নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যৎসামান্য কবি যার কাছে মৃত্যু হলো অপূর্ব একটি কবিতা।

প্রলয় নীল

লেখক/কবি

প্রলয় নীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিজিত এর মৃত্যু এবং আমার চুড়ান্ত ব্যাক্তিগত দর্শণ

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

গ্রন্থ- 'বিশ্বাসের ভাইরাস'। লেখক- অভিজিৎ। সে যা বলেছে।
↪ কোরআন একটি পশ্চাৎপদ গ্রন্থ।
↪ কোরআনে কোনো বিজ্ঞান নেই।
↪ মুসলমান বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া যায় না বিজ্ঞানের জগতে।
↪ তরুনদেরকে বিজ্ঞান খোঁজার জন্য কুরআনের দিকে না গিয়ে যুক্তিবাদী ও আধুনিক বিজ্ঞানীদের তত্ত্বের দিকে ধাবিত হওয়া উচিত।

অথচ বাস্তবতা দেখুন-
↪ মুসলিম বিজ্ঞানী আলকেমির নামে বিজ্ঞানের একটি শাখা কেমিষ্ট্রি'র নামকরন করা হয়েছে। সেটি কি এমনি?
↪ বীজগনিত এবং ইংরেজিতে এলজেব্রার নামকরন করা হয়েছে মুসলিম বিজ্ঞানী আল জাবের ইবনে হাইয়ান এর নামে। এটিও কি এমনি?
↪ মুসলিম গনিতজ্ঞ মুসা আল খোয়ারিজমীক। তাঁকেই বলা হয় আধুনিক ত্রিকোনমিতির জনক। এটিও কি এমনি?
↪ শল্য চিকিৎসা বা অপারেশনের জনক হিসেবে মুসলিম ডাক্তার ইবনে সিনা আজও অগ্রগণ্য। অন্যদিকে সেই অপারেশনে আধুনিকতা আনয়ন করেছেন মুসলিম ডাক্তার হাসান ইবনে হাইসাম।
↪ আল বিরুনী পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিগণিত হন। তিনি একজন মুসলিম।
↪ মধ্যযুগে সমগ্র পৃথিবী ছিলো অজ্ঞতার সাগরের অন্ধকারে নিমজ্জিত। অথচ ঐ সময় পুরো পৃথিবীর মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের একমাত্র কেন্দ্র ছিলো ইরাকের বাগদাদ।
↪ মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো প্রাচীন এবং মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
↪ মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হলো এই প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজছে পশ্চিমা বিজ্ঞানীগণ। কিন্তু মহাণ আল্লাহপাক এর কি অপার ক্ষমতা! তিনি এই প্রশ্নের উত্তর আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মহাগ্রন্থ কোরআনে দিয়েছেন এভাবে- *তাঁর কাজতো কেবল এতটুকুই যে তিনি যা কিছুর ইচ্ছে করেন তিনি বলেন (আল্লাহ) হয়ে যাও, আর তা হয়ে যায়* । কিংবা- *সবকিছুই ছিলো একটি কেন্দ্রবিন্দুতে, অত:পর আমি তাকে ছড়িয়ে দিলাম চারিদিকে* ।
↪ আধুনিক বিজ্ঞান জীনোম সিকোয়েন্স ও মানব শিশু জন্মের রহস্য মাত্র কিছুদিন আগেই জানতে পেরেছে। কিন্তু মহাণ আল্লাহপাক সেই অমোঘ রহস্য ১৪০০ বছর পূর্বেই মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলে দিয়েছেন এভাবে- *আমি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি কেবল এক বিন্দু তরল বীর্য হতে* !

অভিজিত এর লিখা কথা এবং প্রকৃত বাস্তবতার মাঝে কতটা ফারাক তা উপরে উল্লিখিত তথ্য পড়লেই স্পষ্টত বোঝা যায়। এটি কি মূর্খতা নাকি প্রকৃতই ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেস, সেটি আমি জানিনা। আপনারাই বলুন দয়া করে।

↪ আমার দুঃখ যেটি-
এমনিতেই বর্তমান আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ-যুবক প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মাঝে কোরআন এর ব্যাপারে তেমন স্পষ্ট ধারণা নেই। তাই এহেন বিশাআআল মুক্তমন এর অধিকারী অভিজিত লিখিত গ্রন্থ যদি আমাদের ভাই-বোনেরা পড়েন ( বিশেষ করে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাডিকেল এবং বিজ্ঞান বিভাগের অন্যান্য শাখায় উচ্চতর শিক্ষা নিচ্ছেন ) তবে নিশ্চিত তাঁরা শয়তানের ধোঁকার মাঝে পড়বে। যেটি অবশ্যই আতঙ্কের ব্যাপার।

