নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখার জন্য বাঁচতে চাই শত বছর

নিগার তানিয়া

আমি সর্বপ্রথমে একজন মা, তারপর একজন প্রেমিকা আর একজন লেখক

নিগার তানিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক পাহাড়ি মেয়ে ও বাঙ্গালি যুবকের ধারাবাহিক প্রেমের গল্প

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

#পিয়াসী_মন (দ্বিতীয় পর্ব)
------তানিয়া নিগার
ড্রাইভারকে অপেক্ষা করতে বলে সাজিয়া হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ইন্টারকমে ওয়েটারকে খাবারের অর্ডার করলেন।ভাত আর লেক থেকে পাওয়া সোনালী মাছ। খাগড়াছড়িতে এই নিয়ে তার দ্বিতীয়বার আসা।প্রথম বার স্বামীর সাথে এসে এই সুস্বাদু মাছের স্বাদ পেয়েছিলেন , এককথায় তুলনাহীন।তাই এবারও তিনবেলা খাবারের মেন্যুতে সোনালী মাছ থাকছেই।
অনেক কাজ তারপরও আজ আর নিচে যেতে মন চাইছে না তাঁর।সেবার রহমান সাহেব খাগড়াছড়ি বেড়াতে এসে রীতিমতো প্রেমে পড়ে যান জায়গাটির। তার ইচ্ছে এখানে একটা ফার্মহাউজ করা।ব্যবসার চাপে নিজে কিছু করতে পারছেন না তাই সব দায়িত্ব স্ত্রীকে দিয়েছেন। এজন্যই খাগড়াছড়ি আসা সাজিয়ার।আর একমাত্র ছেলে অর্ণব তো মাত্র এলো আমেরিকা থেকে ।কিছুদিন বিশ্রাম নিক ।তারপর তো সব দায়িত্ব ওর উপরই বর্তাবে। সাজিয়া আপাতত ওর উপর কোন বিষয় চাপাতে চান না।
হোটেলে আসার পথেই দেখেছেন সবখানে চেষ্টার কারণে কাদা পানিতে যা তা অবস্থা হয়ে আছে। এমনিতেই সাজিয়ার এসব বিষয়ে চরম শুচিবায়ু।তাঁর জানা মতে, শুকনো আবহাওয়ায় খাগড়াছড়ির মত শান্ত আর সুন্দর শহর বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি নেই। আর এখন গা ঘিন ঘিন করা অনুভূতি ছড়িয়ে আছে এখানে।
খাওয়া শেষ করে সাজিয়া বিছানায় এলিয়ে দিলেন তাঁর ক্লান্ত শরীরটা। ঘুমিয়ে পড়লেন মুহূর্তেই। কতক্ষণ ঘুমিয়েছেন জানেন না মোবাইল ফোনের রিংটোন ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিল তাঁর।বিরক্তি নিয়ে স্ক্রিনে চোখ রাখতেই ভেসে উঠা কলারের নাম দেখে মনটা ভাল হয়ে গেল। রিসিভ করা মাত্রই মা, কেমন আছো? তুমি খাগড়াছড়ি গিয়ে তোমার ছেলেকে ভুলে গেছ। আজ সকাল থেকে একবারও ফোন দাওনি।তুমি খেয়েছো?তুমি আসছো না যে? তুমি জানোনা তোমার সাথে কথা না বললে আমার ভাল লাগে না? এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে থামল অর্ণব। সাজিয়া হেসে ফেললেন আর বললেন , এত কথার জবাব কি করে দেবো একসাথে। একটা একটা করে বল ,পাগল ছেলে আমার। আমি ভালো আছি । খেয়েছি ,তুইও খেয়ে নে বাবা।তোকে ছেড়ে আমারও ভাল লাগে না। ফার্ম হাউজের জায়গাটার সব কিছু ঠিক করেই ফিরে আসবো কয়েকদিনের মধ্যেই চিন্তা করিস না।বাবাকে বলিস , চিন্তা না করতে। ভালো থাকিস।অর্ণবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফোন রাখা মাত্রই খাগড়াছড়ি এলাকার ব্রোকার আজগর ফোন করলো।এই লোকের মাধ্যমে ফার্ম হাউজের জন্য চারশত একরের জমিটা কিনছেন তাঁরা। হ্যালো ম্যাডাম ,একটা ঝামেলা হয়ে গেছে। জমির মালিক ত্রিপুরা লোকটা মত পাল্টেছে। সে কোন বাঙ্গালীর কাছে জমি বিক্রি করতে রাজী না। বলেছে, অন্য জমি দেখতে। আপনি ফিরে যান ঢাকায় ।অন্য জমি পেলে আপনাকে জানাবো।সাজিয়ার মন পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেল আজগরের কথায়।এক পাশে পাহাড় আর অন্য পাশে চেঙ্গী নদী ঘিরে আছে বলে জমিটা অনেক ভাল লেগেছিল তাঁর।এ কেমন কথা বাঙ্গালীরা ওদের কি ক্ষতি করেছে? ঠিক আছে আমি নিজেই ও লোকের সাথে কথা বলবো, একথা বলেই ফোনটা রাখলেন সাজিয়া।চিন্তায় পড়ে গেলেন ভীষণ কি করবেন বুঝতে পারলেন না।স্বামীর দেওয়া দায়িত্ব তিনি ঠিক ভাবে পালন করতে পারবেন তো? কি এক অজানা আশঙ্কায় দুলে উঠলো মনটা।(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.