![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
জেগেছে বাংলাদেশ: কমে গেছে আগ্রাসী ভারতের সীমান্ত হত্যা
জুলাই ২০২৪-এর বিপ্লবের পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের চিত্র আমূল বদলে গেছে। এখন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ভারতের বিএসএফ-এর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদার সঙ্গে কথা বলছে। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় ও ভারতের আগ্রাসী সীমান্তনীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানেরই প্রতিফলন।
কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনামলে এমন দৃঢ়তা কল্পনাতীত ছিল। সে সময় নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও সমরকৌশলের কারণে বিজিবি যেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বই ভুলে গিয়েছিল। ভারত বাংলাদেশকে তার করদরাজ্য হিসেবেই দেখত—এমনকি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন দুদেশের সম্পর্ককে "স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক" বলে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এটি ছিল একপাক্ষিক আনুগত্য, যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ বলি দেওয়া হতো। জুলাই বিপ্লবের পর আওয়ামী নেতাদের ভারতে আশ্রয় নেওয়াই এর প্রমাণ।
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও আওয়ামী লীগের নীরবতা
বিএসএফের গুলিতে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনা নিয়মিত হলেও আওয়ামী সরকার কখনও ভারতকে দায়ী করেনি। উদাহরণ স্বরূপ:
- ২০২০ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে তিন বাংলাদেশি নিহত হলে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দোষ দিয়েছিলেন বাংলাদেশি নাগরিকদের, বিএসএফকে নয়।
- ২০১৫ সালে এক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ (পরবর্তীতে সেনাপ্রধান) বলেছিলেন, "গরু চোরাচালান বন্ধ করতে হবে।"
- ২০১২ সালে বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হলে বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছিল। জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, "সরকারের এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।"
বিপ্লব-পরবর্তী পরিবর্তন
জুলাই বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন স্পষ্ট বলেছেন, "সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রধান বাধা।" তাঁর এই বক্তব্য আওয়ামী আমলের দাসত্বপূর্ণ মানসিকতা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে আসাকেই নির্দেশ করে।
অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান
ভারতের সঙ্গে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান বা চীনের সীমান্তে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে না। বিশেষ করে ১৯৬২ সালের পর চীন-ভারত সীমান্তে কোনো গুলিবর্ষণই হয়নি। অথচ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে গত ১০ বছরে ৫০৫ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে (হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির তথ্য)। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
কেন এই বৈষম্য?
পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কম, কারণ পাকিস্তান "প্রতিঘাতে জবাব" দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের সামরিক শক্তি দুর্বল নয়—বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ৩৭তম। সমস্যা ছিল রাজনৈতিক দুর্বলতা ও ভারতের প্রতি আওয়ামী লীগের আনুগত্য, যা সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল।
