নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীলচোখে যা দেখি সব নীল না।

লেখিতে এবং পড়িতে ভালবাসি।

সদালাপী।

সরল মনের মানুষ, লেখালেখি করতে ভাল লাগে, শখের বসে লেখি। সময় কাটাই। মানুষের সাথে বন্ধুতা করতে চাই।

সদালাপী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ কি ভেবে চিন্তে প্রচারনা চালাচ্ছে, নাকি হতাশা থেকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে??

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

নোট: লেখাটা পড়ে অনেকে হয়তো আমাকে রাজাকারের দোসর বিএনপির সমর্থক ভাববেন, লেখাটা লিখতে গিয়ে কিছু কথা বিএনপির পক্ষে গেছে বটে কিন্তু বিএনপির পক্ষাবলম্বন করার কোন রকম মন মকানসিকতা আমার নেই। আমি সব কিছু সইতে পারি রাজাকারের পৃষ্ঠপোষকতা সইতে কষ্ট হয়।



বাংলাদেশের জনগণ আসলে ঘুমিয়ে থাকেন অথবা নিজ দেশের ১৫/১৬টি চ্যানেল বাদ দিয়ে ভারতীয় হিন্দি, বাংলা চ্যানেল দেখেন। আর একটু আধুনিক শিক্ষিত আমজনতা এইচবিও বা অন্য কোন চ্যানেলে বুদ হয়ে থাকেন। নিজ দেশের শ'খানি পত্র-পত্রিকা বাদ দিয়ে বিদেশী পত্রিকা পড়েন। তাইতো নিজ দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানেন না। আর তাই জনকল্যানের সরকার মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে বিকশিত করার অভিলাশে বিলবোর্ড শিক্ষার প্রচলন শুরু করেছেন।



বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্বনাধন্য বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে মুর্খ জাতিকে অবহিত করার মহাব্রতী নিয়ে সাত সাগর তেরনদী পাড় হয়ে গল্পের ডালিম কুমারের মত নতুন উদ্ভাবনী কৌশল নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রথমে তথ্য আছে বলে বোমা ফাটিয়েছেন, দেশ ত্যাগের আগে বিলবোর্ড দখলের মাধ্যমে মূর্খ জাতিকে সাড়ে চার বছরের উন্নয়নের খবর দিয়ে গেলেন, যা এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি।



বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমুখী দল এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হরহামেশা বলে থাকেন। ওনি বাংলাদেশের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত বলে সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এই দেশের জন্যই নাকি ওনার সব কিছু। অথচ উত্তারিধাকারী দুই জনই ভীন দেশীর পাসপার্ট দারী। জীবনের বেশীর ভাগ সময়ই ওনারা বিদেশে থাকেন। একমাত্র মেয়ের শ্বশুর স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার বলেই বেশি সমালোচিত।



এইসব পুরনো বিষয় আমার লেখার বিষয় না। আমার বিষয় হলো একটু ভিন্ন। মূল বিষয়ে যাবার আগে একটা ছোট গল্প বলি।



ছেলে বড় হয়ে গেছে মামা বাড়ি বেড়াতে। মামা বাড়ির আতীথিয়তায় মুগ্ধ। যা দেখে তাই তার কাছে বিস্ময় লাগে। কয়েদিক মন ভরে বেড়ানোর পর বাড়ি ফিরে এসে মার কাছে মামা বাড়ীর গল্প শুরু করলো। ছেলে গল্প বলে আর মা বলে জানিতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মা ছেলের আগেই বলে দেয়, মায়ের মুখে বলার আগে শোনে ছেলেতো অবাক। ছেলে মাকে প্রশ্ন করে-"মা তুমি কি করে জানলে? তুমিতো আমার সাথে যাওনি?" স্নেহময়ী মা মুচকি হেসে বলে -"বাবা ঐ বাড়িতেই আমার জন্ম এবং বেড়ে উঠা, ঐ বাড়ির প্রতিটি ঘটনা, চরিত্র এবং পারিপার্শ্বিকতা আমার জানা।" ছেলে হতাশ হয়ে গল্প বলা বন্ধ করে দিলেন। মার কাছে মামা বাড়ির গল্প বলার মত বোকামী আর হতে পারে?



