নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নায়করাজ

নায়করাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ চলবে নবীজীর দেখানো পথে: শেখ হাসিনা

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

মদিনা সনদে সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর অধিকার যেভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, তার আলোকে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



সরকার ‘নাস্তিকদের’ মদদ দিচ্ছে- হেফাজতে ইসলামের এই বক্তব্যের মধ্যে শনিবার এক সভায় শেখ হাসিনা মদিনা সনদের বিষয়টি তোলেন।



গণভবনে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ হবে রাজাকার, আল বদর ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ।



“যে দেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্ম পালন করার স্বাধীনতা অর্জন করবে।”



“যেটা আমাদের প্রিয় নবী করিম (স.) তার মদীনা সনদ ও বিদায় হজে বলে গেছেন। ঠিক সেভাবেই এই দেশ চলবে।”



৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরতের পর সেখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি স্থাপনে হজরত মুহাম্মদ (স.) যে সংবিধান প্রণয়ন করেন, তাই ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিত।



মদিনা সনদে বলা হয়েছিল- মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদিসহ অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।



যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণের পর শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম।



তারা লংমার্চসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে। ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে এক মন্ত্রী আলোচনা চালান।



হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আলোচনাকে মৌলবাদীদের সঙ্গে সরকারের ‘আপস’ হিসেবে দেখছেন গণজাগরণ আন্দোলনের সংগঠকরা।



হেফাজত দাবি তোলার পর সরকার কয়েকজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করছে গণজাগরণ মঞ্চ।



অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চের দাবির পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে, যার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে উস্কানি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। হেফাজত আবার মাহমুদুরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করছে।



যে কোনো ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “কোনো ধর্মের অবমাননা বরদাশত করব না।



“নবী করিম (স.)কে কটূক্তি করলে আমরা মানব না। ব্যবস্থা নেবোই।”



প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার আহ্বান জানান তিনি।



হেফাজতের গত ৬ এপ্রিলের সমাবেশ থেকে বিরোধী দল সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিল বলে আওয়ামী লীগের দাবি।



কিন্তু তা না হওয়ায় বিরোধীদলীয় নেতা ‘নাখোশ’ হয়েছেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “কেন তারা ঢাকায় থেকে ক্ষমতায় বসিয়ে গেল না। নাখোশ হয়ে উনি (খালেদা জিয়া) নেতাদের মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন।”



প্রধানমন্ত্রী বলেন, হেফাজতে ইসলাম তাদের নিজেদের কর্মসূচি পালন করেছে। তারা তাদের দাবি দিয়েছে, যে সব দাবি মানার তা মানা হবে।



হেফাজতের ১৩টি দাবির মধ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধের বিষয়টি রয়েছে, যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।



নিউজ এখানে : Click This Link





মদিনা সনদে উল্লিখিত অসাম্প্রদায়িক দেশ হবে বাংলাদেশ



বাংলাদেশের বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়ার মতো পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।



শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইয়াহিয়া যেমন ১৯৭১ সালে পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে বলেছিলেন- এ দেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও বোধ হয় সে নীতি অনুসরণ করছেন।”



তিনি আরও বলেন, “তিনি আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছেন, মানুষ হত্যা করছেন। মানুষ হত্যার খেলায় মেতে উঠেছেন।”



প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখনই মামলার তারিখ পড়ে তখনই হরতাল দেন, জ্বালও পোড়াও করেন, মানুষ হত্যা করেন। অপরাধ যদি না করে থাকেন তাহলে মামলায় হাজিরা দিতে ভয় কিসের? অপরাধ করে থাকলে তার শাস্তি পেতে হবে।”



বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি মানুষ হত্যা বন্ধ করার‍ও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।



তিনি বলেন, “হরতাল দিয়ে, জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা করে অপরাধ থেকে পার পাওয়া যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, রায়ও হবে।”



মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ হবে রাজাকার, আল বদরসহ যুদ্ধাপরাধীমুক্ত অসাম্প্রদায়িক দেশ। যেদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে উ‍ৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্ম পালন করবে। যেটা আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার মদিনা সনদ ও বিদায় হজের ভাষণে বলে গেছেন, ঠিক সেভাবেই এদেশ চলবে।”



প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “যে কোনো ধর্ম অবমাননা বরদাস্ত করবো না। নবী করিমকে (সা.) কটূক্তি করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আবার কাবা শরীফের গিলাফ বদল করা নিয়ে মিথ্যাচারও আমরা বরদাস্ত করবো না।”



এসময় হেফাজতে ইসলাম যেসব দাবির কথা বলেছে এর যৌক্তিকতাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।



এসময় খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “হেফাজতের উপর উনি (খালেদা জিয়া) নাখোশ হয়েছেন। উনি চেয়েছিলেন তারা দুই-একদিন বসে থেকে উনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাক।”



অন্তবর্তীকালীন সরকারের ফরমুলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কিভাবে হবে অনেকে নানা ফরমুলা দিচ্ছেন। একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে কিভাবে নির্বাচন হয়। মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও কিভাবে নির্বাচন হয় সেগুলো সকলের দেখার দরকার আছে। নতুন নতুন ফরমুলা দিলে গণতন্ত্র সংহত হবে না।”



প্রধানমন্ত্রী হরতালে গাড়িতে আগুন, রেল লাইনের ফিশ প্লেট খুলে ফেলা, মানুষের বাড়িতে আগুন, ভাঙচুর, মসজিদের মাইক ব্যবহার করে উস্কানি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “তারা মানুষ হত্যা করবে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে আর আমরা বসে বসে দেখবো এটা হতে পারে না।”



‘’মানুষ হত্যা, দামি গাড়ি খুঁজে বের করে আগুন দেওয়ার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?’’--এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।



প্রধানমন্ত্রী বিএনপিসহ অন্যসব বিরোধীদলের উদ্দেশ্য করে বলেন, “ওরা যেভাবে মানুষের বাড়ি পোড়াচ্ছে সেভাবে মানুষ যদি আগুন দেওয়া শুরু করে তখন কি হবে?”



নিউজ এখানে : Click This Link



মদিনা সনদ সম্পর্কে জানতে এখানে দেখুন : Click This Link









অন্যান্য পোস্ট :



মদিনা সনদের অনুরূপ ধারা আমাদের সংবিধানে যোগ করার আহবান জানাই



মদিনার সনদ : মহানবী (সাঃ)এর হাতে তৈরি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

পিওর গাধা বলেছেন: আমরা গাধা হইলেও কিছু টা বুঝি।
সামনে নির্বাচন, আলেমদের এবং তাদের পরিবারের ভোট গুলো আওয়ামীলীগের দরকার। নির্বাচনের আগে এরকম আরো অনেক ভেলকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেখতে পাবেন । অপেক্ষা করুন। :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

নায়করাজ বলেছেন: মদিনা সনদ সম্পর্কে আপনার সম্ভবত ধারণা নাই।

Click This Link

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

মরু বালক বলেছেন:


তো , বাংলাদেশ একটি ইসলামিক রাষ্ট্র !!!!

যারা চুরি করবে, তাদের হাত কাটা হবে।
যারা ধর্ষণ (যিনা) করবে, তাদের পাথর মারা হবে।

হত্যা করলে হত্যাকারীকে সবার সামনে জল্লাদ দিয়ে কল্লা কাটা হবে।


................................

যুগের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, আল্লামা তানিয়া আমিরের(দাঃ বাঃ) মাদ্রাসা টা কোথায়,?? ভাইজান ??
আমি ভর্তি হমু..................

