![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোটের সাম্প্রতিক তাণ্ডব আমাদের এই গর্বকে ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা ক্রমশ একটা হিংস্র সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত হচ্ছি। এই ভয়ংকর হিংস্রতা ইসলাম সমর্থন করে না, গণতন্ত্র সমর্থন করে না, সভ্যতা সমর্থন করে না, কোন আইন সমর্থন করে না - অথচ খালেদা জিয়া এই হিংস্রতার বিরুদ্ধে কিছু না বলে প্রকারান্তরে এই হিংস্রতাকে জায়েজ করে দিলেন।
সাঈদির রায়ের সঙ্গে হিন্দু বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোন সম্পর্ক নাই। রায় হয়েছে একজন যুদ্ধাপরাধীর আর শিবিরের আক্রোশ গিয়ে পড়লো হিন্দুদের উপর । তারা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বলি। এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি জামায়াত শিবিরের প্রধানতম অস্ত্র। এই হিংস্রতাকে তারা ইসলাম বলে চালিয়ে দিতে চাইছে। এই হিংস্র নাশকতাকে তারা জেহাদ বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে।
গত বৃহস্পতিবার গাইবান্ধায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনে হামলা চালায় এবং পরে বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জামায়াত-শিবির কর্মীদের মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে হামলায় এবং শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
এই রায়ের পরপরই বেগমগঞ্জের রায়গঞ্জ বাজারে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। ওই মিছিল থেকে রাজগঞ্জ বাজারের মন্দির, ঠাকুর বাড়ির সামনের মন্দির ও বাইন্নাবাড়ির মন্দির ভাংচুর হয় বলে বেগমগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মন্দির ভাংচুরের পর তারা ভূঁইয়া বাড়ি ও বণিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এই হামলায় নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরকর্মীদের গোলাগুলিতে লিটন নামে এক পথচারী নিহত হন।
অন্য দিকে বাগেরহাট মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ওই মন্দিরে শনিবার সকালে আগুন দেয়া হয় ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং মন্দিরে হামলা করে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তারা বিশ্বের কাছে আমাদের দেশকে একটা জঙ্গী এবং সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চায়। তারা চায় গায়ের জোরে মানুষকে তাদের দলভুক্ত করতে। তারা তাদের দলের বাইরের মুসলমানদের কাফের, মুরতাদ এবং নাস্তিক মনে করে ।
জামাত শিবিরের সন্ত্রাস, হিংস্রতা, নাশকতা ও তাণ্ডবকে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া দেখতে পান না। তিনি চান, পুলিশ ফাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার পরও পুলিশ বসে বসে আঙ্গুল চুষুক। বাস্তবে আক্রান্ত হলে কেউ বসে বসে আঙ্গুল চোষে না। জামাত শিবির পুলিশের উপর একের পর এক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। তাদের টার্গেট হল পুলিশ পেটানো। সুতরাং হিংস্রতা, তাণ্ডব ও নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ বাহিনীর গুলি চালানোটা ফরজ হয়ে পড়েছে। তারা উচিত কাজটাই করেছে। গুলি চালানো ছাড়া পুলিশের সামনে আর কোন বিকল্প নাই। পুলিশও মানুষ। তাদেরও আত্মরক্ষা করার অধিকার আছে।
খালেদা জিয়া জামাত শিবিরকে গুলি করে মারায় দুঃখ পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণহত্যা চলছে। তিনি গণহত্যার সংজ্ঞাই বদলে ফেলেছেন। তাণ্ডব ও নাশকতার যারা চালাচ্ছে তাদের গুলি করে মেরে ফেলা খুবই জায়েজ।
যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জামাত শিবিরকে বিএনপি সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাসদের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশের প্রথম সামরিক শাষক হিসেবে শপথ গ্রহণকারী জেনারেল জিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ বাতিল করেন ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫-এ এবং বিএনপি গঠিত হয় এই সব মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে (৭৩ এ সাধারণ ক্ষমা প্রাপ্ত ২৬ হাজার+১১ হাজার বিচারাধীন)। সুতরাং এই দলটি পরবর্তীতে রাজাকারদের পুনর্বাসিত করবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। বাস্তবে তাই হয়েছে।
০১) বিএনপি প্রথম নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাতকে রাজনীতি করার অনুমতি দিয়েছে।
০২) জামাতের মুল হোতা কুখ্যাত রাজাকার নেতা গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়েছে বিএনপি।
০৩) যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গণআদালত করেন। গণআদালত করার দায়ে শহীদ জননীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করেছিল বিএনপি।
০৪) সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান শাহ আজিজুর রহমান নামে এক কুখ্যাত রাজাকারকে তার মন্ত্রীসভায় প্রধান মন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন।
০৫) বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আবদুর রহমান বিশ্বাস নামে এক রাজাকারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে আমাদের কলংকিত করেছে।
০৬) রাজাকার নেতা ও যুদ্ধাপরাধী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
০৭) এখন যখন জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবীতে আন্দোলন চলছে, তখনও বিএনপি জামাতকে কোলে নিয়ে বসে আছে।
জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মান্ধ, উগ্র জঙ্গী মৌলবাদী ধর্ম ব্যবসায়ী দলকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার কুফল আমরা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। মওদুদী প্রতিষ্ঠিত এই রাজনৈতিক দলটি তাদের মূল দেশ পাকিস্তানে কখনই ভালোভাবে ভোট পায় নি, রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া তো দূরের কথা। কোন বিবেকবান সভ্য নাগরিক এই ধরনের উগ্র হিংস্র নাশকতামূলক রাজনীতিকে সমর্থন করতে পারে না।
সুতরাং এই ধরনের উগ্র জঙ্গী মৌলবাদীদের এই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ এবং সকল সংগঠন থেকে বয়কট এবং বহিষ্কার করতে হবে। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন বিকল্প নাই।
বিঃদ্রঃ উপরের অনেকগুলো শব্দে লিংক দেয়া আছে । যারা বিস্তারিত জানতে চান, তারা সেগুলোতে ক্লিক করে সেই বিষয়ে ইউকি পেজএ যেতে পারেন।
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১
নায়করাজ বলেছেন: দুর মিয়া, একই মন্তব্য সব জায়গায় কইরা কী করতে চান ?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
গধযনঁন বলেছেন: পুলিশ রাজিবের খুনীদের গ্রেফতার করেছে! অভিনন্দন!!
আফসোস এরা এক বছরেও সাগর-রুনী'র হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারলো না, আমিনুলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারলো না, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধার করতে পারলো না, চৌধুরী আলমকে উদ্ধার করতে পারলো না। ছবি দিয়ে সনাক্ত করিয়ে দেবার পরও বিশ্বজিতের খুনীদের গ্রেফতার করতে পারলো না। বড় আফসোস!