আমাদের স্বাধীনতা স্বপক্ষের সরকার, জয় বাংলার সরকার, মুক্তিযোদ্ধের সরকার মার কাছে মামা বাড়ির গল্প বলা শুরু করেছেন, তাও আবার মুখে নয়, বিলবোর্ডে। আর এই বিলবোর্ড গুলো কিভাবে সংগ্রহ করা হলো এবং রাতারাতি কারা সাটিয়ে দিল সেই ব্যাপারেও সরকার একটা ক্লাইমেক্স তৈরি করে রেখেছেন। কেউ এই আলোচিত-সমালোচিত কাজটির দায় নিতে চানচ্ছে না। ভাবটা এমন আলাদীনের প্রদ্বীপের ফজিলতে কোন ভূত এসে লাগিয়ে দিয়ে সরকারের কাজ-কর্মের বর্ণনা করছেন। সাবাস বাংলাদেশ, সাবাস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।



আগে রাজনীতিতে দেখতাম সন্ত্রাসীরা চর দখলের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল দখল করত, (এখনো হয়), টেন্ডার বাজী করতো, চাঁদাবাজি করতো (এখনো হয়), বিরোধী মতকে পিটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া করতো (এখনো করে)। এই প্রথম দেখলাম বিলবোর্ড দখল। সেটাও আবার ব্যবসা করার জন্য নয়, সরকারের গুনকীর্তন করার জন্য। কোন প্রকার আগাম নোটিশ না দিয়ে, বিলবোর্ডে যাদের বিজ্ঞাপন চলমান ছিল, তাদেরকে অবহিত না করে, বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলোর পূর্বানুমতি না নিয়ে কেন করা হলো এটাই এখন প্রশ্ন।





কিন্তু উন্নয়নের এই ফিরিস্তি নিয়ে আমার ভাবনা ভিন্ন। সরকার যে সব উন্নয়নের ফিরিস্তি বিলবোর্ডের মাধ্যমে গাইছে, সেই গুলো আসলেই উন্নয়ন না একটি সরকারের রুটিন মাফিক জনসেবা মূলক কাজ? এই গুলো যদি উন্নয়নের ফিরিস্তি হয় তাহলে একটি সরকারের কাজ কি? একটি সরকার কি ক্ষমতায় বসে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য না দেশের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য? একটি দেশের উন্নয়নের মাপ কাঠি কি কয়টি ওভার পাস করলাম, কয়টা স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম দিলাম, কয়টা মাদ্রাসা আধুনিকায়ন করলাম, কয়টা ৫০০শয্যা হাসপাতল করলাম, কয়টা ট্রমা বা বার্ন ইউনিট করলাম, কয়টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করলাম, কয়জনের চাকুরি জাতীয়করণ করলাম, কয়টি স্কুল ও কলেজ এমপিও ভুক্ত করলাম, কয়জন বৃদ্ধকে ভাতা দিলাম (যদিও ভাতা সব আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকদের পকেটেই গেছে), কয়জন মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করলাম আর কয়জন মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দিলাম, ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ?? নাকি উন্নয়নের মাপ কাঠি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বেকারত্ব হ্রস, নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি, নতুন নতুন শিল্প স্থাপের মাধ্যমে রপ্তানী বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাজার সম্প্রসার, জীবনযাত্রার মান নিয়ন্ত্রণ, মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার সূচক বৃদ্ধি, মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড হ্রাস, জীবনের নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন, আইনের শাসন, দূর্নীতি নির্মূল, ব্যবসায়ের সঠিক পরিবেশ, নির্বিঘ্ন চলাচল, খুন-গুম বন্ধ, সত্যিকারে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি, প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম দূর করন, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় করণের বলয় থেকে বের হয় মেধা ভিত্তিক পদোন্নতি নিশ্চিতকরণসহ, সামাজিক স্থিতিশীলতা আনয়ন কর্মকান্ডসহ ইত্যাদি। যে গুলো উন্নয়ন হিসাবে বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে তার মধ্যে বেশীর ভাগই সরকারে সেবামূলক রুটিন কাজ অন্যথায় সরকারেরতো প্রয়োজন নাই।