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

নায়করাজ বলেছেন: মদিনা সনদ সম্পর্কে আগে জানেন। মদিনা সনদ ছিল একটা অসাম্প্রদায়িক সনদ। আগে জানেন, তারপর কথা বলেন।

Click This Link

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

নষ্ট ছেলে বলেছেন: হাতে তসবীহ আর মাথায় হিজাব পড়া শুরু করব কবে থাইকা?
তবে এইবার মোল্লা গুষ্ঠি যেই ভাবে ক্ষেইপা আছে, এই ছদ্দবেশ কতটুকু ইফেক্টিভ হয় এইটা দেখার বিষয়!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

নায়করাজ বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

taarokaraawaj বলেছেন: বিদায় হজ্বের ভাষনে কোরআন হাদিস আকড়ে থাকার যে কথাটি বলা হয়েছিলো, সেটি ছিলো সারা দুনিয়ার মুসলিমদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মদিনা সনদের ব্যাপারটি ছিলো শুধুমাত্র মদিনা তথা আরবদের জন্য। আমরা বাংলাদেশীরা সেটি মানতে কেন বাধ্য হবো ? এটি তো বাংলাদেশের সনদ নয়।
মদিনা বা আরবদের সনদ।

তবে সেটি মেনে চললে সকল ধর্মের মানুষের জন্য মঙ্গল হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু বাধ্যগতভাবে মানতে হবে বা করতে হবে, এটি ঠিক নয়।

আর মানতে যদি বাধ্যই হতে হয়, তাহলে পৃথিবীর সকল দেশের ই এটি মানতে বাধ্য হতে হবে। এক দেশ মানবে, অন্য দেশ মানবে না, এটি হওয়া উচিত নয়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

নায়করাজ বলেছেন: মদিনা সনদ সম্পর্কে আপনি জানেন কিনা সন্দেহ পোষণ করছি। মদিনা সনদের অসাম্প্রদায়িকতাটা গ্রহণ করার কথা বলা হচ্ছে।

সারা দুনিয়ার মানুষ কেন বাধ্য হবে ? সারা দুনিয়ার মানুষ কি মুসলমান ? নাকি সারা দুনিয়ার মানুষ বাংলাদেশে বাস করে ?

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

নষ্ট ছেলে বলেছেন: এখন কি আমাদের সংবিধান মদিনা সনদ দিয়ে রিপ্লেস করা হবে?
নাকি বর্তমান সংবিধান নামে মাত্র থাকবে আর দেশ চলবে মদিনা সনদে?
নাকি এইটা নতুন ভাওতাবাজি?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

নায়করাজ বলেছেন: আপনার কি মনে হয় ?

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

জাহি বলেছেন: মদীনা সনদের মূল বিষয়বস্তু ছিল:

১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।

২.হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন।

৩) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদীনা বা মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরুপ সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবে না।

৪) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

৫) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমণ কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে। এবং সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে।

৬) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

৭) অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।

৮) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।

৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।

১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।

১১) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক।

১২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ব্যতীত মদীনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।

১৩) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না

অসাম্প্রদায়িকতা এই লিখা কই পাইলেন ভাই , আপনি আরেকটা বানাইচেন নাকি লোল

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

নায়করাজ বলেছেন: ১নং ধারা, ৪নং ধারা, ৯নং ধারা এবং ১০ নং ধারা সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

মরু বালক বলেছেন:


**ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করা কি নবীজির আইন??
**দিনের আলোতে প্রকাশ্য গুলি চালিয়ে মায়ের বুক খালি করা কি নবীজির আইন??
**যারা সত্য কথা বলে তাদের উপর অত্যাচার চালানো কি নবীজির আইন??
**গুম,খুন,লুটপাট করা কি নবীজির আইন??
**ধর্ম ব্যবসা করা কি নবীজির আইন??
**নিজের স্বার্থের জন্য তাসবিহ হাতে নিয়ে স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেলে তসবিহ ছুড়ে ফেলে দেওয়া কি নবীজির আইন??
**মুসলমান হয়ে কপালে তিলক পরা কি নবীজির আইন??
**মুসলমান হয়ে এক ধরনের বেধর্মী জাতির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা কি নবীজির আইন??
**মানুষের যান-মালের হেফাজত না করে ক্ষতি করা কি নবীজির আইন??
**মানুষের শ্রমের অর্থ লুট করে নিজের আখের গুছানো কি নবীজির আইন??
**নিরাপরাধ ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া কষ্ট দেওয়া কি নবীজির আইন??
**মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে হলি খেলা কি নবীজির আইন??
**দুই চোখে প্রকাধ্য দুর্নীতি দেখেও সেটিকে পশ্রয় দেওয়া কি নবীজির আইন??
**যারা দিন রাত অশ্লিলতায় আর হত্যা রাহাজানিতে মেতে থাকে তাদেরকে নিজের আচলের নিচে আশ্রয় দেওয়া কি নবীজির আইন??
**মানুষের নৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে তার মুখে তালা লাগিয়ে দেওয়া কি নবীজির আইন??

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

নায়করাজ বলেছেন: মদীনা সনদ যে নবীজির আইন মানেন কি না ?

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

বিডি আমিনুর বলেছেন: ভোটের জন্য কতকিছুই করতে হয়রে মুমিন!!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

নায়করাজ বলেছেন: তা তো বটেই।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

ইনফা_অল বলেছেন: লেখক আমার জানতে ইচ্ছা করে মদিনা সনদ কেন হয়েছিল এবং মদিনা সনদের আগে এবং পড়ে মদিনা রাষ্ট্র হিসাবে কি হয়েছিল?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

নায়করাজ বলেছেন: আপনি জানেন এবং আমাদের জানান। আমরা সবাই জানতে চাই।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: নষ্ট ছেলে বলেছেন: হাতে তসবীহ আর মাথায় হিজাব পড়া শুরু করব কবে থাইকা?
তবে এইবার মোল্লা গুষ্ঠি যেই ভাবে ক্ষেইপা আছে, এই ছদ্দবেশ কতটুকু ইফেক্টিভ হয় এইটা দেখার বিষয়!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

নায়করাজ বলেছেন: কথা খারাপ বলেন নাই।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

মোহাম্মদ আনোয়ার বলেছেন: taarokaraawaj বলেছেন: বিদায় হজ্বের ভাষনে কোরআন হাদিস আকড়ে থাকার যে কথাটি বলা হয়েছিলো, সেটি ছিলো সারা দুনিয়ার মুসলিমদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মদিনা সনদের ব্যাপারটি ছিলো শুধুমাত্র মদিনা তথা আরবদের জন্য। আমরা বাংলাদেশীরা সেটি মানতে কেন বাধ্য হবো ? এটি তো বাংলাদেশের সনদ নয়।
মদিনা বা আরবদের সনদ।

তবে সেটি মেনে চললে সকল ধর্মের মানুষের জন্য মঙ্গল হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু বাধ্যগতভাবে মানতে হবে বা করতে হবে, এটি ঠিক নয়।

আর মানতে যদি বাধ্যই হতে হয়, তাহলে পৃথিবীর সকল দেশের ই এটি মানতে বাধ্য হতে হবে। এক দেশ মানবে, অন্য দেশ মানবে না, এটি হওয়া উচিত নয়।



সহমত।



লেখক বলেছেন: মদিনা সনদ সম্পর্কে আপনি জানেন কিনা সন্দেহ পোষণ করছি।


*** মদীনা সনদ সম্পর্কে আপনে কী জানেন, পারলে বলেন।


লেখক বলেছেন: মদিনা সনদের অসাম্প্রদায়িকতাটা গ্রহণ করার কথা বলা হচ্ছে।


*** আপনে আপনার দেশের সংবিধান দেখবেন। মদীনার সনদ দেখার দরকার কী ? ইন্ডিয়ায় বৃষ্টি হইছে, ভারতে ছাতা ধরার দরকার কী ? আমেরিকানরা ল্যাংটা হয়ে চলে, তাই বলে আমরা মুসলমানরাও ল্যাংটা হয়ে চলবো নাকি ?


