![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।
কাহিনী সংক্ষেপঃ তোরসাঃ বইমেলা ২০১৫, জাগৃতি প্রকাশনী।
http://www.rokomari.com/book/93724
স্বাধীন দেশের মাটিতে কতগুলো সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে তার হিসেব আছে। কিন্তু অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে বা সন্দেহে ক’জন সেনা সদস্য আজ অব্ধি হারিয়ে গেছেন আর পেছনে ফেলে যাওয়া তার পরিবারের মানুষগুলি কতটা এবং কি রকমভাবে বেঁচে আছে, তার কোন খতিয়ান কি আছে?
ক্যু সফল হলে কিন্তু তার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই জাতীয় বীর। প্রাতঃস্বরনীয়!কিন্তু ক্যু অসফল হলে?
আজন্ম গুমটি ঘরে বেড়ে ওঠা রক্ষনশীল মুসলিম ঘরের মেয়েটাকে যদি ঠেলে দেয়া হয় ক্যু-তে হারিয়ে যাওয়া বাবার দেশপ্রেম মিথ্যে ছিলনা প্রমাণ করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কৃতি সদস্য হবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে, কতটুকু অনতিক্রম্য আর বন্ধুর হতে পারে তার এই লক্ষ্যভেদ?
গভীর রাতে ডাস্টবিন থেকে ভেসে আসা কোন নবজাতকের কান্না আমাদের সরাসরি দাড় করিয়ে দেয় “আমরা আসলেই কতটা মানবিক” সেই প্রশ্নের সম্মুখে ।ডাস্টবিনে কুকুর- ইঁদুরের আহার না হয়ে, প্রখর রোঁদে আর ততধিক প্রখর মানুষের দ্বিধার আগুনে পুড়েও এমন অনাকাংখিত শিশু যদি বেঁচেও যায়, কেমন হয় তার বেড়ে ওঠা? এমন অভ্যর্থনার পর জীবনের কাছে তার কি চাওয়ার থাকতে পারে? কিসের দাবীতে সে দাড়াতে পারে কারো সামনে?
সচরাচর মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে যুগে যুগে সব দেশেই। সমাজতন্ত্রের এই ধারার কোনওটা রাজনৈতিক মোড়ক পেয়েছে – কোনওটা পায়নি। না পেলেই তাদের তকমা জোটে- Under Ground Politics। তাদের আদর্শের ধরন বা প্রয়োগ যেমনি হোক। তাদের জীবনেরও গ্যারান্টি নেই- তাদের গুম হত্যারও শাস্তি নেই। সব হারাতেই যেন তাদের সর্বহারা হতে পথে নামা- সবহারাদের এক কাতারে আনতে নয়। তাই কালান্তরে হারিয়ে গেছে কত শত মেধাবী মুখ- সব হারারা তেমনিই থেকে গেছে।
প্রতিটা সম্পর্ককে সুনিপুণ বুনোনের মুন্সীয়ানায় মিলিয়ে কি করে নিখুঁত এক প্রেমময় নকশী কাঁথার জন্ম দেন- শ্রষ্ঠার এই অপার রহস্য কেবল তিনিই জানেন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪২
তানজীনা বলেছেন: খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ এবং যথার্থ মন্তব্য করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি প্রশ্নগুলির কিছুটা উত্তর দিতে আমার উপন্যাসে। কতটুকু পেরেছি জানিনা।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৬
মহান অতন্দ্র বলেছেন: খুব চমৎকার কাহিনী মনে হচ্ছে। আপনার পোস্ট টা সম্ভবত হলিক্রস কলেজের পেজে দেখেছি। নিশ্চিত নয়। তবে স্মৃতি অন্তত তাই বলছে। শুভ কামনা।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪২
তানজীনা বলেছেন: হ্যা, আপু, আমি হলিক্রস থেকেই পাশ করেছি, তাই সেখানেও শেয়ার করেছি। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপ্লুত হলাম!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৬
রুপম হাছান বলেছেন: এই দেশে শুধুই প্রশ্ন করা যাবে কিন্তু উত্তর পেতে হলে ঐ যে লিখেছেন,
ডাস্টবিনে কুকুর- ইঁদুরের আহার না হয়ে, প্রখর রোঁদে আর ততধিক প্রখর মানুষের দ্বিধার আগুনে পুড়েও এমন অনাকাংখিত শিশু যদি বেঁচেও যায়, কেমন হয় তার বেড়ে ওঠা?
সচরাচর মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে যুগে যুগে সব দেশেই। সমাজতন্ত্রের এই ধারার কোনওটা রাজনৈতিক মোড়ক পেয়েছে – কোনওটা পায়নি। না পেলেই তাদের তকমা জোটে- Under Ground Politics.
যদি এইসব উপাদানগুলো একসাথে পেয়ে যেতেন তাহলে উত্তরগুলো পেতে খুব সহজ হতো। এইজন্যই শুধু প্রশ্ন হবে, উত্তর পাবেন না কারণ- ডাস্টবিনের শিশুরা পলিটিকস এ নাই কিন্তু বামপন্থীরা আছে!
বাংলাদেশ যদি প্রাচাত্যের কোন দেশ হতো তাহলে পরিসংখ্যানটা খুব সহেজ বলা যেত। কারণ যেসব দেশে বাদাম বিক্রেতা, হকার, জুতা শেলাই করার কারিগর কিংবা চা বিক্রেতারা প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী হন শুধু মাত্রই সেসব দেশে আপনি এমন অপরাধগুলোর পরিসংখ্যান যথাযথভাবে পেতে পারেন।
খুবই সুন্দর লিখেছেন। ভালো লাগলো আপনার এই সংক্ষিপ্ত লেখাটুকু।