![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথিত ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের ফাসিসহ ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে আল্লামা সফীর হেফাজত ইসলামের লংমার্চ পরবর্তী মহসমাবেশ ঘিরে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সরকারের মন্ত্রী, শীর্ষ নেতা এবং দেশের বিশিষ্টজনদের মতে হেফাজতের এই লংমার্চ জামায়াত-শিবিরকে রার জন্যই করা হয়েছে। যদিও এমন অভিযোগ প্রথম থেকেই নাকচ করে নিজেদের জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ কিংবা গোপন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করছে। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত হেফাচজতের এই মহাসমাবেশ ঘিরে নানা গোপন তথ্য ফাস হয়েছে।
বিশেষ করে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা এবং চরমোনাই পীরের ভাইকে মঞ্চে ঠাই না দেয়ার ব্যাপারটি খুব বেশি আলোচনা এসেছে। তাকে মঞ্চে উঠতে না দেয়ায় ওই সমাবেশে যোগ দেয়া সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ বেশ ুব্ধ হয়েছে। এমনকি তারা হেফাজত ইসলাম আহুত আর কোন কর্মসূচিতে থাকবে না বলে জানিয়েছে।
তাদের মতে, বরিশালসহ দেশের সর্বত্র চরমোনাই পীরের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। জামায়াত-শিবিরের চেয়েও তাদের জনসমর্থন বেশি। কিন্তু সেসব জনসমর্থন এক এলাকায় না থাকায় তাদের কেউ জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। তবে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ইসলামী দলগুলোর অন্যতম। যেকয়টি দল সমাবেশ করে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত করাতে পারে বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাশাপাশি তারাও সবার শীর্ষে। সম্প্রতি এ মহাসমাবেশ লাখ লাখ লোকের সমাগত সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে। সেরকম একটি দলের নেতাকে মঞ্চে উঠতে বাধা দেয়াকে মেনে নিতে পারছে না ইসলামী আন্দোলন সমর্থকরা।
জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি আসার আশঙ্কা থাকায় মহাসমাবেশ মঞ্চে ঠাই হয়নি ইসলামী আন্দোলন নেতার
তারা মনে করে, হেফাজত ইসলামীর এই মহাসমাবেশে শীর্ষ স্থানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ পেতে পারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এর নেতারা। তাদের আমন্ত্রণ না জানানো কিংবা মঞ্চে ঠাই না দেয়ার কারণে হেফাজত ইসলামের এ সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন দিক দেখছেন তারা। যদিও ইসলামী আন্দোলণ বাংলাদেশ এ ব্যাপারে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। আগামী কোন কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের সঙ্গে থাকবে কিনা তাও নিশ্চিত করা যায়নি। কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যাচ্ছে, চরমোনাই পীরের ভাইকে মঞ্চে উঠতে না দেয়ায় চরম হতাশ ও ুব্ধ হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা।
এদিকে এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি আসতে পারে এমন আশঙ্কায় ইসলামী আন্দোলনকে এ মহাসমাবেশে রাখা হয়নি। যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবং জামায়াত ইস্যুতে চরমোনাইর অবস্থান ব্যাপক কঠোর থাকায় মঞ্চে তাদের রাখতে বারণ করেছে জামায়াত-হেফাজত মধ্যস্ততাকারীরা। একারনেই মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনকে কোন আনুষ্ঠানিক দাওয়াতও দেয়া হয়নি। তাদের ব্যাপারে হেফাজত ইসলামীর আমীর আল্লামা সফী ইতিবাচক থাকলেও তাদের দাওয়াত না দেয়ার বিষয়টি জানতেন না তিনি। সমাবেশের দিন মঞ্চে চরমোনাই পীরের ভাইকে উঠতে না দেয়া নিয়ে তার দলের নেতাকর্মীদের ওপর খুব নাখোশ হয়েছন আল্লামা সফী।
তিনি তাদের আশেপাশে থাকা নেতাদের অবস্থান এবং জামায়াত প্রীতির কারণে বেশ ুব্দ হয়ে পড়েছেন। একারণে মহাসমাবেশ শেষ হওয়ার পর তার নেতারা তাকে ঢাকায় অবস্থানের জন্য অনুরোধ করলেও তিনি তা প্রত্যাখান করে চট্টগ্রামে চলে যান। তিনি আগামী ৫ মের কর্মসূচিতে কোন প্রকার জামায়াতের আশ্রয়-ইন্ধন এবং অর্থ সহায়তা থাকলে তা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন বলে হুশিয়ারি করেছেন। আল্লাসা শফী তার দলের নেতাদের সঙ্গে আপাতত কোন বৈঠক করবেন না বলেও জানিয়েছেন। একটি নির্ভরযোগ্যসূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে চরমোনাই পীরের ভাইকে মঞ্চে উঠতে বাধা এবং তাদের আনুষ্ঠানিক দাওয়াতপত্র না দেওয়া নিতে দলের নেতাকর্মীদের ওপর নাখোশ হলেও আপাতভাবে সেটা প্রকাশ করতে চাইছে না আল্লামা শফী। তিনি ব্যাপারটি নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন। তিনি শিগগিরই তাদের দেখা করার জন্য ডাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে বিশেষ সূত্রটি।