লেখক বলেছেন: সারা দুনিয়ার মানুষ কেন বাধ্য হবে ?


*** আপনার কথায় মদীনা সনদ যদি বাংলাদেশে মানা হয়, তাহলে ভারতে কেন মানা হবেনা, আমেরিকায় কেন মান হবেনা ? এটিতো শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, সব ধর্মের জন্যই করা হয়েছে। (আপনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে কথাটি লিখলাম)।


লেখক বলেছেন: সারা দুনিয়ার মানুষ কি মুসলমান নাকি?


*** মুসলমান কোথায় নেই ? সবদেশেই তো আছে। এই নিয়ম শুধু মুসলমানরা মানবো, আর ইহুদী খৃষ্টানরা মানবো না, তাতো হতে পারেনা। মনে রাখবেন, মদীনা সনদ ইহুদী নাসারারাই ভঙ্গ করেছিলো।


লেখক বলেছেন: সারা দুনিয়ার মানুষ বাংলাদেশে বাস করে ?


*** আপনে আসলেই ছেলে মানুষ। আপনে এতো দেশ থাকতে শুধু বাংলাদেশে মদীনা সনদের কথা বলছেন কেন ? ভারত পাকিস্তান, আমেরিকায়ওতো মুসলমান আছে ? সেই সব দেশেরও মদীনা সনদ মানা উচিত এটি কেন মানতে পারছেন না ? বাংলাদেশে বাস করলে মদীনা সনদ মানতে হবে, অন্য দেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজন্য নয়, এই যুক্তি কোথায় পাইছেন।


আপনারা শুধু একটা কথাই জানেন, তা হলো-


" তোরা যে যা বলিস ভাই,


আমার সোনার তালগাছটা চাই"। :D ;) :P :#) B-)) =p~ =p~ =p~ =p~



১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নায়করাজ বলেছেন: আপনি আক্ষরিক অর্থে ধরেছেন কথাগুলি। মদিনা সনদ সম্পর্কে আমি জানি, আমার আলাদা পোস্ট আছে এই সম্পর্কে। লিংক দেয়া আছে ।
Click This Link

আমার দেশের সংবিধান সম্পর্কেও জানি।
Click This Link

আর মোল্লারা কেন আন্দোলন করছে সেটাও জানি।
Click This Link

মদিনা সনদের কথা আসছে এই জন্য যে, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ধর্মের নামে, তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, মদিনা সনদে সকল ধর্মের সমান অধিকার স্বীকার করা হয়েছে। যাতে করে তারা ধর্মের নামে অন্য ধর্মের মানুষের আক্রমণ না করে।

উগ্র সাম্প্রদায়িকতার স্থান ইসলাম ধর্মে নাই।


১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

আমি মোঃ চয়ন বলেছেন: মদীনা সনদের মূল বিষয়বস্তু :

১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।


তার মানে গনতন্ত্র বাদ। বাংলাদেশ "ইসলামী রাষ্ট্র" হয়ে যাবে !!! :-B :-B

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

নায়করাজ বলেছেন: এইটা হাসিনা বলতে পারবে।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

কোবা সামসু বলেছেন: ভূতের মুখে রাম রাম =p~ =p~ =p~ =p~ :P :P :P =p~ =p~ =p~

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

নায়করাজ বলেছেন: বটে।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ইনফা_অল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি জানেন এবং আমাদের জানান। আমরা সবাই জানতে চাই।

কথা এড়িয়ে যাবেন না প্লীজ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন , "দেশ চলবে নবীজীর দেখানো পথে"।

সেই পথটা কি সেটা তো বলে যান।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

নায়করাজ বলেছেন: লেখক আমার জানতে ইচ্ছা করে মদিনা সনদ কেন হয়েছিল এবং মদিনা সনদের আগে এবং পড়ে মদিনা রাষ্ট্র হিসাবে কি হয়েছিল?

