![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরল মনের মানুষ, লেখালেখি করতে ভাল লাগে, শখের বসে লেখি। সময় কাটাই। মানুষের সাথে বন্ধুতা করতে চাই।
একটি সুখের পরিসমাপ্তীর আত্মকাহিনী।
=================== (১৫-০৬-২০১৩)
মাঝে মাঝে বুকের ভেতর কষ্টেরা ঘন কালো মেঘের মত জমাট বাধে। অনেক ক্ষণ উড়াউড়ি করে আবার হারিয়ে যায়। মনে হয় কষ্টেরা সাদা মেঘের ভেলায় গা ভাসিয়ে দিয়ে অন্য কোন মানুষের বুকের ঈশান কোণে আশ্রয় নেয়। কষ্টের এই লুকোচুরি খেলায় অসহায় মানুষ কখনো চুপিসারে কান্না করে হালকা হবার চেষ্টায়, আবার কখনো সাজানো ঘর ভেংগে একাকী হয়ে কষ্টের সাথে সহবাসে বাধ্য হয়।
সুখের পায়রাকে নানা রকম খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ডাকাডাকি করতে হলেও কষ্টেরা নীরবেই এসে যায় অনাকাংক্ষিত অতিথির মত। আশ্রয় নেয়, শিকড় গাড়ে, ডালপালা বিস্তৃত করে, শেষে স্থায়ী বাসা বাধে। এতে কষ্টের যত না দোষ তার চেয়ে বেশী দোষ থাকে বেক্কেল মানুষ গুলোর। এই বেক্কেল শ্রেনীর মানুষ গুলো কষ্টকে আহবান করতে চায় না ঠিক কিন্তু অবহেলাও করতে পারে না। মাঝে মাঝে নির্বুদ্ধতার পরিচয়ে দিয়ে কষ্টের আগমনের পথ সুগম করে। উষ্ণ মস্তৃষ্কের কারণে ভাল মন্দ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, ফলে সুন্দর এবং ভবিষ্যত স্বপ্নের টুটি চেপে ধরে কষ্টের অনুপ্রবেশ ঘটায়।
অনেক সময় প্রিয় মানুষ জনও কষ্টের কারন হয়। না আমি এই প্রিয় মানুষ জন বলতে প্রেমিক-প্রেমিকাকে মীন করছি না। বাবা-মা, ভাই বোন, ছেলে-মেয়েও তীব্র কষ্টের কারণ হতে পারে। রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প "হৈমন্তী"-তে দেখেছিলাম, একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে নিসঙ্গ বাবা কষ্টের তাপদাহে পুড়ছিলেন। কোন শুভাকাংক্ষি যখন হৈমন্তীর বাবা কে বলছিলেন তীলে তীলে কষ্ট পেয়ে নিজেকে শেষ না করে মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে আসলেইতো হয়। উত্তরে হৈমন্তীর প্রাজ্ঞ বাবা যা বলেছিলেন, তা অনেকটা এই রকম -"অধিকার ছেড়ে দিয়ে আবার ফিরে পাবার আশার করার মত বিড়ম্বনা আর নাই" (অনেক আগে পড়েছি, ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করবেন পাঠক)। প্রিয় বাবা কে একা রেখে এসে হৈমন্তীও সুখে থাকতে পারেনি। বুকের ভেতর যে কষ্টের বীজ বপন করেছিল, সেটা আস্তে আস্তে মহীরূহে পরিণত হয়েছিল। সেই কষ্টের ডালপালা বুকের মাঝে আর ধরে রাখতে না পেরে একদিন নিজেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ আমাদের সমাজের যে গভীর কষ্টের গত জায়গাটি লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সেটা এখনো বিরাজমান। এখনো আমাদের সমাজে অনেক বাবা -মা সন্তান বিয়ে দিয়ে একা হয়ে যান। হৈমন্তীর বাবা অধিকার ছেড়ে দিয়ে ফিরে পাবার আশা না করলেও আমাদের সমাজে অনেক বাবা মা আছে অধিকার ফিরে পেতেতো চান সাথে অন্যের ছেলের উপরও অধিকার ফলাতে চান। তখন সম্পর্কের টানপোড়েন ঘটে, শান্তি বিনষ্ট হয়। অনেক সময় সুন্দর একটি সম্পর্ক অংকুরেই শেষ হয়ে যায়। যার ভুক্তভোগী হয় ছেলে আর মেয়ে। বাবা-মা যখন বুঝে তখন আর কিছু করার থাকে না। ততোদিনে বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়, পারস্পারিক শ্রদ্ধায় টান পড়ে, ভালবাসার নদীতে চর পরে, তখন জীবন তরী আর চলতে চায় না। দুই পক্ষ বাধ্য হয়ে জীবন তরী নিজ ঘাটে নোঙর করে।
একটি সুখের স্বপ্নের পরিসমাপ্তী ঘটে। একা জীবনে অহায়ত্ব প্রবল ভাবে দানা বাধে। অনেকে হয়তো দ্বিতীয় সঙ্গী বা সঙ্গীনির সন্ধ্যান করেন, পেয়েও যান, কিন্তু সুরের তাল লয়ে যে ভাটা পরে সেটা ফিরে পান না। প্রথম সব কিছুর মত দ্বিতীয়টা হয়না। যেমন অনেকে বলে ভাঙ্গা কাঁচ জোড়া লাগে না। সেই ফেলে আশা দিন গুলোর মায়া থেকে কেউ বের হতে পারে না। ফলে সেখানেও ঘটে বিপত্তি। সুখ তখন সোনার হরিণ হয়ে যায়। দ্বিতীয় কোন পথ না পেয়ে তখন ছন্দহীন জীবন বয়ে চলে। আপসোস করে প্রথম জীবনটাই ভাল ছিল।
২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
নিষ্কর্মা বলেছেন: লেখার মূল সুর যদি ধরতে পারি, তা হল পিতা-মাতারা সন্তানদের সংসার জীবন বা প্রাক-সংসার জীবনে যেন ইন্টারফেয়ার না করেন। তবে ছেলে মেয়েদেরও এমন সম্পর্কে জড়ানো উচিৎ হবে না যেখানে সামাজিক দূরত্ব অনেক বেশি। সামাজিক সম্পর্ক দূরের হলে টানাপোড়েন হবেই, এবং পিতা-মাতা নাক গলাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
আরমিন বলেছেন: এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মিলে না