![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।
"খুব সৎ অফিসার, জীবনে এক পয়সা ঘুষ খায়নি, কোন দুর্নীতি করেনি" - এসবই ছিল গল্প করে বলার বিষয়।
কাল জানলাম সততার লেটেস্ট সংজ্ঞা নাকি “টাকা খেয়ে কাজটা অন্তত করে দেয়া” ।
কি ভয়াবহ চিত্র!!!
আমার মরহুম শ্বশুর সাহেবের সততা ছিল শুচিঁবায়ুগ্রস্থর পর্যায়ে। ব্যাঙ্কার জীবনে কোন লোন আবেদনকারী সেই লোন পরিশোধে সক্ষম কিনা তা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার হিসেবে যাচাই করতে যেয়ে সারাদিনের হাটা পথে পা ফুলে জ্বরে বেহুশ হয়ে যাওয়া, ঘন সন্ধ্যায় ফিরতি পথে চলনবিলে হারিয়ে যাওয়াসহ অগনিত ঘটনা জেনেছি। যখন প্রশ্ন করেছি এতোটা বাড়াবাড়ি সততার কি দরকার ছিল, বেশতী কি মিলেছে তাতে তখন উনি খুব অবাক হয়ে বলেছিলেন , “ সৎই তো থাকার কথা , অসৎ থাকাটাই তো অ্যাবনরমাল! ঘুষ খাইনা এটা মানুষ কি করে বলে , ঘুষ না খাওয়াই তো প্রার্থিত! ঘুষ কি খাবার কথা? ঘুষ খাওয়াটা লজ্জাজনক , ন্যাককারজনক , কিন্তু ঘুষ না খেলে “খাই না” বলে বড়াই কি হিসাবে করা যায়? “ খুবই সত্যি কথা, কিন্তু এই এঙ্গেলে ভাবা হয়নাই কোনদিন।
এদিনের পর নিজের পূর্বপুরুষদের বিষয়ে এই শ্রদ্ধাবোধগুলি কোনদিন আর গর্বে রূপ নিতে পারে নাই।
"দহন" এ সূচিত্রা ভট্টাচার্য ঠিক এভাবেই বলেছিলেন ,রিকশাওআলা টাকার থলি ফেরত দিয়ে যাবে এটাইতো স্বাভাবিক হওয়া উচিত বরং এর উল্টোটাই তো অস্বাভাবিক ।একজন হতদরিদ্র রিক্সাওয়ালার অভাবে স্বভাব নষ্ট না হওয়াটা তাও বিস্ময় হতে পারে কিন্তু আজকে যখন সন্ত্রাসবাদে “ জিরো টলারেন্স” ধর পাকড়ে হাজার হাজার তৃণমূলদের ধরে দেশের সবচেয়ে বড় উৎসবের আগে জামিনের নামে ৫ লাখ - দেড় লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে , টাকার জোগাড়ে দেরী হলে মামলা করে চালান দেয়া হয়, বিলম্বে টাকা দিলে তখন নির্দোষের পরিবারকে টাকা দিয়ে অন্তত মামলাটা গুরু মামলায় না গিয়ে লঘু মামলা পর্যন্ত থাক এই প্রার্থনারত থাকতে হয় তখন সততা কোথা গিয়ে ঠ্যাকে ?
এজন্যই হয়তো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষায়, "সততা কাপুরুষের শেষ অবলম্বন"।
আব্বার দুর্দান্ত কিছু ফিলোসফির মধ্যে ছিল , “ আমার গাড়ি- বাড়ি নেই তো কি? আমার কারো কাছে , কোথাও এক পয়সা ঋণ নাই। আমিই তো ধনী । “
এমন মানুষগুলি হারিয়ে যায় । কিন্তু যুগে যুগে কি জন্ম নেয় না ? নাকি সততার আপগ্রেডেড ভার্শনের সাথে সাথে এমন মানুষদেরও আপগ্রেডেড ভার্শন এসে গেছে?
জীবনান্দের ভাষায় ,
“ অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা!—“
তবুও.. পদ্ম জলে ফুটে , নিজের গা ভেজায় না।
২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৬
সুমন কর বলেছেন: আমার কারো কাছে, কোথাও এক পয়সা ঋণ নাই। আমিই তো ধনী। -- এটাই সত্য !
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসৎ থাকাটাই তো অ্যাবনরমাল!
এটা যদি সবাই বুঝতো!!
সবাই আপগ্রেড ভার্সনটাই চায়
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
শার্লক_ বলেছেন: আমার কিছু ঋণ আছে। আমি ধনী না।
৫| ১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
খোলা মনের কথা বলেছেন: চমৎকার ভাষায় সুন্দর একটি লেখা। বর্তমান আপডেট চলতেছে। এর থেকে আপডেট কিছু আসলে পরিস্থিতি কেমন হবে সেটি কি উপলব্ধি করতে পারছেন???
৬| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:০৮
বিপরীত বাক বলেছেন: সততা কাপুরুষের শেষ অবলম্বন
৭| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২৪
অশ্রুকারিগর বলেছেন: আজকাল পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করে 'ইমানদার' দূর্নীতিবাজ খুঁজতে।
অন্তত এরে টাকা দিলে কাজ উদ্ধার হবে!!
৮| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৪৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হায়! আপডেট ভার্সন!! মৌলিকতাই বদলে দিল।
৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ঘাস খাইনা- এমন কথা জোর গলায় বলতে হবে কেন? ঘাস কি খাবার জিনিস? তবে যারা এ অখাদ্যটাও খায়, সমাজে যখন তাদের সংখ্যা অধিক হয়, তখনই হয়তো কথাটা এভাবেই জোর গলায় বলতে হয়, পার্থক্য বোঝানোর উদ্দেশ্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
নবিন ব্লগার বলেছেন: ভাল বলেছেন