অন্যান্য দেশ যেখানে প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে, সেদিকে তাদের নজর দেওয়া উচিত।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মুসলিম নির্যাতনের বিষয়ে সবসময়ই তারা বোবা। আমেরিকার এই ভন্ডামির মুখোশ খুলে দিতে হবে।
বিশ্বজুেড়ে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেতনতা এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলের উচিত নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর তোলা।
আপনাকে অনেক দিন পরে পেয়ে আনন্দিত। শুভকামনা জানবেন। আবারও ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তুলসী বানু ভুয়ো কথা বলেছে।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। কিন্তু তার মত গুরুত্বপূর্ণ পদবীধারী লোকের এইরকম দায়িত্বহীন কথা বলা সাজে না। তীব্র নিন্দা জানাই।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গাজায় আবার হামলা হয়েছে। দুই শতাধিক ফিলিস্থিতি নিহত। কোনো আলোচনা দেখছি না কোথাও।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩৪২ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। JUGANTOR
ইসরায়েলি এই হামলায় গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ নিহত হয়েছেন।
DHAKAPOST.COM
গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী, শিশু এবং বয়স্ক নাগরিক। DHAKAPOST.COM
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এই হামলা চালানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। BANGLANEWS24.COM
এই হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য আলোচনা বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে, কেননা সেখানে ইসরায়েল দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সব ধরনের সহায়তা ও পণ্য প্রবেশ বন্ধ রেখেছে। BANGLANEWS24.COM
এই পরিস্থিতিতে গাজার জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩১
অগ্নিবাবা বলেছেন: হে আল্লাহ এই জালিম হিন্দু তুলসী বানুর হাত থেকে বাংলা দেশের মুমিনদের রক্ষা করো।
হে আল্লাহ এই জালিম হিন্দু তুলসী বানুর হাত ভেঙ্গে দাও।
এখন রাতের তিন ভাগের শেষ ভাগ।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ইসলামে শিষ্টাচার ও সংযমের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে:
"আর যখন মূর্খরা তাদেরকে সম্বোধন করে, তখন তারা (বিশ্বাসীগণ) বলেন, 'সালাম' (শান্তি)।" -সুরা আল-ফুরকান: ৬৩
অর্থাৎ, ইসলাম আমাদের শেখায় যে অন্যের বিদ্রূপ বা অবজ্ঞার উত্তর গালি দিয়ে নয়, বরং শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিপূর্ণভাবে দিতে হবে।
সর্বাবস্থায় সংযত ও যুক্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখানোই সঠিক মনে করি। যদিও প্রকারান্তরে আপনি মহান আল্লাহ তাআ'লার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ ও উপহাস করেছেন। তবু আপনার জন্য শুভকামনা জানাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মুসলিম নির্যাতনের বেলায় তাদের চোঁখে কালো চশমা পরা থাকে তাই কিছু দেখতে পায়না তারা।
এরাই হল বড় ভন্ড।