নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীলচোখে যা দেখি সব নীল না।

লেখিতে এবং পড়িতে ভালবাসি।

সদালাপী।

সরল মনের মানুষ, লেখালেখি করতে ভাল লাগে, শখের বসে লেখি। সময় কাটাই। মানুষের সাথে বন্ধুতা করতে চাই।

সদালাপী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

সানি লিওন:- পর্ণস্টার থেকে বাঙালীর ঈদ ফ্যাশন!

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

এটা গল্প, কথপোকথন না অনুঘটন সাহিত্যের সেই বিশ্লেষনে সময় ব্যয় করার কোন খায়েশ আমার আপাতত নেই। গল্প জীবনেরই প্রতিকৃতি, আর কথপোকথন বা অনুঘটন থেকেই গল্পের শব্দ চয়ন বা বিন্যাস করা হয়। কিছু হরর, সাইন্টিফিক এবং কল্পকাহিনী নির্ভর সাহিত্যকে বাদ দিলে বাকি সবই মানুষের জীবনের দৈনন্দিন ঘনটাবলীর পঞ্জিকা বা ডায়েরীর পাতা। লেখকেরা মানুষের জীবন সাগরে ডুব দিয়েই খোঁজে আনেন গল্পের রস, তৈরি করেন নানা ধরনের তথ্য নির্ভর কালজয়ী সাহিত্য। মানুষের চোখের সামনে লেখনীর মাধ্যমে মানুষের অচেনা, অদেখা এবং অস্পর্শ জীবনটাকে জীবন্ত ও প্রানবন্ত করে তুলেন। মানুষ সেই গুলো ছাপার অক্ষরে পরে আর জীবনের সাথে মিলিয়ে নেবার চেষ্টা করে। লেখনী শক্তির বলেই অজানা, অচেনা ও অস্পর্শনীয় ঘটনা গুলো জীবনের অংশ হয়ে সাবলীল ভাবে ফুটে উঠে।



নিজের সুসজ্জিত আধুনিক অফিস কামড়ার আরামদায়ক রিভলভিং কেদারায় হেলান দিয়ে বিমর্ষ বদনে বসে আছেন জনাব করিমুল্লাহ। একটা ব্যাপার নিয়ে ভাবছেন, কিন্তু কারো সাথে শেয়ার করছেন না। ব্যপারাটা অফিসের সবাই লক্ষ্য করছেন। মালিক কাম বিগ বস বলে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। কাজের প্রতি অন্যমনস্কতা ভাবটিও লক্ষনীয়। তার সুন্দরী ব্যক্তিগত অফিস সহকারী সুজানা রহস্য উদাঘটনের মিশন নিয়ে করিমুল্লাহ সাহেবের কামড়ায় প্রবেশ করলেন। করিমুল্লাহ সাহেব সুজানাকে দেখে আধো শোয়া অবস্থা থেকে সোজা হয়ে বসলেন। সুজানার হাতে একটা ফাইল। দাড়িয়ে আছেন।

বসো,

ধন্যবাদ দিয়ে বসলেন। ফাইলটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, "স্যার ফাইলটা যদি একটু দেখে দিতেন, তাহলে .... (আর বলতে পারলেন না)

রেখে যাও পরে দেখে দিব।

স্যার একটা কথা বলবো?

হ্যা, সিউর---

কয়েকদিন ধরেই দেখছি আপনার মুড অফ, কি নিয়ে যেন ভাবছেন

মিস সুজানা আপনি ঠিক ধরেছেন-

স্যার কি নিয়ে ভাবছেন শেয়ার করা যাবে?

(একটু ভেবে নিয়ে) হুমম তোমার সাথে শেয়ার করা যায়।

তাহলে বলুন স্যার যদি কোন সমাধান বের করতে পারি।

আমার মেয়েটার বায়না নিয়ে ভাবছি।

কিসের বায়না স্যার?

ঈদের কেনা-কাটা নিয়ে বায়না।

এটা কোন ব্যাপার হলো স্যার? আপনাদের জন্যতো আরো না।

সুজানা আপনি যে দৃষ্টিকোন থেকে ভাবছেন, ভাবনাটা সে নিয়ে নয়।

তাহলে?