আসুন এবার কিছু উন্নয়ন নিয়ে বিশ্লেশন করি, দেখি বিলবোর্ডের তথ্য কতটুকু যৌক্তিক এবং কতটুকু আওয়ামী সফলতার মধ্যে পরে।



এখানে বলে রাখি সেই উন্নয়নের ফিরিস্তির বিশ্লেশন করা হল যেগুলোর জন্য তথ্য-উপাত্ত লাগে না, সাদা চোখের বিশ্লেশনই যথেষ্ট:



১। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা- "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য চলমান----"

নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যাগ, কিন্তু আমার আপত্তি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নিয়ে।নিচের ঘটনা গুলো কী আইনের শাসনের পরিপন্থী না?? আপনারা পড়ুন তারপর ভেবে বলুন-

ক) ইলিয়াস আলী ড্রাইভারসগ গুম, অতপর তার লাশটিও পরিবার পেলো না।

খ) সাগর-রুনি হত্যা কান্ডের আজো কোন আসামী ধরা পড়লো না।

গ) নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমানের হত্যার বিচার কি পরিবার পেয়েছে?

ঘ) দিবালোকে বিশ্বজিতকে কুপিয়ে হত্যা কি আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করে?

ঙ) ত্বকী হত্যার রহস্য কী উদঘাটিত??

চ) নাটোরের বড়াই উপজেলার চেয়ারম্যানকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে, তারা কি সাজা পেয়েছে?

ছ) ছাত্রলীগের হাতে ১৭জন ছাত্র/ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ খুন, কারো কী বিচার হয়েছে?

জ) সুরঞ্জিত বাবুর অর্থ কেলেংকারীর বিচার কি হয়েছে?

ঝ) এমপিদের পিস্তল বের করে গুলি করা, এমপির পিস্তলের গুলিতে মানুষ খুন, কিন্তু এমপিরা নির্দোশ, এটা কেমন আইনের শাসন!



২। জঙ্গী বাদ নির্মূল:

খুবই ভালো কথা, প্রশংসার দাবীদার।

আসুন দেখি আসল চিত্রটি কি?

বিএনপির শাসনামলে রাজশাহী অঞ্চলের বাংলা ভাই আর আব্দুর রহমানের হাত ধরে জঙ্গীবাদের বিস্তার। দেশের ৬৩টি জেলায় একই দিনে একই সময়ে বোমা ফাটিয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনজীবনে আতংক ছড়িয়ে দেয় এই জঙ্গী বাহিনী। বিএনপি সরকারকে মদদদাতা ও উসকানী দাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। সেই সময়ের সরকারকে জঙ্গী আশ্রয় দেয়ার কথাও বলা হয়। সরকার হিসেবে বিএনপি সেই দায় এড়াতে পারে না, সেই দায়িত্ববোধ থেকেই মনে হয় বিএনপি শাসনামলেই এই জঙ্গী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয় এবং আইনের মাধ্যমে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করে। বাংলাভাই ও আব্দুর রহমান অধ্যায়ের সমাপ্তী ঘটে।



২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল ৭বছরেও আওয়ামী লীগ সরকার আর কোন জঙ্গীদের বিচার শেষ করতে পারেনি, যেমন মুফতি হান্নান শাহ।