↪ অভিজিত এর মৃত্যু এবং আমার চুড়ান্ত ব্যাক্তিগত দর্শণ-
অস্বাভাবিক মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। কেউ অপরাধ করলে তার সাজা দেবে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের আইন। জনসম্মুক্ষে কেউ কাউকে কুপিয়ে মেরে ফেলবে এটি সঠিক নয়। কিন্তু এখানে কথা আছে। একজন মুসলিম হিসেবে আমি অবশ্যই অভিজিত এর ইসলাম বিদ্বেসী কর্মকান্ডের জন্য তাঁকে ক্ষমা করবো না। অভিজিত কে মেরেছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। অথচ দোষ দেয়া হচ্ছে মুসলিমদের কে! এটি চরম দুঃখজনক। পুলিশের সামনে একজন মানুষকে মেরে ফেলল অথচ পুলিশ নির্বিকার! এদিকে আমি যাবো না। কথা হলো, আমিও তো ব্লগে লিখি কিন্তু আমাকে তো কেউ মৃত্যুর হুমকি দেয়না! কেনো? কারণ আমি কোনো ধর্মকে কটাক্ষ করে কিছু বলিনি, লিখিনি। কখনও বলা বা লিখবোও না। অথচ বিদেশে থাকা অবস্থায়ই অভিজিত মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন। সেটি কেনো? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, 'অভিজিত অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। মূলত ইসলাম ধর্ম রাসুল সাঃ এবং কোরআন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। যা অনুচিত। এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কটাক্ষ করে বই লিখেছে ব্লগ লিখেছে। তাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী কেউ হয়তো তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন'। (সেটিও প্রমাণ সাপেক্ষ)।

আজকে আমি যদি ইন্ডিয়ার অধিবাসী হতাম এবং হিন্দু ধর্ম'কে নিয়ে কটাক্ষ করে ব্লগ লিখতাম, বই ছাপাতাম তাহলে কি কট্টর হিন্দু মৌলবাদীরা আমাকে ছেড়ে দিতো? অবশ্যই নয়। বাবরী মসজিদের ঘটনা কি আপনারা ভুলে গেছেন? কোরআন এর কথা- *যুদ্ধ করো ওদের সাথে। (কাফির ও দুস্কৃতিকারী ) মহান আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দিবেন। তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন। তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন এবং মুমিনদের অন্তরগুলোকে শান্ত করবেন* । সূরা তাওবাঃ আয়াত-১৪।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হজরত মুহাম্মদ সাঃ এতটাই সুন্দর এবং প্রকৃত মুক্তমনা মানুষ ছিলেন যা তাঁর বলা কথাতেই স্পষ্ট প্রতীয়মান। তিনি সর্বদাই বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। অন্যের ধর্ম পালনে বাঁধা না দিতে। ধর্মের ব্যাপারে জোর-জবরদস্তি না করতে। অথচ কতটা দুঃখ লাগে যখন দেখি এহেন মহামানব কে অভিজিত এর মত সাধারণ একজন বাঁজে ভাবে মূল্যায়ন করছে!

কে কখন জন্ম নেবে এবং কে কখন, কোথায়, কিভাবে, কোন অবস্থায় এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে তা পূর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহপাক। অভিজিত এর ব্যাপারেও তেমনি নির্ধারণ করা ছিল এবং সেভাবেই সে বিদায় নিয়েছে। এটিই মহাণ সত্য। যেমন সত্য আল্লাহ, তাঁর রাসুল সাঃ এবং আসমানী কিতাব কোরআন।




মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কে কখন জন্ম নেবে এবং কে কখন, কোথায়, কিভাবে, কোন অবস্থায় এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে তা পূর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহপাক। অভিজিত এর ব্যাপারেও তেমনি নির্ধারণ করা ছিল এবং সেভাবেই সে বিদায় নিয়েছে। "

-এটাই সুন্দর ও সঠিকভাবে বলেছেন; সর্বশক্তিমান আল্লাহপাক যেভাবে নির্ধারণ করেছেন, সেইভাবেই অভিজিত চলে গেছে; কেন, কার বিচার হবে?

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২৫

প্রলয় নীল বলেছেন: সুপ্রিয় আমি দুঃখিত, কার বিচার হবে বা হবে না সে বিতর্কে আমি যাইনি। যাবোও না। কারণ, এই হত্যাকান্ডের পেছনের রহস্য যে আসলে কি সেটি কেউ জানেনা কিন্তু সবাই জানে!! নির্দিষ্ট কোনো জাতির উপর এই হত্যাকান্ডের দায় যতটা বর্তায়, ঠিক ততটা বা তার চাইতে বেশি বর্তায় সুচতুর খেলারামদের উপর। এটি আপনি যেমন বোঝেন, আমিও তেমন বুঝি।

তবে সামনের এগোনোর পথ কন্টকমুক্ত রাখতে এই হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া অবশ্যই জরুরী। এটি আমাদেরই স্বার্থে জরুরী। এখন এটি যাদের বোঝা দরকার তারা বুঝলেই হলো। ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ৪ দিকে কথা বললে তো হবে না; আপনি বলেছেন, অভিজিতের মৃত্যু হয়েছে সর্বশক্তিমান আল্লাহপাকের পূর্বেই নির্ধারণ করা নিয়মে; সর্বশক্তিমান আল্লাহপাক যা ঠিক করে রেখেছেন, তাই ঘটেছে; বিচার কার হবে?

