নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনার ছোট্ট পাতা

আমি হিমেল, আমার ব্লগে আপনাকেস্বাগতম।

নির্জন রহমান

আমি হিমেল, ইতালী থেকে ব্লগিং করি। http://himelrahman.wordpress.com ফেসবুক : http://fb.me/himelrahman

নির্জন রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত ইব্রাহিম (আ.) ইসমাইল (আ.)-কে নয়, ইসহাক (আ.)-কে কোরবানি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন? আসুন দেখি কোরআন ও বাইবেল কি বলে।

০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫০

আজ সকালে ফেসবুকে কোন এক বন্ধুর শেয়ার করা লিংক থেকে জানতে পারি,

মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.) ইসমাইল (আ.)-কে নয়, ইসহাক (আ.)-কে কোরবানি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাবি করে এর সঠিক ব্যাখ্যা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট দেব নারায়ণ মহেশ্বর।

লিংক : কোরবানি নিয়ে কোরআনের শুদ্ধতা দাবি করে রিট



তখন থেকেই নেটে একটু ঘাটাঘাটি করি আসল বিষয়টি কি তা জানার জন্য।



প্রথমেই আমি যে বিষয়টি আমি খুঁজি, ইসমাইল (আ.) ও ইসহাক (আ.) মধ্যে কে বড় কে ছোট? তা খুঁজতে গিয়ে বাইবেল এ যা পেলাম।



ইসমাইল সম্পর্কে পেলাম :

১৬:১৬ অব্রামের ছিয়াশি বছর বয়সে ইশ্মায়েলের জন্ম হয়েছিল।

(আদি পুস্তক )





ইসহাক সম্পর্কে পেলাম :

১৭:১৬ আমি তাকে আশীর্বাদ করে তারই মধ্য দিয়ে তোমাকে একটা পুত্রসন্তান দেব। আমি তাকে আরও আশীর্বাদ করব যাতে সে অনেক জাতির এবং তাদের রাজাদের আদিমাতা হয়।”

১৭:১৭ এই কথা শুনে অব্রাহাম মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লেন এবং হেসে মনে মনে বললেন, “তাহলে সত্যিই একশো বছরের বুড়োর সন্তান হবে, আর তা হবে নব্বই বছরের স্ত্রীর গর্ভে!

(আদি পুস্তক )


লিংক : আদি পুস্তক দেখুন ১৬:১৬ ও ১৭:১৬ ও ১৭:১৭ অধ্যায়।



এবার আসুন দেখি কোরআন কি বলে :



আমরা সব সময় বড় ও ছোটদের নাম একসাথে বলতে বা লিখতে গেলে সেখানে বড় নাম আগে ও ছোটদের নাম পরেই বলে বা লিখে থাকি।

পবিত্র কোরআনেও তাই করা হয়েছে যেখানেই ইব্রাহিম, ইসমাইল ও ইসহাকের কথা বলা হয়েছে সেখানেই ইসমাইলের নাম আগে তারপরে ইসহাকের নাম লিখা হয়েছে।



যেমন দেখুন :

অথবা তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব (আঃ) ও তাদের সন্তানগন ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান ছিলেন? আপনি বলে দিন, তোমরা বেশী জান, না আল্লাহ বেশী জানেন? (আল বাকারা : ১৪০)

তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বললঃ আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত করব। তিনি একক উপাস্য। (আল বাকারা : ১৩৩)

বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত। (আল ইমরান : ৮৪)



তাহলে বাইবেল ও কোরআনের তথ্যমতে এ কথা প্রমাণিত যে হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর ছেলের মাঝে ইসমাইল (আ.) বড় ও ইসহাক (আ) ছোট।



এবার আসুন দেখি কোরবাণী করতে ইব্রাহীম (আ.) কাকে নিয়ে গিয়েছিলে? আসুন দেখে নেই কাকে কুরবাণী করতে নিয়ে গিয়েছিলেন।



কোরআন যা বলে :

আসলে কোরআনে এভাবে কোথাও লিখা নেই যে ইব্রাহিম (আ.) ইসমাইল কে কুরবানী করতে নিয়ে গিয়েছিলেন।

তবে আমরা যদি একটু খেয়াল করে আল কোরআনের সুরা আস সাফফাতের ১০০ থেকে ১০৭ নং আয়াত পর্যন্ত পড়ি তাহলে আমাদের সবার কাছে বিষয়টি পরিস্কার হবে যে ইসমাইল (আ.)কেই কুরবাণীর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।



দেখে নই আয়াত গুলি একটু :

১০০) হে পরওয়ারদিগার! আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দাও৷”

এ দোয়া থেকে স্বতষ্ফূর্তভাবে একথা জানা যায় যে , হযরত ইবরাহীম সে সময় সন্তানহীন ছিলেন৷



১০১) আমি তাকে একটি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম৷

এ আয়াত দ্বারা এটাই বুঝা যায় আল্লাহ তাকে একটি সন্তান দিয়েছিলেন। যিনি ছিলেন হসমাইল (আ).



