![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরল মনের মানুষ, লেখালেখি করতে ভাল লাগে, শখের বসে লেখি। সময় কাটাই। মানুষের সাথে বন্ধুতা করতে চাই।
সম্প্রতি পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অনেকটা আত্মসন্তুষ্টিতে ভাসছে। আগামী পাঁচ বছরের ক্ষমতা পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে। যেটা সম্পূর্ণ আত্তঘাতী চিন্তা। বরং আত্মসন্তুষ্টিতে না ভেসে আত্মশুদ্ধিতে মনোনিবেশ করা উচিত। কি কারণে বাংলাদেশের জনগণ ২০০৮ সালের নির্বচনে ডাস্টবিনে ছুড়ে মেরেছিল, সেই সব কারণ বের করে, প্রতিকারের দিকেই মনোনিবেশ করা উচিত।
বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি যতটানা সফল, তার চেয়ে সরকারী দল আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা বেশি। যার কারণে সাধারণ জনগণ সরকারে প্রতি বিরক্ত হয়ে বিএনপির পক্ষে ভোট দিয়েছে বলেই অনেকে ধারনা করেন। কিন্তু আমার মনে হয়, ভালো বিকল্প না থাকার করণে মানুষ মন্দের ভালো বেছে নিয়েছে।
বিগত চার বছরে বিএনপি মানুষের মনে পজিটিভ ইম্প্রেশন প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান অস্পষ্ট। সাধারন মানুষের অধিকার ও ভোগান্তিভ পক্ষে আপনাদের অবস্থান সূদৃঢ় ছিল না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক ইয়াসমীন হত্যা নিয়ে বিএনপির মসনদ উড়িয়ে দিয়েছিল অথচ বিএনপি বহু ইস্যূ পেয়েও কিছু করতে পারেনি। বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে অনেক অনেক দূর্বল দল। প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসন ইমেজ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বারংবার ভুল রাজনীতির কারণে বিশাল জনগোষ্ঠি বিএনপিকে পছন্দ করে। এই পছন্দের পেছনে যতটা না আদর্শিক তার চেয়ে বেশী আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর বাংলাদেশের রাজনীতির অস্থির পরিবেশের মধ্য দিয়ে (বৈধ অথবা অবৈধ যেটাই বলি না কেন) জিয়াউর রহমানের অনুপ্রবেশ এবং তাঁরই হাত ধরে বিএনপির জন্মলাভ। অনেকে বলেন সেনা ছাউনীতে বিএনপির জন্ম, এটা গণতান্ত্রিক ভাবে জনগণের দ্বারা তৈরি হয়নি। আমার তখনো জন্ম হয়নি, তবে বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়ে যা জেনেছি, বুঝেছি তাতে মনে হয় সময়ের প্রয়োজনে এবং জনগণকে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতেই নতুন রাজনীতির বার্তা নিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছিলো। তাইতো দলমতের ভেদাভেদ ভুলে, হিংসা বিদ্বেষের তোয়াক্কা না করে মুক্তিযোদ্ধা, বাম-ডান, ইসলাম এবং স্বাধীনতা বিরোধী কিছু চিহ্নিত রাজাকারদের নিয়ে বিএনপি যাত্রা শুরু করে। বিতর্কিত রাজাকারদের নিয়ে দল গঠন করেও জিয়া তার ক্যারিশম্যাটিক গুন দিয়ে, সুশাসন আর উন্নয়ন দিয়ে মানুষের মন জয় করতে পেরেছিলেন। প্রতিষ্ঠার কাল থেকেই এই দলটির রাজাকার প্রীতি লক্ষ্যণীয়। সেদিনকার বিএনপি জিয়ার বিচক্ষণতা, রাজনৈতিক পরিপক্কতা, মার্জিত এবং শালীন স্বভাবের বদৌলতে মানুষের কাছাকাছি পৌছে যায়। দিশাহীন জাতি, আতংকগ্রস্ত দেশবাসী একটু শান্তির সুবাতাস পাওয়ার প্রতিদানে জিয়ার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপির রাজাকার প্রীতি মানুষ উপেক্ষা করেছিল। কিন্তু সচেতন নাগরিক সমাজ, মুক্তিযুদ্ধের ধজ্জাধারীরা শুরু থেকেই এর বিরোধী করে আসছিলো, যা এখনো অব্যাহত আছে, বরং আগের চেয়ে তীব্র ভাবে।
