![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আট কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন, যারা ১০ আলেমকে হত্যার জন্য তালিকা তৈরি করেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
সোমবার দুপুরে মুরাদপুর বিবির হাট সংলগ্ন জামেয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে এক শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আলেমদের হত্যা করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা তারা স্বীকার করেছেন।”
তাদের কাছে ১০ জন আলেমের নামের একটি তালিকা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
তারা হলেন- জামেয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জালালউদ্দিন আল কাদেরী, উপাধ্যক্ষ ছগির আহমেদ ওসমানী, শায়খুল হাদীস ওবায়দুল হক নঈমী, মোহাদ্দেস আশরাফুজ্জামান কাদেরী, ফকিহ ওসিউর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম নুরী, ফকিহ আবদুল ওয়াজেদ, মুফতি ইউনূস, মাওলানা তাওহিদ ও পাহাড়তলীর নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন জুবায়ের।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর আট ব্লগারকে হত্যার একটি পরিকল্পনা উদ্ঘাটন হয়েছে, যার পেছনেও শিবিরের এক নেতা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে বিবির হাটের মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় মাহমুদুল হাসান নামে এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়।
ওসি প্রদীপ দাশ বলেন, “সে ওই এলাকায় গিয়ে মাদ্রাসার মোহাদ্দেস ওবায়দুল হক নঈমীর বাসা খোঁজার সময় স্থানীয় লোকজন ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।”
হাসানের কাছে ওই ১০ আলেমের নামের একটি তালিকা পাওয়া যায় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, “হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আলেমদের হত্যার বিষয়টি জানা যায় এবং তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকা থেকে আরো সাত শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিভিন্ন ওয়াজ নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য দেয়ায় ওই আলেমদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “কালামিয়া বাজারে আবদুর রহমানের বাসায় এই আলেমদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী তাদের বাসা এবং অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নিতেই হাসানকে মুরাদপুরে পাঠানো হয়।”
গ্রেপ্তার বাকি সাতজন হলেন- রেজাউল করিম, আবদুর রহমান বিশ্বাস, ওসমান গণি, আরিফুর রহমান, মো. ইউনূস, আশরাফ উল্লাহ ও জমির উদ্দিন।
শায়খুল হাদীস ওবায়দুল হক নঈমী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসানকে মাদ্রাসার লোকজন ধরে পুলিশে দিয়েছে। এখন তারাই ব্যবস্থা নেবে।”
আটক শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার এসআই পারভেজ।
এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুন্নী আলেমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল সংস্থা (ওএসি)।
খবর এখানে : Click This Link
জামাত শিবির এমন একটি দল যারা তাদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য নিজের মাকে ধর্ষণ করতে পারবে।
সুতরাং এদের থেকে সাবধান হোন আলেম সমাজ। যে কোন সময় প্রাণ হারাতে পারেন।
এরা কোন ইসলামী দল না, এরা মওদুদীবাদে বিশ্বাস। মওদুদীবাদ ইসলাম নয়।
সরকারের প্রতি অনুরোধ, অবিলম্বে জামাত শিবির নিষিদ্ধ করুন। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এদের নির্মূল করুন। পাগলা কুত্তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা ছাড়া আর কোন পথ নাই।
©somewhere in net ltd.