নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নায়করাজ

নায়করাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত শিবির আজকে তাণ্ডব চালিয়ে প্রমাণ করে দিল তাদের নিষিদ্ধ করা দরকার

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সারা দেশে শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকায় হামলা করল জামায়াত শিবির। এদের কাছে এই জাতির প্রতীকগুলোর কোন মূল্য নাই। বায়তুল মোকাররমে সাংবাদিকদের উপর হামলা করল তারা। এদের কাছে জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কোন সম্মান নাই। পুলিশ পেটানো তাদের কাছে ডাল ভাত। এদের কাছে আইন শৃংখলা বাহিনী কোন মানুষই না। এরা বোমাবাজ । সময় সুযোগ পেলেই বোমা তৈরি করছে।বোমা তৈরি করে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় নিয়ে মানুষ মারছে। মানুষের উপর বোমা নিক্ষেপ করছে। এরা কোন যুক্তির কথা শোনে না। তাদের বিপক্ষে গেলেই তার উপর ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে রাতের আঁধারে । তাদের কাছে নিরাপদ নয় কিছুই।

তারা অনলাইনে ব্লগারদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। তারা মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। অশ্লীল ছবি দিয়ে শাহবাগের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। যুক্তি নয়, মিথ্যাচারই তাদের অস্ত্র।

এরা আসলে ইসলামী দল নয়। এরা ধর্ম ব্যবসায়ী। এরা ইসলামের নাম করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখে। এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এরা পরমত সহিষ্ণু নয়। এরা কোন সভ্য মানুষই নয়।

বিএনপি জামাত জোটের ক্ষমতার সময়ে কেন জেএমবি নামক একটা আত্মঘাতী দল তৈরি হয়েছিল ? কারা তৈরি করেছিল জেএমবি ? তারা ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর জেএমবি বিলুপ্ত হয়ে গেল কেন ?



দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে যেমন জেএমবি তাদের দল ভারী করেছিল, তেমনি জামাত শিবির দরিদ্র মেসবাসী যুবকদের চাকুরির লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ায়। তারা লিল্লাহ বোর্ডিং এ থাকার এতিম শিশুদের মগজ ধোলাই করে তাদের কর্মী বানায়। এদের দেয়া হয় বেহেস্তের টিকেট। মরলে শহীদ বাচলে গাজী শ্লোগান শুনিয়ে এদের উত্তেজিত করা হয়। এরা তাদের জামাতী প্রভু ছাড়া আর কোন কথা বিশ্বাস করে না।

জামায়াত শিবির একটা ভয়ংকর জঙ্গীবাদী দল। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করে। ২৫ মার্চ রাতে সংঘটিত অপারেশন সার্চলাইট এর ছয় দিন পর গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি ভারতের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, " ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের নিকট হতে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না। [১৮]

জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ প্রভৃতি বাহিনী গড়ে তোলেন। এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে কাজ করে। ৩০ জুন লাহোরে সাংবাদিকদের কাছে গোলাম আযম বলেন, "তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানে দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) তৎপরতা দমন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার উদ্দেশ্য ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য ছিলেন পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। গোলাম আযম ও এই কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রাম এ গোলাম আযমের পশ্চিম পাকিস্তান সফরকালের একটি সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ দুই কিস্তিতে ছাপা হয়। এই সাক্ষাতকারে তিনি মুক্তিবাহিনীর সাথে তার দলের সদ্স্যদের সংঘর্ষের বিভিন্ন বিবরণ ও পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থতির ওপর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জামায়াতকে মনে করতো পহেলা নম্বরের দুশমন। তারা তালিকা তৈরি করেছে এবং জামায়াতের লোকদের বেছে বেছে হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর লুট করছে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এতদসত্বেও জামায়াত কর্মীরা রেজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলা দেশে' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না। [১৯]

১৯৭১ সালের পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াত ও এর আওতায় পড়ে। ১৯৭৬ সালের আগস্টে জিয়াউর রহমান সরকার সকল ধরণের রাজনৈতিক দলের রাজনীতি উন্মুক্ত করে রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ ঘোষণা করেন। এ সময় ইসলামিক ডেমোক্র‌্যাটিক পার্টি নামক একটি দলের সাথে জামায়াতে ইসলামী যুক্ত ছিল। পরে গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এলে ১৯৭৯ সালের মে মাসে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গঠিত হয়। এর ভারপ্রাপ্ত আমীর পদ লাভ করেন আব্বাস আলি খান।



যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, যারা বাংলাদেশের জন্ম চায় নি, যারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করে, তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোন দরকার নাই। তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক।