আপনি যা বলেছেন, সেটার উপর থাকার চেস্টা করেন।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

প্রলয় নীল বলেছেন: ভাই, বিচার কার হবে সেই তত্ব নিয়ে আমি কথা বলিনি। বিচার কার হবে সেটি আল্লাহই ভাল জানেন। আমি জানিনা। আমার লিখার টপিকও সেটি নয়। আমি যা বলেছি তার উপরই আছি। কিন্তু আপনি হয়তো জোড় করে আমাকে বিশ্বভ্রমন করাচ্ছেন।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৪১

রামন বলেছেন:
আরও ৫৬ জন ব্লগারের লিস্ট তো আল্লাহর হাতে পৌছে গেছে, এখন কার্যকরের বিষয়টি আল্লাহর আদেশের অপেক্ষায় আছে৷

( অ: ট: ) ভাই যখন কোন লেখা পোস্ট করার মনস্থির করবেন সেই লেখাটি প্রকাশ করার আগে অন্তত দুই বার পড়ে নিবেন, আর লেখাটা যদি দীর্ঘ হয় তবে ৪ বার পড়ে নেয়া ভালো, তাহলে পোস্ট লেজে গোবড়ে না হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

প্রলয় নীল বলেছেন: ভাই রামন, আপনার মূল্যবান উপদেশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোষ্ট লেজে গোবড়ে হলে তার দায় আমারই। আমি জানি আমি কি লিখেছি। ভাই, আমি কিন্তু জানতে চাইনি আল্লাহর কাছে কয়জনের লিষ্ট পৌঁছে গেছে! এটি কি অহেতুক নয়? মন্তব্য করার আগেও অন্তত আধ বার দেখে নেবেন কি মন্তব্য করছেন। আমার কথা আমি বলেছি। সেটি আপনার ভাল নাই লাগতে পারে।কিন্তু তাই বলে অযাচিত কথা যা আদতে সংশ্লিষ্ঠ নয় তা বলা ঠিক নয় বোধহয়। ধন্যবাদ ভাই।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"অস্বাভাবিক মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। কেউ অপরাধ করলে তার সাজা দেবে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের আইন "

- সর্বশক্তিমান আল্লাহপাকের পূর্বেই নির্ধারণ করা নিয়মেই যদি অভিজিতের মৃত্যু হয়, কেন সেই মৃত্যুকে "অস্বাভাবিক মৃত্যু" বলছেন?

-রাস্ট্র কি করে সর্বশক্তিমান আল্লাহপাকের পূর্বেই নির্ধারণ করা নিয়মে মৃত্যুর জন্য সাজা দিবে?

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

প্রলয় নীল বলেছেন: ভাই, অস্বাভাবিক বলেছি কারণ অভিজিতের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। আর এটি আল্লাহই নির্ধারিত করে রেখেছিলেন। এটি আল্লাহরই ইচ্ছে। সবার মৃত্যু তো আর এক ভাবে হয় না। কেউ এক্সিডেন্টে মরে, কেউ অসুখে, কেউ অন্যের হাতে, কেউ আইনের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে, কেউ অপঘাতে। প্রতিটি মৃত্যুই হয় আল্লাহর আদেশে। যার যেভাবে হয় তারটি সেভাবেই নির্ধারণ করা। আর সেটি নির্ধারিত করেছেন আল্লাহই।

রাষ্ট্র অবশ্যই সাজা দিবে। কারণ আল্লাহ সেটি সেভাবেই নির্ধারিত করে রেখেছেন। এখানে রাষ্ট্র হলো উসিলা বা মাধ্যম। ইচ্ছেটা হলো আল্লাহর।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

এক্স ফ্যাক্টর বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত ভাইয়া, আপনি মুক্ত-মনা ব্লগ এ যেতেন কিনা জানিনা, তবে আমি যেতাম, ওই ব্লগ এর বিভিন্ন লেখকেরা ইসলাম নিয়ে এত বাজে বাজে কথা বলত, আমার তো মনে হয় গায়ে যদি এক বিন্দু মানুষ এর রক্ত কারো থাকে সে ওই লেখা দেখে বলবে এভাবে বলা ঠিক নাহ, বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা ওদের লেখা পড়লে যে কোন মুসলিম এর রক্ত মাথাই ওঠে যাওয়ার কথা, আল্লাহ কে গালি দিত, এভাবে বলত

>>>>>'জানেন গতকাল আমার কাছে জিবরাঈল আসছিল, এখন আমার উপর একটা কিতাব নাযিল হবে' এই লেখা এর উত্তর এ আর এক জন লিখত কতদিন লাগবে? তারপর এটার উত্তরে আর এক জন লিখত, 'ভাবসিলাম তারাতারি হবে কিন্তু জিবরাঈল এর জর আসছে তাই আপনাদের কিতাব পেতে দেরি হবে' <<<

এইবার বলেন, এই ভাবে যারা উপহাস করত সেই ব্লগ এর মদদদাতা অভিজিৎ , তাহলে কি বলা উচিত ?