এই বিষয়টা জানান। জানতে চাওয়া মানে এড়িয়ে যাওয়া নয়। আর পুরো ৪৩ ধারাসহ বাংলায় মদিনা সনদের একটা কপি দেন।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ইনফা_অল বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ,“যেটা আমাদের প্রিয় নবী করিম (স.) তার মদীনা সনদ ও বিদায় হজে বলে গেছেন। ঠিক সেভাবেই এই দেশ চলবে।”

বিদায় হজ্জে নবীজি (সাঃ . ) কি বলে গিয়েছেন? বড় হলেও কষ্ট করে পড়ে নিবেন:

শুক্রবার, ৯ জিলহজ, ১০ হিজরী সনে আরাফার দিন দুপুরের পর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লক্ষাধিক সাহাবির সমাবেশে হজের সময় এই বিখ্যাত ভাষণ দেন। হাম্‌দ ও সানার পর স্বীয় ভাষণে ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মা’বুদ নেই। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

আল্লাহ তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন। তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন। আর তিনি একাই বাতিল শক্তিগুলো পরাভূত করেছেন।

হে আল্লাহর বান্দারা! আমি তোমাদের আল্লাহর ইবাদত ও তাঁর বন্দেগির ওসিয়ত করছি এবং এর নির্দেশ দিচ্ছি।

হেল লোক সকল! তোমরা আমার কথা শোন। এরপর এই স্থানে তোমাদের সাথে আর একত্রিত হতে পারব কি না জানি না।
হে লোক সকল! আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, হে মানবজাতি! তোমাদের আমি একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে পয়দা করেছি এবং তোমাদের সমাজ ও গোত্রে ভাগ করে দিয়েছি যেন তোমরা পরস্পরের পরিচয় জানতে পারো। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর দরবারে অধিকতর সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী, যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া অবলম্বন করে, সব বিষয়ে আল্লাহর কথা অধিক খেয়াল রাখে। ইসলামে জাতি, শ্রেণীভেদ ও বর্ণবৈষম্য নেই। আরবের ওপর কোনো আজমের, আজমের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তেমনি সাদার ওপর কালোর বা কালোর ওপর সাদার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। মর্যাদার ভিত্তি হলো কেবলমাত্র তাকওয়া।

আল্লাহর ঘরের হিফাযত, সংরক্ষণ ও হাজিদের পানি পান করানোর ব্যবস্থা আগের মতো এখনো বহাল থাকবে।
হে কুরাইশ সম্প্রদায়ের লোকরা! তোমরা দুনিয়ার বোঝা নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে যেন আল্লাহর সামনে হাযির না হও। আমি আল্লাহর বিরুদ্ধে তোমাদের কোনোই উপকার করতে পারব না।
যে ব্যক্তি নিজের পিতার স্থলে অপরকে পিতা বলে পরিচয় দেয়, নিজের মাওলা বা অভিভাবককে ছেড়ে দিয়ে অন্য কাউকে মাওলা বা অভিভাবক বলে পরিচয় দেয় তার ওপর আল্লাহর লা’নত।

ঋণ অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। প্রত্যেক আমানত তার হকদারের কাছে অবশ্যই আদায় করে দিতে হবে।

কারো সম্পত্তি সে যদি স্বেচ্ছায় না দেয়, তবে তা অপর কারো জন্য হালাল নয়। সুতরাং তোমরা একজন অপরজনের ওপর জুলুম করবে না। এমনিভাবে কোনো স্ত্রীর জন্য তার স্বামী সম্পত্তির কোনো কিছু তার সম্মতি ব্যক্তিরেকে কাউকে দেয়া হালাল নয়।

