| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নকিব
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
অসহায় এক মা কুকুর ও মানুষের হারিয়ে-যাওয়া মমতার গল্প
পথে হাঁটতে হাঁটতে যখন কোনো অভুক্ত কুকুর দেখি,
মনে হয়—এই পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় প্রাণীটাই যেন আমার সামনে দাঁড়িয়ে
আজও ঠিক তেমনি এক ক্ষুধার্ত মা কুকুর
চুপচাপ এসে আমার সামনে দাঁড়াল।
কোনো শব্দ নেই, কোনো অভিযোগ নেই…
শুধু ক্ষুধায় কাঁপতে থাকা দু’চোখের নীরব অনুরোধ-
“বাঁচতে চাই… একটু খাবার দাও।”
খাবার বাড়িয়ে দিতেই
সে এমন তৃপ্তি নিয়ে খেতে লাগল
যেন দীর্ঘদিনের এক যন্ত্রণাকে মুক্তি দিলো।
তার প্রতিটি কামড়ে
আমার হৃদয়ের ভেতরেও যেন একধরনের ব্যথা আর শান্তি
যুগপৎ একসাথেই বাজছিল।
সে যখন খাচ্ছিল,
আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল
তার ছোট্ট ছানাগুলোর ছবি-
যারা হয়তো এই মুহূর্তে তার জন্যই অপেক্ষায় আছে,
ক্ষুধায় কাঁদছে,
মায়ের কাছে ফিরে জড়িয়ে ধরে
নিরাপত্তার উষ্ণতা খুঁজছে।
ভাবতে ভালো লাগছিল-
এই সামান্য খাবার হয়তো তাদের জীবনও বাঁচাবে,
একটি মা কুকুর আবার ছুটে যাবে
নিজের বাচ্চাদের বাঁচানোর আনন্দ নিয়ে।
কিন্তু এই আনন্দের মাঝেই
হঠাৎ মনটা কেমন করে উঠল-
কারণ প্রশ্নটা বারবার ফিরে আসে-
মানুষ কীভাবে এত নির্মম হতে পারে?
কুকুর ছানাদের প্রতি এত ঘৃণা কেন?
কেন সেই ছোট্ট, নিরপরাধ প্রাণগুলোকে
বস্তাবন্দি করে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়?
কেন তাদের তাড়িয়ে মারতে আমরা একবারও ভাবি না-
তর তর করে দৌড়ানো সেই ছোট্ট প্রাণগুলোও
মায়ের পেটে ছিল,
মায়ের বুক খুঁজেছে,
মায়ের ভালোবাসায় বাঁচতে চেয়েছে!
হায়!
আমরা কোন পৃথিবীতে বাস করছি?
এক টুকরো মমতা,
একফোঁটা দয়া,
এতটুকু মানবতা
এমন করে ফুরিয়ে গেল কীভাবে?
প্রাণ তো প্রাণই-
ওদেরও ব্যথা আছে,
ওদেরও ক্ষুধা আছে,
ওদেরও বাঁচার অধিকার আছে।
আমরা কি সত্যিই ভুলে যাচ্ছি
যে মমতাই মানুষ হওয়ার প্রথম শর্ত?
©somewhere in net ltd.