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

প্রলয় নীল বলেছেন: ভাই, আপনি আমার শুভেচ্ছা এবং সালাম নিন। এই পোষ্টে আমি অভিজিত এর মৃত্যু নিয়ে উল্লাস করিনি। জাস্ট একটি ব্যাক্তিগত ব্যাখ্যা দিয়েছি। হ্যাঁ ভাই, আমি পড়েছি তাঁদের লিখা। সেজন্যেই এই পোষ্ট দিয়েছি। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ঐ ধরণের লিখা যারা লিখেছেন তারাই নাকি হলেন মুক্তমনা! শেইম!

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

অদ্বিত বলেছেন: ↪ মুসলিম বিজ্ঞানী আলকেমির নামে বিজ্ঞানের একটি শাখা কেমিষ্ট্রি'র নামকরন করা হয়েছে। সেটি কি এমনি?
↪ বীজগনিত এবং ইংরেজিতে এলজেব্রার নামকরন করা হয়েছে মুসলিম বিজ্ঞানী আল জাবের ইবনে হাইয়ান এর নামে। এটিও কি এমনি?
↪ মুসলিম গনিতজ্ঞ মুসা আল খোয়ারিজমীক। তাঁকেই বলা হয় আধুনিক ত্রিকোনমিতির জনক। এটিও কি এমনি ?
হ্যা রে ভাই হ্যা, এগুলো এমনি এমনিই। এনারা কেউই কোরআন থেকে কিছু পায় নাই।
..................................................................।
.......................................................................

শল্য চিকিৎসা বা অপারেশনের জনক হিসেবে মুসলিম ডাক্তার ইবনে সিনা আজও অগ্রগণ্য। অন্যদিকে সেই অপারেশনে আধুনিকতা আনয়ন করেছেন মুসলিম ডাক্তার হাসান ইবনে হাইসাম।
↪ আল বিরুনী পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিগণিত হন। তিনি একজন মুসলিম।
↪ মধ্যযুগে সমগ্র পৃথিবী ছিলো অজ্ঞতার সাগরের অন্ধকারে নিমজ্জিত। অথচ ঐ সময় পুরো পৃথিবীর মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের একমাত্র কেন্দ্র ছিলো ইরাকের বাগদাদ।
↪ মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো প্রাচীন এবং মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদানের কথা কেউ অস্বীকার করবে না। স্বয়ং অভিজিৎ রায়ও না। কিন্তু বিজ্ঞানে গণিতে কোন ধর্মের মানুষের লক্ষ কোটি অবদান থাকা মানে এই নয় যে ঐ ধর্ম সঠিক।
......................................................
..........................................................

মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হলো এই প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজছে পশ্চিমা বিজ্ঞানীগণ। কিন্তু মহাণ আল্লাহপাক এর কি অপার ক্ষমতা! তিনি এই প্রশ্নের উত্তর আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মহাগ্রন্থ কোরআনে দিয়েছেন এভাবে- *তাঁর কাজতো কেবল এতটুকুই যে তিনি যা কিছুর ইচ্ছে করেন তিনি বলেন (আল্লাহ) হয়ে যাও, আর তা হয়ে যায়* । কিংবা- *সবকিছুই ছিলো একটি কেন্দ্রবিন্দুতে, অত:পর আমি তাকে ছড়িয়ে দিলাম চারিদিকে* ।
আল্লাহ ইচ্ছা না করলেও হয়ে যেত মহাবিশ্বের সৃষ্টি। এই মহাবিশ্ব বা প্রাণ সৃষ্টি হতে আল্লাহর অস্তিত্বের কোন প্রয়োজনই নাই। সৃষ্টিকর্তা ছাড়াও সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। কিভাবে ? জানতে হলে পড়ুন - ''আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী এবং শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব বইদুটি'' । কেমন ? ধর্মগ্রন্থে কিছুই দেয়া থাকে না। বিজ্ঞানের নতুন কোন আবিস্কার হওয়ার পর আমরা সেটিকে কোন সূরা বা আয়াত বা মন্ত্রের মধ্যে খুঁজে পাবার চেষ্টা করি এবং প্রায়ই খুঁজে পেয়ে যাই। যদি পরে ঐ আবিস্কার ভুল প্রমাণিত হয় ও সঠিকটা আবিস্কার হয় তখন আমরাও বলি,'' ইশ্ রে ! আয়াতের অর্থ ভুল করে ফেললাম। এই আয়াতের বা সূরার অর্থ এটা ( আগের বৈজ্ঞানিক আবিস্করটা ) নয়। এই আয়াতের বা সূরার অর্থ হল ওটা ( নতুন বৈজ্ঞানিক আবিস্কারটা ) । বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কারের সাথে সাথে কোরআনের পরিভাষাই চেঞ্জ হয়ে যায়।