২০১৩ সালে ফ্রেব্রুয়ারীতে গনজাগরণ মঞ্চ এবং এর পাল্টা হেফাজতের উত্থান, অতপর কর্মসূচী, পাল্টা কর্মসূচী, হতাহত, গুন, গুম এই গুলো কি জঙ্গীবাদ নয়। এই গুলোর উত্থান কি বর্তমান সরকারে মেয়াদ কালে নয়। জঙ্গীবাদ শুধু দাড়ি-টুপিওয়ালা করলে, অন্যেরা করলে কি বলে?? রামুর নৃশংসা ঘটনা সাম্প্রতিককালের মাটিররাঙ্গার ঘটনা, হাজার হাজার হিন্দু পরিবারের উপর হামলা, তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ একটি সরকার কিভাবে বলে জঙ্গীবাদ নির্মূল তাদের একটি অন্যতম সাফল্য?? আমার মত আমজনতার মাথায় আসে না।



৩। আন্তর্জাতিক সমুদ্র বিজয়:

হ্যাঁ সত্যিই বিজয়! এই বিজয়ের ফলে আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা পেলাম ঠিকি কিন্তু মহামূল্য খনিজ সম্পদের সম্ভাবনাময় জায়গাটুকু মায়ানমার সীমানাতেই রয়ে গেল। আমাদের বিজয় ছোটবেলায় পড়া "শিয়াল -কুমিরের" গল্পের মত। কুমির হয়েই আমরা সন্তুষ্ট।



৪। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত নারী শিক্ষা অবৈতনিক:

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নারী শিক্ষা প্রসারের নিমিত্তে নারীদের জন্য শিক্ষা অবৈতনিক করার উদ্যোগ নেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই সরকার এর পরিধী বৃদ্ধি করেই সমস্ত ক্রেডিট নিতে বিলবোর্ডে প্রচার। এই ব্যবস্থাটি বিএনপির আবিষ্কার স্বীকার করলে প্রচারণাটা যুক্তিকতা পেত।

আজ কে শিশু মৃত্যুহার, জন্মনিয়ন্ত্রণ রোধের হারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সাফল্য সেটা সম্ভব হয়েছে শুধু মাত্র নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য। আর এই কাজটি বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয়েরই সাফল্য।



৫। ডিজেলে বিপুল পরিমাণ ভূর্তকি (২২হাজার কোটির উপরে):

গরীব বান্ধব সরকার কৃষকের কথা ভেবে ডিজেলে বিপুল পরিমাণ ভূর্তকি দিয়েছে বলে বিলবোর্ডে বড় বড় অক্ষরে লিখছেন। আসলেই কি এতে কৃষকের উপকার হয়েছে না সরকারের নেতা যারা কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইজারা পেয়েছে তাদের উপকার হয়েছে?



কৃষককে আগের চেয়েও বেশী মূল্যে ডিজেল কিনতে হচ্ছে। আগে কম ভূর্তকি দিয়েও যদি কম মূল্যে ডিজেল পাওয়া যেত সেটাইতো গরীব কৃষকের জন্য ভালো হতো। বেশী ভূর্তকির পরও যদি বেশী দামেই কিনতে হয় তাহলে কৃষকের কি লাভ হলো? এখানে উন্নয়নের কী মাজেজা সেটাই বুঝলাম না।



বর্তমান সরকারের আমলে মোট সাত বার জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে প্রতি লিটারে ৬১.০০ টাকা থেকে ৭টাকা বাড়িয়ে ৬৮টাকা করা হয়েচে। দাম বাড়ার ফলে বর্তমানে অকটেন ৯৯ টাকা এবং প্রেট্রোল ৯৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছরে জ্বালানী তেলে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে গড়ে ৫০.৬২ শতাংশ। উন্নয়নটা হলো কথায়?? দাম বৃদ্ধিতে? আপনারা কি বলেন??



