![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Winning is not compulsory. However, Trying is….Me If you wanna be proactive, think about future…Me পথ চলছি শুধু অনন্ত পথে। পথেই মুক্তি, যায় দুঃখ ভোলা। থেমে যাওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
ও ভাই শুনেন! হ্যাঁ ভাই, আপনাকেই বলতাসি। যেহেতু আপনি ব্লগে আছেন, নিশ্চয়ই আপনার এই পরিমান টাকা আছে যে ইন্টারনেটের খরচটা দিতে পারেন। ধরে নেয়া যায় যে আপনি উচ্চবিত্ত না হলেও উচ্চ মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত একজন মানুষ। আচ্ছা কখনও কি ভেবে দেখেছেন আপনার চেয়েও হতদরিদ্র মানুষে এই দুনিয়াটা সয়লাব! রাস্তার ফকিরদের কথা বাদই দিলাম; কিন্তু জানেন কি আপনার মতই মধ্যবিত্ত কত লোক হঠাৎ বিপদে পড়ে আজ পথের ফকির; প্রিয়জনের জীবন বাঁচানোর জন্য না পারছে রাস্তায় ভিক্ষা করতে, না পারছে চিৎকার করে কাঁদতে! রাস্তায় প্রবল শীতে কম্পমান বৃদ্ধ ভিক্ষুক থেকে শুরু করে ছিন্নবসনা নারী আমরা সবাই দেখতে পাই কিন্তু তাদের সাহায্যার্থে আমরা কয়জন মহানুভব এগিয়ে যাই?
ভয় পাইয়েন না। আমি কোনো সাহায্য পোস্ট দেই নাই। এইটা নিতান্তই একটা মুভি পোস্ট যদিও এর মেসেজ মোটেই সামান্য নয়। এ ক্রীসমাস ক্যারল (২০০৯) মুভিটি চার্লস ডিকেনস এর কালজয়ী উপন্যাস "A Christmas Carol" অবলম্বনে তৈরী। নিজ সময়কার উচ্চবিত্তদের নিম্ন মানসিকতায় হতাশ এবং দরিদ্রদের প্রতি সমব্যথী চার্লস এই উপন্যাস লিখার পর ঐ সমাজে মোটামুটি একটা মানবিক রেভোলিউশন ঘটে যায়।
ইবনিজার স্ক্রুজ, লন্ডনের খুব কৃপন একটা ব্যক্তি। সে নিজে ক্রীসমাস উদযাপন করে না, কেউ করুক তাও পছন্দ করে না। তার মতে ক্রীসমাস হচ্ছে টাকা নষ্ট করার একটা অযুহাত। তার কৃপনতা তাকে দূরে সরিয়ে দেয় তার খুব প্রিয়জনদের কাছ থেকে।
কাহিনী শুরু হয় ক্রীসমাসের আগের রাতে। সেই রাতে তার দেখা হয় তার আরেক মৃত কৃপন ব্যবসায়ী পার্টনার জ্যাকব মার্লির সাথে। মৃত জ্যাকব এখন নরকযন্ত্রনা ভোগ করছে। সে স্ক্রুজকে সাবধান করে দেয় এবং বলে যে তিনজন আত্না স্ক্রুজকে সঠিক জীবনপথ প্রদর্শন করবে। সে যেনো ভালো হইয়া যায়।
তারপরই একে একে আসতে থাকে তিনজন আত্না। প্রথমেই আসে তার বিগত জীবনের ক্রীসমাসগুলোর প্রতীকি আত্না। সে স্ক্রুজকে স্মরন করিয়ে দেয় অতীতে কত ভয়াবহ অন্যায় করেছে সে মানুষের প্রতি। তার প্রেমিকা, ফ্যামিলী, একমাত্র কর্মচারীর প্রতি! তারপর আসে ক্রীসমাস উপহারের আত্না।এই আত্না তাকে মনে করিয়ে দেয় কিভাবে তার কৃপনতার জন্য তার সবচেয়ে আপনজন তার ভাগ্নে তার থেকে দূরে সরে গেছে। কিভাবে তার একমাত্র কর্মচারী কমবেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নিজের মৃত্যুপথযাত্রী সন্তানের চিকিৎসা খরচও সে বহন করতে পারছে না টাকার অভাবে! আস্তে আস্তে স্ক্রুজের বোধোদয় হতে থাকে। সে পণ করে বদলে যাওয়ার।
কিন্তু এরপরই আসে স্বয়ং আজরাইল (ভবিষ্যৎ ক্রীসমাসের প্রতীকি আত্না)! সে আইসা বলে আর সময় নাই এখন তার চইলা যাওয়ার সময় হইসে।
এই আত্না তারে দাবড়ায়ে বেড়ায় লন্ডনের গলি ঘুপচিতে এবং শেষ পর্যন্ত কবচ করে স্ক্রুজের প্রান। এইবার স্বয়ং স্ক্রুজের আত্না দেখতে থাকে কিভাবে তার মৃত্যুর পর কারো মধ্যেই কোনো দু:খবোধ বা শোকের ছায়া পর্যন্ত নাই।
