![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম হেফাজত করার জন্য আন্দোলনে আপত্তি কোন মুসলমানের থাকার কথা না। সেই আন্দোলনটার জন্য সকল ব্লগারকে নাস্তিক বানানো একটা মিথ্যচার। এই মিথ্যাচার করে ইসলামের কোন লাভ হবে না। বরং ইসলামকেই খাটো করা হবে।
ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার আগে ব্লগ সম্পর্কে জানাটাও জরুরী। এই কমিউনিটি ব্লগে গুটিকয় 'নাস্তিক' আছে - লাখ লাখ ব্লগারের মধ্যে তারা ১০০ জনও হবে না । তাদের জন্য পুরো ব্লগ কমিউনিটিকে 'নাস্তিক' বলাটা একটা ডাহা মিথ্যাচার। স্রেফ মিথ্যাচারের রাজনীতি।
কোরআনের প্রথম আয়াত ছিল ---
পড়, তোমার প্রভুর নামে .....
হাদীসে আছে --
প্রত্যেক মুসলমান নরনারীর জন্য জ্ঞান অর্জন ফরজ।
সেই মুসলমান যখন কিছুই পড়ে না এমনকি যেই ব্লগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জান কুরবান করে দেয়, অথচ সেই ব্লগ পড়ার কথা ভাবে না, তখন আফসোস ছাড়া আর কি করার আছে ?
জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে যা্ওয়ার জন্য মুসলমানদের এই না পড়াটা দায়ী। কবে এই কু অভ্যাস থেকে মুসলমানরা বেরিয়ে আসবে কে জানে ?
এর আগেও আমরা জেনেছি, যারা ব্লগারদের নাস্তিক বলছেন, তারা ব্লগ সম্পর্কে জানেন না। না জেনে এই রকম সিদ্ধান্ত নেয়া কি ইসলামসম্মত ? তারচেয়ে বড় কথা ব্লগ সম্পর্কে জেনে মিথ্যাচার করাটা কি ইসলামসম্মত ? নাকি এটা ইসলামকে ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতি ?
তারা যে ব্লগারদের সম্পর্কে জানে না, তার প্রমাণ নিচের সংবাদটি ---
হেফাজতের কর্মীদের কাছে বার্তা দিলেন ইমরান
পল্টনে সমাবেশ শেষে হেফাজতে ইসলামের সমর্থক ও কর্মীরা দল বেঁধে শাহবাগ দিয়ে যাচ্ছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ কয়েকজন ব্লগার তখন শাহবাগে অবস্থান করছিলেন। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দেখে ইমরান নিজ থেকেই এগিয়ে যান তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেফাজতের কর্মীদের কাছে ইমরান জানতে চান, আপনারা কোথা থেকে ফিরলেন? এ সময় একজন কর্মী উত্তর দেন, ‘নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে মিছিলে গিয়েছিলাম।’ ইমরান এবার বলে ওঠেন, আচ্ছা, ব্লগার মানে কি জানেন? উত্তরে তাঁরা হেসে ‘না’ সূচক উত্তর দেন।
ইমরান এ সময় নিজের পরিচয় দিলে হেফাজতের কর্মীরা কিছুটা বিস্মিত হয়ে জানতে চান, ‘আপনিই ব্লগার ইমরান’? ইমরান তখন বলেন, ‘হ্যাঁ ভাই, আমি তো একজন মুসলমান। নামাজ পড়ি। আল্লাহর ওপরে আমার পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা আছে।’
এরপর ইমরান হেফাজতের কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তো কাফেরদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। কিন্তু আপনাদের হুজুর আমাদেরকে ভুল বুঝে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হচ্ছেন না। আপনাদের হুজুরকে গিয়ে বলবেন। আমরাও মুসলমান। আমরা ওনার সঙ্গে আলোচনা করে ভুল ভাঙাতে চাই। উনি যাতে আমাদের সেই সুযোগ দেন।’ এই অনুরোধের পর হেফাজতের কর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের এই মুখপাত্রকে আশ্বাস দেন যে, তাঁরা আল্লামা শাহ আহমেদ শাফির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবেন।
এ প্রসঙ্গে ইমরান এইচ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের কোনো বক্তৃতা ও আলোচনায় ইসলাম বা মহানবী (সা.) নিয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি করা হয়নি। আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
নিউজ সূত্র : Click This Link
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
নায়করাজ বলেছেন: লামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবির রাজাকার যুদ্ধাপরাধী চক্রের মিথ্যার বেসাতি পাবেন নিচের লিংকে। তাদের মিথ্যার বেসাতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন। Click This Link
ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান : Click This Link
জামাতে ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। বিস্তারিত পাবেন এখানে : Click This Link
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
নন্দনপুরী বলেছেন: হে আল্লাহ..........ধর্ম ব্যাবসায়ী শিবির ও নাস্তিক ব্লাগারদের হাত থেকে তুমি দেশ ও ইসলামকে রক্ষা কর।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
নায়করাজ বলেছেন: আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আলেম সমাজের শিরোমণি হলো ফরহাদ মাজহার। হা...হা...হা..হা. তিনি কতটা ধার্মিক সবাই তা জানে।
যারা আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে লাফালাফি করছে তাদের কেউই ধর্মপ্রাণ নয়।
আস্তিকতা বা নাস্তিকতার সঙ্গে ভালো-মন্দের সম্পর্ক কি? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির সঙ্গে আস্তিকতা বা নাস্তিকতার সম্পর্ক কি? নাস্তিক ঘোষণা করার বিধান ধর্মে নাই। একজন নাস্তিক সারাজীবন নাস্তিক নাও থাকতে পারেন। আমাদের মোল্লারা ধর্মটাও জানে না ঠিকমতো। বেশির ভাগ মোল্লাই ধর্মটাকে বেঁচে খায়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নকে ধামাচাপা দিতে নোংরা রাজনৈতিক চালের অংশ হিসেবে আস্তিকতা-নাস্তিকতার অবান্তর ইসু্টি টেনে এনেছেন আমার দেশ তথা আ্মার পাকিস্তানের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। লাল সালুর মজিদ যেমন স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যেগ নেওয়া তরুণের প্রতি অবান্তর প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন 'ওই মিয়া, তোমার দাড়ি কই??
মাহমুদুর রহমানও তেমনি প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, 'তোমরা যে আন্দোলন করছো, তোমাদের দাড়ি কই?" মজার ব্যপার মাহমুদুর রহমানেরও কোনো দাড়ি নেই। এরা হলো মোনাফেক। আমাদের সমাজের লোকজনের কাছে এই মোনাফেকদের কথাই বড় হয়ে গেছে। মাহমুদুর রহমানের মতো মোনাফেকদের যদি বিপুল অর্থবিত্ত বা কোনো সুবিধা দেওয়া হয়, তিনি নগদে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। এদের কোনো নীতি আছে?? আজ এরাই ইসলামের ইজারাদার ? আপনারা এদের কথায় আপনারা ফালতু কথা বলছেন কোন আক্কেলে??
ওই মিয়া তোমার দাড়ি কই?? হা..হা..হা...হা..হা. ফালতু যতসব।
মাহমুদুর রহমানের বড় সাগরেদ হলো ফরহাদ মাজহার। আর এই ফরহাদ মাজহার এখন হেফাজতে ইসলামের হেফাজতকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতির নোংরা খেলায় লাফাচ্ছে আবাল জনগণ।