৬। বিদ্যুত সমস্যার সমাধান:

নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ এবং বাহবা পাবার দাবীদার।



পি.ডি.বি'র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো থেকে যে বিদ্যুৎ ২ টাকা ৭০ পয়সায় পাওয়া যেত, রেন্টাল থেকে ১৬ টাকা দামে কিনতে হচ্ছে সরকারকে, যার কড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে, তারপরও বিলবোর্ডে দেখতে হয় উন্নয়নের ফিরিস্তি, এটাতো জনগণের পকেটের টাকায় জনগণকে সেবা ফেরত দেয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। তবে উদ্যোগটা প্রশংসনীয়।



তবে সরকার যে ভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত প্রবাহ সেটা মনে হয় অতিরঞ্জিত! শহরে বিদ্যুতের অসহনীয় লোড শেডিংয়ের যন্ত্রনা কমলেও গ্রামে বিদ্যুত আসে না যায় সেটাই বুঝা যায় না। এরপর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির চাপতো সরকারকে পোহাতে হয় না সেটা গরীবকে বহন করতে হয়, মধ্যবিত্ত পরিবারকেই পোহাতে হয়, আর এর জন্য জীবন জীবিকার খরচ থেকে একটা মোটা অংক বিদ্যুত বিলের জন্য তুলে রাখতে হয়। জনগণের টাকায় জনগণকে একটু সুবিধা বৃদ্ধি করে প্রচারনা চালানোর মানি কি?? মানুষকে কি এমনি এমনি ফ্রি বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে??



যে পরিবার আগে ৬শত টাকা বিল দিত সে এখন দেয় ৯শতটাকা। যে পরিবার আগে দিত ১২/১৩শত টাকা দিত সে এখন দেয় ২৫শত থেকে তিন হাজার টাকা। প্রায় দ্বিগুন, তারপরও বলতে শুনি মহা উন্নয়ন হয়েছে। হ্যাঁ উন্নয়ন হয়েছে তাদের যারা কুইকরেন্টালের মালিক। উৎপাদন না করেও তারা পাচ্ছে ক্যাপাসিটি খরচ। রোজার পরে কি পরিমাণ লোড শেডিং হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।



৭। সামাজিক উন্নয়ন- বয়স্ক ভাতার পরিধি ও পরিমাণ বৃদ্ধি:



নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কাজটি আরো ভালো মূল্য পেত যদি বয়স্ক নির্বাচনে দলীয় দৃষ্টি ভঙ্গী উপেক্ষআ করা যেত। আওয়ামী ছাত্রলীগ আর যুবলীগের সোনার পোলাপান খোঁজে আওয়ামী লীগদের কেই এই সুবিধা দিয়েছে, সাধারণ জনগণকে নয়।



৮। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও সম্মানী বৃদ্ধি:



মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এরশাদ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ এমনকি রাজাকারের দোসর বিএনপি সবাই কম বেশি কাজ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভেবেই বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। আর সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনেই আজকের এতো ভাতা সম্মানী প্রদান, ক্রেডিটতো তারাও পেতে পারে।



৯। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স বৃদ্ধি:



বড়ই সম্ভবনার কথা। নিঃসন্দেহে জাতীর জন্য সুভাগ্য।



প্রথমেই আসি বৈদেশিক কর্মসংস্থানের কথায়, এই ক্ষেতেও কোন সরকার একক সাফল্যের দাবীদার নয়, এটা একটা সম্মিলিত সাফল্য এবং এর থেকে প্রমানিত হয় সবায় মিলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে সুফল একদিন না একদিন পাওয়া যায়।

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বুঝেই বিএনপি সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থা মন্ত্রণালয় চালু করে আর যার হাত ধরে আসে সাফল্য। সুতরাং এককভাবে সাফল্যের দাবী করলে সাফল্য ছিনতাই করার মত হয়ে যাবে বৈ কি?



