নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নায়করাজ

নায়করাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার যাকাত ফেতরা সদকা যারা খায়, তারাই কি আপনার সন্তানকে জবাই করার হুমকি দিচ্ছে ?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

আমাদের মাদ্রাসা বৃত্তান্ত :

আমার বাবা ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিংএ প্রতি মাসে এক মণ করে চাল দান করতেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের কাছে এসে একই দাবি করল মাদ্রাসার শিক্ষকরা। তখন আমাদের আর্থিক সমস্যা প্রবল। আমার মা অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমার মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে চলে গেল। আমার মা তাদের সেই আচরণে খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। আমরাও দুঃখ পেয়েছিলাম। কারণ আমরা জানতাম, ওই মাদ্রাসার শুরু থেকে নির্মাণ কাজে প্রচুর টাকাও দান করেছিলেন আমার বাবা। তারা আমার বাবার সেই দানের কথা মনে রাখেনি।

আমার বাবা যে ধর্মপ্রাণ ছিলেন, তার প্রমাণ হল তিনি আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছিলেন। মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর দেখলাম, সেখানে কোন ধনী ঘরের সন্তান নাই। প্রায় সব ছাত্র হল গরীব ঘরের। এমনকি অনেকে এতিম। এদের থাকা খাওয়ার কোন জায়গা নেই। আমার সেই মাদ্রাসায় আমি ছিলাম সবচেয়ে ধনী ঘরের ছেলে।

তখনই আমি বুঝে যাই, তাদের খাই খাই স্বভাব। আমার পেছনে ঘুর ঘুর করত ছাত্ররা। আমারা পাঞ্জাবি পুরোনো হওয়ার আগেই কে নেবে তার হিসাব করত। আমার টাকা পয়সাও চুরি হত।

আমি মাদ্রাসায় বেশি দিন টিকতে পারি নি। কারণ হুজুরদের নোংরা ব্যবহার। তারা অসম্ভব ক্ষিপ্ত থাকত সব সময়। কোন কারণ ছাড়াই বেধড়ক পেটাত ছাত্রদের। কোন অপরাধ করলে ভয়ংকর মার দেয়া হত। যারা পালিয়ে যেত, তাদের অনেককে অভিভাবকরা ফেরত দিয়ে যেত। তখন তাদের শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত।

একবার আমি হুজুরের কাছে বেড়াতে যাবার জন্য ছুটি চাই। হুজুর আমার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। তিনি আমার বাবা মা তুলেও কথা বলেন। তার আচরণ আমার খুব খারাপ লাগে। আমার বাবার দানে যেই লোক চলে, সে তো আমার বাবাকে গালি দিতে পারে না।

আমি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে চলে আসি। মাদ্রাসায় ফেরত যাওয়ার জন্য অনেক মার খেয়েছি। কিন্তু আমি আর মাদ্রাসায় ফেরত যাই নি।সেই ছোটকালেই বুঝে গিয়েছিলাম, এরা অমানুষ।



আমাদের মসজিদ বৃত্তান্ত :


আমাদের মহল্লায় একটা মসজিদ আছে। কিভাবে সেই মসজিদ গড়ে উঠল সেই কাহিনীটা বলি। এক লোকের জায়গার মাঝখান দিয়ে মহল্লার রাস্তা চলে গেছে। রাস্তার যেপাশে তার বাড়ি, তার উল্টো পাশে তার সামান্য জায়গা। আধ শতাংশের কম হবে সেই জায়গা। মাঝখান দিয়ে রাস্তা চলে যাওয়ায় তার ওই জায়গা কোন কাজে লাগাতে পারছিলেন না।

রাস্তার ওই পাড়ের জায়গার সঙ্গে লাগোয়া তার প্রতিবেশীর সঙ্গে ছিল শত্রুতা। তিনি তার প্রতিবেশীকে ফাসিয়ে দেয়ার জন্য রাস্তার ওই পাশের জায়গায় একটা ছাপড়া ঘর তুলে মসজিদ বানিয়ে দিলেন। মহল্লাবাসীকে বোঝালেন, তিনি মসজিদের জন্য জায়গা দান করেছেন। এখন এই মসজিদের জন্য প্রতিবেশী ভদ্রলোকেরও জায়গা দান করা দরকার। প্রতিবেশী ভদ্রলোক বাধ্য হয়ে সামান্য জায়গা দান করলেন মসজিদের জন্য। প্রথম যিনি মসজিদের জন্য জায়গা দান করেছিলেন তিনি হয়েছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি। তিনি কিছুদিন পর মসজিদ সম্প্রসারণ করার কথা ঘোষণা করলেন। প্রতিবেশী ভদ্রলোক এবার আর জমি দিতে রাজি হলেন না। ফলে সেই লোকের বিরুদ্ধে তিনি মহল্লাবাসীকে খেপিয়ে তুললেন। মহল্লাবাসী সবার বিরুদ্ধে সেই ভদ্রলোক কিছুই করতে পারলেন না। তিনি বাধ্য হয়ে তার বাড়ি ঘরের জায়গা মসজিদে দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে চলে গেলেন। এভাবেই মসজিদের নাম করে প্রতিবেশীর সর্বনাশ করলেন এক ভদ্রলোক। ধর্মকে পুজি করে কিভাবে মানুষের সর্বনাশ করা যায় তার চাক্ষুস স্বাক্ষী হয়ে রইলাম।



