নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনের ছায়ায় সৌদি-পাক চুক্তি: মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস এবং মোদির ভারতের ক্রমঅবনতিশীল ভবিষ্যৎ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৫

চীনের ছায়ায় সৌদি-পাক চুক্তি: মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস এবং মোদির ভারতের ক্রমঅবনতিশীল ভবিষ্যৎ

সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর রিয়াদে দুই দেশের নেতারা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে এবং চীনের প্রভাব বিস্তারের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত "কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি" (Strategic Mutual Defense Agreement) এই পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। এই চুক্তি অনুসারে, দুই দেশের যেকোনো একটির ওপর হামলাকে উভয়ের ওপর আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তারা যৌথভাবে তা প্রতিহত করবে। রিয়াদে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের উপস্থিতি এর গুরুত্বকে আরও জোরালো করে তুলেছে। যুক্তি অনুসারে, এই চুক্তি শুধুমাত্র দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার করছে না, বরং পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানকে মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রস্থলে প্রতিষ্ঠিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাসের সূচনা করছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত সমীকরণগুলো নতুন করে সাজানো হচ্ছে, যা একইসাথে হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের ভবিষ্যতকে ধীরে ধীরে তলানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেমনটা এই চুক্তির কৌশলগত প্রভাব থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

পটভূমি: ইসরাইলের আগ্রাসন এবং আরব বিশ্বের ক্রোধ

এই চুক্তির পিছনে একটি মূল প্রেক্ষাপট হলো ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরাইলের আকস্মিক হামলা। ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালায়, যাতে কাতারের ১ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত হলেও হামাসের শীর্ষস্থানীয় কেউ নিহত হননি। এই ঘটনা কাতারের সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি আঘাত, বিশেষ করে যখন কাতার যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটির আয়োজক। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি সত্ত্বেও কোনো প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ না নেওয়া ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রতি আরব বিশ্বের আস্থাহীনতা বাড়িয়েছে। ফলে, পুরো আরব বিশ্বে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যা ইসরাইলের দীর্ঘদিনের আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা যেমন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সিরিয়ার ভূমি দখল, হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যা, ইয়েমেনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এবং গাজায় ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির নিহত হওয়া (কিছু সূত্রে এক লাখেরও অধিক)।

হামলার পর ইসরাইলের প্রকাশ্য দায় স্বীকার যা তাদের সাধারণত শত্রু দেশগুলোতে (যেমন ইরান, সিরিয়া, লেবানন) হামলার ক্ষেত্রে দেখা যায় না এটিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় দোহায় আরব লিগ এবং মুসলিম দেশগুলোর জরুরি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করা এবং ইসরাইলের আগ্রাসন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়। এই সম্মেলন থেকে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি)-এর যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়করণ এবং ন্যাটোর আদলে 'জয়েন্ট আরব ফোর্সেস' (যৌথ আরব বাহিনী) গঠনের প্রস্তাব উঠেছে, যা বিমান, নৌ এবং স্থলবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হবে। বিশ্লেষকরা এটিকে 'আরব ন্যাটো' হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতার ভিত্তিতে অবদান নির্ধারণ করবে।

চুক্তির কৌশলগত তাৎপর্য: যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস এবং চীনের উত্থান

সৌদি-পাক চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামোর অবনতির সূচনা। দোহা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা যা ইসরাইলের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সন্দেহ বাড়িয়েছে। সৌদি আরবের মতো যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভর দেশগুলো এখন বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি করে তারা পরমাণু ক্ষমতাকে মধ্যপ্রাচ্যে প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে। এটি ইসরাইলের জন্য চ্যালেঞ্জ, কারণ এখন একটি পরমাণু শক্তিধর প্রতিদ্বন্দ্বী আরব অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, চীনের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। পাকিস্তান চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে যুক্ত। এই চুক্তি চীনকে পাকিস্তানের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করতে সাহায্য করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমিয়ে বেইজিং-এর কৌশলগত লাভ নিশ্চিত করছে। সৌদি কর্মকর্তারা দাবি করলেও যে এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে নয়, বিশ্লেষকরা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অবনতির লক্ষণ হিসেবে দেখছেন। পাকিস্তানের জন্য এটি অর্থনৈতিক সুবিধা যেমন সৌদি বিনিয়োগ এবং সামরিক সহায়তা নিয়ে আসবে।

মুসলিম প্রতিরক্ষা জোটের সম্ভাবনা

দোহা সম্মেলনে পাকিস্তানসহ ৪০টিরও বেশি মুসলিম দেশের নেতাদের উপস্থিতি একটি 'মুসলিম ন্যাটো'র ধারণা ছড়িয়ে দিয়েছে, যেখানে সৌদি (ইসলামের পবিত্র স্থানের রক্ষক) এবং পাকিস্তান (একমাত্র পরমাণু শক্তিধর মুসলিম দেশ) মূল ভূমিকা পালন করবে। কাতারও যোগ দিতে পারে এবং পাকিস্তানের প্রস্তাবিত 'আরব-ইসলামিক টাস্কফোর্স' এটিকে আরও শক্তিশালী করবে। ইরান-সৌদি বা কাতার-আমিরাতের মতো বিরোধ কমলে এই জোট গঠন সম্ভব, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাড়াবে কিন্তু নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। তুরস্কের দীর্ঘদিনের চেষ্টা সত্ত্বেও এটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি, কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা এর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।

ভারতের উপর প্রভাব: মোদির হিন্দুত্ববাদী ভারতের ক্রমশ তলানির দিকে যাত্রা

এই চুক্তি এবং সম্ভাব্য মুসলিম জোট ভারতের জন্য কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী নেতৃত্বাধীন ভারতের ভবিষ্যতকে ধীরে ধীরে তলানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পাকিস্তান সৌদির অর্থনৈতিক-সামরিক সমর্থন পেলে তার শক্তি বাড়বে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের সময় ভারতের জন্য অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করবে যেমন কাশ্মির ইস্যুতে মুসলিম জোটের সমর্থন আদায়। ভারত-ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক (প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, সাইবার নিরাপত্তা, অস্ত্র সরবরাহ যেমন বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র, হেরন ড্রোন) এই জোটের চোখে ভারতকে 'ইসরাইলের মিত্র' হিসেবে চিহ্নিত করবে, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দিল্লির ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে।

মোদির নেতৃত্বে ভারত মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে, কিন্তু এই চুক্তি সেই ভারসাম্যকে ভেঙে দিচ্ছে। আমেরিকান বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, এটি পাকিস্তানকে চীন, তুরস্ক এবং সৌদির মতো শক্তির পাশে দাঁড় করিয়েছে, যা আঞ্চলিক কূটনীতিতে পাকিস্তানের অবস্থান দৃঢ় করে। চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা যদি এই জোটে যুক্ত হয়, তাহলে ভারত-চীন সম্পর্কের দীর্ঘ দিনের চলমান জটিলতা আরও বাড়বে, যদিও সাম্প্রতিক বেইজিং সফরে মোদি তিক্ততা কমানোর চেষ্টা করেছেন। ভারতের প্রতিবেশীদের (বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, চীন) থেকে হুমকির উল্লেখ করে কলকাতার 'কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স'-এ মোদির উপস্থিতি এই উদ্বেগকে প্রমাণ করে। উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক-প্রবাসী সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে এটি ভারতের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। সার্বিকভাবে, এই চুক্তি মোদির হিন্দুত্ববাদী ভারতকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন করে তলানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, কারণ এটি পাকিস্তানকে শক্তিশালী করে ভারতের কৌশলগত ভারসাম্য ভেঙে দিচ্ছে, যা দিল্লির জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

মূলকথা

সামগ্রিকভাবে, সৌদি-পাক চুক্তি এবং সম্ভাব্য মুসলিম জোট মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিকে পালটে দিচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমিয়ে চীনের সুযোগ তৈরি করছে, পাকিস্তানকে শক্তিশালী করছে এবং ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে। যুক্তি অনুসারে, এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলেও, মোদির ভারতের ক্রমশ অবনতিশীল ভবিষ্যতকে স্পষ্ট করে, কারণ এই চুক্তি পাকিস্তানকে নতুন মিত্র দিয়ে শক্তিশালী করে ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে দুর্বল করছে।

পুনশ্চঃ

সৌদি আরবের রাজপরিবারের ক্ষমতা এককভাবে কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেওয়া বহু পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার দ্বিমত থাকলেও, তার এই উদ্যোগটিই তাকে ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখবে বলে মনে করি। এই উদ্যোগ সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে যেমন পাল্টে দিতে পারে, তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের ‘বিষফোড়া’ খ্যাত ইসরায়েলের লাগাম টানার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
দ্যা রাইজ অফ ইসলামীক ন্যাটো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সেটাই মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমেরিকা ছাড়া গতি নেই পাকি আর সওদি দের।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথা ঠিক আছে, আপাততঃ আমেরিকাকে হঠাৎ করে ছেড়ে আসার সুযোগ নেই। কিন্তু নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে উদ্যোগটা তো নিজেদেরই নিতে হবে। কেউ এসে তো পথ দেখিয়ে দিবে না। আমেরিকা হচ্ছে বিশ্বের সকল আকাম কুকামের হোতা। আগে পিছের ইতিহাস না বলে শুধু সাম্প্রতিক একটি বিষয়ে চোখ রাখলেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আমেরিকা কতটা ভয়ঙ্কর এবং অমানবিক একটি দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রস্তাবে আমেরিকা ভেটো দিল। বুঝুন, আমেরিকা কি জিনিষ। এদেরকে প্রতিহত করতে বাদবাকি বিশ্বকে এককাট্টা হওয়া ছাড়া উপায় নেই। সেটা করতে হবে ধাপে ধাপে। এভাবেই। এভাবেই একদিন আমেরিকার দম্ভ আর অমানবিকতা চূর্ণ হবে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

আলামিন১০৪ বলেছেন: পাকিরা নিমকহারাম, বিশ্বাসঘাতকেন জাত, এদের বিশ্বাস করা যায় না, আমেরিকার পদলেহী কুকুর একটা, গাজায় নারী-শিশু, নিরস্ত্র মানুষদের নির্বিচার হ্ত্যা, কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি- কোন কিছুতে এদের প্রতিক্রিয়া নেই, সৌদি-আরবের সালমান আরেক ঘেউ তু তু ডাক দিলে প্রভুর ইয়ে চেটে পরিস্কার করার জন্য উদগ্রীব। এত বিশাল তেলভান্ডার থাকা সত্তেওে এ অস্ত্র কাজে লাগছে না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ। সত্যি বলতে কি, আপনার কথাগুলো এসেছে গভীর এবং বাস্তবসম্মত ক্ষোভ থেকে, যা নিছক আবেগ নয়, বরং যুগ যুগ ধরে চলা বিশ্বাসঘাতকতার বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। ইতিহাসে আমরা বারবার দেখেছি, মুসলিম বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রগুলো, নিজেদের স্বার্থের কাছে নত হয়ে মুসলিম উম্মাহর প্রতি দায়িত্ব ভুলে গেছে। গাজায় যখন শিশুদের দেহ মাটির নিচে চাপা পড়ে, যখন নারী-পুরুষরা পানির জন্য হাহাকার করে, একমুঠো খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর পরে নির্মম গুলির আঘাতে প্রাণ হারাতে থাকে তখন এদের মুখে শুধু প্রভুভক্তির বুলি শোনা যায়।

পাকিস্তান নামধারী ইসলামিক রাষ্ট্র বহু আগেই আমেরিকার দাসত্বে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে সৌদি রাজপরিবার নিজেদের বিলাসিতায় নিমগ্ন থেকে মুসলিম বিশ্বের একতা গড়ার সুযোগগুলো ধ্বংস করেছে। অথচ, তাদের হাতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেলভান্ডার, যার মাধ্যমে পশ্চিমা শক্তিকে চাপে ফেলা সম্ভব ছিল। কিন্তু তারা সেই শক্তিকে মুসলিম জাতির কল্যাণে কাজে লাগানোর পরিবর্তে নিজেদের প্রভুদের খুশি করতেই ব্যস্ত।

আপনার মন্তব্যে তাই শুধু ক্ষোভ নয়, বরং এক কঠিন সত্য উচ্চারিত হয়েছে, যতক্ষণ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙতে না পারবে, ততদিন আমাদের শিশু, নারী, বয়স্করা হত্যাযজ্ঞের শিকার হতে থাকবে, আর ক্ষমতাশালী মুসলিম নেতারা পশ্চিমা প্রভুদের পদলেহনে ব্যস্ত থাকবে। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া অতিব জরুরি।

আবারও ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মেনে নিন মুসলিম জোট বিশ্বের কোনো দেশের সাথেই পারবে না।
নো নেভার।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



পারবে না বলে কেন মনে হচ্ছে? আপনার এমন হতাশার কারণ কী?

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মুসলিম ঐক্যের বিকল্প নেই। একদিন সবাই এক হবে। আর কিছু না করুক সবাই মিলে আত্নরক্ষা করবে ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। মুসলিম ঐক্যের বিকল্প কোন পথ নেই। তবে এর জন্য প্রয়োজন প্রতিটি মুসলিম দেশে সৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন এবং জনগণের সচেতনতা। একইসাথে পাশাপাশি দরকার দক্ষ কূটনীতি, সাংস্কৃতিক সংহতি এবং মানবিক সহায়তার মত বিষয়গুলো। মূলকথা, শুধুমাত্র ধর্মীয় আবেগ নয়, সংগঠিত নীতি, আধুনিক যুগোপযোগী বাস্তবধর্মী নীতিনির্ধারণ ও যথাযথ কর্মপরিকল্পনার প্রয়োজন।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




গার্বেজ।

হুতিরা সৌদীর অরক্ষিত বর্ডারে ঢুকে তেলের এলাকায় নাশকতা করতে পারে।
পাকিস্তান থেকে রিটায়ার্ড সৈন্য নিবে সৌদী, বর্ডার পাহারা দেয়ার জন্য।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অমূল্য মন্তব্যের জন্য। বর্তমানে তো সৌদিতে আমেরিকার সেনারা আছে। তারা কী করছেন ওখানে? আপনি হুতিদের দেখেছেন? চিনেন তাদেরকে? হুতিরা আপনাকে পেলে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিবে। :)

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সওদির এখন যে রাজা বাদশাহ সালমান এটারে আমার কাছে মানুষ বলে মনে হয় না । আপনার মনে আছে কিনা জানি না । সে দুতাবাসে জামাল খাসোগি নামে এক সাংবাদিক কে খুন করে ২৫ টুকরা করেছিলো। সে কিভাবে মুসলিম দেশের লিডার হয় ? তার থাকার কথা জেলে। কিনতু trump তার মিতা তাই আমেরিকা চুপ মেরে গিয়েছিলো। সওদি আমেরিকা থেকে আরমস কিনছে , পাকিসতান ডলার পাইতেসে। এরা কিসের মুসলিম দের সেইভিওর হবে ?

জামাল খাসোগিকে খুন করার পর সওদি বাদশাহ সালমান কে দুনিয়া একঘরে করে দিয়েছিলো। তখন জানি না কার এডভাইসে শেখ হাসিনা সওদি সফর করে এক ঘরে ভাব ভেঙে দিয়েছিলেন । ২০১৮ সালের ইলেকশন কি সে সফর দিয়ে পার হয়েছিলেন কিনা কে জানে। সওদি বাদশাহ বাংলাদেশে গতবছর আশার কথা ছিলো শেখ হাসিনার সময়ে । এখনো আসলেন না । এটা একটা বুচার ।

গাজি এই কমেনট দেখলে খবর আছে। =p~

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




আপনার মাথায় বানরের মগজ, প্রসেসিং ঠিক হবে না কোন সময়।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



@কুতুব,

সৌদী পরিবারকে টিকিয়ে রাখা হলো আমেরিকার বড় ১টি লাভজনক প্রজেক্ট। পাকিস্তান সব সময় আমেরিকার ডিপ্লোমেটদের সহানুভুতি পেয়ে আসছে। ইউনুস সেটাকে কাজে লাগায়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.