![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের
ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা যায়,
নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারনের
নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস।এ ইতিহাসটির বয়স
সুদীর্ঘ হলেও 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস'নামে এর
চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দুইশত সত্তর
সালের ১৪ই ফেব্রোয়ারির কথা। তখন রোমের
সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস,সে সময় ভ্যালেন্টাইন
নামে একজন সাধু,তরুন প্রেমিকদেরকে গোপন
পরিনয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। এ অপরাধে সম্রাট
ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের
শিরোচ্ছেদকরেন।তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম
থেকেই এ দিনটির নামকরণ করা হয়
'ভেলেন্টাইন ডে' যা আজকের 'বিশ্ব
ভালবাসা দিবস'বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুবু হয় ১৯৯৩ইং সালে।কিছু ব্যাবসায়ীর
মদদে এটি প্রথম চালু হয়।অপরিনামদর্শী
মিডিয়া কর্মিরা এর ব্যাপক কভারেজ দেয়। আর
যায় কোথায়! লুফে নেয় বাংলার তরুন-তরুনীরা।
এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার
পরিবর্তে ভুলের বাসা বেধেঁদেয়ার
কাজটা যথারীতি চলছে।আর এর ঠিক পিছনেই
মানব জাতীর আজন্ম শত্রু শয়তান এইডস নামক মরন পেয়ালা হাতে নিয়ে দাঁত বের
করে হাসছে। মানুষ যখন বিশ্ব ভালবাসা দিবস
সম্পর্কে জানত না, তখনপৃথিবীতে ভালবাসার
অভাব ছিলনা। আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড়
অভাব তাই দিবস পালন করে ভালবাসার
কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়! আর হবেইনা কেন!
অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার
মাঝে তো ভালবাসা নামক ভার বস্তু
থাকতে পারে না। তাই আল্লাহ তা'আলা মানুষের হঋদয় থেকে ভালবাসা উঠিয়ে নিয়েছেন।
বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চিনার জন্য
আরো কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার।
দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের
শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরাতো একেবারে বেশামাল
হয়ে উঠে। নিজেদের রুপ সৌন্দর্য উজার
করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। শুধু
কি তাই! অঙ্কন পটিয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য
পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে।
তাদের সামনে তরুনীরা পিঠ, বাহু আর হস্থদ্বয়
মেলেধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য।
তারপর রাত পর্যন্ত নিরবে-নিবৃতে প্রেমিক
প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প।এ হল বিশ্ব
ভালবাসা দিবসের কর্মসূচী।
"বিশ্ব ভালবাসা দিবস না বলে বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস বললে হয়ত নামকরণটি যর্থাথ হত"
©somewhere in net ltd.