ছোট বেলা একটা কথা পড়তাম-"জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো"। গুনীজনদের সেই কথার বাস্তবতার আলোকেই আজকের বিএনপি। জিয়ার ক্ষুদ্র শাসনামে যে ভালো কর্ম করেছিলো তাঁর উপর দাড়িয়ে আছে আজকের বিএনপি। ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০০১-২০০৬ দুই দুইবার ক্ষমতা এসে ভালো কাজের চেয়ে খারাপ এবং অকাজই বেশি করেছে।
কৃষকের সারের দাবী অগ্রায্য করে গুলি বর্ষণ থেকে শুরু করে সীমাহীন দূর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাস, দখলবাজী, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী এইসব কাজই ছিল তখনকার বিএনপির শাসনামলের চিত্র। মাগুরার বিতর্কিত নির্বাচন, সংখ্যালুঘুদের উপর অত্যাচার, দলীয়করণ আর স্বজনপ্রীতি ছিল সর্বত্ত আলোচনার বিষয়। পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরাকরও সেই কুবৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি। ঢাকার মেয়র নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপি লালবাগের সেভেন মার্ডার জনগণের মন থেকে মুছে যেতে না যেতেই ফেনীর হাজারীর নির্মমতা মানুষকে হতবাক করেছিলো।
বাংলাদেশে সন্ত্রাস ১৯৯৬-২০০১ সালে নতুন মাত্রা পায়, তাই মানুষ বিএনপির কুকর্ম ভুলে আবার ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে। সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রথম আঘাতটা জনগণের বুকেই করে। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা দেশের মন্ত্রী হয়, যে জাতীয় পতাকাকে অস্বীকার করেছিল, আগুনে পুড়িয়েছিল সেই পতাকাশোভিত গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। এটা ছিল জাতীর কাছে একটা লজ্জার ব্যাপার। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত তারেকের রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব। ক্ষমতার অপব্যবহার নতুন মাত্রা পায়। দেশে শুরু হয় দ্বৈত শাষন। একদিকে মা, অন্যদিকে ছেলে। একদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অন্যদিকে হাওয়া ভবন। দশ ট্রাক অস্র খালাস থেকে ২১শে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, ৬৩জেলায় একসাথে বোমা বিস্ফোরণ, বাংলা ভাই চরিত্রের উদ্ভব, বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা এইসবি বিএনপির স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ। দলে তারেকের আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়ন নেতাদের অবহেলা ও অবজ্ঞা মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। দ্বিতীয় টার্মে খাদ্য দ্রব্যের মূল্যের উর্দ্ধগতি মানুষকে দিশেহারা করে ফেলে। যতটা না খারাপ কাজের জন্য, তারচেয়ে বেশি খাদ্য মূলের বিরামহীন উর্ধ্বগতির জন্য মানুষ বিএনপি কে দূরে ঠেলে দিতে থাকে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পাগলপারা বিএনপি একটার পর একটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিতে থাকে, যেটা পরবর্তীতে বুমেরাং হয়ে যায়। তত্ত্ববধায়ক সরকার নিয়ে টাল বাহানা, প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে নির্লজ্জপনা এবং তারেকের একগুয়েমীর কাছে গণতন্ত্র অসহায় হয়ে পড়ে। মানুষ ভেতরে ভেতরে ফুঁসতে থাকে, মানুষের সেই হৃদয়স্পনদন আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরে সর্বশক্তি নিয়ে নামে এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে। এর পরবর্তী ফলাফলতো আমাদের জানা। নিরুঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ পাওয়া একটা দল মাত্র ২৯টি আসন পায়, যা বাংলাদেশের মানুষকে অবাক করে। অপকর্মের ফল হাতে হাতে পেয়ে যায়।
