নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নায়করাজ

নায়করাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকারদের কোরবানী দিন আর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিন

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

শাহবাগের গণজাগরণ আমাদের পথ দেখিয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদেরও এই গণজাগরণ থেকে ম্যাসেজ পাওয়ার কথা।



এই গণজাগরণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছাগু সম্প্রদায় তথা রাজাকার জামাত-শিবির বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রপাগান্ডা মেশিন আমার দেশ, নয়াদিগন্ত, সংগ্রাম, দিগন্ত টিভি বহু আগে থেকেই মানুষকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। কিন্তু তারা যতই মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাবে, ততই তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে থাকবে।



শাহবাগের গণজাগরণ কোন দলের নয়। কোন গোষ্ঠীর নয়। এই গণজাগরণ সাধারণ মানুষের।এই গণজাগরণ কারো পক্ষে যাবে না। কেউ কেউ এই গণজাগরণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এই গণজাগরণের সঙ্গে তাল মেলাবেন। যারা তাল মিলাতে পারবেন না, তারা হারিয়ে যাবেন। কারণ গণজাগরণ হচ্ছে সুনামির মতো। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে কোন রাজনৈতিক শক্তি টিকে থাকতে পারে না। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। যারা ইতিহাসের এই স্বাভাবিক নিয়মকে মানবেন না, তারা খুব শীঘ্রই ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবেন।



এই গণজাগরণ হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ডাক। সেই যুদ্ধাপরাধী কোন দলের, কোন সম্প্রদায়ের, কোন লোকের আত্মীয় সেটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হচ্ছে সে অপরাধী, তার শাস্তি পেতে হবে।



এই গণজাগরণ থেকে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কাছে পরিষ্কার কিছু দাবি :



০১) সরকারী দল এবং বিরোধী দল উভয়কে বলছি, পরস্পর নিজ দল থেকে রাজাকার বের করে দিন। রাজাকারদের রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠান। যারা এই দেশের অস্তিত্ব স্বীকার করত না, তাদের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই। আপনারা তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে অপরাধ করেছেন। সেই অপরাধ স্বীকার করে তওবা করেন এবং ওদেরকে কোরবানী করে দেন। রাজাকারমুক্ত রাজনীতি চাই।



০২) সরকারী দল এবং বিরোধী দল উভয়কে বলছি, রাজাকারদের মধ্যে সবাই যুদ্ধাপরাধী নয়। আপনাদের দলে থাকা রাজকারদের মধ্যে যারা সুনির্দিষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধ করেছেন, তাদের বিচার করে ফাসি দিয়ে দিন। যুদ্ধাপরাধী আপন ভাই হলেও তার সঙ্গে কোন সমঝোতা নয়, আতাঁত নয়।



০৩) বিএনপিকে বলছি, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরকে ১৮ দলীয় জোট থেকে বের করে দেন। একবার তাদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় গিয়েছেন। কিন্তু আরেকবার তাদেরকে সঙ্গে রেখেও ক্ষমতার স্বাদ পাননি। সুতরাং তারা জোটে থাকলেই ক্ষমতায় যেতে পারবেন, এই সমীকরণ সঠিক নয়। বরং সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে - এই নিয়মে আপনারা রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীর সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন। যদি সত্যিকার অর্থেই নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি বলে মনে করেন, তবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির সাথে পথচলা বন্ধ করুন। অনেক রাজনৈতিক ফায়েদা লোটার কথা ভেবেছেন, এবার দেশের কথা ভাবুন। জনগণের কণ্ঠস্বর শুনুন, জনগণের দাবীকে শ্রদ্ধা জানান।



০৪) আওয়ামী লীগকে বলছি, জামাত-শিবিরের সঙ্গে কোন আপস করার চিন্তাও করবেন না। বরং এখনই সময় জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কোন অধিকার নেই এই স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করা। সুতরাং ওদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। জনগণ তা-ই চায়, জনগণের দাবীকে শ্রদ্ধা জানান।



০৫) কেবল জামাত শিবির নিষিদ্ধ করলেই হবে না, ভবিষ্যতে কেউ জামাত শিবিরের নাম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করলে তাকে ঠেকানোর জন্য বিশেষ আইন করুন। জামাত একটি পাকিস্তানী রাজনৈতিক দল এবং আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল। আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী এই দলের নামে কোন দল বাংলাদেশে থাকতে পারে না। থাকা উচিতও না। সুতরাং বিশেষ আইন করে এই নামের রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা নসাৎ করে দিন।



০৬) জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার আগে তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন। এই সকল সম্পদ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দান করে দিন। নইলে তারা তাদের হাতে থাকা সম্পদের জোরেই দেশে বার বার অরাজকতা সৃষ্টি করে যেতেই থাকবে। যারা দেশের অস্তিত্ব স্বীকার করে না, তারা কখনই এই দেশের ভালো চাইবে না-এটাই বাস্তবতা।

জামাত শিবিরের সম্পদের তালিকা এখানে : Click This Link



০৭) সরকারী দল এবং বিরোধী দল উভয়কে বলছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া কখনই বন্ধ করবেন না। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।একের পর এক যুদ্ধাপরাধী ধরেন এবং তাদের বিচার করেন। এখনও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে পারলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের বিচার কেন হবে না ? জনগণ সব সময় যুদ্ধাপরাধীর বিচার চেয়েছে। এখনও যদি জনগণের চাওয়া বুঝতে না পারেন, তবে আখেরে নিজেরাই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনাদের জনগণের চাওয়া বুঝতেই হবে। জনদাবির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করা যায় না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.