লিল্লাহ বোর্ডিং বৃত্তান্ত :

আমাদের কাছের মাদ্রাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং আছে। লিল্লাহ বোর্ডিং কী ? লিল্লাহ বোর্ডিং হল এতিমখানা। পিতৃমাতৃহীন অসহায় এতিম ছেলে মেয়েরা এই সব লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে খাওয়া এবং থাকা ফ্রি পায়। এই লিল্লাহ বোর্ডিং বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির দান দিয়ে চলে। কোরবানী ঈদে পাওয়া চামড়া তাদের একটা বড় আয়। এই জন্য কোরবানীর ঈদের আগে তারা ব্যাপক পোস্টারিংও করে।

আমার ভায়রা ভাই বিপুল টাকার মালিক। তিনি লিল্লাহ বোর্ডিংএ প্রচুর দান করেন। একদিন তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হল। আমি জানতে চাইলাম, তিনি কেন লিল্লাহ বোর্ডিংএ দান করেন। তিনি বললেন, তিনি এতিম ছাত্রদের সাহায্য করতে চান। আমি বললাম, আপনি তো তাদের সর্বনাশ করছেন। তিনি জানতে চাইলেন, কিভাবে ? আমি বললাম, আপনি কি নিজের ছেলেকে ওই লিল্লাহ বোর্ডিংএর পড়তে দিবেন ? তিনি আমার কথা শুনে ক্ষেপে উঠলেন। তিনি বললেন, এই সব লিল্লাহ বোর্ডিং এ পড়ে আমার ছেলেরা কি সারা জীবন ভিক্ষা করে বেড়াবে ?

আমি বললাম, আপনার নিজের সন্তানকে যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াতে পারবেন না, সেই রকম প্রতিষ্ঠানে আরেকজনের সন্তানকে কেন পড়তে বলবেন ? এটা কি ন্যায্য আচরণ হল ?

বুঝতে পারলাম, তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন।

আমি আরও বললাম, তারচেয়ে বরং এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যেখানে এতিম ছাত্রদের সঙ্গে আপনার সন্তানও পড়াশোনা করতে পারবে। তারা এমন শিক্ষা গ্রহণ করবে, যেই শিক্ষার কল্যাণে তারা জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা পাবে। ভিক্ষা করে খেতে হবে না। মিলাদ পড়িয়ে, কোরান পড়ে বা মোয়াজ্জিনগিরি করে অপরের অনুগ্রহে তাদের জীবন কাটাতে হবে না।

আমার ভায়রা ভাই সম্মত হয়েছেন। আমরা এমন একটি এতিমখানা গড়ে তুলব, যেখানে এতিম ছাত্রছাত্রীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তারা নিজের পায়ে দাড়ানোর মতো শিক্ষা পাবে। তারা কখনও অপরের গলগ্রহ হয়ে জীবনযাপন করবে না।

মাদ্রাসা শিক্ষার নাম আমাদের দেশে যা চলছে এটা জঙ্গী তৈরি করছে। এটা ভিক্ষুক তৈরি করছে। এটা এমন একটা শ্রেণীর মানুষ তৈরি করছে যারা ধর্মান্ধ, গোয়ার এবং উগ্র। এই শিক্ষা ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি বন্ধ করা যায়, ততই ভালো।

আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি, যারা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ এবং ইসলামী দলের শীর্ষ নেতা, তারা তাদের সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ান, বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য ইউরোপ আমেরিকায় পাঠান। তারা যদি মাদ্রাসা শিক্ষাকে ভালো শিক্ষা বলে মনে করতেন, তাহলে নিজের সন্তানকে কেন পড়ান না ?