আমার মন্তব্যে কারোর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে দুঃখিত কিন্তু বাস্তবতা এটাই।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১২

টকদঐ পার্ট ২ বলেছেন: প্রত্যেক মানুষ চায় তার স্বাভাবিক মৃত্যু হোক। কিন্তু অভিজিতের হত্যাকারির বিচার হবে কি হবে না তা সময়ই বলে দেবে। তবে অভিজিতের কার্যক্রম যা ছিল তাতে আল্লাহর নিয়ম অনুযায়ী তার একদফা বিচার হয়েছে আরেকদফা বাকি আছে, পরকালে। এধরনের লোকদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় লান্চনা দায়ক মৃত্যু ও পরকালে রয়েছে কঠিন আযাব। মৃত্যুর ২ মিনিট আগেও জানতে পারলো না যে তার মৃত্যু এভাবে ভরা মানষের সামনে হবে।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২১

অদ্বিত বলেছেন: অভিজিত এর মৃত্যু এবং আমার চুড়ান্ত ব্যাক্তিগত দর্শণ-
অস্বাভাবিক মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। কেউ অপরাধ করলে তার সাজা দেবে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের আইন। জনসম্মুক্ষে কেউ কাউকে কুপিয়ে মেরে ফেলবে এটি সঠিক নয়। কিন্তু এখানে কথা আছে। একজন মুসলিম হিসেবে আমি অবশ্যই অভিজিত এর ইসলাম বিদ্বেসী কর্মকান্ডের জন্য তাঁকে ক্ষমা করবো না। অভিজিত কে মেরেছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। অথচ দোষ দেয়া হচ্ছে মুসলিমদের কে! এটি চরম দুঃখজনক। পুলিশের সামনে একজন মানুষকে মেরে ফেলল অথচ পুলিশ নির্বিকার! এদিকে আমি যাবো না। কথা হলো, আমিও তো ব্লগে লিখি কিন্তু আমাকে তো কেউ মৃত্যুর হুমকি দেয়না! কেনো? কারণ আমি কোনো ধর্মকে কটাক্ষ করে কিছু বলিনি, লিখিনি। কখনও বলা বা লিখবোও না। অথচ বিদেশে থাকা অবস্থায়ই অভিজিত মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন। সেটি কেনো? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, 'অভিজিত অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। মূলত ইসলাম ধর্ম রাসুল সাঃ এবং কোরআন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। যা অনুচিত। এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কটাক্ষ করে বই লিখেছে ব্লগ লিখেছে। তাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী কেউ হয়তো তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন'। (সেটিও প্রমাণ সাপেক্ষ)।


অভিজিৎ রায় ইসলাম বিদ্বেষী নয়। ধর্ম বিদ্বেষী। কোন ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাটা অপরাধ নয়। সে যেহেতু কোন অপরাধই করে নাই তো ক্ষমা করার প্রশ্নই বা কোথ্থেকে আসছে ? শুধু ইসলাম ও কোরআন নিয়ে নয় সকল ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন উনি। সো হোয়াট ? যা সত্যি তাই বলছেন। কোন কিছুই সমালোচনর উর্ধ্বে নয়। ধর্মও নয়। ইসলাম ধর্ম রাসুল সাঃ এবং কোরআন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করাটা কেন অনুচিত ? এর যুক্তিপূর্ণ উত্তর চাই। অবশ্যই উচিত। আপনি ধর্মীয় ভাবাবেগে অন্ধ হয়ে গেছেন। এইজন্য ধর্মের সমালোচনা আপনর কাছে অনুচিত বলে মনে হচ্ছে। ভাবাবেগ থেকে বের হয়ে আসেন। ধর্মগ্রন্থের বানীগুলোকে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বিচার করেন। তাহলেই অসঙ্গতিগুলো চোখে পবে। আরজ আলী মাতব্বরের মত প্রায় অশিক্ষিত একটা মানুষের চোখে পড়ল অথচ আপনার চোখে পড়ল না! কি লাভ হল শিক্ষিত হয়ে যদি কুসংস্কারমুক্তই ( ধর্মমুক্ত ) হতে না পারেন ? ধর্মের অসারতা বুঝতে না পারলে জ্ঞান অর্জনই ব্যর্থ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