ওর ডিমান্ড নিয়ে, পছন্দ নিয়ে?

যেমন স্যার?

আমাকে বলে "বাবা এবার ঈদে আমি সানি লিওনের ড্রেস কিনবো।"

(সুজানা মৃদু হেসে) তো সমস্যা কি স্যার?

সমস্যা তো ড্রেস নিয়ে নয়, ড্রেসের নাম নিয়ে

সুজানা আবারও হাসলেন।

আমিতো সানি লিওনকে চিনিও না, জানিও না, তো ড্রেস চিনবো কি করে? মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম "সানি লিওন" টা কে তার আবার কি রমক ড্রেস মা? মেয়ে আমাকে বলে বাবা তুমি না কিচ্ছু বুঝো না। অফিস গিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই সব জানতে পারবে।

স্যার আপনার মেয়ের বয়স কত?

এই দশ/ এগার হবে।

তাহলে সমস্যা কি কিনে দিন।

আপনি কি বলেন? আমিতো ইন্টারনেট সার্চ দিয়ে দেখি ওনি একজন বিখ্যাত পর্ণস্টার। ওনার ড্রেস পড়বে আমার মেয়ে? আপনার মাথা কি খারাপ? পর্ণ স্টাররা কি কিছু পড়ে নাকি??

স্যার আপনি ভুল বুঝতেছেন, সানি লিওন এখন ভারতে মুভি করছেন এবং সেই মুভিতে যে স্টাইলের জামা পড়েছেন সেই স্টাইলের জামাকে সানি লিওন জামা বলে।

যাই হোক আমার মেয়ে একজন পর্ণ স্টারের জামা পছন্দ করছে, ভাবতেই পারছি না।

স্যার এখন ভাবাভাবির দিন শেষ, সময় অনেক বদলে গেছে।

তাই বলে রূচিও বদলে যাবে?

জ্বি স্যার। সময়ের সাথে রূচিরও পরিবর্তন হয়।

আমি ড্রেসটা দেখেছি, ঐ ড্রেস আমার এতটুকু মেয়েকে পড়ানো যাবে না।

কেন স্যার আপনি না আমাকে বলতেন- "সুজানা তুমি বড় বড় হাতাওয়ালা ব্লাউজ পড়ো কেন? স্লিভলেজ পড়তে পারো না? মোটা সূতির শাড়ি না পড়ে, পাতলা জর্জেটের বা সিল্কের শাড়ি পড়তে পারো না।"

আহা তুমি আর ও কি এক হলো?

স্যার সমস্যা এখানেই সবাই পরেরটা দেখতে চায়, নিজেরটা দেখাতে চায় না।

কি বলছো তুমি?

না স্যার কিছু না। অতো না ভেবে সানি লিওনের ড্রেসটাই কিনে দিন। ছোট বেলা থেকেই অভ্যাশ করুক, বড় হলে পরতে আর খারাপ লাগবে না, তাছাড়া ছোট বেলা থেকে পড়লে আপনার চোখেও সয়ে যাবে।

তুমি কি বলছো, বুঝতেছো?

সরি স্যার। আমি আসছি।(সুজানা উঠে চলে যায়, করিমুল্লাহ সাহেব আবার কেদারায় হেলান দেয়।)



করিমুল্লাহ সাহেব ফ্ল্যাটে ঢুকেই স্ত্রীর ফ্যাকাশে চেহারা দেখতে পেলেন। অরিত্রী বেগম গোমড়া মুখে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে, তবে মন দিয়ে দেখছেন বলে মন হচ্ছে না। কাজের মেয়েটা এসে এরিমধ্যে হাতের এট্যাচিটা নিয়ে গেছে। টাইয়ের নবটা আলগা করতে করতে স্ত্রীর পাশে বসলেন।

স্ত্রীর সাড়া শব্দ না পেয়ে নিজেই মুখ খুললনে।

সুন্দর চাঁদ মুখটাকে অমন অমাবশ্যার ঘুটঘুটে আধারের মত কালো বানিয়ে রেখেছো কেন?