সীমান্তের জটিলতা ও ভারতের 'বিগ ব্রাদার' আচরণ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম। ব্রিটিশরা এখানে এলোমেলো সীমানা রেখা টেনে দিয়েছে—একই বাড়ির রান্নাঘর ভারতে, শোয়ার ঘর বাংলাদেশে! স্বাভাবিক যাতায়াতকে বিএসএফ "অনুপ্রবেশ" বলে গুলি চালায়, অথচ ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের জামাই আদরে ফেরত পাঠানো হয়।
চীনা বিশ্লেষকরা ভারতের আচরণকে "ত্রিমূর্তি নীতি" বলে ব্যাখ্যা করেন:
- নেকড়ে: ক্ষুদ্র দেশগুলোর (বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান) প্রতি আচরণ।
- শৃগাল: মাঝারি শক্তির দেশ (পাকিস্তান) প্রতি।
- মেষ: বৃহৎ শক্তি (চীন) প্রতি।
মূলকথা, জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের সীমান্তনীতি আত্মমর্যাদাশীল হয়েছে। এখন প্রয়োজন এই দৃঢ়তাকে স্থায়ী রূপ দেওয়া, যাতে সীমান্ত আর মৃত্যুফাঁদ না হয়ে শান্তি ও সহযোগিতার সেতু হয়। বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে "শক্তির ভারসাম্য" বজায় রেখে কূটনৈতিক ও সামরিক প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে আর কখনও বিএসএফের বুলেট আমাদের নাগরিকদের জীবন কেড়ে নিতে না পারে।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:২৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কামনায় সহমত পোষন করছি আপনার সাথে। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৫১
লুধুয়া বলেছেন: আপনারা দেখসি ইন্ডিয়ার গোদি মিডিয়ার মতো অপপ্রচার শুরু করেছেন। বর্ডার কিলিং মোটেও কমেনি। ইনডিয়া আর The Hindu পত্রিকার প্রতিবেদনে দেখাচ্ছে যে ২০২৪ টোটাল বর্ডার কিলিং হয়েছে ৩৫ । যা ২০১৮ ২৮ জন থেকে বেশি। আর ২০২৪ প্রথম ৬ মাসে ১৮ জন এবং লাস্ট ৬ মাসে ১৭ জন স্পেশালি অগাস্ট আন্দোলনের পর ১৫ জন হয়েছে। আর ২০২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ২ মাসে ৬ জন বাংলাদেশী বর্ডার ক্রস করার সময় bsf এর গুলিতে মারা পড়েছে। সো বুক ফুলিয়ে বর্তমান ক্ষমতায় যারা আসে তাদের জন্য গাইলেও তথ্য অন্য কথা বলে।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য আমাকে বিষয়টি সম্মন্ধে আরও গভীরভাবে স্টাডি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এইজন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি। আপনার পরামর্শমূলক মন্তব্য পাঠের পরে পোস্ট শিরোনামটা সামান্য পরিবর্তন করেছি। আশা করছি, এখন আরেকবার দেখে অভিমত ব্যক্ত করবেন।
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের পরিসংখ্যান বিভিন্ন সূত্রে বিভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিএসএফের হাতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তবে, আপনি উল্লেখ করেছেন যে 'The Hindu' পত্রিকার প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে সীমান্ত হত্যার সংখ্যা ৩৫ জন, যা ২০১৮ সালের ২৮ জনের তুলনায় বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে বিভিন্ন সূত্রে তথ্যের পার্থক্য রয়েছে। Prothomalo
আপনার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসে ১৮ জন এবং শেষ ৬ মাসে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে আগস্ট মাসের আন্দোলনের পর ১৫ জন নিহতের ঘটনা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ৬ জন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, যাকে স্পষ্টতঃই অবস্থার উন্নতি বলে ধরে নেওয়া যায়।