প্রলয় নীল বলেছেন: অদ্বিত দাদাভাই, শুভেচ্ছা জানবেন মন্তব্যের জন্য। ধর্ম কি ? ধর্ম হলো বিশ্বাস। আর যেখানে বিশ্বাসের বসতি সেখানে সন্দেহ বা বিতর্কের স্থান নেই। মনে করুন আপনার একটি আই ফোন আছে এবং আপনি বিশ্বাস করেন এটি অনেক ভাল যেটিকে কোনো ভাইরাস কখনও এটাক করতে পারবে না। এখন আমি যদি তর্ক জুড়ি, অদ্বিত দা আপনার ধারণা ভুল তখন আপনি নিশ্চয়ই মেনে নেবেন না? আপনার বিশ্বাসটিকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাইবেন বারবার। এবং এটি উচিত ও বটে। ঠিক তেমনি ইসলাম আমার বিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল সাঃ আমার বিশ্বাস। কোরআনে যা বলা আছে সেটি আমার বিশ্বাস। এখন বলুন আমার বিশ্বাস নিয়ে বিতর্ক করা কতটা যৌক্তিক্ক?

মানুষের শরীরে জিহব্বা একটি অংশ। এই একটি অংশ দিয়ে ঝাল, মিষ্টি, টক, তিতা, নোন্তা সমস্ত স্বাদ বোঝা যায়। এটি কি কোনো সাধারণের দ্বারা সৃষ্টি সম্ভব? কখনোই নয়। তাহলে এটিকে কে বানালো? কোনো বিগ সুপিরিয়র নিশ্চয়ই? তিনি কে? তিনি এক আল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। আমার বিশ্বাস কে নিয়ে কটাক্ষ করার অধিকার কারও নেই। অথবা ধরা যাক এটি আপনার বিশ্বাস। আপনার সেই বিশ্বাস নিয়ে কটুক্তি করার অধিকার আমার নেই। অভিজিতের মৃত্যু নিয়ে উল্লাস করার মত বিকৃত মানসিকতার মানুষ আমি নই। সেই উদ্দেশ্য নিয়েও আমি এই পোষ্ট দিইনি। আমি জাস্ট কারো বিশ্বাসের উপর অভিজিত কিভাবে আঘাত করেছে সেটি দেখাতে চেয়েছি।
দাদাভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০২

সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: কার মৃত্যু কখন হবে সেটা কেউ বলতে পারে না। যে কোন সময় যে কেউ মারা যেতৃ পারে। টকদঐ পার্ট ২ , আপনাকে বলছি পরকাল ফরকাল বলে কিছু নাই। এ বছর হোক আর একশ বছর পরে হোক। একদিন না একদিন সবারই মৃত্যু হবে। আমার আপনার আমাদের সবার। আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে আপনর মৃত্যু ভরা মানুষের সামনে হবে না ?

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

প্রলয় নীল বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।
এই কমেন্টরত অবস্থায় আমার মৃত্যু হতে পারে নিরবে। ঠিক বলেছেন ভাই, কেউ বলতে পারে না কার কি অবস্থায় কখন মৃত্যু হবে।

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

নরাধম বলেছেন: অদ্বিত, আপনি মনে হয় অনেক জাঁদরেল জ্ঞানী, জ্ঞানার্জন করে আইনস্টাইন-নিউটন-নিৎশে-রাসেলকে কবে এক কোনায় ফেলে এসেছেন! তো, জ্ঞানী ভাই, আপনি কেমনে এই বিরাট এলেমদার তালেবর হলেন জানতে পারি? আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম?

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

প্রলয় নীল বলেছেন: হা হা হা, আমি আর কিছু বলব না দাদাভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।

১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

পালের গোদা বলেছেন: "আজকে আমি যদি ইন্ডিয়ার অধিবাসী হতাম এবং হিন্দু ধর্ম'কে নিয়ে কটাক্ষ করে ব্লগ লিখতাম, বই ছাপাতাম তাহলে কি কট্টর হিন্দু মৌলবাদীরা আমাকে ছেড়ে দিতো? অবশ্যই নয়। বাবরী মসজিদের ঘটনা কি আপনারা ভুলে গেছেন?"

