![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের ভীড়ে অমানুষ একটা। বাস্তবতার সাথে তাল মেলে না। গতিশীল ফুটবল এর মত ভবঘুরে আমি
ক্যানসার তাকে হারাতে পারেনি। টানা ১২বার আক্রান্ত হয়েও জয় করেছেন এ দুরারোগ্য ব্যধি; গানও থামেনি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফিরেছেন সৃষ্টির শক্তিতে। ক্যানসারের সঙ্গে তার নিরন্তর যুদ্ধের দিনিলিপি শোনা গেছে সম্প্রতি প্রকাশিত তার ‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’ অ্যালবামে।
এদিকে অক্টোবরেই প্রকাশ পেয়েছে তার আন্তর্জাতিক ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবাম ‘সোলফুড পার্ট ওয়ান’। দুই যুগ ধরে সংগীতসাধনা করছেন অর্থহীন ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সাইদুস খালেদ সুমন, বেইজবাবা হিসেবেই ভক্তদের কাছে যার পরিচিতি। এবার তার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গন। শুক্রবার গ্লিটজ-এর মুখোমুখি হলেন তিনি।
গ্লিটজ: বছরখানেক আগে ক্যান্সার থেকে মুক্ত হয়েছেন । এখন কেমন আছেন?
সুমন: আগে তিনমাস পরপর গিয়ে চেকআপ করাতে হতো। তারপর কিছুদিন ছয়মাস। এবার যাওয়ার পর ডাক্তার বললেন আগামী একবছর আর চেকআপ করাতে হবে না। এখন আমার শারিরীক অবস্থা বেটার। একটু নিয়ম করে চলতে হচ্ছে। দেখা যাক সামনে কি হয়। ক্যানসারের তো কোন বিশ্বাস নাই।
গ্লিটজ: দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ আপনি। অসুখ নিয়েও কিভাবে গান করছেন?
সুমন: প্রথমে এটা ক্লিয়ার করা দরকার। মিউজিক আমি করি শখে। এটা আমার প্রফেশন না, প্যাশন। যে কারনে মিউজিক কখনো ছাড়তে পারি নাই।
মিউজিক করতে সবচেয়ে বড় যে প্রবলেম সেটা হচ্ছে টাইম। টাইমের জন্য অনেক কিছু করতে পারি না। মাঝে মাঝে এ রকম মনে হয়, দিন চব্বিশ ঘন্টা না হয়ে যদি ছত্রিশ ঘন্টা হতো তাহলে আমি অনেক কিছু করতে পারতাম। এখন আমার হাতে যা কাজ আছে, এগুলো যদি প্রকাশ করতে থাকি তাহলেও আগামী দেড় দুই বছর দিতে পারব।
এ প্রসঙ্গে একটা মজার কথা বলি- এই কিছুদিন আগে অর্থহীন-এর নতুন অ্যালবাম বের হলো ‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’। অ্যালবাম করার আগে ব্যান্ডের সবাই মিলে দেখলাম গান কম পড়ছে। তারপর নতুন গান করে অ্যালবাম রিলিজ করলাম। গত সপ্তাহে ঢাকার বাইরে শো করতে গেলাম। সেখানে গিয়ে কম্পিউটার ঘাঁটতে গিয়ে দেখি অপ্রকাশিত ছয়টা গান। গানগুলোর কথা মনেই নাই। মনে থাকলে আর নতুন করে বানাতে হতো না।
এ রকমই, মিউজিক যখনই পারি তখনই করি, সামনেও করব।
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন ক্যানসার নিয়ে গান কিভাবে করছি, আমার ধারণা মিউজিক করছি বলেই ভালো আছি। এমনিতে আমাদের সবারই মানসিক চাপ থাকলে আমাদের যেটা করতে ভালো লাগে তা করা দরকার। এটা করলে মানসিক চাপ কম পড়ে। মানসিক চাপ কম পড়লে শরীরও ভালো থাকবে।
আমি মাঝে মাঝেই ভাবি, মিউজিক ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে। আমার এমনও মনে হয় যে বুড়ো হয়ে গেছি, হাত পা নাড়াতে পারছিনা, গিটার বাজাতে পারছিনা, তখনও মিউজিক আসবে, থেমে যাওয়া সম্ভব নয়।
আমার প্রথম যখন ক্যানসার ধরা পড়ে আমাকে ডাক্তার যখন জানালেন, শুনে খুব মন খারাপ হয়েছে, কান্নাকাটি করেছি। তখন আমার মনে হয়েছে ফাইট করতে হবে। এমনও হয়েছে এরপর অনেকবার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছি, অনেকবার অপারেশন থিয়েটারে যেতে হয়েছে। সার্জারির পর এমনও হয়েছে জ্ঞান ফিরছেনা এমন পরিস্থিতির ভেতরও আমাকে যেতে হয়েছে। সব কিছুর পর যখনই মেন্টাল স্ট্রেসের ভেতর দিয়ে গেছি তখন আমি একটা গান লিখেছি।
গ্লিটজ: এই গানগুলোই কি ‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’ অ্যালবামে পেয়েছি আমরা?
