নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেটা নই যেটা আপনি ভাবছেন..!! আমি সেটাই যেটা আপনি ভাবছেন না.!! আমাকে ভাবা যায় না..!! বুঝতে হয়.!!

আর. এন. রাজু

আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান সৃষ্ট হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে। কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না। এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।

আর. এন. রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"পহেলা বৈশাখ..." আসুন শপথ করি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

সকল ব্লগারদের জানাই আমার পক্ষ থেকে "শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছে"..

ছবিঃ- ইন্টারনেট থেকে নেওয়া..
-
আজ তো পহেলা বৈশাখ।
অনেকে বাসায় বসে আসিফ এর পহেলা বৈশাখ নিয়ে গাওয়া গান শুনছেন, কেউবা বাসায় বসে প্ল্যান করছেন আজ বন্ধুবান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে ঘুরবেন, ফিরবেন মজা করবেন, আরও কত কী ভেবে রেখেছেন। আবার অনেকে কাল রাতেই ভেবে রেখেছেন যে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে পান্তা-ইলিশ খাবেন, তারপর বৈশাখের নতুন কাপড় পড়ে বের হবেন ঘুরতে। এখানে,সেখানে কতখানেই না আজ ঘুরবেন। হাতে থাকবে অনেক পয়সা, নিজের জন্য কিছু কিনবেন এবং সাথে বন্ধু-বান্ধব অথবা প্রেমিকা থাকলে তাদের বা তাঁর পছন্দের জিনিসটিও কিনে দিবেন। তখন টাকার দিকে তাকাবেন না বা ভাববেন না। কারণ আপনি যথেষ্ট টাকা-পয়সা নিয়ে বেড়িয়েছেন, কেনোনা আজ “আজ পহেলা বৈশাখ”। আজ বাসা থেকে বেরুনোর পর চেনা-অচেনা মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা পরিচয় হবে। পুরাতন বন্ধুর সাথে দেখা হলে থাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাবেন খেতে।
-
আজ কিছু মানুষদের কাছে মনে হবেনা যে আজ কোনো উৎসব আছে কী না। তারা কাল রাতে ভেবে রেখেছে যে, প্রত্যেকদিনের মতো কালকের সকালটাও যেন আমাদের জন্য ভালো হয়। যে যার কাজে বেড়িয়ে পড়ছে। কাজে যাওয়ার পর দেখা গেলো যে, রঙিন পোষাক পড়া মানুষ ছাড়া আজ কোনো কাজ-ই নেই। বড় বড় ব্যবসায়ীরা আজ তাদের স্ত্রী এবং বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাবে তাদের ব্যবসা রেখে। আনন্দ ও উৎসবের জন্য তারা ভাববে না গরীব মানুষদের কথা; যারা উৎসব রেখে পেটের দায়ে আসছে কাজ করতে।
-
আজ দেখা যাবে কিছু মাছুম এতীম বাচ্চাদের। যাদের হাতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ফুল। অতিরিক্ত মানুষ হওয়ায় আজ রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকবে। তাই গাড়িও দাঁড়িয়ে থাকবে, সেই বাচ্চাগুলো গাড়ির কাছে গিয়ে বলবে,- “আপু/ভাইয়া একটা ফুল নিবেন। দয়া করে একটা ফুল নেন না, নিয়ে বাসায় সাজিয়ে রাখবেন অথবা আপনার প্রিয় মানুষটিকে দিবেন। দেখবেন অনেক খুশি হবে।” এই মাছুম বাচ্চাদের আকুতি মিনতি কেউ-ই দেখবে না বা শুনবে না। আজ তারা ভীষণ ব্যস্ত। তাই এঁদেরকে চোখে লাগছেনা। বাচ্চাগুলো একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যাচ্ছে হাতে ফুল নিয়ে।
-
এরপর আরও কিছু বাচ্চাদের দেখা যাবে, যাদের গায়ে ছেড়া জামা-কাপড়। হাঁটছে আপন মনে। পেটে ক্ষুধার জ্বালা। সহ্য হয়না, তাই ভালো পোষাক পরিহিত মানুষের কাছে হাত পেতে বলবে,- “কিছু পয়সা দিবেন, খুব খুধা লাগছে। খেতে না পেয়ে মারা যাব।” কিন্তু না সে টাকা পাবেনা। কারণ তাকে শুনতে হয়েছে,- “যাহ তো, এখন হাতে টাকা নেই।” কিন্তু তারপরেই দেখা যাচ্ছে যে, বন্ধু-বান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে এমন একটা রেস্টুরেন্টে ডুকছে, সে রেস্টুরেন্টে কমপক্ষে ১,০০০ (এক হাজার) টাকা ছাড়া কেউ ডুকতে পারবে না।
আবার সেই অবহেলিত বাচ্চটা শুধু একটু বেশি-ই জেদ করে কিছু পয়সার জন্য, তাহলে তাকে খেতে হচ্ছে কিল-গুতা, নয়তো দামী জুতোর লাথি।
-
আসুন না আমরা সবাই মিলে শপথ করি,