আমাদের সদকা বৃত্তান্ত :


আমার এলাকায় এক লোক আছেন, যিনি মসজিদের দান সংগ্রহ করেন। দান সংগ্রহ করার নিয়ম হল, একশত টাকা সংগ্রহ করতে পারলে তিনি ২৫ টাকা পান। অর্থাৎ মসজিদের দানে তার কমিশন হল ২৫%। সুতরাং তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাইক লাগিয়ে চিৎকার করে যাচ্ছেন, দিয়া যান ভাই, দিয়া যান। তিনি কখনও বাসে উঠে পড়েন। বাসযাত্রীদের কাছ থেকে মসজিদের নাম বলে দান গ্রহণ করেন। তিনি নানা মসজিদের জন্য কাজ করেছেন।

একদিন কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, যত বেশি মসজিদ হবে, ততই তার জন্য ভালো। এই জন্য তিনি মসজিদ করার উপযোগী জায়গা খুজে বেড়ান। রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, খেয়াঘাট, হাট-বাজার ইত্যাদিতে সরকারী খাস জায়গা পেলে তিনি একটা সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন। কেউ বাধা দেয় না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলে কেউ বাধা দেয়ার কথা চিন্তাও করে না। তারপর তার ২৫% করে কমিশন আয় চলতে থাকে।



এবার আমার সিদ্ধান্ত :

জঙ্গী জামাত শিবির তৈরির প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা, লিল্লাহ বোর্ডিং এবং মসজিদে যাকাত, ফেতরা, দান সদকা করব না। আমার টাকায় খেয়ে পড়ে তারা আমার সন্তানকে জবাই করবে এটা আমি মেনে নিতে পারি না। আমরা তাদের ভিক্ষা দিয়ে দিয়ে মোটাতাজা করে তুলেছি।তারা যা পড়ে, সেটা পড়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু করাও সম্ভব না। ফলে এই শিক্ষারও দরকার নাই। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে মাদ্রাসা নামে জঞ্জাল নাই। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশেও মাদ্রাসা নামে জঙ্গী তৈরির কারখানা নাই। যার ইসলাম সম্পর্কে জানার ইচ্ছা তারা ইসলামী ইউনিভার্সিটিতে পড়বে।

আমি সেই দানব, সেই ফ্রাইকেনস্টাইন তৈরি করতে রাজি না, যা আমার সন্তানের জীবন কেড়ে নেবে। আজ থেকে সকল যাকাত ফেতরা সদকা নামের সকল ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ।

এবার আপনি ভেবে দেখেন, আপনার সন্তানের গলায় যারা ছুরি চালাবে, তাদেরকে যাকাত ফেতরা সদকা দিয়ে মোটাতাজা করে তুলবেন ?

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: +++++++++

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

যা বলার বলবো বলেছেন: ----------------------------------------

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: দুই একটা মাদ্রাসা এবং দুইচার জন হজুর দিয়ে দেশের সব মাদ্রাসা বা হজুরদের এক পাল্লায় বিচার করা ঠিক না । এবং একজন থাবা বাবা বা আসিফ মহিউদ্দিনের দোহাই দিয়ে লাখ লাখে মানুষের আন্দোলকে নাস্তিকের আন্দোলন হিসাবেও জাহির করা ঠিকনা , শাহবাগের সব নাস্তিক হলে দেশের অর্ধেরও বেশি মানুষ নাস্তিক হবে , কারণ দেশের বেশির ভাগ মানুষ শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করে ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

নায়করাজ বলেছেন: আমি জানি সেটা। কিন্তু আজকে যারা তাণ্ডবে ছিলেন, তারা বেশির ভাগই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তাদের এই তাণ্ডব আমার চোখ খুলে দিয়েছে।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২

শৃংখল বলেছেন: ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ম্যাও পাগলা বলেছেন: Ek kothai osadharon

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: +

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

মাহিরাহি বলেছেন: মাদ্রাসা নামে জঞ্জাল নাই।

পৃথিবীর প্রথম ফর্মাল বিদ্যালয় কি ছিল জানেন?

মাদ্রাসা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

নায়করাজ বলেছেন: প্রমাণ দেন। পৃথিবীর কোথায় কোথায় মাদ্রাসা আছে প্রমাণসহ জানান।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২

নায়করাজ বলেছেন: আপনে নিজেই দেখেন পৃথিবীর শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসা কোথায় আছে ।

Click This Link

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

সৌরভ ওয়াহিদ বলেছেন: যাকাত ফেতরা সদকা আপনি বন্দ না করে এই সব জায়গায় আর দিয়েন না । আপনি যাকাত ফেতরা সদকা যদি কোনো এতিম গরীব পরিবার বা কোনো বাক্তিকে দান করেন তাহলে তার উপকার হয় ............... যাকাত ফেতরা সদকা আদায় করতে হবে যাকে দিবেন শুধু এটুকু খেয়াল রাখবেন সে যেনো তার ভালো কাজে লাগায় কনো অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে ..................