এই লেখার কিছু অংশ ইউকি পেডিয়া থেকে কপি/পেস্ট করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য এই লিংকে যান : Click This Link

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৮/-২

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০

ফয়ছাল আহমেদ বলেছেন: oi hamba lig aj jamat cilo na re hamba aj jara andolon korce ora jamat k dekhte pare na bujsos hamba

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৫

নায়করাজ বলেছেন: হ, তালগাছ আপনের।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৮

শিপু ভাই বলেছেন:
আপনার এই পোস্টটি আমার এই পোস্টে এড করে দিলাম!!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

নায়করাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৯

রুদ্র মানব বলেছেন: রাজাকারদের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই ।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মোনাজ হক বলেছেন: জামাত কখনই ধর্মরক্ষার দল হতে পারে না, তার আলামত আজ সবাই দেখেছেন। জুম্মার নামাজের পর সন্ত্রাসী আক্রমন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এমনকি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয়পতাকার অবমাননা ও অগ্নিসংযোগ কোনো বাংলাদেশীদের কাজ হতে পারেনা । ধর্মকে বাঁচানো বলুন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলুন তা শাহাবাগের প্রজন্মই করবে সে ব্যবস্থা, জামাত শিবির তা পারবে না।জামাত হলো সাপ প্রজাতির দল, সজাগ থাকুন, জেগে উঠুন সবাই।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২

রঁমাকান্তকামারঁ বলেছেন: আবেগের বশে সবকিছু বিচার না করে সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করা উচিত। শত্রুকে সবসময় চোখের সামনে রাখতে হয়। জামাত কে এখন নিষিদ্ধ করলে কিছু সুইসাইড বম্বার তৈরি হওয়া ছাড়া আর বিশেষ কোন লাভ হবেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০

নায়করাজ বলেছেন: ৬টি আলটিমেটাম:

১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় শহীদ রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।
৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

......................................................................

৫ নম্বর দফাটা বাস্তবায়ন করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এত ভয় পাইয়েন না। আমরা জেএমবি নামের একটা জঙ্গী সংগঠনকে আগে সাইজ দিছি, জনাব। সুতরাং জামাত শিবির ব্যাপার না।

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২

আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: ভাই কমেন্ট রিপোর্ট করতে গিয়া ভুলে আপনার পোস্ট রিপোর্ট কইরা বইছি। মাফ কইরা দিয়েন। আপনার পোস্টে লাইক দিছি।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৩

সেয়ানা বলেছেন: সময় এখনও ফুরিয়ে যায় নি!আমাদেরকে এখনি সতর্ক হতে হবে।

৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪০

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: জামায়াতে ইসলামীকে কেন নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হবে না?

৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৭

আধারের কবি বলেছেন: সেটাই তো প্রশ্ন করছে না কেন

১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২১

বিডি ফুল বলেছেন: জামায়াত শিবির ধুয়া তুলে লাভ নেই, নাস্তিকদের আগে গ্রেপ্তার করতে হবে, এদের ক্ষমা নাই,

১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

শয়ন কুমার বলেছেন: নিম্নের লিংকের পোষ্টটারে শাহবাগের নেতৃবৃন্দের এখনই কাজের পোষ্টে রুপান্তরিত করা উচিৎ । Click This Link

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫০

আলাপচারী বলেছেন: জামায়াত নিষিদ্ধে ৪২ বছর আগের অপরাধের বিচারের দরকার নেই। গতকালের পতাকা পোড়ানোর বিচার করলেই কাফি।
আরো একটা কথা: বুইড়া রাজাকারদের ৪২ বছর আগের অপরাধের জন্য বিচার। পুচকে রাজাকারদের পতাকা পোড়ানোর জন্য সাইজ করা দরকার, নইলে এই বাড় বাড়তেই থাকবে।
আরো বোঝা গেল রাজাকারদের চিন্তা ধারা প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত হয়ে নতুন প্রজন্মেও এসে গেছে।
একে প্রজ্ঞা দিয়ে দমানো দরকার।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

নায়করাজ বলেছেন: Click This Link

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: প্রমাণ তো ওরা সব সময়ই করছে,
আর আমরা বোকা, নিষিদ্ধ একবারো করতে পারলাম না এখনো।

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্রবালরক বলেছেন: ছাত্রলীগের হাতে M16 দেয়া হয়েছে কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবার জন্য! খামাখা সরকারের দিকে তাকিয়ে থেকে আমরাই সময় নষ্ট করছি । হত্যা করার লাইসেন্সও তো সরকার দিয়ে দিছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.