নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নায়করাজ

নায়করাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তখন তুমি নিশ্চুপ ছিলে, তাই এখন তুমি একা অসহায়

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

প্রথমে তারা পুলিশের উপর চড়াও হলো - অস্ত্র লুট করে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশদের পিটিয়ে মারলো, মৃত্যু নিশ্চিত করতে খুন্তি ঢুকিয়ে দিলো মাথায়। তুমি ভ্রুক্ষেপও করোনি কারণ তুমি তো আর পুলিশ নও- তোমার পরিবারে পুলিশও নেই।



তারপর তারা কুপিয়ে হত্যা করলো একের পর এক রাজনৈতিক কর্মীকে। তুমি নিশ্চুপ ছিলে, কারণ তুমি রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক সচেতন নও।



এরপর তারা হিন্দুদের বাড়ীতে আগুন দিলো, সহস্রাধিক হিন্দু গৃহহারা হলো, মন্দির ধ্বংস হলো, মারা গেলো অনেকেই। তুমি চুপ ছিলে, কারণ তুমি হিন্দু নও।



এবার তারা ছিঁড়লো দেশের পতাকা, ভাঙলো শহিদ মিনার, গুঁড়িয়ে দিতে লাগলো মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে গড়া ভাস্কর্য আর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসংসদগুলো। 'মুক্তিযুদ্ধ? সেতো বহু পুরনো কথা', এই বলে এড়িয়ে গেলে তুমি।



অতঃপর তারা এলো চাপাইনবাব গঞ্জের পল্লী বিদ্যুত কোয়ার্টারে। আটচল্লিশটি মুসলমান পরিবারকে ঘরের ভেতরে আটকে আগুন দিলো মারার জন্য। সন্তানকে বাঁচাতে দুতলা ভবন থেকে ফেলে দিলো বাবা-মা। এক কাপড়ে বেরিয়ে এসে কোনো ভাবে জীবন বাঁচালো মানুষগুলো। তুমি এখনো উদ্বিগ্ন নও কারণ তুমি সেখানে ছিলেনা।



এভাবে তারা একের পর আগুন দিতে থাকলো ট্রেন আর বাসে, ভেঙ্গে দিতে লাগলো, মারা যেতে লাগলো একের পর এক নিরীহ পথযাত্রী, তারাও মুসলিম। এবার তুমি খানিকটা বিরক্ত। কারণ তুমি নিজের কর্মক্ষেত্রে যেতে পারছোনা, বান্ধবীকে নিয়ে বিকেলে ঘুরতে পারছো না। ধুত্তোর বলে আবার নির্বিকারে ফেসবুকে বসলে তুমি।



সবশেষে? এরপর একদিন তারা এলো তোমার বাড়িতে। কারণ তুমি জামায়াত নও,

তুমি শিবির নও। তুমি তাদের সাথে হত্যা যজ্ঞে যোগ দাওনি। তোমারে চোখের সামনে সম্ভ্রমহানী করা হলো তোমার স্নেহের প্রিয় ছোট বোনকে, তোমার মমতাময়ী মাকে। প্রিয় পিতাকে করা হলো নির্মম অত্যাচার। পাগলের মত তুমি চীৎকার করে যেতে লাগলে সাহায্যের জন্য, তাদের একটু করুণার জন্য। কিন্তু হায়! নিয়তির কী নির্মম পরিহাস! আজ তোমাকে সাহায্য করবার কেউ নেই, কারণ এতদিন তুমি জামায়াত-শিবিরের এই তান্ডবে নিশ্চুপ ছিলে, আর এই সুযোগে তারা হত্যা করেছে একে একে সকলকে। আজ তুমি অসহায়! বড় অসহায়!!



ফেসবুক থেকে সংগৃহীত



https://www.facebook.com/Muktijuddhergolpo

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৩

আল মাসুদ বলেছেন: আবেগময়ী লেখা। ২০০৮ সাল থেকে এযাবত যাদের গুম করা হলো, হত্যা করা হলো। কোন কারণ ছাড়া বিরোধীদলের সদস্যদের কারাগারে দেওয়া হলো। বিশেষ করে জামায়াত শিবিরদের। রাবিতে ফারুক হত্যার নাটক হলো। সারা বাংলাদেশে চিরুনী অভিযান হলো। সাধারণ ছাত্রদেরকে তল্লাশীর নামে হেনস্তা করা হলো।জামায়াত-শিবির পিছে হঠতে হঠতে দেওয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গেল। তখনই নিজেদের শতাধিক তাজা লাশ দিয়ে প্রতিরোধ করতে শুরু করলো। তখন মিডিয়ার ও সুশীলদের মায়া কান্না শুরু হলো। বাংলাদেশে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গণে ও রাজপথে পুলিশি তত্ত্বাবধানে ছাত্রলীগ বিরোধীদের উপর আক্রমন করে, বিশ্বজিতকে যখন প্রকাশ্যে দিবালোকে সশস্ত্র ছাত্রলীগ ক্যাডাররা কুপিয়ে হত্যা করলো। পুলিশ তখন নিরব দর্শক ছিল। আর বাংলাদেশে যখন মহাজাগরণ শুরু হয়েছে, অসহায় পুলিশের পাশে যে কেউ নেই এটা তাদের নিয়তি, তাদের ভাগ্য। শিবির! তাদের যারা নিহত হলো তাদের পরিবারেওতো কান্না আছে। তোমরা এখনো যারা বধির আছ তাদের কানে কি কান্না পৌছে না?

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০০

নায়করাজ বলেছেন: স্বাধীনতা বিরোধী মওদুদী হিংস্র মতবাদের জামাত শিবির এই দেশে দরকার নাই। এটা এই দেশের রাজনৈতিক দল না। এটার হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানের লাহোর।

http://en.wikipedia.org/wiki/Jamaat-e-Islami

যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, তাদের এই দেশে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকাটাই স্বাভাবিক। নিষিদ্ধ তো ছিলই। জিয়াউর রহমান তাদের রাজনীতি বৈধ না করলে তারা আজ্ও নিষিদ্ধই থাকত।

জামায়াতে ইসলাম কোন ইসলামী দল না। এটা মওদুদীবাদে বিশ্বাসী। মওদুদীবাদ আর ইসলাম এক নয়।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: ভাল পুস্টে ভাল সাড়া চাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.