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০

নায়করাজ বলেছেন: একেবারে সঠিক কথাটি বলেছেন। কাকে দিচ্ছি আগে জেনে নিতে হবে।

আর ভিক্ষুক তৈরির এই শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার কি না সেটা ভেবে দেখা দরকার। যারা মনে করেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার, তারা আগে নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় দেন, তারপর কথা বলেন।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২

মহাজাগতিক মুসাফির বলেছেন:
খুবই কষ্ট হয়েছে লিখতে। কিন্ত আফসোস জাতির কোন কাজে আসবে না।
চুল আছে কিনা জানি না। যদি থাকে তাহলে ঠান্ডা তেল দিয়ে ঘুমান। অন্যথয়---------

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

নায়করাজ বলেছেন: মুসাফিরদের কাজে নাও আসতে পারে। কিন্তু অনেকের কাজে আসবে।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

মশামামা বলেছেন: লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: দুই একটা মাদ্রাসা এবং দুইচার জন হজুর দিয়ে দেশের সব মাদ্রাসা বা হজুরদের এক পাল্লায় বিচার করা ঠিক না । এবং একজন থাবা বাবা বা আসিফ মহিউদ্দিনের দোহাই দিয়ে লাখ লাখে মানুষের আন্দোলকে নাস্তিকের আন্দোলন হিসাবেও জাহির করা ঠিকনা , শাহবাগের সব নাস্তিক হলে দেশের অর্ধেরও বেশি মানুষ নাস্তিক হবে , কারণ দেশের বেশির ভাগ মানুষ শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করে । -সহমত

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

নায়করাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি জানি সেটা। কিন্তু আজকে যারা তাণ্ডবে ছিলেন, তারা বেশির ভাগই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তাদের এই তাণ্ডব আমার চোখ খুলে দিয়েছে।

১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

ইলুসন বলেছেন: ভাই ছাগুরা যেমন ব্লগারদের নাস্তিক বলে জেনারালাইজড করে তেমনি আপনি সব মাদ্রাসা আর মসজিদকে এক করে ফেলেছেন, এটা তো ঠিক না।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

নায়করাজ বলেছেন: আমি বলিনি সবাই এক। মাদ্রাসায় বহু ভালো মানুষ আছেন। আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো বলেছি মাত্র ।

আজকের তাণ্ডবে যারা ছিল, তাদের বেশিরভাগই মাদ্রাসা শিক্ষিত লোকজন। এরা যে কী ভয়ংকর হয়, আজ সামনে থেকে দেখলাম।

১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: হাটে হাড়ি ভেঙ্গেছেন ভীমরুল ছুটে আসবে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

নায়করাজ বলেছেন: অনেক ভীমরুলই আসছে দেখলাম।

১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১

িলয়া বলেছেন: Lekhok apnar dharonay kisuta vul ache...jakat fetra ba sadka Dan noy.....borong jara egulu nichche tara jara egulu deyar samortho rakhe tader upokar korse....apnar sompod k halal korar jonno tader kasei borong binoyi hote hobe....tone jai hok kono kisur namei sohingshota islam somorthon korena.

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

নায়করাজ বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন। বিনয় হচ্ছে আচরণের সৌন্দর্য।

আজকে যারা তাণ্ডব করল, মসজিদের কার্পেট পুড়াল, মসজিদের গেটে লাথি চালাল, শহীদ মিনারে হামলা করল, জাতীয় পতাকা ছিড়ল, তারা কি বিনয়ী ?

১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: কওমী মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির মাধ্যমে আলেমগণের সরকারী চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টির জন্য "কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন" গঠন করা হয়েছে । তাদের নিজের যোগ্যতা আছে । তারা আপনার কাছে ভিক্ষা চায় না ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

নায়করাজ বলেছেন: এরা কি কাজ জানে ? করার মতো কিছু জানে কি ? এদেরকে চাকুরি দিয়ে কে মাইর খাবে ? এরা হল অলস, কর্মবিমুখ এবং বদ রাগী। এদের যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরি হবে, সেই প্রতিষ্ঠান ডুবে যাবে।

১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০

মামুন হিমু বলেছেন: রোকসানা লেইস বলেছেন: হাটে হাড়ি ভেঙ্গেছেনভীমরুল ছুটে আসবে:-D:-D

১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১

মুসাই বলেছেন: লেখকের সাথে একমত নই

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

নায়করাজ বলেছেন: আপনার ভিন্নমতকে স্বাগত জানাই।

১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৩

যা বলার বলবো বলেছেন: Too much stereotype writing. Exception is not an example.
বিশবজিতেরে কোন জংগি কোপাইছিলো ?

