![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক এম এ হামিদ ১৯৩৯ সালের ২৭ শে ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার বারুপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর লাভ করেন এবং ঐ বছরেই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। লেকচারার থেকে ১৯৭৬ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি ১৯৬৯ সালে কমনওয়েলথ থেকে সন্মানজনক বৃত্তি ও ১৯৭২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনিভারসিটি থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেন।তিনি ১৯৯১ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় , কুষ্টিয়া ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিযুক্ত হন।তিনি ১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ভিসিটিং ফেলো ছেলেন।অর্থনীতি বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকার দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটিতে ভাইস চ্যান্সেলর পদে দায়িত্ব পালন করেন।২০০২ সালের নভেম্বরে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে মৃত্যু বরণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত সামাজিক গবেষক, সেচ, কৃষি, এবং গ্রামীণ উন্নয়নের দিশারী। পল্লী উন্নয়নে স্টাডিজের উপর তার সক্ষম নির্দেশিকা নির্ধারিত নেতৃত্বের অধীনে গবেষণাগুলোর একটি তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়।পরবর্তীতে তাঁর আগ্রহ ইসলামি অর্থনীতি অধ্যায়নে স্থানান্তরিত হয়। তাঁর স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি দেশে ও বিদেশে জার্নালে ১০০ টিরো বেশি প্রকাশনা করেন। তিনি করেক ডজন গবেষণামূলক গ্রন্থ এবং অর্ধ ডজন বই প্রকাশ করেন যা বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে ১৯৭৮ সালে একটি মাইল ফলক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়ন গ্রন্থটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ছিলেন।এছারাও তার অন্যান্য প্রকাশনা গুলো যেমন ল্যাথারিজম ইন বাংলাদেশ, এগ্রো-অর্থনীতি জরিপ(১৯৮৬), বাংলাদেশের সিল্ক সেক্টরঃ একটি সিলেক্টিভ অবলোকন(১৯৯১)গবেষণা জগতে প্রশংসার দাবিদার। তিনি শিক্ষিত শাখার একজন বিশিষ্ট সহপাঠি ছিলেন। দেশের পাবলিক বিশবিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংবিধিবদ্ধ পদে ছিলেন। তিনি (১৯৮১-১৯৮৩) ইউনিভার্সিটি অনুদান কমিশনের সদস্য ছিলেন। তিনি (১৯৮০-১৯৮২) ইউনেস্কো বাংলাদেশ কমিশনের একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন।এছারাও তিনি (১৯৮০-১৯৮২)ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে।তিনি ইউকেতে থাকা কালে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। তিনি ভ্রমন পিপাশু ছিলেন। তিনি ২০ টারো বেশি দেশে ভ্রমন করেন। তিনি জাতিয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
এন এইচ সরকার বলেছেন: ১৯৮১ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. আ ন ম মমতাজুদ্দীন চৌধুরী ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ইসলামী চিন্তা চেতনায় সমুদ্র ড. মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী ষড়যন্ত্রের অক্টোপাসে আবদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে নিতে পারেননি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে তার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরাতে এরশাদ ১৯৮৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলামকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দান করেন।
মূলত: ভিসি সিরাজুল ইসলাম নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চরিত্র ধ্বংস করেন। তার কর্মকান্ডের মৌলিক দিক ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী চরিত্র ধ্বংস করে সেক্যুলার করা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এক্ষেত্রে তিনি সফলও হয়েছেন। নাস্তিক্যবাদী ইসলামবিদ্বেষী মহলের প্রত্যক্ষ যোগসাজসে গাজীপুরের বোর্ড বাজার থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আবারও কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। হাজারো ছাত্রজনতার প্রতিবাদ, শিক্ষকবৃন্দের অনুনয় বিনয়, সচেতন বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও দেশের তৌহিদী জনতার আন্দোলন উপেক্ষা করে রাতের অাঁধারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানান্তর করা হলো। এরশাদে সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের ৬ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হামিদকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দান করেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংস হওয়া মৌলিক চরিত্র পুনরুদ্ধার করা এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়রূপে গড়ে তোলা। বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য পৌঁছাতে তিনি সকল বিভাগের সঙ্গে ২০০ নাম্বারের ইসলামিক স্টাডিজ কোর্স বাধ্যতামূলক করেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে ওআইসি এর আমন্ত্রণে তিনি মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেন এবং আইডিবি-এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি সহযোগিতামূলক চুক্তি করেন। কিন্তু সাবেক ভিসিকর্তৃক নিয়োগ পাওয়া কিছু বামপন্থী শিক্ষকের প্রত্যক্ষ যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় বাম সংগঠনসমূহ ক্যাম্পাসে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করে। দুঃখজনক হলেও সত্য তৎকালীন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ও প্রস্তাবিত ২০০ নাম্বারের ইসলামিক স্টাডিজ কোর্সের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। অথচ দেশনেত্রী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ‘‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ানো হবে না তো কোথায় পড়ানো হবে?’’ তৎকালীন মাননীয় চ্যান্সেলর ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনসত্ত্বেও ভিসি মরহুম প্রফেসর আব্দুল হামিদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে তার মূল লক্ষ্যের দিকে নিতে পারেননি।