![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনার রাষ্ট্র তৈরি করার পর সেই রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান প্রণয়ন করেন। সেই সংবিধানটিই ঐতিহাসিক মদিনা সনদ। নিচে ঐতিহাসিক মদিনা সনদের মূল ধারাগুলো :
ঐতিহাসিক মদিনা সনদঃ
১) মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিক ও মুসলমান সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে এবং তারা একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।
২) হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নবগঠিত প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকারবলে তিনি মদিনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন।
৩) পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে; মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায় বিনা দ্বিধায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে; কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৪) স্বাক্ষরকারী কোনো সম্প্রদায়কে বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা সমবেত প্রচেষ্টায় বহিঃশত্রুর আক্রমণকে প্রতিহত করবে।
৫) বহিঃশত্রুর আক্রমণে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়গুলো স্ব-স্ব যুদ্ধ-ব্যয়ভার বহন করবে।
৬) স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে; এর জন্য অপরাধীর সম্প্রদায়কে দোষী করা চলবে না।
৭) মদিনা শহরকে পবিত্র হিসেবে ঘোষণা করা হলো এবং রক্তপাত, হত্যা, বলাৎকার এবং অপরাপর অপরাধমূলক কার্যকলাপ একেবারেই নিষিদ্ধ করা হলো।
৮) অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং সর্বপ্রকার পাপী বা অপরাধীকে ঘৃণার চোখে দেখতে হবে।
৯) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
১০) ইহুদিদের মিত্ররাও সমান নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে।
১১) দুর্বল ও অসহায়কে সর্বতোভাবে সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
১২) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
১৩) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।
............................................................................
মদিনা সনদ-এ ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির স্থান নেই। জামাত-শিবিরসহ যারা ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করে তারা কতটা মুসলমান তা সন্দেহের বিষয়! তাছাড়া একই নামে একাধিক ব্যক্তিগত রাজনৈতিক দলও ইসলাম নয়, বরং তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য তৈরি।
সুতরাং সকল ধর্মীয় রাজনীতি বাদ দিয়ে মদিনা সনদের আলোকে ধর্ম নিরপেক্ষ ধারাসমূহ আমাদের সংবিধানে যোগ করার আহবান জানাই।
একই বিষয়ে আরেকটি পোস্ট : Click This Link
২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
নায়করাজ বলেছেন: বাকিগুলো খুজছি। কোথা্ও পাচ্ছি না। আপনি একটু খুজে পেলে দেন তো ।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
একজন পথশিশু বলেছেন: Sompoorno sonod pore tarpor siddhanto deben.
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০
নায়করাজ বলেছেন: আপনি যদি পুরোটা পড়ে থাকেন, তবে আপনি একটা সিদ্ধান্ত দিন।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন: অসাধারণ ধর্ম নিরপেক্ষ একটা সংবিধান । যেখানে সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে ।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০
