নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচলিত বিচার নয়, দীপু চন্দ্র দাসের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩

প্রচলিত বিচার নয়, দীপু চন্দ্র দাসের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

দীপু চন্দ্র দাসকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারপর প্রকাশ্যে গাছে ঝুলিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন ভয়ংকর বর্বরতা দেখে হৃদয় কেঁপে ওঠে। কোন সমাজে আমরা বাস করছি, যেখানে এভাবে মানুষের জীবন এত সহজে কেড়ে নেওয়া যায়? একজন হৃদয়বান ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন মানুষ অন্য মানুষকে খুন করা তো দূরের কথা, অকারণে একটা পিঁপড়া মারতেও দ্বিধা করেন। অথচ এখানে ধর্মের নামে/ মব সৃষ্টি করে নির্দ্বিধায় মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। হায়রে মানবতা, আমরা কী দেখছি!

ইসলাম কখনোই যাচাই ছাড়া ব্যক্তিগত বা দলগতভাবে কাউকে হত্যার অনুমতি দেয় না। এ ধরনের বর্বরতা সম্পূর্ণ হারাম এবং মারাত্মক অপরাধ। কুরআনুল কারিমে স্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কোনো অভিযোগ শুনেই তা বিশ্বাস করা যাবে না; প্রথমে যাচাই করতে হবে। অযাচিতভাবে কাউকে ক্ষতি করলে নিজেই জালিম হয়ে যাবে (সূরা আল-হুজুরাত: ৬)। আরও বলা হয়েছে, অন্যায়ভাবে একজন মানুষকে হত্যা করা যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করা (সূরা আল-মায়িদাহ: ৩২)।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ -এর জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাঁকে প্রকাশ্যে গালি দেওয়া হয়েছে, অপমান করা হয়েছে, পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে; তবুও তিনি কখনো আবেগের বশে বা ব্যক্তিগতভাবে কাউকে হত্যা করার অনুমতি দেননি। তিনি বিচার ও শাস্তিকে সবসময় প্রমাণ ও ন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত রেখেছেন। প্রমাণ ছাড়া মানুষকে শাস্তি দেওয়া হলে সমাজে রক্তপাত ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে- এ কথা তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন।

বিশেষভাবে, অমুসলিম বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গে একটি প্রসিদ্ধ হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোনো জিম্মি (চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিক) কে অত্যাচার করে বা ক্ষতি করে, আমি কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে তার প্রতিপক্ষ হব।” (আবু দাউদ ও অন্যান্য সূত্রে বর্ণিত বিভিন্ন রূপে)। এই হাদিস থেকে স্পষ্ট যে, সংখ্যালঘু বা অমুসলিম নিরপরাধ ব্যক্তির উপর অত্যাচার করলে নবী ﷺ নিজে কিয়ামতের দিন নির্যাতিতের পক্ষে দাঁড়াবেন।

কোনো অভিযোগ সত্য হলেও শাস্তি দেওয়ার অধিকার ব্যক্তি বা জনতার নয়; এটি রাষ্ট্র ও আদালতের দায়িত্ব। গণপিটুনি, ধর্মের নামে হত্যা বা মব জাস্টিস সবই ইসলামে হারাম, মহাপাপ এবং ফিতনা সৃষ্টির সমতুল্য। সুতরাং যাচাই ছাড়া হত্যা তো দূরের কথা, সত্য অভিযোগ থাকলেও আইনি বিচার ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এ ধরনের কাজকে ইসলামের নামে বৈধ বলা শুধু ইসলামের শিক্ষাকে বিকৃত করা নয়, বরং ইসলাম ধর্মেরই ক্ষতিসাধনের নামান্তর।

দীপু চন্দ্র দাসের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই জঘন্যতম ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরণের দুষ্কর্মের দুঃসাহস দেখাতে না পারে। আমরা চাই, এই সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক। ধর্ম কিংবা বর্ণের পরিচয়ে নয়, মানবতার স্থান হোক সবার উপরে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিচার হবে আশা করা যায় ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই হোক। না হয় আমাদের ব্যর্থতা প্রমান হবে।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অগ্নিবাবা বলেছেন: নকিব ভাই, আপনি একজন ভালো মনের মানুষ এজন্য আপনি দীপু চন্দ্র দাসের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন, আমিও তাদের শাস্তি চাই, যেহেতু আমি মৃত্যুদন্ডের বিরোধী তাই তাদের মৃত্যু চাই না, তারাও যদি ভুল বুঝতে পারে তাহলে তাদেরও আর এক একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। এই পর্যন্ত ঠিক আছে। এর পরে নবী সম্পর্কে আপনি যা জানেন তাহা ভুল, হাদিসে বর্নিত আছে, শাতিমে রাসুলের শাস্তি যে কেউ দিতে পারে, আর নবী নিজে লোক পাঠিয়ে নবীর সমালোচনাকারীকে খুন করিয়েছেন, আর যারা নবীর সমালোচনাকারীকে হত্যা করেছেন, নবী তাদের কোনো শাস্তি দেন নাই। হাদিসে আছে যে লা ইলাহা ইল্লহা না বলবে যে মহম্মদকে শেষ নবী হিসাবে স্বীকার না করবে কেয়ামত পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে। আমি রেফারেন্স দিলেও কেঊ পড়ে দেখে না, যাচাই করে না। যদি সত্য জানতে চান, আর একবার কোরান হাদিস বাংলা অনুবাদে বুঝে বুঝে পড়েন, আপনার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই, আমি চাই আপনি মরার আগে সত্যটা জানুন, আমি ভুল হলে আমাকে সত্যটা জানান। রেফারেন্স জানতে চাইলে এখানে জানাবো, অন্যথা তর্ক বৃথা।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



একটা হিন্দুকে পিটিয়ে মেরেছে আপনার তো খুশি হবার কথা।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: অগ্নিচাচা@আপনার উচিত ফেকাহবিদদের নিকট থেকে ইহার ফতোয়া নেওয়া।নিজে নিজে কুরআন হাদীস পড়লেই কেউ আলেম হয়না।দেখুন তো ইহার উত্তরে ফেকাহবিদরা কি বলে।ফেকাহর হুকুম সাধারনত ভারসাম্যপূর্ণ,এবং কুরআন হাদিসের অন্তরনিহিত ব্যাখা বের করে।কুরআন হাদিস পড়েই কোনোকিছুর ফতোয়া দেওয়া যায়না,ইজমা কিয়াসের,এবং নবীজির নিজের ব্যাবহারিক জীবনের শিক্ষা গ্রহন করা উচিত।জিহাদের ও ফিকাহ ভিত্তিক নিয়ম কানুন আছে।আপনি ইচ্ছা করলেই কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেননা, হাদিসের অন্তরনিহিত ভাব অনেকসময় ভীন্ন অর্থ বহন করে, যা ফেকাহবিদ ছাড়া অন্য কেউ ধরতে পারনা অথবা বুঝতে পারেনা।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৬

নতুন বলেছেন: সকল ধরনের হত্যা বন্ধ করতে হবে।

দেশে এমন হত্যা কেন হচ্ছে? আপনি এই হত্যার ভিডিওর কমেন্টে কত আলহামুল্লাহ আছে দেখেছেন?

এই মানুষ গুলি কোথা থেকে শিখলো যে কেউ ব্লাসফেমী করলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়? মৃত মানুষকে আগুন দেওয়া যায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.