রেমিটেন্স বৃদ্ধির যে কথা বলা হয়েছে এর পেছনে সরকারী ভূমিকার থেকে বেসরকারী খাত বেশী ভূমিকা রেখেছে, বর্তমানে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর উন্নত এবং সুবিধা জনক কৌশলের আবির্ভাব করেছে প্রাইভেট সেক্টর, সরকার নয়। ২০০১ সাল-২০০৬সালে যতটা ঝামেলা নিয়ে বিদেশ টাকা পাঠাতে হতো বর্তমানে এসে এটা আরো অনেক সহজ হয়েছে। এর জন্য প্রাইভেট সেক্টর গুলো প্রশংসার দাবীদার। সরকার পলিসি দিয়ে সহায়তা করেছে কিন্ত কাঠামোগত উন্নয়ন করেছে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন, এম মানি, ইত্যাদি আজ সমাদৃত এবং জনপ্রিয় মাধ্যম।

২০০১সাল-২০০৬ সালে একজন বিদেশে কর্মরত শ্রমিক যে পরিমাণ বেতন পেত বর্তমানে সেই শ্রমিকের বেতন নিশ্চয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে আর বর্ধিত বেতনটাই দেশে বাবা-মা-ভাই-বোনদের কাছে পাঠাচ্ছে, সুতরাং রেমিটেন্সতো বাড়বেই। আরো অনেক সেক্টর আছে। বিদেশে শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে, কাজের দক্ষতা বেড়েছে, বেতন কাঠামো বেড়েছে, এর ফলশ্রুতিতে রেমিটেন্স বেড়েছে, এটি একটি রাষ্ট্রের সাফল্য হতে পারে কোন সরকারের নয়। এটা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের সাফল্য। সাফল্য দখল করাও দেখি এখন সরকারের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। বিলবোর্ড দখল করে সাফল্য প্রচার করছে সেটাও দখল করে। সত্যি বিচিত্র এবং অভিনব প্রচার মাধ্যম।



১০। কৃষিতে বাম্পার ফলন ও খাদ্য উন্নয়ন:



কৃষি উন্নয়ন অনেকটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উপর নির্ভরশীল। যে বছর দূর্যোগ কম হয় সে বছর কৃষিতে বাম্পার ফলন হয়। এটা এই সরকারের আমলেই শুধু হয়নি, পূর্ববর্তী সরকারের আমলেও দেখা গেছে। কৃষিতে উৎপাদন ভালো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহর রহমত ছিলো এবং কৃষকের প্রচেষ্টায় এই সাফল্য। সরকারের কোন কর্মী বা বা সরকার দলীয় নেতা-নেত্রীরাতো আর মাঠে গিয়ে কাজ করে ফসল উৎপাদন করেনি। তাহলে এতো ঢাকঢোল কিসের সেটাই বুঝলাম না।



পরিশেষে বলি, ভাল কাজ করলে ঢাকঢোল পিটাতে হয় না, মানুষ ঘুমিয়ে থাকে না, অন্ধ বা বধির নয়, প্রতিটি জিনিস মানুষ খুব ভালো ভাবেই দেখে এবং বিশ্লেষণ করে। সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাও কম নয়। ব্যর্থতার তালিকা ও কম বড় হবে না।



মানুষের কাছে যে গুলো বেশি গেথে আছে সে রকম কিছু উল্লেখ করি:



১। ইতিহাসের সেরা ব্যাংক কেলেংকারী।

২। দুই শাসনামলে দুইবার ভয়াবহ শেয়ার কেলেংকারী এবং এর হোতারা সরকারী ছত্রছায়ায় এমন কি মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাও আছেন।

৩। গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূস সাহেবকে নিয়ে নির্লজ্জপনা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের অস্তিত্বের হুমকি।

৪। পদ্মা সেতু কেলেংকারী।

৫। রাজনৈতিক নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা ও সভাসমাবেশে বাধা

