নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

/

..

নাজনীন খলিল

নাজনীন খলিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরিলা-মানব

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:১৭



আমার জন্ম-লগ্ন ছিল

এক প্রখর নীল-জ্যোৎস্নার রাতে;

আজন্ম বিষন্নতা ছুঁয়ে আছি

কি আর এমন

নতুন ক্লেশ স্পর্শ করে যাবে!



বুঝিনা পরিযায়ী পাখীদের ভাষা

কি করে যাযাবর আনন্দের সহচর হবো?

গন্ধে চিনিনা জল-ধারা মায়া হরিণের মতো।



অতি চেনা ছবি শুধু

অন্ধকারে জ্বলে ওঠা শ্বাপদের চোখ



জানি-------

জঙ্গলের পথে হাঁটতে হাঁটতে

কি করে মানুষ

শরীরে ধারণ করে পশুদের রোগজীবানু

কিভাবে পাশবিক দুর্গন্ধ পৌঁছে যায়---

নাসারন্ধ্র থেকে অন্তর্মূলে।

আস্তে

আস্তে

আস্তে

ধুসর-কালো পশমে ঢাকে সমস্ত শরীর; আর

ক্রমশঃ

হয়ে ওঠে ---এক বিশাল গরিলা।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:২৩

আমি ও আমরা বলেছেন: দারুন লিখা। অসাধারন।

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬

নাজনীন খলিল বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫

আইরিন সুলতানা বলেছেন: মানবের বদলে দানবে রূপান্তরিত হবার বাস্তব চিত্র ....

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯

নাজনীন খলিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:১২

লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: এভাবেই বদলে যায় মানব আর মানুষের মন ও শরীর। কী এক অদ্ভুত নিয়তি তার। চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন
লাবণ্য প্রভা

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৬

নাজনীন খলিল বলেছেন: অশেষধন্যবাদ লাবন্যপ্রভা।ভাল থাকুন।অনেক শুভকামনা।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬

সুখী মানুষ বলেছেন: "আজন্ম বিষন্নতা ছুঁয়ে আছি
কি আর এমন
নতুন ক্লেশ স্পর্শ করে যাবে" -- সুন্দর।

আমি আপনার লেখার ফ্যান। আপুনি, আপনাকে স্যালুট।

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮

নাজনীন খলিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইটি ।ভাল থাকুন।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৫

কালপুরুষ বলেছেন: চমৎকার লেখনী। আপনার ভাবনা থেকে ধার করে কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো।

"তোমার লোমশ কালো শরীরে আমার মতো
বুনো আদিমতা নেই, তবুও তুমি গরিলা।
সবুজ অরণ্যে তোমার নিরাপদ আশ্রয় আমি
উপরে ফেলি নিদারুন উল্লাসে; তুমি যে গাছের
পাতায় উদরপূর্তি করে অভ্যস্ত আমি তা চিঁড়ে
করি মসৃণ। আমার সেই ডাইনিং টেবিলে তোমার
খাবার জোটেনা। আসলে তোমার কালো লোমশ
শরীর আর বোঁচা-থ্যাবরা চেহারা যতটা না কুৎসিত
আমি তার চেয়েও অনেক বেশী বীভৎস এক প্রাণী-
নিজেকে বলি মানুষ। সভ্যতার কথা বলে বুদ্ধির
মায়াজালে তোমার বাসস্থান উজাড় করি নির্দিধায়।
আমার সুদর্শন দেহে বর্বরতা ভর করে সর্বদাই।
তোমার কুৎসিত শরীরেও প্রবল মায়া, তুমি কখনোই
তোমার স্বজাতিকে খুন করোনা - সবুজ অরণ্যে তুমি
নির্বিবাদী এক নিরীহ প্রাণী। অথচ আমি নিমিষে
সন্ত্রাসী হতে পারি, খুনী হতে পারি, ধর্ষক হতে পারি,
এসিডে পুড়িয়ে দিতে পারি কোন অবলার মুখ।
তুমি পারবেনা- কারণ সভ্যতা তোমাকে কখনোই
ছুঁতে পারবেনা। সভ্যদের গায়ে কোন চামড়া থাকেনা,
লোমহীন শরীরে কোন মায়া থাকেনা। আমি আচরণে
গরিলা হতে পারি অথচ তুমি শত চেষ্টা করেও
মানুষ হতে পারবেনা।