যদি কোনো নাক, কান কাটা হাবশি দাসকেও তোমাদের আমির বানিয়ে দেয়া হয় তবে সে যত দিন আল্লাহর কিতাব অনুসারে তোমাদের পরিচালিত করবে, তত দিন অবশ্যই তার কথা মানবে, তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবে।

শোনো, তোমরা তোমাদের প্রভুর ইবাদত করবে। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত যথারীতি আদায় করবে, রমজানের রোজা পালন করবে, স্বেচ্ছায় ও খুশি মনে তোমাদের সম্পদের জাকাত দেবে, তোমাদের রবের ঘর বায়তুল্লাহর হজ করবে আর আমিরের ইতা’আত করবে, তা হলে তোমরা জান্নাতে দাখিল হতে পারবে।

হে লোক সকল! আমার পর আর কোনো নবী নেই, আর তোমাদের পর কোনো উম্মতও নেই।

আমি তোমাদের কাছে দু’টো জিনিস রেখে যাচ্ছি। যত দিন তোমরা এ দু’টোকে আঁকড়ে থাকবে, তত দিন তোমরা গুমরাহ হবে না। সে দু’টো হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত।
তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাকবে। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা দীনের ব্যাপারে এই বাড়াবাড়ির দরুন ধ্বংস হয়েছে।

এই ভূমিতে আবার শয়তানের পূজা হবে এ বিষয়ে শয়তান নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে তোমরা তার অনুসরণে লিপ্ত হয়ে পড়বে। এতে সে সন্তুষ্ট হবে। সুতরাং তোমাদের দীনের বিষয়ে তোমরা শয়তান থেকে সাবধান থেকো। শোনো, তোমরা যারা উপস্থিত আছো, যারা উপস্থিত নেই তাদের কাছে এই পয়গাম পৌঁছে দিয়ো। অনেক সময় দেখা যায়, যার কাছ পৌঁছানো হয় সে পৌঁছানেওয়ালার তুলনায় অধিক সংরক্ষণকারী হয়।

তোমাদের আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। তখন তোমরা কী বলবে? সমবেত সবাই সমস্বরে উত্তর দিলেনঃ আমরা সাক্ষ্য দিব, আপনি নিশ্চয় আপনার ওপর অর্পিত আমানত আদায় করেছেন, রিসালতের দায়িত্ব যথাযথ আনজাম দিয়েছেন এবং সবাইকে নসিহত করেছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকাশের দিকে পবিত্র শাহাদাত অঙ্গুলি তুলে আবার নিচে মানুষের দিকে নামালেন।


হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাকো। হে আল্লাহ। তুমি সাক্ষী থাকো।



১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

নায়করাজ বলেছেন: এটা সম্পর্কে অবশ্যই আগেই জানতাম। পাঠ্য ছিল।

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

ভ্রমন কারী বলেছেন: ভূতের মুখে নবীজির নাম।

নির্বাচনের আগে এরকম আরো অনেক ভেলকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেখতে পাবেন । অপেক্ষা করুন।

হাতে তসবীহ আর মাথায় হিজাব পড়া শুরু করব কবে থাইকা? তাহার নির্বাচনী ইউনিফর্ম ??? X( X( X(

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

নায়করাজ বলেছেন: এই দেশে তো ভেক না ধরলে ভোট পাওয়া যায় না। টাকা না দিলে ভোট পাওয়া যায় না। ভোটার হিসেবে আমরা খুবই ধান্দাবাজ।

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

লালমিয়াভাই বলেছেন: ইসলামের যাত্রা শুরুতে সময়ের প্রয়োজনে ইসলামের শত্রুদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানের লক্ষ্যে মদিনা সনদ রচনা করা হয়েছিল।তখনকার পরিস্থিতি কি ৯০% মুসলিমদের দেশ বর্তমান বাংলাদেশের সাথে মিলে?

জানিনা মহামান্য প্রধানমন্ত্রীর এসব বলার উদ্দেশ্য কি?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

নায়করাজ বলেছেন: আপনার কি ধারণা মুসলমানদের সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব না ?