সুমন: অ্যালবামটিতে ১৪ মিনিটের একটি গান আছে। গানটিতে মূলত ক্যানসারের সঙ্গে আমার ফাইট করার ব্যাপারগুলো উঠে এসেছে। আক্ষরিক অর্থেই জীবনযুদ্ধ যাকে বলে। সুতরাং ক্যানসারের সাথে মার্চ করার ব্যাপারগুলো এ রকম।
গ্লিটজ: এ সপ্তাহে আপনার একটা বেজ ইনস্ট্রুমেন্টাল আন্তর্জাতিক অ্যালবাম (সোল ফুড পার্ট-১) প্রকাশ হয়েছে। অ্যালবামটি প্রসঙ্গে বলুন?
সুমন: এ অ্যালবামে পাঁচটা ট্র্যাক আছে। আরও পাঁচটা ট্র্যাক দিয়ে নতুন অ্যালবাম করব শিগগিরই। তবে অ্যালবামটা, ইটস নট অনলি অ্যাবাউট বেইজ। আমার ব্যাপারটা ছিল আমি যেটা বানাচ্ছি সেটার একটা ভিউ থাকতে হবে, ভিশন থাকতে হবে। এটা একটা কম্প্লিট মিউজিক হতে হবে। আমার টোটাল একটা এরেন্জমেন্ট, টোটাল কম্পোজিশন, ওই চিন্তা মাথায় রেখে করেছি। আমি পারসোনালি খুব হ্যাপি কাজটা করে।
যেহেতু আমার সঙ্গে এখানে বাইরের অনেক মিউজিশিয়ান কাজ করেছেন, ওটাতে আমি বলব আমি ব্লেজড। যেসব ইন্টারন্যাশনাল মিউজিশিয়ান আমার সঙ্গে কাজ করেছেন, পাঁচ বছর আগে আমি ভেবেছি যে, এদের যদি আমি সামনা সামনি দেখতে পেতাম তাহলেই আমার চলবে। সে জায়গায় তারা আমার বন্ধু হয়েছেন। এ ব্যাপারগুলো মানসিকভাবে আমাকে নাড়া দিয়েছে। এত বছর পর বাংলাদেশের একটা বেইজ ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবাম বের হলো। এটা অনেক আগে হবার কথা ছিল। আমি আশা করি সামনে দেখব আরও অনেকেই এমন কাজ করবেন।
গ্লিটজ: অ্যালবামের গানগুলোতে প্রাচ্যের কোন সুর বা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেছেন?
সুমন: আমরা যখন বাংলায় গান গাই, কেনিয়ার একটা লোক কিন্তু সেটা বুঝবে না। এ অ্যালবাম যখন শুনবেন তখন আর এমন হবে না, তারা এটাকে মিউজিক হিসেবেই নেবেন। ভাববেন, আচ্ছা বাংলাদেশের একটা ছেলে বাজিয়েছে, শুনি। ইচ্ছা ছিল আমার মিউজিকটাকে গ্লোবালি পরিচিত করা। এ জন্য আমি খুব বেশি এদিককার মিউজিক করিনি অ্যালবামটাতে। জাস্ট দুইটা ট্র্যাকে আমি এদিকের রাগ ব্যাবহার করেছি।
গ্লিটজ: আর কোন আন্তর্জাতিক অ্যালবামের পরিকল্পনা আছে কি?