“ আমাদের কাছে প্রতিটি শিশুই হবে সুন্দর ও আদরের ছোট ভাই/বোন। আমাদের সামনে যদি কখনো কোনো শিশু তার ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার চেয়ে বা পয়সা চেয়ে হাত পাতে তাহলে আমরা ফিরিয়ে দিব না। যার যতটুকু সামর্থ্য সে ততটুকুই সাহায্য করব। কখনো ধমক দিব না। তাদের দিকে আমরা একটু মমতার হাত বাড়িয়ে দিব। দেখবেন তার মুখে কী সুন্দর হাসি যে, যে হাসি আপনাকে করে তুলবে আনন্দের চেয়ে অনেক আনন্দিত...”আজ তো পহেলা বৈশাখ।
অনেকে বাসায় বসে আসিফ এর পহেলা বৈশাখ নিয়ে গাওয়া গান শুনছেন, কেউবা বাসায় বসে প্ল্যান করছেন আজ বন্ধুবান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে ঘুরবেন, ফিরবেন মজা করবেন, আরও কত কী ভেবে রেখেছেন। আবার অনেকে কাল রাতেই ভেবে রেখেছেন যে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে পান্তা-ইলিশ খাবেন, তারপর বৈশাখের নতুন কাপড় পড়ে বের হবেন ঘুরতে। এখানে,সেখানে কতখানেই না আজ ঘুরবেন। হাতে থাকবে অনেক পয়সা, নিজের জন্য কিছু কিনবেন এবং সাথে বন্ধু-বান্ধব অথবা প্রেমিকা থাকলে তাদের বা তাঁর পছন্দের জিনিসটিও কিনে দিবেন। তখন টাকার দিকে তাকাবেন না বা ভাববেন না। কারণ আপনি যথেষ্ট টাকা-পয়সা নিয়ে বেড়িয়েছেন, কেনোনা আজ “আজ পহেলা বৈশাখ”। আজ বাসা থেকে বেরুনোর পর চেনা-অচেনা মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা পরিচয় হবে। পুরাতন বন্ধুর সাথে দেখা হলে থাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাবেন খেতে।
-
আজ কিছু মানুষদের কাছে মনে হবেনা যে আজ কোনো উৎসব আছে কী না। তারা কাল রাতে ভেবে রেখেছে যে, প্রত্যেকদিনের মতো কালকের সকালটাও যেন আমাদের জন্য ভালো হয়। যে যার কাজে বেড়িয়ে পড়ছে। কাজে যাওয়ার পর দেখা গেলো যে, রঙিন পোষাক পড়া মানুষ ছাড়া আজ কোনো কাজ-ই নেই। বড় বড় ব্যবসায়ীরা আজ তাদের স্ত্রী এবং বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাবে তাদের ব্যবসা রেখে। আনন্দ ও উৎসবের জন্য তারা ভাববে না গরীব মানুষদের কথা; যারা উৎসব রেখে পেটের দায়ে আসছে কাজ করতে।
-
আজ দেখা যাবে কিছু মাছুম এতীম বাচ্চাদের। যাদের হাতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ফুল। অতিরিক্ত মানুষ হওয়ায় আজ রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকবে। তাই গাড়িও দাঁড়িয়ে থাকবে, সেই বাচ্চাগুলো গাড়ির কাছে গিয়ে বলবে,- “আপু/ভাইয়া একটা ফুল নিবেন। দয়া করে একটা ফুল নেন না, নিয়ে বাসায় সাজিয়ে রাখবেন অথবা আপনার প্রিয় মানুষটিকে দিবেন। দেখবেন অনেক খুশি হবে।” এই মাছুম বাচ্চাদের আকুতি মিনতি কেউ-ই দেখবে না বা শুনবে না। আজ তারা ভীষণ ব্যস্ত। তাই এঁদেরকে চোখে লাগছেনা। বাচ্চাগুলো একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যাচ্ছে হাতে ফুল নিয়ে।
-
এরপর আরও কিছু বাচ্চাদের দেখা যাবে, যাদের গায়ে ছেড়া জামা-কাপড়। হাঁটছে আপন মনে। পেটে ক্ষুধার জ্বালা। সহ্য হয়না, তাই ভালো পোষাক পরিহিত মানুষের কাছে হাত পেতে বলবে,- “কিছু পয়সা দিবেন, খুব খুধা লাগছে। খেতে না পেয়ে মারা যাব।” কিন্তু না সে টাকা পাবেনা। কারণ তাকে শুনতে হয়েছে,- “যাহ তো, এখন হাতে টাকা নেই।” কিন্তু তারপরেই দেখা যাচ্ছে যে, বন্ধু-বান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে এমন একটা রেস্টুরেন্টে ডুকছে, সে রেস্টুরেন্টে কমপক্ষে ১,০০০ (এক হাজার) টাকা ছাড়া কেউ ডুকতে পারবে না।
আবার সেই অবহেলিত বাচ্চটা শুধু একটু বেশি-ই জেদ করে কিছু পয়সার জন্য, তাহলে তাকে খেতে হচ্ছে কিল-গুতা, নয়তো দামী জুতোর লাথি।
-
আসুন না আমরা সবাই মিলে শপথ করি,
“ আমাদের কাছে প্রতিটি শিশুই হবে সুন্দর ও আদরের ছোট ভাই/বোন। আমাদের সামনে যদি কখনো কোনো শিশু তার ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার চেয়ে বা পয়সা চেয়ে হাত পাতে তাহলে আমরা ফিরিয়ে দিব না। যার যতটুকু সামর্থ্য সে ততটুকুই সাহায্য করব। কখনো ধমক দিব না। তাদের দিকে আমরা একটু মমতার হাত বাড়িয়ে দিব। দেখবেন তার মুখে কী সুন্দর হাসি যে, যে হাসি আপনাকে করে তুলবে আনন্দের চেয়ে অনেক আনন্দিত...”

