![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের ভীড়ে অমানুষ একটা। বাস্তবতার সাথে তাল মেলে না। গতিশীল ফুটবল এর মত ভবঘুরে আমি
"মুখে সিগারেট, হাতে অস্ত্র। একের পর এক গুলি করে যাচ্ছেন। একটাও লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছে না। "এক হাতে চারমিনার সিগেরেট, অন্য হাতে এসএলআর। নিলিপ্ত ভাবে গুলি করে যাচ্ছেন যোদ্ধা। প্রতি বুলেটে যেন খই ফুটছে,,,কিন্তু টার্গেট মিস নেই,,,,
কী ভাবলেন?
আমি কি হলিউডের কোনও অ্যাকশন সিনের কথা বলছি।???
না, এই
অ্যাকশন বাস্তব জীবনেই করেছেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দুই নং সেক্টর কমান্ডার ও কে ফোর্স অধীনায়ক খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম (পিএসসি)। সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে চৌকস ছিলেন খালেদ মোশাররফ। খালেদ মোশারফের নাম শুনেই আৎকে উঠতো পাকিস্তানি সেনারা। ক্র্যাক প্লাটুন, ওয়াই প্লাটুন, সুইমিং প্লাটুন, কে ফোর্স সবগুলোই খালেদ মোশারফের সৃষ্টি।
২৪ মার্চ ১৯৭১ সালে খালেদ মোশাররফকে কুমিল্লাতে চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়। ২৬ মার্চ মৌলভীবাজারের শমসেরনগরে তিনি ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুই কোম্পানি সৈনিক নিয়ে অবস্থান করছিলেন। ঢাকায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যার খবর পেয়ে তিনি বিদ্রোহ করেন এবং সেই রাতে তাঁর বাহিনী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরদিন ২৭ মার্চ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছালে তাঁর বাহিনী এবং সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত মেজর শাফায়াত জামিলের বাহিনী সম্মিলিত হয়। ইতোমধ্যেই তাঁর বেতার নির্দেশ পেয়ে শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে বাঙালি সৈনিকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থানরত পাঞ্জাবী সৈনিকদের আটক করেন।
খালেদ চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসারের দ্বায়িত্ব নেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি তার বাহিনীর অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তেলিপাড়া চা বাগানে সরিয়ে নেন।
গেরিলা যোদ্ধা শফি ইমাম রুমী সেক্টর-২ এ খালেদ মোশাররফ-এর অধীনে মেলাঘরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। জুন মাসের শেষের দিকে দুই নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ এর একটি চিঠি নিয়ে শাহাদাত চৌধুরী ও হাবিবুল আলম আসেন শরীফ ইমামের বাড়িতে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চলাচল ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে খালেদ মোশাররফ তাঁর কাছে বাংলাদেশের ব্রিজ ও কালভার্টের ব্যাপারে তথ্য চেয়ে পাঠান। শরীফ ইমাম ব্রিজের ঠিক কোন কোন পয়েন্টে এক্সপ্লসিভ বেঁধে ওড়ালে ব্রিজ ভাঙবে অথচ কম ক্ষতি হবে অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সহজে মেরামত করা যাবে, সেভাবে বিস্তারিত তথ্য দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সফল প্রতিরোধ করতে করতে মধ্য এপ্রিলে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবিরাম বিমান আক্রমণের শিকার হন, ফলে তিনি ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থান নেন। মুজিবনগর সরকার তাকে ২ নং সেক্টরের দ্বায়িত্ব দেয়। যুদ্ধের সময় খালেদ মোশাররফ লেফটেনেন্ট কর্ণেলের পদে উন্নিত হন। ২৩ অক্টোবর খালেদ মোশাররফ মাথায় গুলি লেগে মারাত্বক আহত হন এবং লক্ষ্ণৌ মিলিটারি হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা লাভের পর সুস্থ হন।
আজ সে নায়কের জন্মদিন। আমরা লজ্জিত , হলিউড বলিউডের সব নায়কদের নামধাম ঠিকানা সবই আমরা জানি -চিনি। শুধু চিনি না আমাদের নায়কদের, আমাদের হিরোদের। লজ্জা শুধু লজ্জা. . .
শুভ জন্মদিন হে বীর, আমাদের ক্ষমা করবেন. . .
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
তিনি একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছিলেন!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
আলী বলেছেন: শুভ জন্মদিন হে বীর, আমাদের ক্ষমা করবেন. . .