নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মৃত্তিকা থেকে তৈরী, হব মৃত্তিকাতেই শেষ। কিসের এত মোহ, কেন-ই-বা বিদ্বেষ\"

হাসান নাঈমুল

নৈশ প্রহরী

হাসান নাঈমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাউদ ইব্রাহিম - "দ্য গোল্ডম্যান"

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

সম্পূর্ন নাম দাউদ ইব্রাহিম কাসকার। ইকবাল শেঠ, সুলতান শাহ বা গোল্ড ম্যান নামেও পরিচিত ভারতীয় বংশোদ্ভুত, মুম্বাই তথা দুনিয়া কাঁপানো এই আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ডন। পুলিশের প্রধান কন্সটেবল ইব্রাহিম কাসকারের পুত্র দাউদ ১৯৫৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রের কনকান অঞ্চলের রত্নগিরি জেলার মামকা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। মূলত কনকানি মুসলমান সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এই ডন। তিনি প্রথমে মুম্বাই এর করিম লালা গ্যাং এ কাজ করতেন এবং পরে সংযুক্ত অরব আমিরাতের দুবাই চলে যান এবং সেখান থেকেই তার অপরাধের সম্রাজ্য বিস্তৃত করতে থাকেন।দাউদের মেয়ে, মাহরুখ ইব্রাহিম পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদ এর ছেলেকে বিয়ে করেন। যুক্তরাজ্যে লেখাপড়ার সময় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। ২০০৯ সালের ৩০ মার্চ দাউদের ভাই নোরা ঘুমের মধ্যে মারা যায়।এছাড়া আরেক ভাই আনিস ইব্রাহিমও মুম্বাই হামলার অন্যতম আসামী। দাউদের থেকে ১০ বছরের ছোট ভাই ইকবাল কাসকার মুম্বাইয়ে দাউদের ব্যবসা দেখাশোনা করেন। ইকবাল ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একটা হত্যা মামলায় চার বছর জেল খেটেছেন। মীরা রোড, ভাইয়ান্দার ও মধ্য মুম্বাইয়ের রিয়েল এস্টেটে তাঁর বিনিয়োগ আছে বলে শোনা যায়। দাউদের বোন ৫২ বছর বয়স্কা হাসিনা পারকার ২০০৩ সালে আমিরাত থেকে ইকবালের প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত দাউদের সাম্রাজ্য চালিয়েছিলেন। দুনিয়া কাঁপানো এই ডনের সিন্ডিকেটের নাম হলো ডি কম্পানি। তিনি সংগঠিত অপরাধের জন্য ইনাটারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় এবং মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর বিশ্বের শীর্ষ পলাতক অপরাধীদের ২০১১ এর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।এছাড়াও ২০০৮ সালেও তিনি ফোর্বস-এর তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন। ভারতীয় পুলিশের পলাতক অপরাধীদের তালিকায়ওতার নাম শীর্ষে। দাউদ ইব্রাহিমের দলে প্রায় ৫ হাজার সদস্য রয়েছে যারা মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে খুন, অপহরন এর মত কাজ করে থাকে। ছোটা শাকিলকে দাউদ ইব্রাহিম এর ডান হাত হিসেবে ধরা হয়। তাদের কর্মক্ষেত্র ভারত, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব অমিরাত। ১৯৯৩ সালে ১২ মার্চ মুম্বাই স্টক এক্সেঞ্জে এক সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে ৩১৫ জন (সরকারি হিসেবে ২৫৭ জন) লোক নিহত হয়। এর জন্যও দাউদ ইব্রাহিমকে অভিযুক্ত করা হয়। ২১ মার্চ ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান সুপ্রীম কোর্ট এক নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে এই বোমা হামলায় দাউদ ইব্রাহিম সরাসরি জরিত ও তিনি পাকিস্তানে আত্মোগোপন করে আছেন যাদিও পাকিস্তান সরকার ভারতের এই দাবি বারবার অস্বীকার করে আসছে। এছাড়া ধারনা করা হয় যে, ২০০৭ সালের হায়দ্রাবাদে জোড়া বোমা হামলার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছেন এই ডন। শিপিং,এয়ারলাইন্স ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁর বিনিয়োগ আছে এবং ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে তাঁর ব্যবসার স্বার্থ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭.৫ হাজার কোটি রুপী।
সারা দুনিয়া রাজ করা এই সুলতান কে নিয়ে অনেক মুভি করা হয়েছে বলিউডে।

** ব্ল্যাক ফ্রাইডে (২০০৪)
** ডি ডে(২০০৫)
** শূটআওট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা (২০০৭)
** ওয়ান্স আপন অ্য টাইম ইন মুম্বাই (২০১০)
** শ্যূাটআউট অ্যাট ওয়াদালা (২০১৩)
এই সকল সিনেমায় দাউদ ইব্রাহিমকে বিভিন্ন ভাবে গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করেছে বা দেখা পেয়েছে, কিন্তু বাস্তবে আজো দেখা মেলেনি এই সুলতানের। লুকিয়ে রাজত্ব করছেন সারা দুনিয়া এই দাউদ ইব্রাহিম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.