তোমার মেয়ে রুম লক করে শুয়ে আছে। খাওয়া দাওয়া, লেখা-পড়া সব বন্ধ। তার ৩টা জামা চাই। একটা সানি লিওন, একটা শিলা ও একটা ঝিলিক-পরী।

সানি লিওন না হয় বুঝলাম, বাকি দুইটা আবার কে?

সানি লিওন না হয় বুঝলে মানি?

না, ইন্টারনেটে দেখলাম, মহিলাতো একজন পর্ণ স্টার। ঐ জামা কেনা যাবে না।

কি তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে পর্ণ ছবি দেখ? ছিঃ ছিঃ এই তোমার চরিত্রের নমুনা। মেয়েকে আর দোষ দেই কেন? যেমন বাপ, তেমন বেটি। থাকো তুমি আর তোমার মেয়ে আমি এই সবে নাই, কালকেই বাপের বাড়ি চলে যাবো।

আরে কি মসকিল। আমি পর্ণ মুভি দেখবো কেন? ইন্টারনেট নাম লিখে সার্চ দিতে প্রোফাইল দেখলাম। সবাইতো দেখি জানে।

ও! ঠিক আছে এখন যাও মেয়েকে গিয়ে বুঝাও।

আচ্ছা শিলা আর ঝিলিক-পরী এই সব কি?

কাটরিনা কাইফ অভিনিত তিছমারখান সিনেমাতে শিলা থিমের গানটিতে অভিনেত্রী কাটরিনা কাইফ যে পোশাকটি পড়েছেন ওই পোশাকের নাম দেয়া হয়েছে শিলা এবং স্টার জলসায় মা নাটকে ছোট্ট বাচ্চা ঝিলিক ও পরী চরিত্রে যে পোশাকগুলো বেশি পড়ে অভিনয় করেছে ওদের অনুকরনে নামকরণ করা হয়েছে ঝিলিক ও পরী।

উফ! ভারতীয় চ্যানেল দেখে মায়ের সাথের মেয়ের মাথাও গেছে। তুমি কালকেই বাসার ডিসের লাইন কেটে দিবে।

কেটে দিলে কি হবে?

ঐসব আজে বাজে জিনিস দেখা হবে না। এমন উদ্ভট বায়নাও করবে না। তুমি সিরিয়াল দেখে দেখে শাড়ী গহনা কিনো আর মেয়ে উদ্ভট ড্রেস কেনার বায়না ধরছে।

আমি শাড়ী গহনা কিনি?? কবে কিনে দিয়েছো?

আমি দেই না, তুমিই কিনো। থাক সে সব কথা বাসা থেকে ডিস উদাও করো, এখনো সময় আছে, তানা হলে মেয়ে বড় হলে ঝক্কি ঝামেলা আরো বাড়বে।

আচ্ছা ডিস কেটে দিলেই কি সমাধান হয়ে যাবে?

হ্যা হবে।

না হবে না। হাতের মুঠোয় মোবাইলে যে ইন্টারনেট আছে ঐটাতেও অনেক কিছু দেখা যায়।

উফ! বলো কি?

হুমমম। পাগলামী করো না, মেয়েকে বুঝাও। বলো শিলা, ঝিলিক ও পরী কিনে দিবে এবং অন্য জামাও দেয়া হবে।

ঠিক আছে। যাচ্ছি।



একমাত্র মেয়ে অরীন রুম থেকে বের হয়ে উৎফুল্ল চিত্রে চঞ্চলা হরিণীর মত লাফাতে লাফাতে বাবা-মার রুমের ঢুকলো। মা অরিত্রী খাটে বসা, বাবা করিমুল্লাহ সাহেব ওয়াশ রুম থেকে সবেমাত্র বের হয়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় নিজের চেহারা দেখছিলেন। একমাত্র মেয়ের হঠাৎ উপস্থিতিতে ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার মত একের অপরের দিকে তাকিয়ে একটু অবাক হলেন। মেয়ের দিকে তাকিয়ে কিছু শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন। উচ্ছ্বিত অরীন তখনো খুশীতে লাফাচ্ছে। মা- বাবা অপ্রত্যাশিত উচ্ছ্বাসের হেতু বুঝে উঠার আগেই অরীন ঘোষনা দিল-

