নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নাজিম হাসান, জার্মানির কোলন শহরের প্রেমে পড়েছি। পড়ছি যন্ত্র প্রকৌশল এবং কম্পিউটার প্রকৌশলে একসাথে । ভালোবসি ভ্রমন করতে, শখের জন্য গিটার নিয়ে অবসরে টুংটাং।কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক, রান্না করা অনেক পছন্দের কাজ। এতোকিছুর পরও কিছু সময় অবশিষ্ট থেকেই যায়, তাই ভাবলাম ব্লগ লিখি।
দুঃখিত, লেখাটা ১৪ তারিখের হলেও সময় স্বল্পতার কারনে আজ পোষ্ট করতে হলো। লিখছি,
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবস। ভেবেছিলাম ভালোবাসা নিয়ে কিছু আর লিখবো না। তবে আজ বেলা ১:৫০ এ ঘটা একটি মুহুর্তের কারনে ভালোবাসা নিয়ে না লিখে পারলাম না। ১:৪৫ এর দিকে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ছেড়ে আসে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের একটি ধবধবে সাদা একটা ট্রেন, যা কিনা আমস্টারডামে যাচ্ছে। আমি স্টেশনে আসার পরই একটা দম্পতি আমার নজর কাড়ে। জার্মান দম্পতি, বয়স বেশী নয়, ২৮-৩০ হবে হয়ত। দেখছিলাম কাঁদছিলো মহিলা, তার স্বামী তাকে শান্তনা দিচ্ছিলো। ট্রেন আসার পর আমি কান্না করার কারনটা বুঝতে পারলাম। লোকটি তার বউকে ট্রেনে তুলে দিলো, কিন্তু মহিলাটি তখনোও অঝরে কাঁদছে, লোকটি আর নিজেকে সামলাতে পারলোনা। সে ও কাঁদতে থাকলো তার বউয়ের হাত ধরে। আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম যে যার মতো ব্যস্ত। খুব খারাপ লাগলো মনে। কোলন থেকে আমস্টারডাম বড়জোড় ১.৫-২ ঘন্টার পথ। কিন্তু তাদের কান্না দেখে মনে হলো একজন আর একজনকে ছেড়ে যোজন যোজন দূরে চলে যাচ্ছে। খুব অদ্ভুত একটা অনুভুতি হলো, খারাপ লাগলো, ভালো ও লাগলো। খারাপ লাগলো তাদের বিভাজনের জন্য, আর ভালো লাগাটা তাদের ভালোবাসার প্রখরতার কারনে। ততক্ষনে দরজা বন্ধ হয়ে গেলো ট্রেনের, চলতে শুরু করলো ট্রেন। লোকটা কেঁদেই যাচ্ছিলো।আমার ট্রেন চলে এলে, ট্রেনে উঠে দেখলাম লোকটি চোখ মুঁছতে মুঁছতে চলে যাচ্ছে। আজকাল ভালোবাসার খুব করুণ পরিণতি দেখছি। যেখানে শুকিয়ে মরা নদীর মতো ভালোবাসা মরছে, ঠিক হয়তো অন্য কোথাও বরফ গলা নদীর মতো বেঁচে আছে ভালোবাসার দৃষ্টান্ত। আমি এসেছি একটি দেশ থেকে যেখানে ভালোবাসার দৃষ্টান্ত যেমন আছে, আছে ঠিক তেমনি ভালোবেসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ঘটনাও। আজ ও মাঝে মাঝে মনে হয় কিইবা এমন হতো রুপাই আর সোনাইকে মেনে নিলে? কিইবা হতো সামাজিক স্তর থেকে বের হয়ে মহানুভবতার স্তরের দৃষ্টান্তে পদার্পন করলে? হয়তো ঘুরে ফিরে বার বার আসতো না নকশিকাঁথার মাঠ কিংবা সোজন বাদিয়ার ঘাটের কাহিনী। খুব কি ক্ষতি হয়ে যেতো এতে? হ্যাঁ, ক্ষতি অবশ্য অনেক বড় হতো, সোনাই আর রুপাই ভালো থাকতো। সমাজ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সমাজ বদলানোর কোনো দরকার নেই, দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেলে সমাজ এমনিতেই বদলে যাবে। অবশ্য সংঙ্কীর্ন মন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর অভিপ্রায় করাও নিরর্থক। দিনশেষে কামনা, বেঁচে থাকুক ভালোবাসা, বেঁচে থাকুক দৃষ্টান্ত, ঘুঁচে যাক সকল সঙ্কীর্নতা, বদলাক দৃষ্টিভঙ্গি ।
০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮
নাজিম হাসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
জার্মানীতে এবার ১ম বার রিসেশন দেখা দেয়ার সম্ভাবনা, সেজন্য ওরা ২ জন কাঁদছিলো।
০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
নাজিম হাসান বলেছেন: হতে পারে। আমাকে তারা কান্নার কারন বলেনি।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বুড়িগংগায় পায়খানা পেসাব করে গিয়ে কোলন শহরের প্রেমে পড়েছেন? ভালো
০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
নাজিম হাসান বলেছেন: অদ্ভুত!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: সব দেশের মানুষের মধ্যেই ভালোবাসা আছে।
এবং তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করার ভঙ্গি একই রকম ।