এক তথ্যে, জামায়াত-শিবিরের টাকায় এবং তাদের ইন্ধনে এ লংমার্চ-সমাবেশ করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের রা, শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের চলমান গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙা এবং সরকারে হঠাতে জামায়াত শিবির আল্লামা শফীকে ব্যবহার করে এ লংমার্চ সমাবেশ করেছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে।
এমনকি সম্প্রতি ফাস হওয়া গোপন কথোকপনে হেফাজতের এ লংমার্চ ইসলাম রা নয় জামায়াত-শিবির রা এবং যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচালে এটাকে ব্যবহার করা হয়েছে। মতিঝিলে গণজাগরণ মঞ্চ আদলে জঙ্গি দল জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিণ কথিত ইসলামী মঞ্চ গঠন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, লংমার্চের আগে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি হরতাল না ডাকলে সারাদেশের জামায়াত-বিএনপিরসহ সরকার বিরোধী লোকজন হেফাজতের এ লংমার্চে যোগ দিত। সব জায়গা থেকে হেফাজত ইসলাম এবং অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর কর্মী সমর্থক ছাড়াও সরকার বিরোধী জোটের লোকজন মাথায় টুপি পড়ে মহাসমাবেশে আসত। এখানে আসতে পারলে তারা গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দিতে সরকারকে বাধ্য করতো বলে ১৮ দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এটা একটা কপি/পেস্ট পোস্ট। মূল লেখা এখানে : http://daynews71.com/?p=1349
অন্যান্য পোস্ট :
মিথ্যাচার গুরু মাহমুদুর রহমানের ৮৫ কোটি টাকার ভয়ংকর ষড়যন্ত্র
বাংলা হবে আফগান : ৫ মে 'গণজাগরণ মঞ্চ' দখল করা হবে: হেফাজত
বাংলা হবে আফগান : নারীদের পেটানো শুরু করে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম
মুখোশ উন্মোচন : বাংলালিকসে হেফাজতের শীর্ষ নেতার ফোনালাপ ফাঁস
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩২
আমি মেহমান বলেছেন: চরমোনাই পীরের ভাইকে যদি পীরের মত হ্য় তাইলে তার থেকে সাবধান থাকা ভালো।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৭
মিঠাপুর বলেছেন: অর্থই সকল অনর্থের মূল...
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৯
ইউনুস খান বলেছেন: এটা একটা কপি/পেস্ট পোস্ট। মূল লেখা এখানে : http://daynews71.com/?p=1349
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৯
নষ্ট ছেলে বলেছেন: জামাত নিষিদ্ধ একটা রাজনৈতিক দাবী। চরমোনাই পীর সরাসরি এই দাবি না করলেও জামাতের বিরুদ্ধে কথা বলতেন মোটামোটি শিউর। তারা বিভিন্ন সমাবেশে প্রায়ই জামাতকে মুনাফেক বলে থাকে।
তবে আরকটা বিষয় নিয়ে কথা বলতেন সেটা হল নারী নেতৃত্র নিয়ে।
এই কারণে হেফাজতের বেশ কিছু নেতা চরমোনাই পীরের সাথে বিরোধ।
এটা সত্য হেফাজতের অনেক নেতা বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত। এই কারণে বর্তমানে কিছু কওমী আলেম আগে জামাত বিরোধী বক্তব্য দিলেও এখন জোট হওয়ার কারণে জামাত বিষয়ে তারা এখন নীরব।
চরমোনাই পীর ও তার মুরিদরা এই ধরনের সমাবেশে আসত না যদি না এখানে শফি হুজুর থাকত। তাকে সম্মান করে না বাংলাদেশে এমন আলেম খুব কমই আছে।
আওয়ামী লীগের বড় ভুল হচ্ছে শফি হুজুরের বিরুদ্ধে আজেবাজে বক্তব্য দেওয়া। শফি হুজুরকে গালাগালি করলে সেটা সবার গায়ে লাগবে।
আওয়ামী লীগ টেকনিক্যালি হেফাজতকে সহজে ট্যাকেল দিতে পারত। কিন্তু ঢালাও ভাবে হেফাজতকে জামাতি ট্যাগিং দিয়ে এবং শফি হুজুরের বিরুদ্ধে আজেবাজে মন্তব্য দিয়ে উলটা জামতকে সুবিধা করে দিল।
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২১
শিক্ষানবিস বলেছেন: কেন এখনো এই পোস্টটা স্টিকি করা হচ্ছে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৪
সাদা কলো বলেছেন: ৭ দিন হল না, এখনি ঘরে ভাঙ্গন শুরু হইয়া গেছে।