তবে এটি স্পষ্ট যে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখনও পুরোপুরি থেমে যায়নি। তবে আগের, অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সময়কার উদ্বেগজনক অবস্থার ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন ঘটছে। এখন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। সেজন্য বাংলাদেশকে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে হবে। তবেই তা সম্ভব। কারণ, এর আগে বহুবার বহু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। এই পরিস্থিতিতে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে শূন্যে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। Bangla Outlook, Dhaka Mail, Prothomalo, Risingbd Online Bangla News Portal, Bangla Outlook, bd-pratidin.com, দৈনিক আজাদী
বিগত আওয়ামী লীগের সময়কালের সীমান্ত হত্যার চিত্র একনজরে-
বছর নিহতের সংখ্যা
২০০৯ ৯৮ জন
২০১০ ৭৪ জন
২০১১ ৩১ জন
২০১২ ৩৮ জন
২০১৩ ২৯ জন
২০১৪ ৩৫ জন
২০১৫ ৪৩ জন
২০১৬ ২৮ জন
২০১৭ ৩০ জন
২০১৮ ১৫ জন
২০১৯ ৪২ জন
২০২০ ৫১ জন
২০২১ ১৭ জন
২০২২ ২৩ জন
২০২৩ ৩০ জন
২০২৪ ২৬ জন
মোট ৬১০ জন
শুভকামনা জানবেন।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৫৩
লুধুয়া বলেছেন: সরি ২০২৩ এ ২৮ জন পড়তে হবে।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ঠিক আছে।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: সম্পর্ক এখন যে পর্যায়ে আছে এখন বর্ডারে দেখামাত্র গুলি করবে।তাদেরকে জঙ্গী মনে করবে।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
ঊণকৌটী বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল, প্রকৃত তথ্য হলো নেপালের বা ভুটানের সীমান্তে আসা যাওয়া ক্ষেত্রে কোন পাসপোর্ট বা ভিসা লাগে না উভয় দেশের নাগরিকরা শুধুমাত্র পরিচয় পত্র দেখিয়ে আসা যাওয়া করতে পারে, নেপালের বা ভুটানের নাগরিকরা ভারতে যে কোন চাকরি বা ব্যবসা করতে পারে, ওই দুই দেশেই ভারতের রুপি চলে, ভারতের সেনা বাহিনীতে ওই দুই দেশের নাগরিকরা বংশনূক্রোমে গৌরবের সাথে চাকুরী করে আসছে | আর পাকিস্তানের সাথে রাজস্থানের বর্ডার মরুভূমি দিয়ে ঘেরা, গুজরাতের কচছসমুদ্র, আর পাঞ্জাব বর্ডার BSF পাহারা দেয় না, খোদ আর্মি উচ্চ পর্যায়ের অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেয় তেমনি চিনের ক্ষেত্রেও সেনারা পাহারা দিয়ে থাকে আর ওই দুই দেশের সীমান্ত ভারত বাংলাদেশের মতো নয় যেমন রান্না ঘর ভারতে শোবার ঘর বাংলাদেশে অত্যন্ত দুর্গম এলাকা কয়েকশো কিলোমিটার এর মধ্যে মানুষের বসবাস নাই আর বাংলাদেশের বর্ডার এলাকার মানুষেরা বংশনূক্রোমেই চোরা কারবার করে থাকে এইটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, এবং একমাত্র বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফ পাহারা দেয় নেপালের বা ভুটানের সীমান্তে সাধারণ পুলিশেই মোতায়েন থাকে কারণ ওই দুই দেশের মধ্যে ভারতের সীমান্ত উন্মুক্ত |এই পরিস্থিতিতে একমাত্র বিকল্প উপায় সীমান্তের মানুষদের রুজী রোজগারের পথ দেখানো বাংলাদেশের সরকারের কর্তব্য, না হলে এই ঘটনা ঘটে চলবে, সীমান্ত হত্যা কিন্তু বাংলাদেশের ভিতরে হয়না ভারতের ভিতরে হয়, প্রচুর ধর পাকড়াও হয়, আক্রান্ত হবার আশংকা থাকলেই গুলি চলে, অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ না হলে পরিস্থিতি এই রকমই চলবে |
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের কিছু অংশ সঠিক, আবার কিছু অংশে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। নিচে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হলো:
১. নেপাল ও ভুটানের সাথে ভারতের সীমান্ত ব্যবস্থা
নেপাল:
ভারত ও নেপালের মধ্যে "Open Border" চুক্তি রয়েছে (১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তি অনুযায়ী)। উভয় দেশের নাগরিকরা পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই চলাচল করতে পারেন, শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি, জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি) দেখালেই চলে।