আম্মু সানি লিওনের ড্রেস কিনে দিতে হবে না।

করিমুল্লাহ সাহেব যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, মা অরিত্রী খাট থেকে উঠে এসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বললেন, "লক্ষী মেয়ে আমার, তোমাকে আমরা অনেক গুলো সুন্দর ড্রেস কিনে দিব।

ওকে, তবে ছোট খালামনি যে দুইটা কিনে দিয়েছে ঐ দুইটা বাদে।

করিমুল্লাহ সাহেব খুশী মনে জানতে চাইলেন- "ছোট খালামনি মা কোন দুটি ড্রেস কিনে দিয়েছে?"

একটা সানি লিওনের অনট্য পাগলু।

মা অরিত্রী ও বাবা কলিমুল্লাহ সাহেবের মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়লো, চুপ হয়ে গেলেন, মা-বাবা বিমর্ষ অবয়বটা দেখে অরীন রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে চলে এলো।



তোমার বোন আমার মেয়েটার মাথা খাচ্ছে, সেই বিয়ের পর থেকেই দেখছি যত সব উদ্ভট পোশাক পরে, এখন আমার মেয়েটার মাথা নষ্ট করার এজেন্ডা হাতে নিয়েছে। খবরদার তোমার বোন যেন ঐসব নোংরা পোষাক নিয়ে আমার বাসায় না আসে।



কি আমার বোন নোংরা পোষাক পড়ে? আসলে তোমাদের মত পুরুষদের মন ও চোখ নোংরা। তোমরা মেয়েদেরকে ভোগ্য পণ্য ভেবে নোংরা দৃষ্টি নিয়ে তাকাও। আমার বোন আধুনিকা, ও সব সময় স্মার্ট, মার্জিত এবং হাল ফ্যাশনের জামা পড়ে। এতেই তোমার লালা চলে আসে, আগে নিজেকে ঠিক করো। ও যেহেতু সানি লিওনের পোষাক অরীনের জন্য কিনেছে, তাহলে মোটেও খারাপ পোষাক নয়, ও আসবে এবং আমার মেয়ে ঐ পোষাক পড়বে।



আসলে ইন্ডিয়ান চ্যানেল গুলো দেখে তোমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে গেছে, চোখের লজ্জা শরম, ভদ্রতা, শালীনতা, পরিমিতবোধের মাথা খেয়েছো। জীবনকে শোবিজের মানুষের মত ভাবো, নাটক সিনেমার পোষাকে নিজেদেরকে আধুনিকা, স্মার্ট আর মার্জিত ভাবো। এটা তোমাদের ভুল ভাবনা, সাময়িক মতিভ্রম। তোমরা শালীনতাকে উপেক্ষা করে অর্ধবসনকে ভাবো ফ্যাশন, স্মার্টনেস, সত্যি তোমাদের রূচিবোধ আর লজ্জাবোধ ধ্বংস হয়ে গেছে।



শোনো যা কিছু চলমান তাকে গ্রহন করতে শিখো, মনের পুরানো ধ্যান ধারনা বদলে ফেলো, মেয়ে বড় হচ্ছে, বাবা হিসেবে দৃষ্টিভংগি পরিবর্তন করো, এড়িয়ে যাবার কৌশল শিখো, সব কিছু নিয়ে মাথা ঘামালে ব্যবসায় মাথা ঘামাবে কখনো? টেবিলে আসো নাস্তা দিচ্ছি। অরিত্রী চলে গেলেন, করিমুল্লাহ সাহেব খাটের উপর বসে পড়লেন, শেষের কথা গুলো মনে মনে রিপিট করছেন।



