![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞান ও চিকিৎসা শাস্ত্রের মেলবন্ধনে যখন প্রমাণিত প্রকৃতিগতভাবে ১০% মানুষ সমকামী, তার মানে তারা স্বাভাবিক ও সুস্থ্য অবস্থায় সমকামী। এদেরকে অসুস্থ ভেবে যদি জোর করে বিষমকামী করতে যান, তখন মূলত তাদের অসুস্থই করা হবে।
যেমনঃ সবার দৃষ্টিতে সমকামীদের অসুস্থ যৌন রুচির মনে হয়, ঠিক তেমনি সমকামীদের কাছে বিষমকামীরাও অসুস্থ যৌন রুচির বলেই মনে হয়, স্বাভাবিক।
যদি প্রকৃতি প্রদত্ত কোন অবস্থাকে অসুস্থ মনে করে সুস্থ করতে চেষ্টা করি তখনই হবে বিকৃতি।
আমরা নিজ নিজ রুচিকে যেভাবে সম্মান দেই, সেভাবে অন্যের রুচিকেও সম্মান দেওয়া উচিৎ। উভয়ের সম্মতি বা উভয়ের রুচির একাত্বতায় যদি সংঘটিত হয় তবে সেখানে কেউ অপরাধী বা দোষী নন, সেখানে অপরাধ জাহীর করা অন্যায় হবে। যদি ধর্ষণের মতো কোন ঘটনা ঘটে সেখানেই কেবল অপরাধ ও অপরাধীর জন্ম হবে। তবে কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে।
পৃথিবীর উন্নত সকল দেশেই আজকাল এই সমকাম বিষয়ক মূর্খতা অন্ধতা থেকে বেড়িয়ে এসেছে, যবে থেকে তাদের হাতে চিকিৎসা শাস্ত্রের দলিল পৌছেচে। কিন্তু এশিয়ার সিংহভাগ দেশের মাঝেই কেবল এই মূর্খতার মূল আজো উৎপাটিত হলো না। জানেন কেনো?
- এখানকার বসবাসরত জনগোষ্ঠী সচেতনে ও অবচেতনে মৌলবাদকে লালন করে, হ্যা তাই। যে ধর্মেরই হোক না কেনো। আমার কথা শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য বড় কঠিন। উগ্র মৌলবাদে ছেয়ে আছে তরুণ থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত মানুষের হৃদয়। এখন থেকে নিস্তার সহজ নয়। তাই খুব সহজে এতো বছরের, পৈতৃকযুগের বা প্র-পিতামহযুগের জমাট বাধা এই সংষ্কার থেকে বেড়িয়ে কেউ কেউ আসতে চাইলেও তার আশপাশ, সমাজ, রাষ্ট্রের চাপে কেউ বেড়িয়ে আসতে পারে না।
কিন্তু ভাবুক জগতের মানুষের মনে কড়া নাড়ে ঠিকই। এবং তারা অনেকেই কার্যকারণের বিরোধীতা করে না। বিজ্ঞজনেরা কার্যকারণ বুঝেন এবং তা স্বীকার করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আজ যদি সাদাকে কালো বলে তা যদি মেনে নিতে হয়, তাহলে একদিন যদি ওই সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং তারাও যদি আজকের আমাদের মতো কালোকে সাদা বলতে বলে, তখন তাও আমাদের মেনে নিতে হবে। বলুন হবে কিনা?
যদি তাই হয়, তাহলে এই অবিদ্যার সংষ্কার ভাঙ্গার চেষ্টা করা হোক। অবিদ্যা দোষের নয়, অবিদ্যা থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা না থাকাটাই দোষের। স্পষ্ট না জানার পূর্ব পর্যন্ত কোন বিষয়ে কাউকে সিদ্ধান্ত না দেওয়ার নামই বিচক্ষণ সচেতনতা। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। আমরা জ্ঞান নির্ভর জলের মতো পরিষ্কার একটি সভ্য সমাজ উপহার দিতে চাই আগামী প্রজন্মকে, যেখানে থাকবে না অবিদ্যার অন্ধকার। আলোয় আলোময় হোক আমাদের হৃদয়ের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত, এই শুভকামনায় শেষ করছি।
পরিশেষে বলছি- আমার উক্ত আলোচনায় মতানৈক্য থাকতে পারে, তবে অবশ্যই যদি যুক্তি নির্ভর, গঠনমূলক আলোচনা হয় তার জন্য স্বাগতম।
বিঃদ্রঃ আলোচনার সাথে ব্যক্তিকে গুলিয়ে ফেলবেন না। এবং এর দায় কোন সংগঠন বা কোন গ্রুপের উপর বর্তাবেন না।
©somewhere in net ltd.