বর্তমানে দেশের যা অবস্থা আমরা আবার পুরানো নাটকের রিপ্লে দেখার অপেক্ষা আছি! আবার সংঘাত, সংঘর্ষ, সহিংসতা, হানাহানি পূর্ভাবাস পাচ্ছি। সমগ্র জাতী আজ উদ্বিঘ্ন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেই উদ্বিঘ্নতা উপেক্ষা করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে থাকার কুটকৌশল করছে। এরা অতীত থেকে কোনো শিক্ষাই নিচ্ছে না। বিএনপি এখন জনগণের হৃদয়স্পনদন বুঝে যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে হয়তো আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৯ আসনই উপহার পাবে।
বিএনপিকে অনেক কৌশলী হতে হবে। সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার আশায় গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিলেই হবে না। নিজেদের আত্মোসমালোচনা করতে হবে, আত্মশুদ্ধির মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এখন থেকেই গঠনমূলক এবং দিক নির্দেশনামূলক কর্মসুচী এবং আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে কোন কোন বিষয় গুলো অগ্রাধিকার দিবে সেটা মানুষকে বুঝতে হবে, শুধু মুখে বললেই হবে না, কাজে এবং কর্মে মানুষের মনে সেই বিশ্বাসস্থাপন করতে হবে।
যে বিষয় গুলো মানুষের কাছে স্পষ্ট করতে হবে-
১। স্বাধীনতা, মুক্তিযোদ্ধ, রাজাকারে বিচারের বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। দেশের তরুন ভোটারদের প্রাণের দাবী রাজাকারের বিচারের বিষয়টির ব্যাপারে সঠিক নির্দেশনা দিতে হবে।
২। রাস্তাঘাট, পদ্মাসেতু, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে সঠিক ধারনা তুলে ধরতে হবে।
৩। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দখলবাজী, খুন, গুম, বন্ধ করার সপথ নিতে হবে এবং সেই বিশ্বাস মানুষের মনে স্থাপন করতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দূর করার অঙ্গীকার করতে হবে।
৪। ছাত্রদলের কর্মকান্ড কঠোর হাতে ধমন করতে অঙ্গীকার করতে হবে। অছাত্র বাদ দিয়ে ছাত্রদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পারলে শিক্ষাঙ্গণে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সবখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, মুখে বললে হবে না, সেই বিশ্বাসস্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।
৫। নারী অধিকার এবং নারীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত কল্পে মানুষের নেগেটিভ ধারনা দূর করতে হবে।
৬। জামাত এবং হেফাজত নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে, এবং দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
৭। দূর্নীতির তদন্ত কল্পে বিদেশী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরি করে জনসম্মুখে প্রকাশ করার ঘোষনা থাকতে হবে। দলীয় লোক দিয়ে নয়, নিরপেক্ষ বিদেশী সংস্থা নিয়োগ দিতে হবে। রাজনৈতিক না হয়ে যেন দেশের স্বার্থের দিকটাই প্রাধান্য পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
৮। মানুষের মনের নেতিবাচক ধারনা গুলো সম্পর্কে অবহিত হতে হবে এবং সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে।
৯। তারেক এবং কোকোর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। দল এবং সরকার প্রধান আলাদা করতে হবে। তারেক সরকারে থাকবে না দলের হাল ধরবে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। দলের হাল ধরলে সরকারী কর্মকান্ডের হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত রাখতে হবে, শুধু বললেই হবেনা, সেটার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমান করতে হবে।
