![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাইকে ডেংগুর এই ক্রাইসিস পয়েন্টে সিংগেল ডোনার প্লাটিলেট এফেরেসিস সম্পর্কে জানতে হবে- এটা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই মূহুর্তে।
সাধারণত এএমএল জাতীয় ক্যান্সার আর ডেংগু রোগীর জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্লাটিলেট লাগে। প্লাটিলেটের স্বাভাবিক রেঞ্জ হল দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ।
চল্লিশ হাজারের নিচে নামলে ডাক্তাররা ডোনার প্রস্তুত রাখতে বলে, বিশ হাজারের নিচে নামতে থাকলে খিচুনী শুরু হতে পারে। দশ হাজারের নিচে গেলে রোগী শকে চলে যেতে পারে।
এখন চারপাশে ডেংগুর ছড়াছড়ি-
এখন পর্যন্ত এর তেমন কোন চিকিৎসা নাই প্যারাসিটামল ছাড়া। তবে প্লাটিলেট বেশি কমে গেলে ডাক্তাররা প্লাটিলেট দিতে বলবে।
এখন খুব জরুরী কথা বলব- মুখস্থ করে রাখেনঃ
প্লাটিলেট ২ পদ্ধতিতে দেয়া যায়-
১। গত এক দশক ধরে এনালগ উপায়ে চার জন রক্তদাতার রক্ত নিয়ে এক ব্যাগ প্লাটিলেট বের করা হয়, যেখানে প্লাটিলেট খুব কম পাওয়া যায়। তার উপরে অবাঞ্চিত লিউকোসাইট সহ চার জন রক্তদাতার রক্তের অন্যান্য সব জীবাণু রোগীর শরীরে সক্রিয় হবার সম্ভাবনা থাকে। ব্লাড ব্যাংকে কেবল হু নির্দেশিত ৫টি টেস্ট করা হয়। কিন্তু এলার্জিসহ অন্য কোন টেস্ট হয় না।
কিন্তু এই পদ্ধতিতে ৪-৫ হাজারের মধ্যে প্লাটিলেট কালেকশন করা যায়।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল- এই উপায়ে ৪ জন রক্তদাতা চার মাসের জন্য ব্লক হয়ে যাবে। আর একসাথে সেইম গ্রুপের চারজন রক্তদাতা পাওয়া ও অনেক টাফ।
২। এই দশকে শুরু হওয়া আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি হল সিংগেল ডোনার এফেরেসিস- যার মাধ্যমে একজন রক্তদাতা একাই চারজনের চেয়েও বেশি প্লাটিলেট দিতে পারে। যদিও রক্তদাতাকে এক ঘন্টার ও বেশি সময় ধরে সুই লাগিয়ে শুয়ে থাকতে হয়। এফেরেসিস মেশিনে ৪-৬ টা সাইকেলে প্লাটিলেট ব্যাগে জমা হয়। প্রতি সাইকেলে প্রথমে পুরো রক্ত মেশিনে যাবে, তারপর শুধু প্লাটিলেট ব্যাগে গিয়ে বাকি সব রক্তদাতার শরীরে ফেরত আসে।
এটা একটু ব্যয়বহুল, কারণ শুধু প্লাটিলেট ব্যাগের এই সেটের দাম ই হল মিনিমাম বার হাজার টাকা। আর সিবিসি ও ক্রস-ম্যাচিং মিলে আরো দুই হাজারের মত প্রায়। পিজি আর ঢামেকে সবচেয়ে কম দামে ১৩-১৪ হাজারের মধ্যে এটা করতে পারবেন।
এই পদ্ধতির সবচেয়ে বর সুবিধা হল- একজন রক্তদাতা ১৫ দিন পরপর প্লাটিলেট দান করতে পারেন।
তবে একজন প্লাটিলেট দাতাকে অবশ্যই মিনিমাম ৬০ কেজি হতে হবে, হাতের ভেইন ভালভাবে দেখা যায়- এমন হতে হবে।হিমোগ্লোবিন ১২.৫ আর প্লাটিলেট আড়াই লাখ হতে হবে মিনিমাম।
লেখা: Nazrul Islam
০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
রক্ত নজরুল বলেছেন: জি ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
শায়মা বলেছেন: ডেঙ্গু রোগীকে সব সময় স্যালাইন খাইয়ে এবং প্রয়োজনে স্যালাইন পুশ করে রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ডিহাইড্রেশনে যেতে দেওয়া যাবে না।
এই কথাটাও মনে হয় জানার প্রয়োজন সকলেরই। ডেঙ্গু কি ভয়াবহ না জানলে না দেখলে কেউ কখনও বুঝবে না।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪০
রক্ত নজরুল বলেছেন: ঠিক বলেছেন, যাদের পরিবারে একজন ডেংগু রোগী আছে- তারা এর ভয়াবহতা বুঝতে পেরেছে।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
রক্ত নজরুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: দরকারী একটি পোস্ট। ধন্যবাদ।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
রক্ত নজরুল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেশে ডেঙ্গু রুগীর সংখ্যা অনেক বাড়তেছে, অথচ এখনো জরুরি অবস্থা জারি করেছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়!
০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
রক্ত নজরুল বলেছেন: প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যার আর মৃতের, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২
কামাল১৮ বলেছেন: সবার জানা প্রয়োজন।