নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নায়করাজ

নায়করাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ংকর খবর : বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের গুলিতেই মানুষ মারা গেছে

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

বগুড়ায় গত রোববার তাণ্ডব চলাকালে সাধারণ মানুষের নিহতের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরাই দায়ী বলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দাবি করেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বাইরে থেকে আনা প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করেন। এদের হাতে ছিল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। হামলার সময় পুলিশ যখন রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে, তখন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মিছিলে থাকা নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে সটকে পড়ে। পরে হত্যার দায় চাপায় পুলিশের ওপর।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোজামেঞ্চল হক বলেন, ‘তাণ্ডবের সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। কোথাও কোথাও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এই গুলিতে কারও প্রাণহানির কথা নয়। অথচ প্রতিটি ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে নিরীহ মানুষের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়। এতে পুলিশও হতবাক।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, তাণ্ডবে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশও জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়। তাণ্ডব চলাকালে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রেও আগুন দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা ছিল সশস্ত্র ও প্রশিক্ষিত। সব অচেনা মুখ। সম্ভবত অন্য জেলা থেকে এদের ভাড়া করে আনে হামলাকারীরা। তাদের হাতে অস্ত্র ও পেট্রল ছিল।

র‌্যাব-১২-এর কর্মকর্তা জামিল আহমেঞ্চদ বলেন, হামলাকারীরা প্রশিক্ষিত ছিল, এটা নিশ্চিত। তারা কারা ছিল, তাদের সঙ্গে আরও কারা ছিল, তা তদন্তের বিষয়।

তবে ছাত্রশিবির বগুড়া জেলা শাখার মুখপাত্র ও সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান দাবি করেছেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়া গুজব বা সত্যি যা-ই হোক, এর পর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও তাঁর ভক্তরা একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে মিছিল করেছে। পুলিশ এসব মিছিলে গুলি চালালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। এই হামলার সঙ্গে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। রোববারের সহিংতায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী ও অন্যরা মুসল্লি বলেও তিনি দাবি করেন।

এদিকে ওই দিন জেলার বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, উপজেলা পরিষদ, বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে জামায়াত-শিবির কর্মীদের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মূল লক্ষ্য পুলিশ হত্যা ও লুটপাট ছিল বলেও দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ভোররাতে তিনটি থানা ও সাতটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালান জামায়াত-শিবির কর্মীরা।

পুলিশ সুপার বলেন, তিনটি থানা ও সাতটি ফাঁড়িতে দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। হরতালে পুলিশের দায়িত্ব পালনের কথা ছিল ভোর পাঁচটা থেকে। কিন্তু তার আগেই জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে একযোগে এসব থানা ও ফাঁড়িতে ঘুমন্ত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। কয়েকটি ফাঁড়িতে পুলিশের বেতনের টাকা ছিল, তা-ও লুট করে। পুড়িয়ে দেয় অপরাধীদের তালিকা, মামলার নথিসহ সবকিছু। অস্ত্রাগার লুণ্ঠনেরও চেষ্টা করেছে তারা। হামলাকারীরা শহরের দুটি কুরিয়ার সার্ভিস অফিস ও এটিএম বুথে হামলা চালিয়ে কোটি টাকা লুট করেছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশের কাছেও অস্ত্র ছিল। কিন্তু পুলিশ গুলি চালালে শত শত মানুষ মারা যেত। আবার আত্মরক্ষা না করলে মারা যেত অন্তত ২০০ পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, থানা-ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে পুলিশকে হত্যা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালানোই ছিল হামলাকারীদের মূল উদ্দেশ্য। র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী সহায়তা না করলে ওই দিন বগুড়াকে তারা বিরানভূমি বানিয়ে ছাড়ত।

পুলিশ সূত্র জানায়, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম ও সদর থানা এবং ফুলবাড়ী, নারুলী, উপশহর, কৈগাড়ি, স্টেডিয়াম, সদর ও মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়িতে একযোগে হামলা চালায়।

জেলার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মিলাদুন্নবী বলেন, ‘ধর ধর ধর পুলিশ ধর, ধরে বের করে জবাই কর’—এমন স্লোগান দিতে দিতে ওই দিন ভোররাতে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ফাঁড়ির সামনে থাকা সাতটি মোটরসাইকেল ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে ফাঁড়ির ভেতর ঢুকে ১৫ পুলিশকে পুড়িয়ে মারতে পেট্রল ছিটাতে থাকে। জীবন বাঁচাতে পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। হামলাকারীদের বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপের মুখে তাঁরা একসময় ফাঁড়ির পেছনের প্রাচীর টপকে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন।

শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিয়ার রহমান বলেন, ‘হামলার পর পেট্রল ছিটিয়ে দেয় তারা। শুধু আগুন ধরিয়ে দিলেই ৪০-৪৫ জন পুলিশ মারা যেত। প্রাণ বাঁচাতে আমরা ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকি। সেনানিবাস থেকে সেনারা এগিয়ে না এলে নিশ্চিত মারা পড়তাম।’

ওদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে নারকীয় তাণ্ডবের পর ভেঙে পড়েছে উপজেলার সরকারি সব দপ্তরের কাজ। নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিব আহসান বলেন, জামায়াত-শিবির কর্মীদের দফায় দফায় হামলা ও অগ্নিসংযোগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের পাঁচটি, ইউএনও কার্যালয়ের চারটি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দুটি, উপজেলা প্রকৌশলীর পাঁচটি, কৃষি অফিসের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের পাঁচটি, পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের চারটি, সমবায় কার্যালয়ের দুটি, আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ের দুটি, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন কার্যালয়ের চারটি, মৎস্য অফিসের দুটি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দুটি, পরিসংখ্যান অফিসের একটি কক্ষের আসবাবপত্র, নথি, কম্পিউটার ভসঞ্চীভূত হয়েছে।

ইউএনও বলেন, অফিসগুলোতে থাকা চারটি মোটরসাইকেল, ১২টি কম্পিউটার, চারটি ফটোস্ট্যাট মেশিন, ফ্যানসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ পুড়ে গেছে। সরকারি দুটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মীর শহীদুল ইসলাম ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ নন্দীগ্রামে আসেন। তাঁরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের অবস্থা দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন।



এটা একটা কপি/পেস্ট পোস্ট। মূল লেখা এখানে : Click This Link

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

পিওর গাধা বলেছেন: ওহ !! দৈনিক হলুদ আলো

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বগুড়ার মাদ্রাসাটির জামায়াত-শিবির সমর্থক ছাত্ররা টিপুকে ধরে পুলিশে দিয়েছ?
জামায়াত-শিবির তাকে ধরে পুলিশে দিল?

যে জামায়াত-শিবির বগুড়ায় তার আগের দিন পুলিশ মাইরা তান্ডোব চালাইল!
এখন সুবোধ বালকের মত একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিল! তাও মাদ্রাসা থেকে!

এখন পুলিশ তাদের বন্ধু হয়েগেল?

এইসব আবর্জনা নিয়ে আবার পত্রিকায় লিখে?

দিন দুপুরে সাদা-হলদে চক্রান্ত!
জামাতিদের সাদা করার জন্য কত না কষ্ট!

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

আহলান বলেছেন: পুলিশ বলবে যে ওদের গুলিতে মরছে? পাচ তালার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা আহত কিশোরের ব্যপারেও পুলিশ বলেছে সে ককটেলে আক্রান্ত হয়েছে। এখন এত উপরে ককটেলের স্প্লিন্টার কিভাবে গেলো সেটা জানতে চাইলে পুলিশ কোন জবাব দেয় নাই .... তার শরীর থেকে গুলির স্প্লিন্টারই বের করা হয়েছে যা পুলিশ কর্তৃক ছোড়া হয়েছে ....

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

samolbangla09 বলেছেন: গত ৩/৪ দিন হলো হাসতে ভুলে গেছলাম। এই খবর পড়ে খুবই হাসি পাচ্ছে কিন্তু কেন জানি হাসতে পারছি না। দু:খিত।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: B:-) B:-)

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

খাটাস বলেছেন: ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও তাঁর ভক্তরা একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে মিছিল করেছে। আবার নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী। পদ প্রাপ্ত ছাগুর B:-/ B:-/ B:-/ নিজ মুখেই দুই কথা।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

রঁমাকান্তকামারঁ বলেছেন: ওহ !! দৈনিক হলুদ আলো

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

িট.িমম বলেছেন: পিওর গাধা বলেছেন: ওহ !! দৈনিক হলুদ আলো

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

পথহারা সৈকত বলেছেন: িট.িমম বলেছেন: পিওর গাধা বলেছেন: ওহ !! দৈনিক হলুদ আলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.