নায়করাজ বলেছেন: আমি তো সেটাই দেখলাম । ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
কোলাহল নির্জনে বলেছেন: এই সনদ আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মাদ সা: কর্তৃক বিশ্বাসীগণ, কুরাইশ মুসলমানগণ ও ইয়াসরিবের মুসলমানগণ এবং তাদের যারা অনুসরণ করেন, যারা তাদের সাথে যুক্ত রয়েছেন ও যারা জিহাদে তাদের সঙ্গীÑ এ সবের মধ্যে সম্পাদিত হলো : হ তারা একই গোষ্ঠীভুক্ত এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে স্বতন্ত্র। হ কুরাইশ মুহাজিরগণ পূর্ব প্রচলিত প্রথামাফিক যৌথভাবে খুন-খেসারত (দিয়্যত) প্রদান করবে এবং পারস্পরিক সমঝোতা, সততা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে তাদের বন্দীদের বন্দিত্ব মোচন করে নেবে। হ বনু ‘আউফ পূর্ব প্রচলিত প্রথামাফিক সম্মিলিতভাবে অতীতের রক্তপণ পরিশোধ করবে এবং প্রত্যেক উপগোত্র (তাঈফাহ) তাদের বন্দীদের সততা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মুক্ত করে নেবে। হ বনু হারিস, বনু সাঈদাহ, বনু জুশাম, বনু নাজ্জার, বনু আমর বিন আউ, বনু নাবিত, বনু আউস প্রভৃতিও পূর্বপ্রচলিত প্রথামাফিক যৌথভাবে অতীতের রক্তপণ পরিশোধ করবে এবং প্রত্যেক উপগোত্র তাদের বন্দীদের সততা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মুক্ত করে নেবে। হ বিশ্বাসীরা, তাদের মধ্যে যদি কেউ ঋণী থাকে, তাকে পরিত্যাগ করবে না বরং মুক্তিপণ, খুন-খেসারত ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাকে ন্যায়সঙ্গতভাবে সাহায্য করবে। হ একজন বিশ্বাসী অপর একজন বিশ্বাসীর বিনা অনুমতিতে তার কোনো আশ্রিত ব্যক্তির (মওলা) সাথে কোনোরূপ মৈত্রী-চুক্তি (হালিফ) সম্পাদন করতে পারবে না। হ আল্লাহর ভয়ে ভীত বিশ্বাসীদের মধ্য থেকে যদি কেউ কোনো অবৈধ কাজ করে বা অন্যায় কাজ করে অথবা বিশ্বাসঘাতকতা করে কিংবা শত্রুতামূলক ও দুর্নীতিমূলক কাজে লিপ্ত হয়, তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেÑ আপন সন্তান হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না। হ একজন বিশ্বাসী কোনো অবিশ্বাসীর স্বার্থে কোনো বিশ্বাসীকে হত্যা করতে পারবে না এবং কোনো বিশ্বাসীর বিরুদ্ধে কোনো অবিশ্বাসীকে সাহায্য করতে পারবে না। হ আল্লাহ-প্রদত্ত নিরাপত্তা (জিম্মা) একক। প্রতিবেশীকে নিরাপত্তা প্রদান (ইউজীর) করা তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। বিশ্বাসীরা অন্যান্য জনগোষ্ঠী বাদে পরস্পরের প্রতিপোষক। হ আমাদের অনুগামী যেকোনো ইহুদি যত দিন পর্যন্ত কোনোরূপ ক্ষতিসাধন অথবা অন্য লোকদের সাহায্য প্রদান করবে না, তত দিন পর্যন্ত অব্যাহতভাবে সাহায্য ও সমর্থন পেতে থাকবে। হ বিশ্বাসীদের শান্তি (সল্ম) অভিন্ন; সমতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করে আল্লাহর পথে জিহাদে ঐক্যবদ্ধভাবে অবতীর্ণ হতে হবে। কোনো বিশ্বাসী অন্য বিশ্বাসীদের বাদ দিয়ে কোনোরূপ শান্তি স্থাপন করতে পারবে না। হ প্রতিটি অভিযানে পারস্পরিক সমমর্মিতা থাকতে হবে। হ আল্লাহর পথে কোনো ব্যক্তি যদি প্রাণ দেয়, তবে বিশ্বাসীগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিশোধ গ্রহণ করবে। আল্লাহ-ভীরু বিশ্বাসীগণ শ্রেষ্ঠ ও নির্ভুল পথে চলে। হ কোনো মুশরিক কুরাইশকে আশ্রয় দেবে না এবং তাদের পক্ষ অবলম্বন করে কোনো বিশ্বাসীর বিরুদ্ধে মধ্যস্থতা করবে না। হ কোনো বিশ্বাসীকে অন্যায়ভাবে কেউ যদি খুন করে এবং তা সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা সপ্রমাণ হয়, তবে খুনিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়া যাবে, অবশ্য যদি নিহত ব্যক্তির প্রতিনিধি খুন-খেসারত পেয়ে খুশি থাকে, তবে সেটা অন্য কথা। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসীগণকে সম্পূর্ণভাবে খুনির বিপক্ষে থাকতে হবে। হ এই সনদের প্রতি যারা সম্মতি দান করে এবং যারা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তারা কোনো দুষ্কৃতকারীকে কোনোরূপ সাহায্য করতে পারবে না কিংবা আশ্রয় দিতে পারবে না। যদি কেউ তাকে সাহায্য করে অথবা আশ্রয় দান করে, তবে তার জন্য রয়েছে আল্লাহর গজব এবং রোজ হাশরে সে আল্লাহর শাস্তিতে নিপতিত হবে। কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণে ওই অপরাধ খহি তোমাদের ভেতরে কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হলে তা আল্লাহ এবং তার রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমীপে পেশ করবে। হ বিশ্বাসীদের সাথে ইহুদিরাও যুদ্ধের ব্যয় বহন করবে। হ বনু আউফ গোত্রয় ইহুদি এবং বিশ্বাসীরা একই গোষ্ঠীভুক্ত। ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম, মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম (দীন)। এটা তাদের নিজেদের জন্য যেমন প্রযোজ্য, তেমনি তাদের অনুসারীদের বেলায়ও প্রযোজ্য। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক বা বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজে লিপ্ত হতে পারবে না। হ উপরি উক্ত ধারা বনু নাজ্জার, বনু হারিস, বনু সাঈদাহ, বনু জুশাম, বনু আউস, বনু সালাবাহ্ প্রভৃতি ইহুদি গোত্রের জন্যও প্রযোজ্য। হ সালাবাহ গোত্রের উপগোত্র (বতন) জাফনাহ, বনু শুতায়বা, সালাবাহ গোত্রের মাওয়ালিগণ, বিতানাহ প্রভৃতি ইহুদি গোত্র-উপগোত্রের জন্যও তা প্রযোজ্য। যদি তারা কোনো প্রকার বিশ্বাসঘাতকতা না করে, তাদের সাথে সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে। হ এই জনম লীর অন্তর্ভুক্ত কেউ হজরত মুহাম্মাদ সা:-এর বিনা অনুমতিতে কোনো যুদ্ধ যাত্রা করতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারবে। আল্লাহ এ সনদের সত্যিকার বাস্তবায়নকারী। হ ইহুদিগণ ও মুসলমানগণ পৃথকভাবে নিজেদের ব্যয়ভার বহন করবে। এ দুই দলের মধ্যে আন্তরিক বন্ধুত্ব ও সম্মানজনক ব্যবহারের সম্পর্ক-বিশ্বাসঘাতকতার সম্পর্ক নয়। এ সনদকে যারা স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধ করলে তারা তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হবে। হ এ সনদের আওতাভুক্ত সবার কাছে ইয়াসরিব উপত্যকা অত্যন্ত পবিত্র স্থান। হ ‘আশ্রয়প্রাপ্ত প্রতিবেশী’ (জার) কোনো প্রকার নাশকতামূলক অথবা বিশ্বাসঘাতকতামূলক কার্যে লিপ্ত না হলে আপনজন বলে বিবেচিত হবে। হ মহিলাগণ তাদের গোত্রের লোকদের সম্মতি ছাড়া ‘প্রতিবেশীসুলভ আশ্রয়’ (তুজার) পাবে না। হ এ সনদের অন্তর্ভুক্ত লোকদের মধ্যে যে সব বিবাদ-বিসংবাদ অথবা ঝগড়া-ফাসাদ সাধারণভাবে মীমাংসা করা সম্ভব হবে না, তার মীমাংসার ভার আল্লাহ ও হার করবে, তত দিন পর্যন্ত তারা সনদের আওতাভুক্ত লোকদের সমমর্যাদা লাভ করবে। হ আল্লাহ এই সনদের সত্যিকার বাস্তবায়নকারী-অন্যায়কারীকে বা বিশ্বাসঘাতককে এ সনদ প্রশ্রয় দেয় না, অন্যায় বা বিশ্বাসঘাতকতা না করে যে বাইরে চলে যায়, সে নিরাপদ, যে ভেতরে থাকে, সেও মদিনায় নিরাপদ। আল্লাহ তাদের ‘প্রতিবেশীসুলভ আশ্রয়’ দেন (জোর) যারা সৎকার্য করে এবং আল্লাহকে ভয় করে। মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
নায়করাজ বলেছেন: আপনিও পুরো ৪৭টি ধারা দিতে পারেন নি। যাই হোক, আশা করি খোজ পেলে জানাবেন।
আমি আপনার মন্তব্যটি এভাবে সাজালাম। দেখেন তো ঠিক আছে কি না ?
..........................................................................