সুমন: আপাতত একটা মিক্সড অ্যালবামের প্ল্যান করছি। যেখানে চারটা করে বাংলাদেশ ও আমেরিকান ব্যান্ডের গান থাকছে। বাংলাদেশ থেকে এ অ্যালবামে অর্থহীন ছাড়াও আপাতত নেমেসিস ও আরবোভাইরাসের নাম কনফার্ম করেছি। বাকি যে একটা ব্যান্ড ওটা এখনও বলতে পারছি না। আমেরিকার কিছু লোকাল ব্যান্ডের চারটা গান থাকছে। আর অর্থহীনের সঙ্গে লুজিয়ানার একটা ব্যান্ডের যৌথভাষার গান থাকছে এ অ্যালবামে।
গ্লিটজ: এ আইডিয়াটা কিভাবে আসলো?
সুমন: আমার টার্গেট বাংলাদেশকে পরিচিত করা। টানা তিনবারের মতো আমেরিকার সবচেয়ে বড় সংগীতের আসর ন্যাম উৎসবে যাচ্ছি। সেখানে সব বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় ঘটছে। তারা শুধু জানত বাংলাদেশে খুব বন্যা হয়। এখানে যে গানও হয় তা জানত না। আমি তাদের কাছে বাংলা গানকে পরিচিত করতে চাইছি।
সামনেই মোহান ফাহিমের সঙ্গে আমার একটা ফুল অ্যালবাম আসছে। এই অ্যালবামটার নামই হচ্ছে ‘কফি ক্লাউড ফ্রম বাংলাদেশ’। গান যেমনই হোক, ‘বাংলাদেশ’কথাটা কিন্তু আছে। আমার কথা হচ্ছে তোমরা এ টাইপের গান শুনতে পছন্দ করো, শোন, কিন্তু বাংলাদেশকে চিনতে হবে। অ্যালবামটি ফেব্রুয়ারিতে আসবে।
গ্লিটজ: শুনেছি আনিলার সঙ্গে আপনার নতুন দ্বৈত অ্যালবামটিও আসছে। এছাড়া আর কি কি পাচ্ছি আপনার কাছ থেকে?
সুমন: ডিসেম্বরে আসবে আনিলার সঙ্গে আমার যৌথ অ্যালবামটি। আনিলার ভয়েজটুকু পাঁচবছর আগেই রেকর্ডিং হয়ে আছে। অসুস্থতাসহ নানা ব্যস্ততায় আমার অংশটুকু করা হয়নি। এবার হবে।
এছাড়া অর্থহীনের চারপাঁচটা মিউজিক ভিডিওর কাজ চলছে। এর মধ্যে ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবামের একটা মিউজিক ভিডিও আসবে ৩০ নভেম্বর। জানুয়ারীর ১৫ তারিখ আমি তৃতীয়বারের মতো ন্যাম শো-তে যাচ্ছি। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যান্ডসঙ্গীত উৎসবগুলোর একটি। ওখানে আমার কিছু পারফর্ম আছে। সেসব পারফরমেন্সের কিছু মিউজিক ভিডিও করার ইচ্ছা আছে।
গ্লিটজ: গিটারিস্ট, কম্পোজার, ভোকাল হিসেবে কাজ করা ছাড়াও আপনি লিরিসিস্ট। এ পরিচয়টাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
সুমন: আমি নিজেকে প্রথমত একজন বেইজ প্লেয়ার মনে করি, তারপর লিরিসিস্ট, তারপর একজন গায়ক। লিরিক আমার কাছে ভয়ংকর টেনশন, স্ট্রেস থেকে রিলিফের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। হয়তো আমার অনেক মন খারাপ বা খুব অসুস্থতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি তখন আমি লিরিক লিখি।