অরীন রুমে বসে ফেসবুকে বন্ধুর সাথে চ্যাট করছেন। বিষয় ঈদের ফ্যাশন, বাজারে কি কি ধরনের জামা এসেছে, কে কোনটা কিনেছে, ইত্যাদি নিয়ে চ্যাট হচ্ছে-

অরীনঃ জানিস ছোট খালামনি আমার জন্য সানি লিওনের ও পাগলু ড্রেস দুইটা কিনেছে।

বান্ধবীঃ কি বলিছ?? সানি লিওনের জামা কিনেছিস? ছিঃ ছ্‌ তোর রূচী এতো খারাপ?

অরীনঃ ছিঃ ছ্‌ করার কি হলো?

বান্ধবীঃ আমারও প্ল্যান ছিলো সানি লিওনের জামা কিনবো।

অরীনঃ তো?

বান্ধবীঃ আপুর কাছ থেকে সান লিওনের প্রোফাইল জানার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।

অরীনঃ কি জেনেছিস?

বান্ধবীঃ সানি লিওন নাকি একজন পর্ণস্টার, কানাডায় পর্ণ মুভিতে অভিনয় করে, ইন্ডিয়াতে আসছে মুভি করার জন্য। ছিঃ ছিঃ একজন পর্ণ স্টারের পোষাক পড়া যাবে না। তাই আর কিনিনি।

অরীনঃ কি বলিছ, আমিতো জানতাম ইন্ডিয়ান নায়িকা, পর্ণ মুভিরও নায়িকা!! ছিঃ ছিঃ আমি কি করেছি?

বান্ধবীঃ কেন কি করেছিস?

অরীনঃ আমি সানি লিওনের জামা কিনার বায়না ধরলে আব্বু জানতে চেয়েছইল সানি লিওন কে? আমি বলেছিলাম, ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখ। বাবা আমাকে কি না ভাববে। আমার ভীষণ লজ্জা লাগছে।

বান্ধবীঃ আংকেল বুঝবেন যে তুই না জেনে বলেছিস, এই নিয়ে ভেবে মন খারাপ করার কিচ্ছু নেই।

অরীনঃ তুই রাখ আমি এখনি ছোট খালামণিকে ফোন দিয়ে বলে দেই সানি লিওন জামাটা যেন পরিবর্তন করে নিয়ে আসে।

বান্ধবীঃ হুম, সেটাই ভালো হবে। বাই, টেক কেয়ার।

অরীনঃ বাই, ইউ টু ।



অরীন দৌড়ে মা অরিত্রীর কাছে গেল, মাথা নিচু করে বললো- "মা আমার মোবাইলেও তো ব্যালেন্স নেই, তুমি কি একটু ছোট খালামণিকে ডায়াল করে দিবে?"

অরিত্রীঃ কেন মা?

অরীনঃ ছোট খালামণিকে ঐ ড্রেসটা চেঞ্জ করতে বলবো?

অরিত্রীঃ কোন ড্রেসটা মা মণি??

অরীনঃ ঐযে ঐ ড্রেসটা।

অরিত্রীঃ (মেয়ের মনের কথা বুঝতে পারলেন) ও বুঝেছি, লক্ষী মা মণি আমার, তুমি নিজে থেকে বুঝতে পেরেছো বলে আমি অনেক খুশী হয়েছি, তোমার বাবা জানলে আরো বেশী খুশী হবে।

অরীনঃ সরি মা, আব্বুকে বলো আমি না জেনে ভুল করেছি। সরি টি আব্বু। মাকে জড়িয়ে ধরে অরীন কেঁদে ফেললো।

অরিত্রীঃ ঠিক আছে, কাঁদতে হবে না, আমি খালামণিকে ফোন করে বল দিব। যাও লক্ষী মা এবার গিয়ে একটু পড়তে বসো।

অরীনঃ লক্ষী মা, (গালে চুমু খেয়ে রুম থেকে দৌড়।)



ধন্যবাদ।

তারিখ: ২৩-০৭-২০১৩

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

অপরিপক্ক বলেছেন: ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.