নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নাজিম হাসান, জার্মানির কোলন শহরের প্রেমে পড়েছি। পড়ছি যন্ত্র প্রকৌশল এবং কম্পিউটার প্রকৌশলে একসাথে । ভালোবসি ভ্রমন করতে, শখের জন্য গিটার নিয়ে অবসরে টুংটাং।কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক, রান্না করা অনেক পছন্দের কাজ। এতোকিছুর পরও কিছু সময় অবশিষ্ট থেকেই যায়, তাই ভাবলাম ব্লগ লিখি।
আজ লিখবো আমার বিগত পর্তুগাল সফর নিয়ে । গত ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি পর্তুগালের সর্ব দক্ষিনের শহর আলগার্ভের ফারো তে ভ্রমনে গিয়েছিলাম। অপরূপ সুন্দর শহর ফারো, আটলান্টিক মহাসাগরের পাড়ে অপরূপ মনোলিলায় সাজানো একটা শহর। শহরটি মূল মুরিশ প্রাচীরের অংশ। দেখারমতো আছে ত্রয়োদশতম শতাব্দীতে নির্মিত ফারো ক্যাথিড্রাল। ষোড়শ শতাব্দীর কনভেন্টে মিউনিসিপ্যাল মিউজিয়ামটি প্রাগৈতিহাসিক এবং মধ্যযুগীয় হস্তনির্মিত, আর ধর্মীয় শিল্প প্রদর্শন করে।
শহরটি রিয়া ফরমোসা ন্যাচারাল পার্কের প্রান্তে অবস্থিত, যা লেগন এবং মডফ্ল্যাটগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। পার্ক এর উপকূল সমুদ্র থেকে বিভিন্ন বাধ দ্বীপ দ্বারা সুরক্ষিত। তাদের মধ্যে ব্যারিট দ্বীপে বেলাভুমি রয়েছে, যাকে অবলম্বন করে সৈকত রয়েছে। পূর্বের পূর্বদিকে, টাভিরা দ্বীপের লবণ প্যানগুলি ফ্লামিংগোস, ওয়েডিংবিল এবং অন্যান্য ওয়েডিং পাখি আকর্ষণ করে। ফারোর উত্তর-পশ্চিমে আলমসিল গ্রাম, যা সেন্ট লরেন্স চার্চের জন্য পরিচিত, এটির অভ্যন্তর অষ্টাদশ শতকের আঁকা সিরামিক টাইলগুলির দ্বারা সজ্জিত।
কখন ভ্রমন করবেন?
উষ্ণ গ্রীষ্ম এবং হালকা শীতকালে ফারোতে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু রয়েছে। এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে দেখার জন্য একটি জনপ্রিয় সময়। এই সময়ে কোন বৃষ্টি থাকেনা। রিয়া ফর্মোসা ফেস্টিভাল (জুলাই-অগাস্ট) সঙ্গীত এবং বিপুল পরিমাণে সীফুড উপাদানের বিশিষ্ট। তিভিরা উৎসবে গ্রীষ্মে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কনসার্ট এবং অন্যান্য পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পর্তুগিজ সংস্কৃতি উদযাপন করে।
এখন দেখবেন বছরের বিভিন্ন মাসের তাপমাত্রা :
সর্বোচ্চ / সর্বনিন্ম
জানুয়ারী ১৬ ° ৮ °
ফেব্রুয়ারি ১৭ ° ৯ °
মার্চ ১৯ ° ১০ °
এপ্রিল ২০ ° ১১ °
মে ২৩ ° ১৪ °
জুন ২৬ ° ১৭ °
জুলাই ২৯ ° ১৯ °
আগস্ট ২৯ ° ১৯ °
সেপ্টেম্বর ২৭ ° ১৮ °
অক্টোবর ২৩ ° ১৫ °
নভেম্বর ২০ ° ১১ °
ডিসেম্বর ১৭ ° ৯ °
ঘুরাঘুরির জন্য তাপমাত্রা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, তাই দিলাম তাপমাত্রার তালিকা ।
আমি আর আমার সফর সঙ্গী সাজ্জাদ ভাই উল্লেখ্যদিনে সময়মতো কোলন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছে যাই। চেকিংয়ের ঝামেলা যেহেতু ছিলোনা, আমরা সোজা ঢুকে গেলাম এয়ারপোর্টে। ঠিক বিকেল ৫টাতে বোর্ডিং গেট খুলে দেয়া হলো, প্লেনে উঠে শুরু হলো অপেক্ষার পালা। এক জায়গাতে বেশীক্ষণ বসে থাকা যায়না, বোরিং লাগছিলো বলে ট্যাবটা বের করে এই লেখাটা লিখতে বসলাম। লিখতেও পারছিলাম না ঠিকমতো কারন পাশের ডায়বেটিক যাত্রী, উনি বারবার বের হচ্ছিলেন। বাধ্য হয়ে লেখা বন্ধ করে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই পড়তে শুরু করলাম। ঠিক পর্তুগাল সময় সন্ধ্যা ৮টায় ফারো এসে পৌঁছালাম । ফারোতে সময় জার্মানির সময় থেকে ১ ঘন্টা পেছানো। ফারো পৌঁছে ঊবার অর্ডার করে হোটেলে যেতে পৌঁছালাম । হোটেল ছিলো আটলান্টিকের একদম পাশে। সাগরের শা শা বাতাস উপকূলে আছড়ে পড়ছিলো। কত সুন্দর শ্রুতিমধুর ছিলো সাগরের গর্জন । আবার ঊবার ডেকে ফারোর সেন্ট্রালে গেলাম, উদ্দেশ্য আটলান্টিকের সী ফুড খাওয়া। বেশ ছিমছাম সাজানো গুছানো এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে অর্ডার করলাম, সী ফুড। ৮-১০ রকমের সামুদ্রিক মাছ এলো প্রায় ২৫ মিনিট পরে, অসম্ভব সুস্বাদু ছিলো মাছ গুলো। সাইড ডিশ হিসেবে ডেজার্ট এবং সী ফুড স্যুপ ছিলো। খেয়ে দেখে প্রায় রাত ১১ টার দিকে হোটেলে ফিরে আসি। বাকি দিন গুলোর গল্প একে একে লিখবো।
আমার পর্তুগাল হয়ে স্পেন ঘুরতে যাওয়া , সমস্ত কিছু ধারাবাহিক ভাবে থাকবে পরবর্তী ব্লগ গুলোতে।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
নাজিম হাসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
একদম ঠিক বলেছেন কথাটা। সহমত !!!
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৫
ম্যাড ফর সামু বলেছেন: ভ্রমণ সবসময় আমার জন্য প্রেরণাদায়ক। যখন খুব বেশি মন খারাপ হয় বা কোন সুযোগ পাই তখনই বেরিয়ে পড়ি, কখনও ব্যাগ সহ কখনও শুধু আমি একলা, নাহ দেশের বাইরে শুধু ইন্ডিয়া ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল, আর দেশের প্রায় ৪৩-৪৪ টি জেলায় ঘুরেছি। আর এখন আপনার সহযাত্রী হয়ে ঘুরে এলাম পর্তুগাল, ওফ কী দারুণ অনুভূতি, তাও আবার মুফতে! ধন্যবাদ সুন্দর ভ্রমণে সহযাত্রী হবার সুযোগ করে দেবার জন্য।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
নাজিম হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার সহযাত্রী হওয়ার জন্য। সত্যি বলতে আপনাকে নিয়ে হিংসা হচ্ছে আমার, ৪৪ জেলা!!!
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ...
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
নাজিম হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে ও আমার ব্লগ পড়বেন বলে আশা করি।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আচ্ছা, দরজার হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা কি আপনি?
আপনি এতো সুন্দর কেরে!
ছবিগুলোতে প্লাস,
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫
নাজিম হাসান বলেছেন: জ্বী না, জনাব। উনি আমার মেধাবী বড় ভাই। হ্যান্ডসাম ম্যান।
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রতিটি ছবির আলাদা আলাদা ক্যাপশন থাকলে আরো সুন্দর দেখাতো!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
নাজিম হাসান বলেছেন: আইপ্যাড থেকে লিখি তো, তাছাড়া নতুন আমি, ঐ রকম ছবির পর ক্যাপশন দেয়ার চেষ্টা করে সফল হতে পারিনি। আপনার পরামর্শের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চেষ্টা করুন, অবশ্যই পারবেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮
নাজিম হাসান বলেছেন: ওকে, ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগাল আপনার পোষ্ট টি।
কারো উপর ভরসা রাখা ঠিক না । শুধু নিজের উপর ভরসা রাখতে হয় ।