এখানেই আপনি ভুল করছেন। ইন্ডিয়া তে হিন্দু ধর্ম নিয়ে প্রচুর কটাক্ষ হয়। একটু খোজ নিয়ে দেখুন। বাবরী মসজিদের কথা আলাদা। সেটার নিচে মনদির ছিল। তারপরেও এটা ভাংগা নিয়ে ওখানে মাইনরিটি মুসলিমরা ওখানে তুলকালাম করেছে জাস্ট একটা মসজিদকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশে তো রেগুলার মন্দির ভাংগা হয়, প্রায়ই পত্রিকাতে দেখি। এখানে কোনদিন দেখেছেন হিন্দুদের কোনরকম উচ্চবাচ্য করার সাহস করতে? কারন ওদেরকে এখানে দাবিয়ে রাখা হয়। অন্য ধর্মকে আমরা একটি করে সরকারী ছুটি ধরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছি। আর কোন অধিকারের দরকার নেই তাদের। ইউটিউবে গিয়ে খুজে দেখুন, প্রতিটা ধর্মকে কটাক্ষ করে প্রচুর ভিডিও আছে। শুধুমাত্র মুসলিমরা একটি "ইনোসেন্স অফ মুসলিমস" ভিডিও কে কেন্দ্র করে দুনিয়া জুড়ে তুলকালাম করে। ভিডিওটা বানিয়েছে কোথাকার আমেরিকার কেউ আর মুসলিমরা বাংলাদেশে তার জন্য গাড়ি ভাংগে। পথিবীতে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মকে কটাক্ষ হয় না? অন্য কোন ধর্মকে শুধুমাত্র কটাক্ষ করার কারনে কাউকে হত্যা করা বা হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে এমন কয়টা উদাহরন দেখাতে পারবেন? সম্ভবত একটিও নয়। ইসলামের এমন উদাহরন ভুরি ভুরি রয়েছে এবং প্রতিদিন নতুন করে হচ্ছে। যদি বিশ্বাস করে থাকেন যে ইসলাম বিরোধীরা মিথ্যাচার করছে, তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, ইসলামের ক্ষতি কোন কাজের দ্বারা বেশি হয়? মিথ্যাচারের মাধ্যমে, নাকি তার বিরোধীদেরকে কটাক্ষ করার কারনে হত্যার মাধ্যমে? ধর্ম দ্বারা মানুষ অন্ধ থাকে তাই হ্য়তো বুঝতে পারছেন না। ধর্মের জায়গায় রাজনৈতিক দল বসিয়ে ভেবে দেখলে হয়ত বুঝতে পারবেন। ধরুন আলীগ এর নামে মানুষ মিথ্যাচার করলে বা ইচ্ছামত কুৎসিৎ কটাক্ষ করলে আলীগের বেশি ক্ষতি হয়? নাকি ছাত্রলীগের ছেলেরা আলীগের কটাক্ষকারীদেরকে কোপালে আলীগের বেশি ক্ষতি হয়? তাহলে ভেবে দেখুন ইসলামের বেশি ক্ষতি কে করছে? যদি ইসলামকে এতই ভালোবাসেন তাহলে ত যারা ইসলামের অনেক বেশি ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের অনেক বেশি শক্তভাবে দাড়ানোর কথা। সেটা না করে আপনারা যখন একজন ভিকটিমের সমালোচনায় ব্যস্ত হন তখন এসব খুনি রা আরো খুন করার উৎসাহ পায়। যদি মনে করেন তাতে ইসলামের লাভ তাহলে চালিয়ে যান। খেয়াল করবেন মিথ্যাচারের জবাব সত্য দিয়ে দিতে হয়, বরবরতা দিয়ে নয়। এই সাধারন নলেজতার অভাব বর্তমান বিশ্বে একমাত্র ইসলামের মধ্যেই প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। এটা দির্ঘ্যমেয়াদে মুসলিমদের জন্য ভালো হবে না। নিশ্চিত থাকেন। আপনাকে আমি গালিগালাজ করলে, কটাক্ষ করলে আপনার যা ক্ষতি হবে, তারচেয়ে আপনার অনেক বেশি ক্ষতি হবে যদি সেই গালিগালাজের উত্তরে আপনার সন্তান এসে আমাকে হত্যা করে যায়। দয়া করে এই ব্যাপারটা নিজে বুঝুন আর অন্যকেও বোঝান... বিফোর ইট ইস টু লেট।


"কোরআন এর কথা- *যুদ্ধ করো ওদের সাথে। (কাফির ও দুস্কৃতিকারী ) মহান আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দিবেন। তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন। তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন এবং মুমিনদের অন্তরগুলোকে শান্ত করবেন* । সূরা তাওবাঃ আয়াত-১৪।"

তারমানে আপনি স্বীকার করছেন যে ইসলাম তার সমালোচনাকারীকে বা কটাক্ষকারীকে হত্যা করতে বলে? উন্নত বিশ্বে যারা ইসলামকে ডিফেন্ড করেন, তারা কিন্তু বলেন যে এই আয়াতে যারা সরাসরি শারীরিকভাবে মুসলিমদেরকে আক্রমন করছে (যেমন ইসরায়েল) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে। যদি বলেন ইসলাম কথার জবাব কথায় না দিয়ে শারীরিকভাবে আক্রমনের মাধ্যমে দিতে বলে, তাহলে ইসলামকে বরবর ধর্ম না বলে উপায় থাকে না।