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

MD SHAKIL AHMED বলেছেন: Nice post amazing article. This is very well post

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

আর. এন. রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা..

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

আবু আফিয়া বলেছেন: ইচ্ছে করলেই আমরা এমনটি করতে পারি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

আর. এন. রাজু বলেছেন: হ্যাঁ, একটা প্রবাদ আছে না,- ইচ্ছা শক্তিই বড় শক্তি

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখা দুবার কপি হয়েছে।

বিকেলে আরেক দফা ঘুরবো। আপনার কথা মাথায় রাখবো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

আর. এন. রাজু বলেছেন: ০২ বার কপি হয়েছে বলতে প্রকৃতপক্ষে কী বলতে বা বুঝাতে চেয়েছেন্?

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

আর. এন. রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


পানতা নিয়ে থাকলে বসে
ইলিশ মাছের আশায়,
একটা ইলিশ পথ ভুলে কী
ঢুঁকবে আমার বাসায়?
কেষ্ট বলে, শুনছো কথা!
বলে কী মোর দুলায়,
এই বাজারে ইলিশ নিয়া
কেমনে মাথা ঘামায়?
থালায় নিয়ে রাখছি পুঁটি
উদযাপনের আশায়,
লও সবে বৈশাখী মোর
রাঙা নিমন্ত্রণের খাতায়,
খেজুর পাতার আসন পেতে
বসবো সবাই দাওয়ায়,
করবো ভাগ মহা আনন্দে
পুঁটি-পান্তার থালায়।।

................শুভ নববর্ষ।
...................আমার ব্লগে স্বাগতম।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

আর. এন. রাজু বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন..

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

"শুভ নববর্ষ"

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আমাদের এই দোয়া করতে হবে যে, (হে) আল্লাহ তা’লা! আমাদের আগত বছর যেন বিগত বছরের ন্যায় আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে দুর্বল না হয়; বরং আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, পদচারণা যেন খোদার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হয়; আমাদের প্রতিটি দিন যেন রসূল (সা.)-এর আদর্শে অতিবাহিত দিন হয়;

শুভ নববর্ষ ১৪২৫

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.