১০। বিরোধী দলের মতামতকে সম্মান এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
১১। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ হলো ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কি কি করনীয় সেটা সব দলের সাথে বসে ঠিক করার ঘোষনা থাকতে হবে।
দূর্ণীতি, সন্ত্রাসী, অনিয়ম চাঁদাবাজির কলংক কপাল থেকে দূর করার জন্য মানুষের আস্থা অর্জনে একটা সর্বদলীয় কমিটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ নিতে হবে, বিরোধী মতকে উপেক্ষা না, আস্থায় এনে কাজ করতে হবে।
দেশের তরুন সমাজ আগামী দিনের ভবিষ্যত, এদের কথা ভেবে, এদের হৃদয় এবং আবেগকে বুঝে রাজাকারের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির-রাজাকারের মিত্রতা দূর ঠেলতে হবে। রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দলের মধ্যে কোন গনতন্ত্র নেই সেটা স্থাপন করতে হবে। ত্যাগী, অভিজ্ঞ, ক্লীন ইমেজের নেতাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজীর অভিযোগ আছে, যারা সন্ত্রাসী বলে পরিচিত তাদের কোন ভাবেই দলে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। দল ত্যাগ করে যাওয়া বিএনপির মূল নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে, ক্ষমা চেয়ে ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরত নিতে হবে। শক্ত রাজনৈতিক অবস্থান ছাড়া শক্তিশালী আওয়ামী লীগকে ধরাশায়ী করা দুষ্কর।
আমার লেখা এবং মতামত পড়ে অনেকে ভাবতে পারেন আমি বিএনপি সমর্থক। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, বাংলাদেশ তথা সাউথএশিয়ান দেশ গুলোর ক্ষমতার পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেশন করলে, কোনো দলই পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসতে পারেনা, সেই ধারাবাহিকতা থেকেই বিএনপির সম্ভাবনা বেশী, তাই ভবিষ্যত রাজনীতির সুন্দর পরিবেশের কথা ভেবে বিএনপিকে সৎ পরামর্শ দিলাম। জানিনা আমার এই লেখা বিএনপির কেউ পড়বে কিনা, তবু মনের কথা লিখে জানালাম। আমার এই কথা গুলো শুধু বিএনপির জন্য নয় সব দলের জন্যই প্রজোয্য। মন্দের ভালো খোঁজা মানুষের জন্য কিছু করার মানসিকতা নিয়ে আরো একটা খারাপ, স্বাধীনতা বিরোধীদের মিত্র, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা বিএনপিকে কিছু পরামর্শ দিলাম।
আমরা রাজনীতিতে নতুন বোতলে পুরানো মদ দেখতে চাই না, আমরা সত্যিকারে ভিন্নধর্মী সরকার চাই। বিরোধী দলকে নিয়ে সমঝোতার সরকার চাই। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি-কাটাকাটি, হত্যা, খুন গুম দেখতে চাই না। মানুষ স্বাধীন ভাবে তার মতামত প্রকাশ করুক এবং সর্বক্ষেত্রে সমান সুযোগ উপভোগ করুক।
সন্ত্রাস শুধু সন্ত্রাসের জন্ম দেয়, সৌহার্দ্য সুন্দর পরিবেশ উপহার দেয়। বিরোধী মত উপেক্ষা না করে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত খারাপ হলেও বিরোধীদল ইস্যু বানাতে পারে না। আশা করি আমাদের রাজনীতিবিদরা সেটা বুঝতে সক্ষম হবেন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
আস্তবাবা বলেছেন: বিএনপি অনেক পজিটীভ ছিল। আশা করি আগামীতেও আরও পজিটিভ হবে। কিন্তু রাজনীতির পরিবেশ সুন্দর করতে হলে আওয়ামীলিগের উগ্র রগচটা আচরণ এর পরিবর্তন না হলে হবেনা। একপক্ষীয় ভাবে ভাল কিছু করা যায়না