এই সনদ আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মাদ সা: কর্তৃক বিশ্বাসীগণ, কুরাইশ মুসলমানগণ ও ইয়াসরিবের মুসলমানগণ এবং তাদের যারা অনুসরণ করেন, যারা তাদের সাথে যুক্ত রয়েছেন ও যারা জিহাদে তাদের সঙ্গীÑ এ সবের মধ্যে সম্পাদিত হলো :
০১) তারা একই গোষ্ঠীভুক্ত এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে স্বতন্ত্র। ০২) কুরাইশ মুহাজিরগণ পূর্ব প্রচলিত প্রথামাফিক যৌথভাবে খুন-খেসারত (দিয়্যত) প্রদান করবে এবং পারস্পরিক সমঝোতা, সততা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে তাদের বন্দীদের বন্দিত্ব মোচন করে নেবে।
০৩) বনু ‘আউফ পূর্ব প্রচলিত প্রথামাফিক সম্মিলিতভাবে অতীতের রক্তপণ পরিশোধ করবে এবং প্রত্যেক উপগোত্র (তাঈফাহ) তাদের বন্দীদের সততা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মুক্ত করে নেবে।
০৪) বনু হারিস, বনু সাঈদাহ, বনু জুশাম, বনু নাজ্জার, বনু আমর বিন আউ, বনু নাবিত, বনু আউস প্রভৃতিও পূর্বপ্রচলিত প্রথামাফিক যৌথভাবে অতীতের রক্তপণ পরিশোধ করবে এবং প্রত্যেক উপগোত্র তাদের বন্দীদের সততা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মুক্ত করে নেবে।
০৫) বিশ্বাসীরা, তাদের মধ্যে যদি কেউ ঋণী থাকে, তাকে পরিত্যাগ করবে না বরং মুক্তিপণ, খুন-খেসারত ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাকে ন্যায়সঙ্গতভাবে সাহায্য করবে।
০৬) একজন বিশ্বাসী অপর একজন বিশ্বাসীর বিনা অনুমতিতে তার কোনো আশ্রিত ব্যক্তির (মওলা) সাথে কোনোরূপ মৈত্রী-চুক্তি (হালিফ) সম্পাদন করতে পারবে না।
০৭) আল্লাহর ভয়ে ভীত বিশ্বাসীদের মধ্য থেকে যদি কেউ কোনো অবৈধ কাজ করে বা অন্যায় কাজ করে অথবা বিশ্বাসঘাতকতা করে কিংবা শত্রুতামূলক ও দুর্নীতিমূলক কাজে লিপ্ত হয়, তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেÑ আপন সন্তান হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
০৮) একজন বিশ্বাসী কোনো অবিশ্বাসীর স্বার্থে কোনো বিশ্বাসীকে হত্যা করতে পারবে না এবং কোনো বিশ্বাসীর বিরুদ্ধে কোনো অবিশ্বাসীকে সাহায্য করতে পারবে না।
০৯) আল্লাহ-প্রদত্ত নিরাপত্তা (জিম্মা) একক। প্রতিবেশীকে নিরাপত্তা প্রদান (ইউজীর) করা তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। বিশ্বাসীরা অন্যান্য জনগোষ্ঠী বাদে পরস্পরের প্রতিপোষক।
১০) আমাদের অনুগামী যেকোনো ইহুদি যত দিন পর্যন্ত কোনোরূপ ক্ষতিসাধন অথবা অন্য লোকদের সাহায্য প্রদান করবে না, তত দিন পর্যন্ত অব্যাহতভাবে সাহায্য ও সমর্থন পেতে থাকবে।
১১) বিশ্বাসীদের শান্তি (সল্ম) অভিন্ন; সমতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করে আল্লাহর পথে জিহাদে ঐক্যবদ্ধভাবে অবতীর্ণ হতে হবে। কোনো বিশ্বাসী অন্য বিশ্বাসীদের বাদ দিয়ে কোনোরূপ শান্তি স্থাপন করতে পারবে না।
১২) প্রতিটি অভিযানে পারস্পরিক সমমর্মিতা থাকতে হবে।
১৩) আল্লাহর পথে কোনো ব্যক্তি যদি প্রাণ দেয়, তবে বিশ্বাসীগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিশোধ গ্রহণ করবে। আল্লাহ-ভীরু বিশ্বাসীগণ শ্রেষ্ঠ ও নির্ভুল পথে চলে।
১৪) কোনো মুশরিক কুরাইশকে আশ্রয় দেবে না এবং তাদের পক্ষ অবলম্বন করে কোনো বিশ্বাসীর বিরুদ্ধে মধ্যস্থতা করবে না। ১৫) কোনো বিশ্বাসীকে অন্যায়ভাবে কেউ যদি খুন করে এবং তা সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা সপ্রমাণ হয়, তবে খুনিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়া যাবে, অবশ্য যদি নিহত ব্যক্তির প্রতিনিধি খুন-খেসারত পেয়ে খুশি থাকে, তবে সেটা অন্য কথা। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসীগণকে সম্পূর্ণভাবে খুনির বিপক্ষে থাকতে হবে।