নেপালি নাগরিকরা ভারতের সরকারি চাকরি ছাড়া অন্য যেকোনো কাজ বা ব্যবসা করতে পারেন (ভারতের সংবিধানের ৭ম তফসিল ও ২০১৯ সালের শ্রম মন্ত্রণালয়ের নোটিফিকেশন অনুযায়ী)।
ভারতীয় রুপি নেপালে আইনি টেন্ডার হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
ভুটান:
ভারত-ভুটান সীমান্তও প্রায় উন্মুক্ত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্ট/ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।
ভুটানের নাগরিকরা ভারতের কিছু নির্দিষ্ট চাকরিতে (যেমন সেনাবাহিনী) যোগদান করতে পারেন, তবে এটি বংশানুক্রমিক নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি (1949 সালের ভারত-ভুটান চুক্তি) অনুযায়ী।
ভুটানে ভারতীয় রুপি প্রচলিত, তবে ভুটানি নগুলটামও সমমানের।
মূল্যায়ন: আপনার বক্তব্যের এই অংশটি প্রধানত সঠিক, তবে সেনাবাহিনীতে যোগদান "বংশানুক্রমিক" বলাটা অতিসরলীকরণ।
২. পাকিস্তান ও চীনের সাথে ভারতের সীমান্ত ব্যবস্থা
পাকিস্তান:
রাজস্থানের ঠার মরুভূমি এবং গুজরাটের কচ্ছের রণ অঞ্চলে সীমান্ত অত্যন্ত দুর্গম। তবে এখানে BSF (Border Security Force)-ই প্রাথমিকভাবে পাহারা দেয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) শুধু সংবেদনশীল এলাকায় (যেমন, জম্মু-কাশ্মীর) মোতায়েন থাকে।
পাঞ্জাব সীমান্তে BSF-ই প্রধান বাহিনী, তবে সেনাবাহিনীর সহায়তা থাকে (যেমন, অপারেশন অলআউট)।
চীন:
চীনের সাথে সীমান্তে (LAC - Line of Actual Control) ভারতীয় সেনাবাহিনী পাহারা দেয়, BSF নয়।
মূল্যায়ন: আপনার বক্তব্যে আংশিক ভুল রয়েছে। BSF পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাথমিক দায়িত্বে থাকে, সেনাবাহিনী শুধু সংঘাতপূর্ণ এলাকায়।
৩. বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত (4,096 km) বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম সীমান্ত এবং অত্যন্ত জনবহুল।
BSF এই সীমান্ত পাহারা দেয় এবং "Shoot on Sight" নীতি (2014 সালের আদেশ) প্রয়োগ করে যদি কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়।
সীমান্ত হত্যা:
২০০০-২০২০ পর্যন্ত ১,২০০+ বাংলাদেশি নাগরিক BSF-এর গুলিতে নিহত হয়েছে (Human Rights Watch ও Bangladesh Home Ministry-এর তথ্য)।
এই ঘটনা ভারতের ভেতরেই ঘটে, কারণ BSF ভারতের ভূখণ্ড পাহারা দেয়।
চোরাচালান:
সীমান্তে চোরাচালান একটি বড় সমস্যা (যেমন, গবাদিপশু, মাদক, ইলেকট্রনিক্স)। স্থানীয়রা প্রায়শই জীবিকার তাগিদে জড়িত (UNDP-এর 2018 রিপোর্ট)।
মূল্যায়ন: আপনার বক্তব্য আংশিক সঠিক, তবে "বংশানুক্রমিক চোরাচালান" বলাটা স্টেরিওটাইপ। দারিদ্র্য ও কর্মসংস্থানের অভাবই মূল কারণ।
৪. সমাধানের উপায়
বাংলাদেশ সরকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিকল্প কর্মসংস্থান (যেমন, সেলাই প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ) তৈরি করতে পারে (2023 সালের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা)।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ (সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, ট্রানজিট সুবিধা) সমস্যা কমাতে পারে।
সিদ্ধান্ত:
সঠিক তথ্য: নেপাল/ভুটানের সাথে উন্মুক্ত সীমান্ত, ভারতীয় রুপির ব্যবহার, BSF-এর ভূমিকা।
আংশিক ভুল: পাকিস্তান সীমান্তে সেনাবাহিনীর ভূমিকা, "বংশানুক্রমিক চোরাচালান" ধারণা।
প্রস্তাবনা: সীমান্তে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জরুরি।
তথ্যসূত্র:
India-Nepal Treaty of Peace and Friendship (1950)
BSF Annual Report 2022
Human Rights Watch: "Trigger Happy" (2010)
UNDP: "Livelihood Challenges in Border Areas" (2018)
Bangladesh Home Ministry Statistics (2021).
