নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জীবনে বড় কিছু হতে চাইনা, বরং ছোট থেকেই জীবনের স্বার্থকতা অর্জন করতে চাই।

নাজমুল_ইসলাম

আমি জীবনে বড় কিছু হতে চাইনা, বরং ছোট থেকেই জীবনের স্বার্থকতা অর্জন করতে চাই।

নাজমুল_ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ শপিং

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

অর্ধ পৃথিবীর শাসক হযরত উমর (রাঃ)এর খিলাফতের প্রথম দিকে হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) তখন রাষ্ট্রীয় কোষাগার দেখাশুনা করতেন, সাধারন ভাবে বঅলঅলা যায় তৎকালীন সময়ে হযরত উমরের (রাঃ) অর্থমন্ত্রী ছিলেন হজরত আবু উবাইদা (রাঃ)।
ঈদের আগের দিন খলীফার ছোট সন্তান নতুন জামার জন্য কান্নাকাটি করছে, তাই দেখে খলিফার স্ত্রী খলিফাকে বললেন - ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না
হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’।
খলীফা বললেন- ‘আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই।'
পরে খলীফা উমর (রাঃ) স্ত্রীর কথায় ছোট সন্তানের জন্য নতুন পোশাক কেনার জন্য বায়তুল মাল (অর্থবিভাগের প্রধান) হযরত আবু উবাইদাকে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন।
,
সমগ্র মুসলিম জাহানের খলীফা যিনি, যিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরনের চিঠি পাঠ করে হযরত আবু উবাইদার চোখে পানি এসে গেল।
উম্মতে আমীন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন - ‘আমীরুল মুমিনীন!
অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে।
প্রথমত, আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না?
দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’
চিঠি পাঠ করে হযরত উমর (রাঃ) কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেল ।
আর হাত তুলে হযরত আবু উবাইদার জন্য এই বলে দোয়া করলেন- ‘হে আল্লাহ! আবু উবাইদার উপর রহম কর, তাঁকে হায়াত দাও।'
উল্লেখ্যঃ সেই খলীফার আর পরিবারের জন্য ঈদের নতুন জামা-কাপড় কেনা হয়নি।
___ 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া'/ ইবনে কাসীর (রহঃ) অবলম্বনে।
..........................................................
এই ছিলেন মুসলিম বিশ্বের শাসক আর তাঁর অর্থমন্ত্রী, সেই সোনালী সুদিন কি আর ফিরে আসবে কোনদিন...???!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.