১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

ইনফা_অল বলেছেন: বিদায় হজ্জে নবীজি বলেছেন:

"আমি তোমাদের কাছে দু’টো জিনিস রেখে যাচ্ছি। যত দিন তোমরা এ দু’টোকে আঁকড়ে থাকবে, তত দিন তোমরা গুমরাহ হবে না। সে দু’টো হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত"।

আমরা মানে এই দেশেরে মুসলমানরা কি তা মানছি?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

নায়করাজ বলেছেন: না, আমরা মানছি না। কিন্তু ধর্মের পুরোটাই তো রাষ্ট্রীয় নয়। বরং বেশির ভাগ আচরণ ব্যক্তিগত। আমরা ব্যক্তিগত জীবনে সেগুলো না মানলে দোষ কার ? রাষ্ট্রের ?

১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

নীল জানালা বলেছেন: ভুতের মুখে রামনাম। চোর, মিথ্যাবাদী, প্রতারক, খুনী এবং সকল প্রকার অপরাধীর নিরাপদ আশ্রয়দাত্রী শেখ হাসিনা বিবি দেশ চালাইব নবীজির পদাংক অনুসরন কৈরা? তাইলে চুরি করবে কে? দেশের টাকা বিদেশ পাচার করবে কে? এক যুদ্ধাপরাধী বিচারের মুলা ঝুলায়া আর কত? সত্যিকারভাবে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে চাইলে সবার আগে সাম্প্রদায়িক রাজনিতি বন্ধ করা উচিত ছিল। তাতো করেই নাই উপরন্তু গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতন নয়া যন্ত্রনা হেপাজত ইসলাম নামক এই মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্মান্ধ খুনীদের দলের আমদানী করসে এই হারামি মহিলা। আমগো উচিত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর, শেখ হাসিনা আর তার একান্ত অনুগত চামচাদের এক দড়িতে ফাঁসি দেওয়া।

২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কোবা সামসু বলেছেন: @নায়করাজ আপনি তো একটা আওমি দালাল সর্বদা ব্লগে আওমি দালালি করেন কিছু নমুনা


তো দাদা আপনার এই পোস্ট এর উদ্দেশ্য কি তা বলবেন??????

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৫

ইনফা_অল বলেছেন:
মদিনা সনদে মূল বিষয়বস্তুর প্রথম দুইটি ধারা ছিল:
১. সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।

২.হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন।

১.
- রাষ্ট্রের ধরন হবে ইসলামী রাষ্ট্র
- আর এতে একটি লিখিত সনদ পত্র থাকতে হবে
- সবাই এতে স্বাক্ষর দিবে, মানে রাজি থাকতে হবে

২. আর এই ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান হবে একজন মুসলিম।

প্রধান মন্ত্রীর এই বক্তব্য কে স্বাগতম

২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১২

ইনফা_অল বলেছেন: লেখক বলেছেন: না, আমরা মানছি না। কিন্তু ধর্মের পুরোটাই তো রাষ্ট্রীয় নয়। বরং বেশির ভাগ আচরণ ব্যক্তিগত। আমরা ব্যক্তিগত জীবনে সেগুলো না মানলে দোষ কার ? রাষ্ট্রের ?

ইসলামী রাষ্ট্রে কোনো মুসলমান ইসলামী নিয়ম কানুন গুলো মানছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব কিন্ত্ত রাষ্ট্রের।

প্রধান মন্ত্রীর এই বক্তব্য অনুসারে আমাদের দেশ যখন ইসলামী রাষ্ট্র হয়ে যাবে তখন কিন্ত্তু তিনি রাষ্ট্রের প্রধান থাকতে পারবেন না। আবার কোনো মুসলমান ইসলামী নিয়ম কানুন গুলো মানছে কিনা সেটাও কিন্তু রাষ্টের নজরদারীতে থাকতে হবে। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.