সবশেষে তার ঘুম ভাংগে তার বেডে। নতুন জীবন ফিরে পেয়ে সে মিশতে থাকে মানুষের সাথে। কিপটা স্ক্রুজ হতে সে পরিনত হয় দিলদরিয়া হাতেম তাই এ। আবার ফিরে পায় তার ভাগ্নেকে। তার দয়ায় তার কর্মচারীর ছেলে টিম ফিরে পায় নতুন জীবন।
সামনেই কুরবানীর ঈদ।আমরা সামর্থ্যবানরা হয়ত আমাদের ভূড়িঁ আরও বাড়াবো। কিন্তু প্রকৃত দরিদ্রদের কতটুকুই বা লাভ হয় এতে! আসেন আমরা চেষ্টা করি দরিদ্রদের জন্য সত্যিই কিছু করার। যাতে অন্তত: একজন দরিদ্র অভাগার দু:খ দুর করতে পারি! ছোট্ট টিমের মতো বলে উঠি,"God bless us! Everyone!!"
সবাইকে ঈদ মোবারক!!
১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নির্বাসিত পথিক বলেছেন: ধইন্যা।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
দারাশিকো বলেছেন: সিনেমাখোর গ্রুপে দিছেন?
১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৩
নির্বাসিত পথিক বলেছেন: এখনি দিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
কাউসার রুশো বলেছেন: ফাটাফাটি রিভিউ হইছে। চালায় যান +++
এ উপন্যাসটি আমার খুবই প্রিয় কিন্তু মুভিটি এখনও দেখা হয়ে উঠেনি।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৭
নির্বাসিত পথিক বলেছেন: উপন্যাসটা পড়ার সময় হয় নাই। কিন্তু মুভিটা এককথায় অওসাম! কতো মুভি দেখি আর ডিলিট করি! কিন্তু এইটা আজও টিকা রয়া গেসে। :>
দেইখা ফেলান। আশা করি, হতাশ হবেন না।
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ত্রিভুজ বলেছেন: মুভিটা দারুণ, আর আপনার রিভিউটাও একটু অন্যরকম সুন্দর হয়েছে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৯
নির্বাসিত পথিক বলেছেন: ধইন্যা, ত্রিভুজ। ছবিটা অনেক আগেই দেখসিলাম। কিন্তু কুরবানী উপলক্ষে সময় কইরা রিভিউটা দিয়া দিলাম। হ্যাপি ব্লগিং!
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আইরিন সুলতানা বলেছেন: ছোটকালে এটার অনুবাদ পড়েছিলাম। প্রিয় তালিকায় ছিল বইটা।
মুভিটা অবশ্যই দেখবো।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৪
নির্বাসিত পথিক বলেছেন: মুভিটা ব্লুরে না পাইলে অন্তত: ডিভিডি কপিটা দেইখেন। অ্যানিমেশন মুভি কপি ভালো না হলে ঠিক মজা পাওয়া যায় না। ধইন্যা।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৬
অকপট পোলা বলেছেন: বস, আপনার রিভিউ পইড়া পুরাই পাংখা হইয়া গেলাম। পয়লা অবশ্য একটু ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া গেসিলাম!
ঈদের আগে আগে দেয়ায় ধন্যবাদ।
বাংগালীর মনতো ভাই পাথর হয়া যাইতাসে।আশা করি আমরা পুনরায় সহমর্মী জাতি হয়া উঠবো।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৫
নির্বাসিত পথিক বলেছেন: অনেক ধইন্যা, অকপট পোলা !
৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৬
হুপফূলফরইভার বলেছেন: মুভির রিভিউটাতে আপনি আসলেই দারুন আচমকা চমকে হতদরিদ্র অসহায় মানূষের জন্য কিছু করার দায়িত্ববোধের বার্তা পৌছে দিতে চেয়েছেন~ কিন্তু কে শুনে কার কথা?
++ কেড়ে নিলেন~
৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৫৮
নির্বাসিত পথিক বলেছেন:
আপনিতো স্টিকি হয়া গেলেন! অভিনন্দন ও এগিয়ে যান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৫
বিভ্রান্ত নাবিক বলেছেন: darun laglo