![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা এক পুকুরে অনেক মাছ বাস করত। তারা ছিল অতি অহংকারী এবং একে অপরকে তোয়াক্কা করত না। একই পুকুরে বসবাস করত একটি সহৃদয়ের কুমির।
কুমির মাছদের উপদেশ দিত , “অহংকার এবং অতিআত্ববিশ্বাসী হওয়ার মধ্যে কোন অর্জন নেই, বরং অতি দর্প হতলঙ্কার কারন হয়,”। কিন্তু তারা কুমিরের কথা কখনো শুনত না। কুমিরকে দেখেই তারা দৌড়ে পালাত কুমিরের উপদেশ পাবার ভয়ে।
একদিন বিকালে পুকুর পাড়ের পাথরের পাশে কুমির বিশ্রাম নিচ্ছিল, এমন সময় দুইজন জেলে পানি পানের জন্য পুকুরের দিকে আসল। তারা লক্ষ্য করল পুকুরে অনেক মাছ। “ দেখ পুকুরে অনেক মাছ, চল আমরা আগামীকাল জাল নিয়ে আসি মাছ ধরার জন্য”, -তাদের একজন বলল। “আমরা এরকম পুকুরটি আগে দেখিনি কেন”-আরেকজন বিষ্ময়ের সুরে বলল।
কুমিরটি তাদের সবকিছু শুনে ফেলল। জেলেরা যাওয়ার পর কুমির সোজাসুজি পুকুরে গিয়ে মাছদের সামনে উপস্থিত হল। “ ভাল হয় তোমরা যদি আগামিকাল সকালের পুর্বেই এই পুকুর ত্যাগ কর, ঐ দুইজন জেলে তোমাদের ধরার জন্য জাল নিয়ে আসবে”- এই বলে সে মাছদের সতর্ক করল।
কিন্তু মাছেরা তার কথা শুনে হাসল। “ অনেক জেলে দেখেছি যারা আমাদের ধরার জন্য চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি, তারা দুজনও আমাদের ধরতে পারবে না, মিঃ কুমির আমাদের নিয়ে কোন দুচিন্তা করবেন না” বিদ্রুপ উপহাস করে তারা কুমিরের সতর্কবানীগুলো তোয়াক্কা করল না।
পরের দিন সকালে জেলেরা জাল নিয়ে এসে পুকুরে ফেলল। মাছ ধরার জাল ছিল লম্বায় খুব বড় এবং শক্তিশালী। খুব শীঘ্রই সব মাছ ধরা পড়ল। ইস! যদি আমরা কুমিরের কথা শুনতাম, সে তো আমাদের সাহায্য করতে চেয়েছিল, মারতে তো আর চায় নি। আমরা আমাদের অহংকারের জন্য নিজেদের জীবন হারালাম।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:১৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সবসময়ই নিজের সীমাবদ্ধতাকে মনে রাখতে হবে, নিজের সীমাবদ্ধতা দূর করার চেষ্টা করতে হবে।
একটা অর্জন মানে তার সাথে কিছু সীমাবদ্ধতার হাজির হওয়া। অর্জনে অতিরিক্ত খুশি বা অহংকারী হয়ে উঠলে - ঐ সীমাবদ্ধতাগুলো আর চোখে পড়ে না। তখন অর্জনটাই বিপদের কারণ হতে পারে।
চমৎকার উপদেশমূলক রূপকথা। +
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কুমীর যদি মাছকে উপদেশ দেয়, রূপকথা তো রূপকথা থাকছে না আর! আরেকটু মাথা খাটানো যায় না? নাকি যেটা শুনেছেন, সেটাই শেষ?