আমি খুব সাধারণ সাহিত্য চর্চা করেছি। আমার লিরিকের ভাষাও তাই। আমি জীবনে যা লিখেছি তার শতকরা নিরানব্বই ভাগ হচ্ছে সত্য কথা। আমি যা দেখেছি যা ফিল করেছি তাই লিখেছি। মুক্তিযুদ্ধ আমি দেখিনি, তবু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমি লিরিক লিখেছি। ওটা ফিল করেছি। আমার ভেতর প্রচণ্ড রাগ, দু:খ, ক্ষোভ এসেছে- আমি লিরিক লিখেছি।
উদাহরণ হিসেবে বলি, আমার একটা সিরিজ গান আছে ‘নিকৃষ্ট’। ওখানে আমি নেতিবাচক ভাষা ব্যাবহার করেছি। ‘নিকৃষ্ট-৩’ নিয়ে সবাই খুব সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আমি তাদের বলি, তারাতো ১২টা ক্যানসার ফেস করেনি। ১২টা সার্জারি ফেস করেনি। ‘নিকৃষ্ট-৩’ আমার ক্যানসারের সময়কার অনুভূতি নিয়ে লেখা। লিরিক আমার সঙ্গীতজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। লিরিক আছে বলেই বেঁচে আছি।
গ্লিটজ: প্রায় দুই যুগ ধরে গান করছেন। শিল্পীতো কখনও তৃপ্ত হয় না। এখন আপনার অতৃপ্তি কি নিয়ে?
সুমন: মানুষ হিসেবে আমাদের অতৃপ্তি সারাজীবন থাকবে। চাওয়া তো কখনও ফুরায় না। তবে, রেগুলার যে শো করার ইচ্ছা ছিল তা করতে পারছি না। চাইলেই যা ইচ্ছা তাই করতে পারি না। নিজের অসুস্থতা, ব্যাবসায়িক ব্যস্ততায় চাইলেই যে কোন কোথাও চলে যেতে পারিনা, এটাই অতৃপ্তি।
গ্লিটজ: পাইরেসি সঙ্গে লড়াইয়ের যুগে আপনার মতো গানও কি এখন চাইলেই শ্রোতাদের কানেপৌঁছাতে পারছে?
সুমন: খোদ আমেরিকান হিট মিউজিশিয়ানরাই আমাকে বলে, ‘ধুর, বইলোনা গান কেউ শুনতেসেনা’। এ রকমই অবস্থা। আগে যেভাবে গানগুলো ছড়াতো এখন তা ছড়াচ্ছে না। এ প্রবলেম সারা পৃথিবীতেই। আমার মনে হয় ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে যত দ্রুত মানুষ অভ্যস্থ হবে তত দ্রুত এ অবস্থার অবসান ঘটবে। এছাড়া পাইরেসির কারণে এতো বেশি ফ্রি এতো বেশি এভেইলেবল হয়ে পড়েছে সবকিছু অ্যালবাম কিনে গান শুনতে হবে এ মানসিকতাই হারিয়ে যাচ্ছে।
‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’-শুধুমাত্র রবি ইয়ন্ডারে প্রকাশ হয়েছে। রবির গ্রাহকরা ছাড়া আর কেউ শুনতে পারছেন না। আমরা ভাবছি সামনেই সিডি প্রকাশ করব। তখন হয়তো সবার কাছে গান পৌঁছাতে বাধা থাকবে না। এছাড়া ইন্টারনেটে গান শোনা, টাকা দিয়ে ডাউনলোড করা- এগুলো আসলে অভ্যস্থতার বিষয়। সারা পৃথিবীতে যখন এ অবস্থার অবসান ঘটবে তখন বাংলাদেশেও ঘটবে।
গ্লিটজ: ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে আর কতো বছর বাঁচতে চান?