১৬) এই সনদের প্রতি যারা সম্মতি দান করে এবং যারা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তারা কোনো দুষ্কৃতকারীকে কোনোরূপ সাহায্য করতে পারবে না কিংবা আশ্রয় দিতে পারবে না। যদি কেউ তাকে সাহায্য করে অথবা আশ্রয় দান করে, তবে তার জন্য রয়েছে আল্লাহর গজব এবং রোজ হাশরে সে আল্লাহর শাস্তিতে নিপতিত হবে। কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণে ওই অপরাধ খহি তোমাদের ভেতরে কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হলে তা আল্লাহ এবং তার রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমীপে পেশ করবে।
১৭) বিশ্বাসীদের সাথে ইহুদিরাও যুদ্ধের ব্যয় বহন করবে।
১৮) বনু আউফ গোত্রয় ইহুদি এবং বিশ্বাসীরা একই গোষ্ঠীভুক্ত। ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম, মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম (দীন)। এটা তাদের নিজেদের জন্য যেমন প্রযোজ্য, তেমনি তাদের অনুসারীদের বেলায়ও প্রযোজ্য। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক বা বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজে লিপ্ত হতে পারবে না।
১৯) উপরি উক্ত ধারা বনু নাজ্জার, বনু হারিস, বনু সাঈদাহ, বনু জুশাম, বনু আউস, বনু সালাবাহ্ প্রভৃতি ইহুদি গোত্রের জন্যও প্রযোজ্য।
২০) সালাবাহ গোত্রের উপগোত্র (বতন) জাফনাহ, বনু শুতায়বা, সালাবাহ গোত্রের মাওয়ালিগণ, বিতানাহ প্রভৃতি ইহুদি গোত্র-উপগোত্রের জন্যও তা প্রযোজ্য। যদি তারা কোনো প্রকার বিশ্বাসঘাতকতা না করে, তাদের সাথে সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে।
২১) এই জনম লীর অন্তর্ভুক্ত কেউ হজরত মুহাম্মাদ সা:-এর বিনা অনুমতিতে কোনো যুদ্ধ যাত্রা করতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারবে। আল্লাহ এ সনদের সত্যিকার বাস্তবায়নকারী।
২২) ইহুদিগণ ও মুসলমানগণ পৃথকভাবে নিজেদের ব্যয়ভার বহন করবে। এ দুই দলের মধ্যে আন্তরিক বন্ধুত্ব ও সম্মানজনক ব্যবহারের সম্পর্ক-বিশ্বাসঘাতকতার সম্পর্ক নয়। এ সনদকে যারা স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধ করলে তারা তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হবে।
২৩) এ সনদের আওতাভুক্ত সবার কাছে ইয়াসরিব উপত্যকা অত্যন্ত পবিত্র স্থান।
২৪) ‘আশ্রয়প্রাপ্ত প্রতিবেশী’ (জার) কোনো প্রকার নাশকতামূলক অথবা বিশ্বাসঘাতকতামূলক কার্যে লিপ্ত না হলে আপনজন বলে বিবেচিত হবে।
২৫) মহিলাগণ তাদের গোত্রের লোকদের সম্মতি ছাড়া ‘প্রতিবেশীসুলভ আশ্রয়’ (তুজার) পাবে না।
২৬) এ সনদের অন্তর্ভুক্ত লোকদের মধ্যে যে সব বিবাদ-বিসংবাদ অথবা ঝগড়া-ফাসাদ সাধারণভাবে মীমাংসা করা সম্ভব হবে না, তার মীমাংসার ভার আল্লাহ ও হার করবে, তত দিন পর্যন্ত তারা সনদের আওতাভুক্ত লোকদের সমমর্যাদা লাভ করবে।
২৭) আল্লাহ এই সনদের সত্যিকার বাস্তবায়নকারী-অন্যায়কারীকে বা বিশ্বাসঘাতককে এ সনদ প্রশ্রয় দেয় না, অন্যায় বা বিশ্বাসঘাতকতা না করে যে বাইরে চলে যায়, সে নিরাপদ, যে ভেতরে থাকে, সেও মদিনায় নিরাপদ। আল্লাহ তাদের ‘প্রতিবেশীসুলভ আশ্রয়’ দেন (জোর) যারা সৎকার্য করে এবং আল্লাহকে ভয় করে। মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
কোলাহল নির্জনে বলেছেন: ৪৭ টা ধারার মাত্র ১৩টা তুলে ধরার কারণ কি???