৬। রাজনৈতিক খুন, গুম (ইলিয়াস আলী, পৌরমেয়র লোকমান, বড়াই উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশ্বজিত, ত্বকী, লিমন, রামু, মিল্কী, ড়্যাবের ক্রস ফায়ার, হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের উপর নির্যাতন)

৭। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগোক্তাদের ভরন-পোষন ও নিরাপত্তা বিধান অন্যদিকে হেফাজতের প্রতি নির্যাতন, খুন, রাতের আধারে হামলা।

৮। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড (১৭জন খুন), যুবলীগের টেন্ডারবাজী আর চাঁদাবাজীর নির্মমতা।

৯। শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতা (বুয়েট, জাহাঙ্গীর নগরের অচলাবস্থা)

১০। সংবাদপত্র ও মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা।

১১। সাগর-রুনির হত্যা রহস্য অনুদঘাটিত।

১২। বারবার জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনের দূর্ভোগ।

১৩। দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি এবং রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজির দৌরাত্ব।

১৪। মন্ত্রীদের অশালীন কথাবার্তা, মখা আলমগীরের ঝাকানি তত্ব।

১৫। এমপিদের কর্মকান্ড (পিস্তল বের করে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি, সাংসদের পিস্তলের গুলিতে সহযোগী খুন, রনির হামলা ও পরবর্তী নাটক, ট্রাফিক পুলিশকে থাপ্পড়, নারী সাংবাদিকের উপর হামলা, ফরিদপুরের সংঘর্ষ, কেশবপুর-হরিরামপুরে এপমির কর্মকান্ড, সাংসদের সরকারের সাথে ব্যবসা, খাল দখল, চাঁদাবাজী ইত্যাদিসহ জনবিচ্ছিন্নতা উল্লেখযোগ্য)

১৬। দীপু মণির বিদেশ সফর ও প্রাপ্তীর খাতা শূন্য

১৭। অতিমাত্রায় ভারত প্রীতি, সুবিধা দিয়ে সুবিধা আদায়ে বঞ্চিত হওয়া। তিস্তা চুক্তি সম্পাদনে ব্যার্থতা, ট্রানযিট সুবিধা ইত্যাদি।

১৮। রাজাকারের বিচারের ক্ষেত্রে শুধু মাত্র জামাতকে অন্তর্ভূক্ত করা, আওয়ামী লীগে থাকা রাজাকারদের বিচারে না নিয়ে আসা, বিচার পরবর্তী হামলা ও মামলা।

১৯। হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তাদানে ব্যর্থ।

২০। নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকার বিল বাতিল ও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পায়তারা।

২১। সহিংসতার আশংকা এবং সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা। বিরোধী মতকে উপেক্ষা এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।

২২। জিয়াকে নিয়ে সংসদে বিরামহীন অশ্লীল কথা (এই ক্ষেত্রে সমানতালে পারদর্শী)

২৩। সুরঞ্জিতের অর্থ কেলেংকারী অতপর পদত্যাগ এবং রাতেই দফতরবিহীন মন্ত্রীত্ব দেয়া।

২৪। আবুল হোসেনকে নিয়ে খামখয়েলীপনা করে বিশ্ব ব্যাংকের লোন থেকে বঞ্চিত।

২৫। বিসিএস নিয়োগে অতিমাত্রায় কোঠা পদ্ধতির প্রয়োগ।

২৬। প্রধানমন্ত্রীর উক্তি এবং সমালোচনার ধরন এবং চেহারার অভিব্যক্তি। কোটা পদ্ধতির বিরোধীদের নিয়ে করা মন্তব্য।

২৭। ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের এমসি কলেজ, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্বিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের গুন্ডামী, বিরোধী ছাত্র সংগঠনর উপর হামলা।