সুমন: ডাক্তাররা আমাকে তিন মাস, ছয় মাস- নানা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু হলো না তো। বেঁচে থাকলেই নানা স্বপ্ন এসে ভীড় করে। তবে, এ মুহুর্তে আমি হিসেব করে দেখেছি আর তিন মাস বাঁচলেই আমার হয়ে যায়। আমার গান, আমার পরিবারের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা হিসেব করেই বললাম ।
ছবি:গ্রাভ গিয়ার
©bdnews24.com
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৪
নিলয় নীল বলেছেন: ওয়েলকাম
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৬
নোমান প্রধান বলেছেন: বেশ
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি সুস্হ থাকুক, ভালো থাকুক।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
বর্ষন হোমস বলেছেন:
ওনার ভাগ্য আছে বটে
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৫
কালীদাস বলেছেন: সুমনের মেধা আছে। কিন্তু এই বছর সম্ভবত কয়েকটা ব্যান্ডের সাথে সে নোংরা কিছু অনলাইনে ওয়ারে জড়িয়ে যায়, যেটা মোটেও ম্যাচুয়রড ছিল না।
প্রথম নিকৃষ্ট ছিল চমৎকার একটা ন্যু-মেটাল; নিকৃষ্ট-২ ছিল আমার চোখে অর্থহীনের অন্যতম সেরা সৃষ্টি, এরকম মাপের মেটাল বাংলা ভাষায় খুব বেশি নেই। "নিকৃষ্ট তুমি থাকবে অন্ধকারে...." বলে কতদিন চিৎকার করেছি কোন হিসাব নেই। এই ধারাটার বারোটা বাজিয়েছে নিকৃষ্ট-৩; নিকৃষ্ট-৩ সুমন ন্যু-মেটালের মধ্যে এক্সপেরিমেন্ট চালাতে যেয়ে অসম্ভব রকমের জঘণ্য একটা জিনিষ বানিয়েছে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩
নিলয় নীল বলেছেন: আচ্ছা কালিদাস ভাই উনি কি আগে কি শুরু করছে? আপনার আন্তসম্মান এ হাত লাগলে আপনি কি বসে থাকবেন?এক্সপেরিমেন্ট এর দরকার আছে জেনারেশন অনেক পরিবর্তন এসেছ
আর আপনি জঘন্য এর কি দেখলেন এখানে!
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৬
কালীদাস বলেছেন: আমার আন্তসম্মানে ঘা লাগলে অবশ্যই আমি বসে থাকব না; ব্লগে এ ব্যাপারে আমার খুব বাজে রেকর্ডও আছে সুদূর অতীতে। তবে আমি বুঝতে পারছি আমার কমেন্টটা আপনাকে সম্ভবত কিঞ্চিত আহত করেছে। আমি দুঃখিত। অর্থহীনের দুই টাইপের ফ্যান আছে, একটা টাইপ সুমনের ঠান্ডা/ক্লাসিকাল বা কোলাবরেশনের গানগুলোর ভক্ত, আমি সেকেন্ড টাইপের- অর্থহীনের মেটাল/অল্ট মেটালগুলোর ভক্ত। এক্সপেরিমেন্ট অবশ্যই একজন আর্টিস্ট করবে, এবং নিকৃষ্ট-৩ সেদিক থেকে অনেকেরই খুব ভাল লাগার কথা। আমার লাগেনি, স্যরি। নিকৃষ্ট, নিকৃষ্ট-২ এর পর এক্সট্রিম মেটালে নতুন কোন এক্সমেরিমেন্ট আশা করেছিলাম; আমার এক্সপেক্টেশনের গ্রাউন্ডটা অনেক, অনেক হাই ছিল নিকৃষ্ট-৩ এর ব্যাপারে। সেটা কেবল লিরিকেই পেয়েছি, কম্পোজিশনের দিক থেকে পাইনি। ফাংক টাইপের মেটাল আমার পছন্দ না। সুমনের মত একজন আর্টিস্ট এটাকে থ্রাশ মেটালে বা এক্সট্রিমের অন্য কোন ক্রসে কনভার্ট করতে পারত। সেটা পাইনি অনেকদিন আশা নিয়ে অপেক্ষার পরও।
এনিওয়ে, আমি কোনভাবে আপনাকে আহত করে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১০
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।