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

এক্স ফ্যাক্টর বলেছেন: Click This Link

১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রবলেমটা কি জানেন| সায়েন্স বলে বিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এসেছি আর কোরান তা সরাসরি নাকোজ করে| অবশ্য এখন অনেকে কোরানে বিবর্তন খুজে পায়| কিন্তু ওরা যদি বলে মানুষ উড়ে এসেছে তবে আপনারা কোরানে উড়ে আসা তত্ত্ব খুজে পাবেন

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫০

প্রলয় নীল বলেছেন: আপনি আগে বলুন সায়েন্সের জন্ম কি করে হলো? কোথা থেকে হলো? 'সেই অনেক' যারা রাবিবর্তন খুঁজে পায় তারা কারা? সেটি উল্লেখ করুণ। শুধু জলের উপর উড়াউড়ি না করে জল স্পর্ষ করুণ। মন্তব্য করবেন প্রমাণ সহ। আর হ্যাঁ, কোরআনে যদি উড়ে আসার তত্ব থেকে থাকে তবে অবশ্যি খুঁজে পাবো। সেটি আপনার বলে না দিলেও পাবো। ধন্যবাদ।

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

অদ্বিত বলেছেন: লেখক বলেছেন, ''ধর্ম কি ? ধর্ম হলো বিশ্বাস। আর যেখানে বিশ্বাসের বসতি সেখানে সন্দেহ বা বিতর্কের স্থান নেই। মনে করুন আপনার একটি আই ফোন আছে এবং আপনি বিশ্বাস করেন এটি অনেক ভাল যেটিকে কোনো ভাইরাস কখনও এটাক করতে পারবে না। এখন আমি যদি তর্ক জুড়ি, অদ্বিত দা আপনার ধারণা ভুল তখন আপনি নিশ্চয়ই মেনে নেবেন না? আপনার বিশ্বাসটিকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাইবেন বারবার। এবং এটি উচিত ও বটে। ঠিক তেমনি ইসলাম আমার বিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল সাঃ আমার বিশ্বাস। কোরআনে যা বলা আছে সেটি আমার বিশ্বাস। এখন বলুন আমার বিশ্বাস নিয়ে বিতর্ক করা কতটা যৌক্তিক্ক?''

আমি বলছি, ''আমার আইফোনে ভাইরাস ধরবে না, এমনটা বিশ্বাস করলেও আমি আপনার কথা মেনে নিব। আমি মেনে নিব যে আমার ধারণা ভুল যদি এবং কেবল যদি আপনি প্র্রমাণ করতে পারেন যে আমার আইফোনে অলরেডি ভাইরাস ধরে গেছে। কেমন ?'' আপনি প্রমাণ করতে পারলে আমি কেন আমার বিশ্বাসই বারবার প্রতিষ্ঠিত করতে চাইব ? এটা কখনোই উচিত হবে না, আর অনুুচিত কাজ আমি করি না। অভিজিৎ রায় ও অন্যান্য মুুক্তমনা তাদের হাজারও লেখায় ঈশ্বরের অনস্তিত্ব ও ধর্মের অসারতা প্রমাণ করেছেন। সেইসব লেখা পড়ার পরও যদি আপনি আপনার বিশ্বাস আঁকড়ে বসে থাকেন, সেটা কি উচিত হবে ?

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০১

অদ্বিত বলেছেন: আর মি. নরাধম, আপনি শুধু নামে নয় কথাবার্তাতেও প্রমাণ করে দিয়েছেন আপনার নামকরণের সার্থকতা। সরাসরি আপনাকে ... বললাম না। কারণ, আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা কোন চান্স আমি দিতে চাই না। আপনার মন্তব্যই বলে দিচ্ছে আপনি নিজের যে নাম দিছেন, তা সার্থক।

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৯

চাঁনপুইরা বলেছেন: অনেক যুক্তি তর্ক আর জ্ঞানের আলোচনা হল, ভালই। কিন্তু যা বোঝা গেল - কেউই নিজস্ব বিশ্বাস আর চিন্তা চেতনা থেকে নড়তে নারায।
বেশীর ভাগ আলোচনার মুল বিষয় হল -' বিশ্বাস' অর্থাৎ ধর্মীয় বিশ্বাস সেটা অন্ধ ,কানা , ভুল সঠিক বা যাই হোক না কেন দেখতে হবে সে বিশ্বাসের ফল পারিপার্শ্বিকতার উপর কতটা প্রভাব ফেলছে। কারো ভুল বিশ্বাসের কুফল অপরকে ভুগতে হলে অবশ্যই সে ভুল ভেঙে দিতে হবে। এখন এ কাজটি করছে বা করবে "কে এবং কি কিভাবে" সেটার উপর নির্ভর করবে যে ভুল কি আদৌ ভাঙবে না অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.