![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরল মনের মানুষ, লেখালেখি করতে ভাল লাগে, শখের বসে লেখি। সময় কাটাই। মানুষের সাথে বন্ধুতা করতে চাই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জামাতের প্রাণ স্বজনী চলছে একটি বয়োবৃদ্ধ স্ট্যান্ডিং কমিটি দিয়ে। যেখানে প্রকৃত রাজনীতিবিদ এবং সাচ্চা বিএনপির অস্তৃত্ত্ব কম। আছে অবসরপ্রাপ্ত সেবাবাহিনীর কর্মকর্তা, অবসর প্রাপ্ত আমলা, বিভিন্ন দল থেকে আসা কিছু আগাছা এবং কিছু পেশী শক্তি প্রদর্শনকারী। মাথায় বুদ্ধি নামক জিনিষটির মনে হয় বিধাতা কম দিয়ে পাঠিয়েছেন। আসলে দলের ক্যাপ্টিন যেমন হবে সদস্যরা এর বেশি চৌকস বা বুদ্ধিদীপ্ত কি করে হয়!!
আওয়ামী লীগের এত সব ব্যর্থতার পরও শুধু মাত্র জামাতের সাথে পিড়িতের কারণে সুবিধা জনক অবস্থান নিতে পারছে না বলে আমার মনে হয়। একটা সুবর্ণ সুযোগ ছিল জামাতকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে, নিচে উল্লেখিত উস্যু গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে জোড় আন্দোলন করা -
শেয়ার কেলেংকারীর জন্য নিঃস্ব ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী,
ডেসটিনির ও ইউনি পে টু কেলেংকারী,
ব্রাক ব্যাংকে হস্তক্ষেপ,
হলমার্কস কেলেংকারী,
দিনে দুপুরে রাস্তায় বিশ্বজিতকে কুপিয়ে মারার ঘটনা,
ইলিয়াস আলী গুম,
সুরঞ্জিত বাবুর রেলের কালো বিড়াল,
পদ্মা সেতুর দূর্নীতির মহা পরিকল্পনা,
মহা সড়কের দূরাবস্থা,
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তান্ডব,
নাটরের বড়াই গ্রামের উপজেলা চ্যারমেন কে দিনে দুপুরে রাস্তা পিটিয়ে মারা,
সাগর-রনি হত্যাকান্ড।
প্রত্যেকটির সাথে সাধারণ মানুষের স্বার্থ এবং নিরাপত্তা জড়িত । জামাতকে তালাক দিতে না পারা কারনে আজ বিএনপি অনেকটা একাকী সংসার করছে।
কমোর ভাঙ্গা নীতি বিভর্জিত বিএনপিকে সোজা করে দাড়ানো জন্য কোরামিন ইনজেকশনের মত দূর্ণীতিগ্রস্ত তারেক -কোকো কে রাজনীতি থেকে স্পষ্টভাবে বিতারিত করাসহ নীচের কাজ গুলো করা উচিত-
১। জামাত-শিবির-রাজাকারের সঙ্গ ত্যাগ করা।
২। দেশের অগণিত তরুন সমাজের হৃদয়ের অনুভূতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া।
৩। সরকারী দূর্বল ইস্যু গুলো নিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করা।
৪। নেত্রীর এবং অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের আয়েশী জীবন ত্যাগ করে রাজপথে কর্মী ও সাধারন জনগণের সাথে একাত্ত্ব হওয়া।
৫। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া।
৬। সংসদে গিয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু তুলে ধরা।
৭। বিএনপি থেকে যাদেরকে অনকটা জোড় করে বিতারিত করা হয়েছে তাদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিজ দলে ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নেয়া।
৮। মডারেট দল হিসেবে বাম পন্থীদের সাথে সখ্যতা স্থাপন করা।
৯। এরশাদের সাথে সমঝতা স্থাপন করা।
১০। সাধারণ মানুষের ইস্যুতে মরণ-পণ আন্দোলন করা।
১১। সরকারের সাথে মুখোমুখি অবস্থানের চেয়ে আলোচনার দিকে যাওয়া।
১২। ত্যাগী এবং সমাজে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্ত্বসহ মিডিয়ার সামনে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া।
১৩। অছাত্র- বিবাহিতদের দ্বারা তৈরি ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে প্রকৃত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি করা এবং সকল জেলা-উপজেলা- বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলকে পুনরায় উজ্জীবিত করা।
১৪। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দল হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করা।
১৫। বিতর্কিত এবং দূর্নীতিতে নিমজ্জিত নেতাদের পুনর্বার নির্বাচনে নমিনেশন না দেয়া ঘোষনা করা।