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
ঊণকৌটী বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল, প্রকৃত তথ্য হলো নেপালের বা ভুটানের সীমান্তে আসা যাওয়া ক্ষেত্রে কোন পাসপোর্ট বা ভিসা লাগে না উভয় দেশের নাগরিকরা শুধুমাত্র পরিচয় পত্র দেখিয়ে আসা যাওয়া করতে পারে, নেপালের বা ভুটানের নাগরিকরা ভারতে যে কোন চাকরি বা ব্যবসা করতে পারে, ওই দুই দেশেই ভারতের রুপি চলে, ভারতের সেনা বাহিনীতে ওই দুই দেশের নাগরিকরা বংশনূক্রোমে গৌরবের সাথে চাকুরী করে আসছে | আর পাকিস্তানের সাথে রাজস্থানের বর্ডার মরুভূমি দিয়ে ঘেরা, গুজরাতের কচছসমুদ্র, আর পাঞ্জাব বর্ডার BSF পাহারা দেয় না, খোদ আর্মি উচ্চ পর্যায়ের অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেয় তেমনি চিনের ক্ষেত্রেও সেনারা পাহারা দিয়ে থাকে আর ওই দুই দেশের সীমান্ত ভারত বাংলাদেশের মতো নয় যেমন রান্না ঘর ভারতে শোবার ঘর বাংলাদেশে অত্যন্ত দুর্গম এলাকা কয়েকশো কিলোমিটার এর মধ্যে মানুষের বসবাস নাই আর বাংলাদেশের বর্ডার এলাকার মানুষেরা বংশনূক্রোমেই চোরা কারবার করে থাকে এইটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, এবং একমাত্র বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফ পাহারা দেয় নেপালের বা ভুটানের সীমান্তে সাধারণ পুলিশেই মোতায়েন থাকে কারণ ওই দুই দেশের মধ্যে ভারতের সীমান্ত উন্মুক্ত |এই পরিস্থিতিতে একমাত্র বিকল্প উপায় সীমান্তের মানুষদের রুজী রোজগারের পথ দেখানো বাংলাদেশের সরকারের কর্তব্য, না হলে এই ঘটনা ঘটে চলবে, সীমান্ত হত্যা কিন্তু বাংলাদেশের ভিতরে হয়না ভারতের ভিতরে হয়, প্রচুর ধর পাকড়াও হয়, আক্রান্ত হবার আশংকা থাকলেই গুলি চলে, অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ না হলে পরিস্থিতি এই রকমই চলবে |
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৪
ঊণকৌটী বলেছেন: হ্যাঁ আর একটা কথা, ভুটান চিনের সীমান্তে পাহারা দেয় ভারতের আর্মি কারণ ভুটানের সাথে ভারতের চুক্তি, ভুটান আক্রান্ত হলে ধরে নেয়া হবে ভারত আক্রান্ত হয়েছে |
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩
ঊণকৌটী বলেছেন: এই সীমান্তে চোরা বাণিজ্য বন্ধ করতে বেশকিছু সীমান্ত হাট খোলা হয়েছিল প্রতি রবিবার মাঝে মাঝে গিয়ে বাংলাদেশের মাছ শুটিকি কিনতাম কিন্তু covid এর সময়ে তা বন্ধ যায় আর খুলেনি |
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
উদ্যোগটা হয়তো দুই দেশের জন্যই ভালো ছিল। ভারতে শুটকি মাছ পাওয়া যায় না?
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাকুরা শক্তের ভক্ত, নরমের যম!
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
একেবারেই স্পষ্ট বলেছেন। ধন্যবাদ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বর্ডার রুলস কাগজে কলমে থাকলেও তাদের আসল থিওরি এটাই। এই থিওরি দিয়েই সীমান্ত চালায় তারা।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
ঊণকৌটী বলেছেন: শুটকি পাওয়া যায় তবে যেমন নোনা ইলিশ ,সিদ্ল এইগুলো বাংলাদেশ থেকেই আসে |
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
কষ্ট করে তথ্যটি শেয়ার করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে!