নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোতলবন্দী ইবলিশ

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৩২

বোতলবন্দী ইবলিশ

ছবি, এআই জেনারেটেড

আগেকার দিনে ভুত-প্রেত ছিলো গ্রামে-গঞ্জে অহরহ। রাত বিরাত বাইরে যেতে ভয় হতো। তখনকার দিনের মত ভুত প্রেতের আনাগোনা এখন আর দেখা যায় না। আমাদের ছোট বেলায় তো দিনেও ঘরের বাইরে যেতে রীতিমত বুক কাঁপতো। শয়তানও ছিল ম্যালা তখন। এখানে ঢিল ছোঁড়ে তো ওখানে ভেংচি কাটে। এর বাড়িতে হানা দেয় তো ওর বাড়িতে ভ্যাজাল সৃষ্টি করে। সন্ধ্যার পরে হাট বাজার থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে বাড়িতে যেতেও ভয় হতো তখন। পথে শয়তান ইলিশ মাছ কেড়ে নিয়ে যায় কি না, সেই ভয়। বুঝুন, শয়তানের উপদ্রব কেমন ভয়ানক পর্যায়ে ছিল। সন্ধ্যার পরে বৈশাখ মাসে নতুন পানিতে ভরে যেত মাঠঘাট। তখন গ্রামে থাকতো উৎসব মুখর পরিবেশ। অনেকেই টর্চ লাইট, লুফা কিংবা হ্যাজাক লাইট জ্বালিয়ে হাটু পানিতে মাঠেঘাটে মাছ ধরতে নেমে যেত। সে এক মজার স্মৃতি। রীতিমত মৎস্য ধরার অভিযান। কৈ, শোল, বোয়াল, মাগুর, শিং, বাইম, সরপুটিসহ নানান ধরণের মাছ প্রচুর পাওয়া যেত। আনন্দময় এই মাছ ধরার অভিযানে আমরাও প্রায়ই যেতাম। এক হাতে লাইট অন্য হাতে দাও কাঁচি ইত্যাদি। এগুলো দিয়ে কুপিয়ে মাছ ধরা হতো।

তখন দেখতাম, মাথার উপর দিয়ে, একেবারে কাছে দিয়ে, একটু পরপর শয়তান উড়ে যেত। একটু আধটু ভয়ও পেতাম। তখন দোয়া কালাম পড়ে নিতাম। এগুলোকে আমরা বলতাম, দিয়া বাতি। মুখের কাছে একটা আগুনের গোল্লার মত থাকতো। এগুলো যখন উড়ে যেত তখন ফস করে একটা আওয়াজ হতো। গ্রামের লোকেরা বলতেন, এরা না কি, মাছ খেকো ভুত। এখন আর এসব দেখার কথা শুনি না। আগে প্রচুর পরিমানে শয়তান বন্দি করার ঘটনাও দেখা যেত। ওঝা, ফকিরেরও অভাব ছিল না। শয়তান যেমন ম্যালা ছিল, ওঝা ফকিরও ছিল প্রচুর। তারা শয়তান দমন করতে বোতলবন্দির এই কাজটা করতো। এখন অতশত শয়তানও দেখা যায় না, আর আগের মত ওঝা, ফকিরের কেরামতিও চলে না। তবে এখনও সামু ব্লগে মাঝেমাঝে ভয়ঙ্কর কিছু ভুত-প্রেতের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। অবশ্য, বেশি বাড়াবাড়ি করলে, এদের উপদ্রব অতি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়লে, এগুলোও একসময় বোতলবন্দি হয়ে যায়।

বোতলবন্দি শয়তানের ইনিয়েবিনিয়ে কান্নাও কিন্তু সেইরকম উপভোগ করার মত বিষয়। এরা জোরে জোরে শব্দ করে কান্না করে। হাজারও অন্যায় করেও এরা নিজেদের নির্দোষ প্রমান করতে কান্নার ঢেকুর তুলতে থাকে। হেচকির মত দিতে থাকে। সে এক ভয়াবহ পরিবেশ। একসময় জিদ ধরে, মুক্তি না দিলে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলারও হুমকি দিতে থাকে। এরে ওরে ঘুষি মারতে চায়। সাংঘাতিক বিশ্রী অবস্থা। কিন্তু সবকিছু করে বোতলের ভেতরে থেকেই।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করুন।

কোন মানুষকেই 'ইবলিশ' ট্যাগ দেওয়া উচিৎ নয়।

মনে রাখবেন, মানুষ যখন খোঁচা খায়, তখন কার মনে কি আছে তা বের হয়ে আসে।

এই টেকনিকটাই উনি ব্যবহার করেছেন। এটা ইবলিশ করতে পারবে না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি বিশেষ কারও নাম মেনশন করে এই পোস্ট লিখিনি। তাই আশা করবো, এটাকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না।

শুভকামনা জানবেন।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হা হা হা B-)

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার এই হাসি দীর্ঘস্থায়ী হোক। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: কলিমুদ্দি দফাদার খুবই মজার সব মন্তব্য করেন। বিশেষ করে চাঁদগাজিকে করা তার মন্তব্যগুলো খুব উপভোগ্য!

যাক সে কথা, "বোতলবন্দী শয়তান" নামে কিন্তু একটা দারুন গল্প আছে। রবার্ট লুই স্টিভেনসনের লেখা। ইংরেজি বইটির নাম "The Bottle Imp"। এই লেখকেরই গল্প "ডক্টর জেকিল এণ্ড মিস্টার হাইড" খুব বিখ্যাত, যার কথা শুনে থাকবেন নিশ্চয়ই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন, তার মন্তব্য বুদ্ধিদীপ্ত। হাসির উদ্রেক করে। রবার্ট লুই স্টিভেনসনের লেখা "The Bottle Imp" বই কিংবা "ডক্টর জেকিল এণ্ড মিস্টার হাইড" গল্পের নাম শুনেছি কিন্তু পড়া হয়নি। ইনফর্মেটিভ চমৎকার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

অনেক শুভকামনা জানবেন।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''বোতলবন্দী ভুত'' নাকি ''বোতলবন্দী ইবলিশ'' এই দ্বন্ধের অবসান দরকার প্রথমে। এরা একই জিনিস কিনা জানিনা, তবে ব্যাখ্যাগত দিক দিয়ে এদের মধ্যে পার্থক্য আছে। তাছাড়া আপনি মাছখেকো শয়তানের কথাও বলেছেন। এতে কনফিউশান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ভুত, ইবলিশ আর শয়তানের মদ্যে পার্থক্য জানাও জরুরী। এই ব্যাপারে ব্লগার সাচু ভালো জ্ঞান রাখে। তবে ইদানীং তাকে ব্লগে দেখা যায় না।

আচ্ছা, এতোসব কথা বলতে গিয়ে একটা প্রশ্ন মাথায় উদয় হলো। পশ্চিমা কোন কোন দেশে এই জাতীয় উপদ্রব কোন ক্যাটাগরীতে পড়ে? ভুত, ইবলিশ নাকি শয়তান? :P

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: যদি পারতাম আপনাকে এভাবে বন্ধী করতে, বড় ভালো লাগতো।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: আগেকালে কাচা পায়খানার মিথেনের লোভে গ্রামে-গঞ্জে ভূতেদের আনাগোনা হতো, এখন আর সে দিন নেই গো..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.