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪

নাজনীন খলিল বলেছেন: কালপুরুষ,আমি আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। পশুরা স্বজাতিকে হত্যা করেনা। আমরা মানুষেরা নিজেদের দাবী করি সৃষ্টির সেরা বলে।্কারন আমাদের বিবেক বোধ আছে,চিন্তা-চেতনার-কর্মপদ্ধতির উপর নিজের নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা আছে।তারপরেও আমরা মানুষেরা এমন সব কাজ করি যা পশুত্বকে হার মানায়।পশুরা তাদের প্রকৃতিগত পাশবিকতা নিয়ে যে হিংস্রতা দেখায়---তা তাদের জন্য স্বাভাবিক। আমাদের হিংস্রতার দায় কিন্তু একটা পশুর হিংস্রতার থেকে হাজার গুণ
বেশী।আমরা মানুষেরা যখন নিজেকে পশুর পর্যায়ে নামিয়ে আনি তখন মানবিক বুদ্ধি-বৃত্তির সাথে হিংস্রতা মিশে গিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠি।
এজন্যইতো আমার গরিলাটাঃমানব-গরিলা।শুধু'গরিলা' নয়।
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

হায়দার কািরগর বলেছেন: আমার লেখা একটি নাটকের সংলাপ এরকম

- তোর মধ্যে একটা কেঁচো আছে। কেঁচোটা দিনে রাতে তোর মধ্যে হাগু করে।

- হ্যা বাবা হ্যা ঘুম ভাংলে সারা শরীর আমার গন্ধায়।

প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কি পশুর বিচরন চোখে পড়েনা? পশুমানুষ বা মানুষপশু।

অতি চেনা ছবি শুধু
অন্ধকারে জ্বলে ওঠা শ্বাপদের চোখ ( অসাধারন)

খুব ভাল একটি কবিতা।

নিশ্চই ভাল আছেন?

১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৫০

নাজনীন খলিল বলেছেন:
সমমনা মানুষের চিন্তাধারা এক।

ভাল আছি। ভাল থাকুন।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:১৭

কালপুরুষ বলেছেন: পৃথিবীটা চিড়িয়াখানা হলেও গরিলা-মানবের বসতি আপনার মনের সবুজ অরণ্যে। সেখানে হাসি-কান্না, ব্যথা-বেদনা, প্রেম-ভালবাসা ষড় ঋতুর মতোই বৈচিত্র এনে দেয় প্রতিনিয়ত। মনে লালিত আবেগ ও অনুভূতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সেই গরিলা-মানব। সেই সত্ত্বায় তৃতীয় কারো হাত পড়লেই গরিলা-মানব চঞ্চল হয়ে ওঠে, উৎকন্ঠা প্রকাশ পায়। তবে সেই হাত যদি বিশ্বস্ততার হয় তবে সে শান্ত থাকে। আমাদের জীবনটা তেমনি।

আপনার বক্তব্য ভাল লাগলো। ভাল থাকুন।

১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৫১

নাজনীন খলিল বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:১৭

বাবুয়া বলেছেন:
প্রতি দিন অনেক কবিতা পড়া হয় এই ব্লগে। অনেকেই খুব সুন্দর কবিতা লিখেন। কিন্তু আপনার কবিতায় একটা স্পেশালিটি আছে-যা শুধু আপনার একান্তই নিজস্ব! এই নিজস্ববোধটাই আপনাকে সকলের চাইতে আলাদা করে রাখে-লেখার গুণ বিচারে!
আমি খুব সাধারন একজন পাঠক, আমি পারিনা আপনার মত মেধাবী৪ লেখকের লেখার মুল্যায়ন করতে। নাইবা পারলাম মুল্যায়ন করতে-নিয়মিত যেনো পড়তে পারি আপনার কবিতা-সেই প্রত্যাশায় প্রতি দিন...............

১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৬

নাজনীন খলিল বলেছেন: বাবুয়া আপনি আমার কবিতা না পড়লে মনে হয় কিছু একটা মিস্‌
করছি। এত সুন্দর করে বলেন............। এই কবিতার আগের কবিতাটা মনে হয় পড়েননি।সময় করে একবার পড়লে খুশীহবো।

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:০৫

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: আপনার কবিতা মুগ্ধ হয়ে পড়ি..............এত চমৎকার করে লিখেন!!
ভালো লাগলো আপু।
শুভেচ্ছা থাকলো।

১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:০০

নাজনীন খলিল বলেছেন: আপনি নিজেও অনেক সুন্দর লেখেন। খুব ভাল লাগে। ভাল থাকুন।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৭

প্রাকৃত বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগা জানাই আপু!!

১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৯

নাজনীন খলিল বলেছেন:
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।খুব ভাল থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.