নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীলকান্ত নীল

নীলকান্ত দা

কবিতার ঘ্রাণ আসে, আসে এক বুক গোলাপের নির্যাস

নীলকান্ত দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি প্রশ্ন!!

১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

গ্রন্থের স্বতঃসিদ্ধতা মানবিক বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। মৌলবাদের জন্ম দিচ্ছে অহরহ এই স্বতঃসিদ্ধ ধারণায়। বুঝতে হবে এই পুস্তক বা গ্রন্থ লিখা হয়েছে কোন না কোন মানুষের হাত দিয়েই। এতে তার বা তাদের মনোময় যেকোন ধারণা যতটুকু তাদের কাছে সত্য বা সিদ্ধ মনে হয়েছে তাহাই লিপিবদ্ধ আছে। তবে তাকে সম্পূর্ণ রূপে ফেলনাও বলা চলে না, কারন আমরা জানি শুণ্য থেকে কোন কিছুর উৎপত্তি হয় না। তাই গ্রন্থ আর সে সমসাময়িক আরো অন্যান্য সাহিত্যের তুলনা এবং প্রত্নতত্ত্বীয় প্রমানের (যা থেকে ঘটনার বাস্তব নিদর্শন পাওয়া যাবে) গবেষণা ও পর্যালোচনা ব্যাতিত কোন পুস্তকের উপর স্বতঃসিদ্ধ নিশ্চয়তা আনা মানবিক বিপর্যয়ের প্রধান হেতু। আপনার আশেপাশে তাকালেই দেখতে পাবেন এর ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া কতটুকু। "প্রতীত্যসমুৎপাদ"এ সময়ের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পার্থক্যের ফলে সামগ্রিক যে বিশদ পরিবর্তন যা অনবরত ঘটে চলেছে তার ব্যাখ্যা রয়েছে।
বুদ্ধের আবিষ্কৃত আর্য্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের প্রথম ধাপ ও প্রতীত্যসমুৎপাদ এর পরিমেল দৃষ্টিকোণ থেকে তাকালে গ্রন্থের সার-অসাড় সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।

ভারতবর্ষে বুদ্ধের সমসাময়িক ও তার পূর্ববর্তী সময়কার বেশ কিছু দর্শন রয়েছে যেমনঃ জৈনদর্শন, সাংখ্যদর্শন, চার্বাকদর্শন ইত্যাদি।
এদের দর্শনে 'আত্মা' একটি নিত্য বস্তু, আত্মা জীবের অন্তঃস্থলে রয়েছে, আত্মাই ব্রহ্ম, আত্মার মৃত্যু বা ধ্বংস নেই, আত্মা পোষাকের ন্যায় শরীর বদল করে, মোক্ষ লাভ হলে আত্মা ব্যক্তিসত্তা হারিয়ে পরমাত্মার সাথে মিলিত হয়।
কিন্তু, বৌদ্ধদর্শন? বৌদ্ধদর্শনে মোক্ষ বলতে কিছু নেই, সবকিছুই অনিত্য। পঞ্চভূতে গঠিত এই দেহ, মৃত্যুর পরে সে পঞ্চভূত লীন হয়ে যায়। শুণ্য ছাড়া আর কিছু নেই।
তবে প্রতীত্যসমুৎপাদ তত্ত্ব! উপরোক্ত অন্যান্য দর্শনে কোথায়?
নিঃসন্দেহে বুদ্ধের আবিষ্কৃত "চতুরার্য্য সত্য", "আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ", "প্রতীত্যসমুৎপাদ", "মধ্যমপন্থা" এগুলো বুদ্ধের আবিষ্কৃত চিরন্তন সত্য যা বুদ্ধকে অন্যান্য দর্শনের থেকে পৃথক এক আলোকবর্তিকা বলা যায়। বুদ্ধের সময় বা তার পূর্বে অন্য কোন দর্শনে এ তত্ত্বগুলো নেই, যা বুদ্ধই প্রথম উচ্চারণ করেন। সম্পূর্ণ নতুন কথা শোনালেন বুদ্ধ যা কারো কাছ থেকে ধার করা নয় এবং বাস্তব সত্য। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী'ও তা স্বীকার করেন। ব্রহ্ম, পরব্রহ্ম, পরমাত্মা, আত্মা ইত্যাদি কোন কিছুই বুদ্ধ মানেন নি, তিনি প্রতীত্যসমুৎপাদ বা ক্ষনিকাবাদে এ সমস্ত সকল শ্বাশত বিষয়কে অস্বীকার করে সকল সৃষ্টিকেই অনিত্য বলেন। এবং নাম-রূপ এ বিশ্লেষণ করে আত্মাকেই খণ্ডন করেন। যেখানে তার পূর্ব কোন দর্শন পৌঁছতে পারে নি।

তারপরও কোন যুক্তিতে বর্তমান বৌদ্ধরা বুদ্ধের অনুসারীর নামে আত্মার উদ্দেশ্যে পুজা-অর্চনা, মৃত্যের উদ্দেশ্যে পালাক্রমে সোয়াং, মোচা ভাত, খালে-বিলে প্রাণের বদলে প্রাণ উৎসর্গ করে আসার মত হীন কর্মে লিপ্ত থাকেন, তার পরিচ্ছন্ন ব্যাখা ও উপাত্তিয় বিশ্লেষণ চাই হে বৌদ্ধ!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বৌদ্ধতে গেলেন কেন?
পাশের মুসলিমদের কথাটা জিজ্ঞোস করুন। তারা বলুক কেন একটা গ্রন্থকে কেন সবকিছুর মূল ভাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.