এরকম আরো অনেক অনেক কথা লিখা যাবে যে গুলো মানুষের মনে আওয়ামী বিরোধী মনোভাবের জন্য প্রধান নিয়ামক। উন্নয়নের জন্য ভোট পাওয়া গেলে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থীর ভরাডুবি হতো না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন এই সত্যটা উপলব্দি করতে পারছে না বুঝি না। বিলবোর্ড দিয়ে শেষ কুল রক্ষা করা যাবে না। বিলবোর্ড সংস্কৃতি নতুন দখলদারিত্বের নমুনা হয়ে এলো। আপনাদের ব্যর্থতার তালিকায় আরো একটি পালক সংযোজিত হলো। আজকেও প্রথম আলোতে দেখলাম, বিজ্ঞাপনী সংস্থার লোকজন বিলবোর্ড উদ্ধারে গেলে ভয় দেখিয়ে, হুমকি ধমকি দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। জোর যার মুল্লুক তার সংস্কৃতি আবার হাসিনা সরকার আমাদেরকে শিখিয়ে গেলেন, শেষ সময়ে মানুষ ভালো কাজ করে অথচ ভালো কাজের ফিরিস্তি করতে গিয়ে খারাপ কাজের নুমনা স্থাপন করলেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
দোকানের সুনাম না-থাকলে সাইন বোর্ডটা বেশ বড় আর জমকালো করে লাগাতে হয়!

=p~ =p~ =p~

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হায়দার সুমন বলেছেন: রাষ্ট্রের টাকায় যদি বিলবোর্ড তৈরী হয় তাহলে এই খরচ আমি বহন করতে পারবনা। আমাদের টাকা তসরুপ করার অধিকার সরকারের নাই

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

নীলতিমি বলেছেন: এবার জনগণ সবাই বেশ বিপদে পড়বে ভোট দেয়ার সময়।

আওয়ামীলীগ কে ভোট দেবার প্রশ্নই আসে না আবার বিএনপি'ও কোনোভাবেই বিকল্প নয়।

এই দুটো দলকেই দেশ থেকে বিলুপ্ত করা উচিত! X( X(

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৮

ফুরব বলেছেন: আওয়ামীলিগ বা শেখমুজিব এর দুঃশাসন থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে বি এন পি নামক রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ।

৭০ এর সাধারন নির্বাচনে যারা আওয়ামিলিগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল সময়ের ব্যাবধানে তারাই আওয়ামিলিগকে ত্যাগ করে[ দালাল গুলো বাদে] আজ বি এনপিকে তাদের মুক্তির পথ মনে করে।

আওয়ামিলিগ ক্ষমতায় আসা মানেই এই ভুখন্ড ভারতের একটা অঙ্গ রাজ্যে পরিনত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রির উপাধি হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রি।।

বি এনপি একমাত্র দল যারা স্বাধীনতা ও সার্বভউমত্ত পুরোপুরি সংরক্ষন করে।।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১

অরিয়ন বলেছেন: আওয়ামীলীগ এখন পুরোপুরি দেওলিয়া একটি সংগঠনে পরিনত হয়েছে। তাদের জনসমর্থন এখন তলানিতে। তাই তারা নেতা কর্মিদের মনোবল ফেরাতে অন্যায় ভাবে বিলবোর্ড দখলে নিয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে। নানকের কথা অনুযায়ি বিভিন্ন মন্ত্রনালয় থেকে এগুলি করা হয়েছে।
পাক সৈরশাসক আইয়ুব খানও নাকি একই রকম প্রচারনা চালিয়ে ছিল, কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি, আওয়ামীলীগেরও শেষ রক্ষা হবে না।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩০

ননদালীনাজ বলেছেন: আওয়ামিলিগ ক্ষমতায় আসা মানেই এই ভুখন্ড ভারতের একটা অঙ্গ রাজ্যে পরিনত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রির উপাধি হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রি।।
সহমত। চমৎকার পোষ্ট।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

সদালাপী। বলেছেন: পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

ঈদ মোবারক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.