![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
পুতুলের জন্য একগুচ্ছ শোকগাঁথা!
আহ্! কী দুঃখ, কী শোক, কী তীব্র হৃদয়ব্যথা! ১১ জুলাই, ২০২৫—এই দিনটি যদি ক্যালেন্ডারে না থাকতো! এই দিনটিতেই চার মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে! ইচ্ছে হয়, ক্যালেন্ডার থেকে তারিখটাকে একটানে ঘ্যাচাং করে কেটে ফেলতে! কিন্তু তা কি আর পারা যায়? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, যেটিকে মনে করা হতো মানবতা ও নৈতিকতার বাতিঘর (!), সেই সংস্থাটি কীভাবে এমন অন্যায় সিদ্ধান্ত নিতে পারলো?
আমরা ভেবেছিলাম, WHO মানে “We Help Others”! কিন্তু কাজকাম দেখেশুনে এখন বুঝতে আর বাকি নেই, আসলে ওদের মানে "We Humiliate Ours"! এই সংস্থারই মহাপরিচালক তেদরোস সাহেব এক ই-মেইলে ঘোষণা দিয়েছেন—সায়মা ওয়াজেদ পুতুল চার মাসের ছুটিতে! আহা পুতুল! তুমি তো আমাদের গর্ব, আমাদের আশা আকাঙ্খার ছবি, এদেশের একমাত্র পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী তনয়া! WHO-এর চেয়ার ছিল তোমার জন্য একটি গদি নয়, ছিল মহতী দায়িত্বের আলয়!
তোমার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা? এটাও বুঝি একটা কারণ? দুদকই কি শেষ সত্য? ওরা বলছে, তুমি জাল সার্টিফিকেট দিয়েছো! হায়, যদি দিয়েও থাকো, ওটাও তো তোমার ‘Creative Portfolio’—আজকাল তো সবাই বলে, "Fake it till you make it!" তাহলে পুতুল Fake করলে দোষটা কোথায়? আর সাবেক বিএসএমএমইউতে তোমার সেই অনারারি পদের কথা? বিশ্ববিদ্যালয় না চিনলেও—আমরা তো তোমাকে পুরোপুরি চিনি, এই মাটি তোমাকে চেনে, ভারতমাতার আকাশ-বাতাসও তো তোমাকে ঠিকই চিনে কোলে টেনে নিয়েছে! ঠিক যেমন টেনে নিয়েছে তোমার বিদূষী মাতাকে!
বিএসএমএমইউ চাক বা না চাক, মানুক কিংবা না মানুক, পুতুল তুমি ওখানে বাস্তবে না থাকলেও ‘মনের দিক থেকে’ তো ঠিকই ছিলে! এটাও কি কম কথা? এতটুকু গভীরে চিন্তা করতে পারলো না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা! এটাকে বিশ্ব সংস্থা না বলে গ্রাম্য সংস্থা উচিত নয় কি? পুতুল, তোমার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে, তুমি না কি ৩৩ কোটি টাকা সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে উদরস্ত করেছ! তো, কী হয়েছে তাতে? আহা, ব্যাংকগুলো তো টাকা দিয়েছে তোমাকে দেখেই, পুতুল ফাউন্ডেশন করেছেন বলেই তো ব্যাংকগুলো টাকা দেওয়ার জন্য হুমরি খেয়ে পড়েছিল! ওসব টাকা কোথায় গেছে—এটাও কি WHO-র দেখার বিষয়?
আর ব্যাংকগুলো যদি এই সামান্য পরিমান টাকা হারিয়েও থাকে, বড়জোড় টাকাই তো হারিয়েছে, এতে মানুষ তো আর মরেনি! কিন্তু WHO সেটা বোঝে না। বরং বেম নামের এক ‘অজানা বেমারি’ এনে বসিয়ে দিল তোমার চেয়ারটাতে! কী সাংঘাতিক নির্মমতা! কী নিষ্ঠুর অবিচার! আচ্ছা, পুতুল এখন কোথায়? আমরা তো কিছুই জানি না। তবে আমাদের কল্পনায় তিনি নিশ্চয়ই কোনো সমুদ্রসৈকতে বসে বিশ্ব মানবতার কান্না গুনছেন, আর দেখছেন—“নতুন কোনো ফাউন্ডেশন গড়ার স্বপ্ন!” ঠিক, সূচনা ফাউন্ডেশনের মত করেই!
আমরা, পুতুলের ভক্তরা, দিল্লীর প্রশ্রয়ে তার পলাতক মায়ের অন্ধ ভক্তবৃন্দ তাকে ছুটিতে পাঠানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি! আমরা সচেতনভাবে অনুভব করছি, তার এই ছুটি আসলে ছুটি নয়—এটা চরিত্রহনণের অপচেষ্টা! এই চার মাসের ছুটি, আসলে চারশো বছরের ষড়যন্ত্রের ফসল! তেদরোস সাহেব, আপনি আসলেই ত্যাদর আছেন! আপনি কি জানেন, আপনি কত বড় সর্বনাশটা করেছেন, আমাদের!?
এমন এক সময়ে আপনি এই মিসাইলটা ছুঁড়ে মারলেন, যখন স্বয়ং আমাদের নেত্রী নিজেই পলাতক! দলের অধিকাংশ নেতা নেত্রীগণ বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত, দেশছাড়া, ছন্নছাড়া! এমনকি, সুদূর বিলেতে থাকা নেত্রীর বোনের কণ্যাও মন্ত্রিত্বচ্যূত!
আপনি শুনুন, আপনি দেখুন—আপনার এই ই-মেইল আমাদের হৃদয়ে মেইল করে দিয়েছে ‘দুঃখ-ডেলিভারি’! আপনার সিদ্ধান্ত WHO-কে না কাঁদালেও আমাদের কাঁদিয়েছে! দুদক যেহেতু পুতুলকে স্বাগত জানানোর জন্য ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট জারির আবেদন পর্যন্তু করে রেখেছে! সেহেতু আমরা বলি—আমাদের পুতুলকে আমাদের দেশে ফেরত দেওয়া হোক! না হলে, আমরা কাঁদবো, শোক জানাবো, প্রতিবাদ করবো, আন্তর্জাতিক আদালতের দুয়ারে ধর্না দেব—ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত!
২| ১২ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সময় বলবে বাস্তবতা কোনটি
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: আওয়ামী জালেমরা ফের বস্তাপঁচা চেতনা ব্যবসার উদ্যোগ নিচ্ছে।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: আহা চোখে পানি চলে এলো
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এভাবে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়া উচিৎ হবেনা!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পুতুল এবার মায়ের সাথে সময় কাটাক।