![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগের ১৬ জন সমর্থককে ধরে মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে 'মুসলমান' করা হয়েছে। বলা হয়েছে, 'এরা আওয়ামী লীগ দলের সমর্থক হওয়ায় এদের মুসলমান বলা যাবে না, তাই তওবা পড়িয়ে তাদের মুসলমান করা হলো। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জামায়াতে ইসলামী দলকে সমর্থন করার জন্য ওয়াদাও করানো হয়েছে।' এ ঘটনা ঘটেছে গত রবি ও সোমবার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জামায়াত অধ্যুষিত এক গ্রামে।
জানা গেছে, পাঁচবিবির প্রত্যন্ত পল্লী ভাড়াহুত গ্রামের মাতবর বিএনপি সমর্থক আব্দুর রহিম ও আব্দুল মালেক মাস্টার এবং জামায়াত সমর্থক সিদ্দিক ও আশরাফের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁরা ওই গ্রামেরই আওয়ামী লীগ সমর্থক কাদের, কুদ্দুস, গোলাম, ইয়াছিন, হাসান, নুরুন্নবী, আজিজুল হকসহ ১৬ জনকে গত রবি ও সোমবার দুই দফায় মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে 'মুসলমান' করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েক দিনের সহিংসতার সময় জামায়াতের পক্ষ থেকে গ্রামে ছড়ানো হয়, যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করে তাদের আর মুসলমান বলা যাবে না। তারা মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে গেছে। কাজেই তাদের মুসলমান হতে হলে মসজিদে তওবা করতে হবে। এরপর পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক গ্রামের কাদের, কুদ্দুস, গোলাম, ইয়াছিন, হাসান, নুরুন্নবী ও আজিজুল হকসহ ১১ জনকে রবিবার এবং পাঁচজনকে সোমবার ফজরের নামাজের পর থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওজু করিয়ে ভাড়াহুত জামে মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াত নেতা (এলাকায় রাজাকার হিসেবে পরিচিত) জফির উদ্দিন ও পাশের জাবেকপুর মসজিদের ঈমাম ময়েজ উদ্দিন তাদের তওবা পড়ান। এ সময় আ. খালেক নামের গ্রামের মাতবরও উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে সেখানে তাদের ওয়াদা করানো হয় এই বলে যে 'আমরা প্রতিজ্ঞাপূর্বক ওয়াদা করিতেছি যে, আমরা আওয়ামী লীগ করায় অমুসলিম ছিলাম, বর্তমানে জামায়াত দলের সাথে থাকার ওয়াদা করে মুসলমান হচ্ছি। আওয়ামী লীগ যে করে সে ইহুদি। আমরা কোনোদিন ওয়াদার বরখেলাপ করলে আবার অমুসলিম হয়ে যাব। আমিন।' এরপর দোয়া করে তওবা পাঠ করানো হয়।
এ সময় গ্রামের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নাম না বলার শর্তে তওবাকারী কয়েকজন জানান, ওই গ্রামের বকুল নামের এক যুবক তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে গ্রামের সবার সামনে তাকে ভুল স্বীকার করে মাফ চাইতে হয়। এ সময় অপমান সইতে না পেরে সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রামের একটি সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মসজিদে আবু জার গিফারী নামের স্থানীয় মাদ্রাসার এক ছাত্র ইমামতি করে। সেখানে নামাজ শেষে প্রায়ই গ্রামের ওই তিনজন মাতবরসহ ১০ জন গোপনে বৈঠক করেন। তাঁদের কথার বরখেলাপ করার ক্ষমতা ওই গ্রামে কারো নেই। সূত্রটি জানায়, জফির উদ্দিন স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত হলেও ধনী ও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাঁকে রাজাকার বলতে সাহস পায় না।
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম সেলিম এ ব্যাপারে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তওবা পড়ানোর জন্য ওই গ্রামের ছেলেদের প্রস্তাব দেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আমিও শুনেছি।'
গত বৃহস্পতিবার সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর এলাকায় জামায়াত-শিবির তাণ্ডব শুরু করে। তারই জের ধরে তাদের ওপর এই খবরদারি করে গ্রামের জামায়াত-বিএনপির ওইসব নেতা। তাঁদের কথা না শুনলে বাড়ি-ঘর ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এটা একটা কপি/পেস্ট পোস্ট। মূল লেখা এখানে : Click This Link
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
খাটাস বলেছেন:
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
শাহেদ চট্রগ্রাম বলেছেন: আবার ৭১
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
রশিক রশীদ বলেছেন: আবার ৭১