১৬। পেশাজীবি এবং সামাজিক সংগঠন গুলোকে সঠিক এবং সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা।
১৭। বুদ্ধিজীবি এবং সাংস্কৃতি কর্মীদের গুরুত্ত্বের সাথে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা।
১৮। নব্বই দশকের বিএনপি পুনস্থাপন করা। (সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া ছাড়া সবাই এখনো জীবিত, ম্যাডামকে উদ্যোগ নিয়ে এবং ক্ষমা চেয়ে ঘড়ের ছেলেদের ঘড়ে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে)
১৯। অনতিবিলম্বে একজন স্থায়ী মহাসচিব নিয়োগ দেয়া।
২০। সমস্ত কমিটি গুলো অনতিবিলম্বে হাল-নাগাত করা।
২১। যেসব নেতা- ব্যবসায়ীরা (যেহেতু রাজনীতি এখন কর্পোরেট দ্বারা পরিচালিত) নির্বাচন করতে আগ্রহী বা যারা মোটামুটি নমিনেশন পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে নিজের এলাকায় ঘন ঘন গনসংযোগ করা এবং কর্মসূচি গুলো কার্যকর করা।
২২। পেশী শক্তির নেতাদের নীতিনির্ধারনী থেকে দূরে রেখে বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানী, গুনীজনদের নীতিনির্ধারনে গুরুত্ত্ব প্রদান করা।
২৩। দলের মধ্যে সিনিয়র নেতাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা স্থাপন করা।
২৪। সন্ত্রাসী এবং তালিকা ভুক্ত অপরাধীদের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছেদ করা।
২৫। স্থানীয় কমিটি গুলোতে মরুব্বী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেয়া এবং সৎ এবং মেধাবী তরুনদের উৎসাহিত করা।
২৬। রাজাকারের বিচারের ইস্যুতে কোন ভাবে ঋনাত্বক এবং গড়িমসি মনোভাব পোষন করা থেকে সতত ভাবে বিরত থাকা এবং সকল রাজাকারদের বিচারের ইস্যুতে সরকারকে সহায়তা করা এবং সরকারে গেলে বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রতি প্রদান করা। এবং প্রতিশ্রুতির গ্রহনযোগ্যতা তৈরির জন্য জামাতের সাথে সকল ধরনের দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান সম্পর্ক ছেদ করা।
২৭। সর্বশেষে, এই দেশে ৪৫% এর বেশী নারী ভোট, এবং এই নারীদের ভোটেই বিএনপি দুইবার রাষ্ট ক্ষমতায় অধীষ্ঠিত হয়েছিলো, সুতরাং নারীদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নীতি এবং অধিকার ঘোষনা করা এবং হেফাজতের সাথে নারী ইস্যুতে সমঝতা করা।
একজন গণতান্ত্রিক মনোভাবের মানুষ হিসেবে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষের লোক হিসেবে বিএনপির প্রতি এই হলো আমার মত নগণ্য লোকের পরামর্শ। মানলে অনেক কিছু না মানলে তালগাছ! ঠিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্যও ভাই- ভার্সা পরামর্শ।
সব শেষে দুই দলের নেতা-নেত্রীদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনাদের মুখের ভাষা সংযত করুণ, আপনারাতো আর কৃষকের গরু নন যে আপনাদের মুখে কভার লাগিয়ে সমাবেশে নিয়ে যেতে হবে! আপনারা দেশের নীতিনির্ধারক এবং উন্নয়নের কর্ণধার। আপনাদের ভাষার সংযম এনি দিতে পারে দেশের ভেতর কাংক্ষিত সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ।
বিশেষ অনুরোধ: যারা লেখাটা পড়ে আমাকে কোন বিশেষ দলের সমর্থক মনে করবেন, তাদেরকে বলছি এসে কষে গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে যান তবু কোন দলের সমর্থক বলে গালি দিবেন না প্লিজ। আমি লেখাটা লিখেছি একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের জন্য, সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য, এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: যে যে কাজের কথা বললেন, তার একটাও বিএনপির বর্তমান নেতৃবৃন্দের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়! তাই আশা করাটা দুরাশা বই কিছুই নয়। বিএনপির ক্ষতি আওয়ামী লীগ যতো না করেছে তার চেয়ে বেশি করেছে বিএনপি নিজে!