নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্বাসন এ একা

হাত, পা, মাথা থাকলেই মানুষ হওয়া যায় নাহ্রদয় ধ্বক ধ্বক করলেই বেচে থাকা হয় না

নির্বাসন এ একা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিধাতার বিধান

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

বিধাতার বিধান

- যাযাবর জীবন



পাঠিয়েছি তো তোরে করে নেংটা

মায়ের জঠরে ভরে

উঠিয়ে নিয়ে যাব আবার নেংটা

মাটির ঘরেতে পুরে।



বিধান পাঠিয়েছি যুগে যুগেতে মহামানবদের হাতে করে করে

সাবধান বাণী দিয়েছি বার বার, পা পিছলে বিপথে না পরে

যার যার সময়ের কালো যুগেতে ফেরাতে পথে হে মানব জাতি

বড্ড ভালোবেসে বানিয়েছি তোদের, সৃষ্টিতে আমার সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতি

সইতে পারি না আমি তোদের অর্বাচীন বিপথ গমন

নরের সাথে নারী জুটি দিয়েছি, তবুও করিস বিপথে রমণ

ভালো মন্দের পথ নির্দেশ দিয়ে গেছি তোদের যুগে যুগে

পরে দেখিস নি আমার বিধান, স্রষ্টার স্মরণ কষ্টে ভুগে।



জাতিভেদ করেছিস নিজেতে নিজেতে আমার বিধান ভুলে

ভাল মন্দের বিভেদ ভুলেছিস ঠুনকো কিছু অহংকারের ধোঁয়া তুলে

মানুষ তোরা শ্রেষ্ঠ প্রাণী বানিয়েছি আমি ভুলে যাস কেন

কাদামাটির ঢেলায় প্রাণের প্রতিষ্ঠা মনের মাধুরী মিশিয়ে যেন

চলেছিস তোরা পাপাচারের পথে আমার দেয়া বিধান ভুলে

কেন ভুলে যাস পৃথিবী থেকে আবার একদিন নেব আমি তুলে

আস্তিক আর নাস্তিক নামে বিভাজ্য তোরা মানব জাতি

আমার কাছে ফিরে আসার পর কি জবাব দিবি হবে কি গতি

একটি একটি হিসেব নেব ভালো আর মন্দের পাল্লা ধরে

আবার যেদিন ল্যাংটা শুয়ে থাকবি সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে

নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে পাবি না সেদিন পরিত্রাণ

যুগে যুগে নবী রসূল পাঠিয়ে করেছিলাম তোদের সাবধান।



সব ধর্মে একই রূপ আমার বলেছিলাম তোদের বারে বারে

আমার বিধান একই রূপে লেখা সকল ধর্মের প্রতিটা কিতাবে

সব নবী রসূলই ধর্মের কাণ্ডারি পাঠিয়েছিলাম মানবের কল্যাণে

সময়োপযোগী করে যার যার যুগে মানব জাতিরই প্রয়োজনে

আজ তোরা করিস কুৎসা রচনা আমার গ্রন্থ ফেলে

অনেক যে সময় তোদের হাতে দিন রাত দিস ঢেলে

সময় হয় না তোদের কখনো আমার কিতাব পড়ার

জানতে পারতি কি নেই তাতে মানবের মঙ্গল গড়ার।



মানুষ হয়ে বিধান বানাস ধর্ম ব্যবসার নামে

মানবের মাঝে মানব বিভক্ত বেচাকেনা নানা দামে

শুধিস তাদের সৃষ্টি করতে জড় বস্তুতে একটু প্রাণ

প্রমাণ মিলবে তাতেই তোদের কে করতে পারে জীবন দান

এ পৃথিবীতে মৃত্যুর চেয়ে শাশ্বত আর কিছু নেই

ফিরে আসবি মায়াজাল কেটে সে তো রে আমার ঘরেই

নিয়তি লিখে রেখেছি প্রত্যেকের কপালে এটাই আমার বিধান

ফুরিয়ে যায় নি সময় এখনো, ক্ষমাতে আমিই মহান

কালের বিবর্তনে নানা ধর্ম পাঠিয়েছি করতে মানবের কল্যাণ

যুগে যুগে এক একটি নাম হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ আর মুসলমান

যার যার ধর্মের কিতাব পাঠিয়েছি এক একটি নাম দিয়ে

সময় হয়নি তোদের পড়ার একটুকু মন দিয়ে

মূল কথাগুলো একই আছে সব গ্রন্থে - সৃষ্টিকর্তা মহান

যে কিতাবই খুলে দেখিস না কেন - বেদ, ইঞ্জিল, বাইবেল আর কোরআন।



সময় যায় নি এখনো পড়ার আমার পাঠানো সকল গ্রন্থ

ত্রিভুবনের স্রষ্টা আমি - এটাই সব ধর্মের মূল মন্ত্র

আমার বিধান মানতে হবে লেখা আছে প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থে

পাপাচারের পথ পরিহার জপন করিস মন্ত্রে মন্ত্রে

যখন দেখি আমার অনুসারীদের ওপর নাস্তিকেরা উঠে লাফে

জেনে রাখিস হে মূর্খ মানব আমার আরশ তখন কাঁপে

ধর্মের নামে হানাহানি বারণ করেছি আমি বার বার

যুগে যুগে মূর্খ মানবের দল একই কাজ করে যায়

কে শোনে কথা কার?

কেন ভুলে যাস এ ত্রিভুবন আমার।

যার যার ধর্মে আমিই সৃষ্টিকর্তা একেক ধর্মে একেক নাম

নানা রূপে তোরা জানিস আমায় - ঈশ্বর, আল্লাহ কিংবা ভগবান।



আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক মৃত্যুতেই তোদের শেষ পরিণাম

আখেরাতের দিনে আবার তোদের দেহে দেব আমি প্রাণ

কঠোর শাস্তি তোদের জন্য আমার নির্দিষ্ট করা

এই কথাটি আমার কিতাবে হয় নি তোদের পড়া?

শুধিতে হবে রে এ পৃথিবীর সকল কর্ম ঋণ

শেষ বিচারে প্রাপ্য পাবি হে মানব, আখেরাতের দিন

স্বর্গ নরক আমারই সৃষ্টি বার বার বলে গেছি

প্রতিটি কিতাবে প্রতিটি ধর্মে সাবধান বাণী দিয়েছি

সৃষ্টির সেরা মানুষ করেছি সে আমারই অবদান

চাই না আমি দিতে রে তোদের শাস্তির কঠোর বিধান

দোযখ করেছি অনেক ভেবে মাত্র সাতটি

বেহেস্ত বানিয়েছি আমার অনুসারীর লাগি বেশী একটি

যুগে যুগে অনেক নাস্তিক আসে ধর্ম অবমাননাকারি

ভরব দোযখ তাদের দিয়ে ঘৃণ্য সারি সারি

দখলিবে স্থান দোযখ জুড়িয়া নাস্তিকেরা কর্ম ফলে

হাসিবে সেদিন আমার আনুসারিগন ভরিয়া ফুলো ফলে।



মাটি হতে তোদের সৃষ্টি করেছি শ্রেষ্ঠ জাতি করে

আবার তোদের ফিরিয়ে আনবো মাটিতে বিলীন করে

হিসেব কষব পাই পাই করে এনে তোদের মাটির ঘরেতে

বুঝবি সেদিন খুব ভালো করে - সৃষ্টিকর্তা কে?



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর কবিতা
শুভকামনা +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.