@রোকসানা, শুন্য হাড়ি বাজে বেশি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬

নায়করাজ বলেছেন: আমি নাদান মানুষ। কম বুঝি।

আমার দান সদকা ওরা আর পাবে না। ওরা জঙ্গী, ওরা সন্ত্রাসী।

১৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫

পিপিলিকা০০৭ বলেছেন: Suorer bacca keno srampodaik danga sristi kortesos. Atim ra vikkuk na tui shala vikkuk.

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯

নায়করাজ বলেছেন: আমার দান সদকা আমি দেব না, সেটা বললে আপনি আমাকে গালাগালি করবেন, এটা কি ঠিক হল ?

১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

কিংব্লগার বলেছেন: এই টাকা গুলো কে দিয়েছে আপনাকে ? ভ্রান্ত পোস্ট

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

নায়করাজ বলেছেন: আমি গরীব মানুষ। সামান্য কিছু রোজগার করি। নামাজ কালাম পড়ি। সামান্য কিছু দান সদকাও করি।

তবে আজ স্বচক্ষে তাণ্ডব দেখার পর থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর দান সদকা করব না। এই সন্ত্রাসীদের আর টাকা দেব না।

২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২

মাহিরাহি বলেছেন: Under the Ottoman Empire, the towns of Bursa and Edirne became major centers of learning.[citation needed]

In the 15th and 16th centuries, the town of Timbuktu in the West African nation of Mali became an Islamic centre of learning with students coming from as far away as the Middle East. The town was home to the prestigious Sankore University and other madrasas. The primary focus of these schools was the teaching of the Qur'an, although broader instruction in fields such as logic, astronomy, and history also took place. Over time, there was a great accumulation of manuscripts in the area and an estimated 100,000 or more manuscripts, some of them dated from pre-Islamic times and 12th century, are kept by the great families from the town.[53] T

আপনার দেয়া লিংকে গিয়া পাইলাম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

নায়করাজ বলেছেন: পৃথিবীর প্রথম ফর্মাল বিদ্যালয় কি ছিল জানেন?

মাদ্রাসা।

..........................................................................
আপনার এই মন্তব্যের সপক্ষে তো কিছু পাইলাম না। ইসলাম আসার পূর্বেও পৃথিবীতে ফর্মাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। গ্রীকে ছিল, মিশরে ছিল, ভারত বর্ষে ছিল, চায়নায় ছিল। আপনার দাবী তো ঠিক না।

২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মাহিরাহি বলেছেন: http://en.wikipedia.org/wiki/School

Islam was another culture that developed a school system in the modern sense of the word. Emphasis was put on knowledge, which required a systematic way of teaching and spreading knowledge, and purpose-built structures. At first, mosques combined both religious performance and learning activities, but by the 9th century, the Madrassa was introduced, a proper school that was built independently from the mosque. They were also the first to make the Madrassa system a public domain under the control of the Caliph. The Nizamiyya madrasa is considered by consensus of scholars to be the earliest surviving school, built towards 1066 AD by Emir Nizam Al-Mulk.[citation needed]

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

নায়করাজ বলেছেন: পৃথিবীর প্রথম ফর্মাল বিদ্যালয় কি ছিল জানেন?

মাদ্রাসা।
...................................................................
এখানেও তো আপনার মন্তব্যের সপক্ষে কিছু পেলাম না। আরেকটু খোঁজেন।

২২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

অভি৯১৭৫ বলেছেন: আসল জায়গায় হাত দিয়েছেন!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

নায়করাজ বলেছেন: আর উপায় নাই। আমার দান সদকা ওদের আর দিচ্ছি না।

২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

যাযাবরমন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার দান সদকা ওদের আর দিচ্ছি না।

খুব ভাল।

রিজিকের মালিক আল্লাহ। যতক্ষণ ওদের (যারা এতিম-মিস্কিন) রিজিক আছে ততক্ষণ আল্লাহই তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করবেন।
আপনি ওদের দেন, এই উসিলায় আল্লাহও আপনাকে দেন। এখন ওদের দেয়া বন্ধ করলে আল্লাহ আপনার রিজিকের কি ব্যবস্থা করবেন তা আল্লাহই ভাল জানেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.