১০২) সে পুত্র যখন তার সাথে কাজকর্ম করার বয়সে পৌঁছুলো তখন (একদিন ইবরাহীম তাকে বললো, “ হে পুত্র! আমি স্বপ্নে দেখি তোমাকে আমি যাবেহ করছি, এখন তুমি বল তুমি কি মনে কর?” সে বললো, “ হে আব্বাজান! আপনাকে যা হুকুম দেয়া হচ্ছে তা করে ফেলুন, আপনি আমাকে ইনশাআল্লাহ সবরকারীই পাবেন৷”

এ আয়াতে এটা বুঝা যায় যে ইব্রাহিম (আ) ইসমাইলকে তার স্বপ্নের কথা জানান ও ইসমাইল (আ) তাতে রাজি হন।



১০৩) শেষ পর্যন্ত যখন এরা দু’জন আনুগত্যের শির নত করে দিল এবং ইবরাহীম পুত্রকে উপুড় করে শুইয়ে দিল৷



১০৪) এবং আমি আওয়াজ দিলাম, ৬২ “ হে ইবরাহীম!


১০৫) তুমি স্বপ্নকে সত্য করে দেখিয়ে দিয়েছো৷ আমি সৎকর্মকারীদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি৷

১০৬) নিশ্চিতভাবেই এটি ছিল একটি প্রকাশ পরীক্ষা৷”

১০৭) একটি বড় কুরবানীর বিনিময়ে আমি এ শিশুটিকে ছাড়িয়ে নিলাম।



কোরআনের লিংক এখানে।



আশা করি আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছি যে ইব্রাহিম (আ.) ইসমাইলকেই কুরবাণী করতে নিয়ে গিয়েছিলেন ইসহাক (আ) কে নয়।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪৫/-২

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫২

ঈদ এর চাঁদ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট +++++++++++

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫৪

কবিরাজ শরীফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো পোষ্ট ++++++++++++

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫৯

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: +

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫৯

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: হুম, ভাল...

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০১

শেলী বলেছেন: আপনার এলেখাটা দরকার ছিল। দুয়েকটা হাদিসও দিয়ে দিতে পারেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৯

নির্জন রহমান বলেছেন: হাদিস দেইনি কারন কোরআন যখন যাচাই করার কথা বলা হয়েছে তাই কোরআনের আয়াত থেকের লিখার চেষ্টা করেছি।

ধন্যবাদ ।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০২

হতাস৮৮ বলেছেন: মেলা গুলা পেলাচচচচচচচচচচচচচচচ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৪

কাউসার রুশো বলেছেন: প্লাস

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১২

বালক বন্ধু বলেছেন: ভাই আপনার কাছে এই গরীবের এক অনুরোধ। আপনি আপনার পোস্টটা সেই দেবের সাথে শেয়ার করেন। তার বুদ্ধিতে ধার দেন।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। ভাই, ধন্যবাদ। এ বিষয়ে আমিও লিখব ভাবছিলাম।
আপনার লেখার সাথে ১০৮ থেকে ১১২ নং আয়াত জুড়ে দিরে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হত্। আমি সেগুলো জুড়ে দিয়ে অংশ নিলাম মাত্র।

(৩৭:১০৮) ( অনাগত মানুষদের জন্য এ বিধান চালু রেখে ) তার স্মরণ আমি অব্যহত রেখে দিলাম।
(৩৭:১০৯) শান্তি বর্ষিত হোক ইবরাহীমের ওপর।
(৩৭:১১০) এভাবেই আমি নেক বান্দাদের পুরষ্কার দিয়ে থাকি।
(৩৭:১১১) অবশ্যই সে ছিল আমার মোমেন বান্দাদের একজন।
(৩৭:১১২) (কিছুদিন পর) আমি তাকে ইসহাকের (জন্মের) সুসংবাদ দান করলাম যে, সে হবে নবী ওআমার নেক বান্দাদের একজন।

এর সাথে ২ নং সূরা বাকারার ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ নং আয়ত পড়ে নিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৮

আলআমীন নব্বই বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

যে দেব নারায়ণ মহেশ্বর নিজ হাতে বানানো মাটির পুতুলকে তার সৃষ্টিকর্তা ভাবে.......গরুকে মা বলে গরুর গোশত খায় না কিন্তু গরুর চামড়া দিয়া জুতা বানালে ঠিকই পড়ে তার পক্ষে আল-কোরআন এর মহা বাণীর মর্ম বুঝা বড়ই কঠিন। যদি আল-কোরআনের মহাসত্য বাণীর মর্মকথা বুঝবার পাড়তো তবে তো আর আকাটা থাকতো না।

ইবলিশ এর শিষ্য দেব নারায়ণ মহেশ্বর তো নাপাক বস্তু। ওয়াক থু থু....

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২০

সুরঞ্জনা বলেছেন: আপনার পোস্টে প্লাস।

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ এ ধরণের একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৫৯

নির্জন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য ।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৬

শেলী বলেছেন: ভাই, নীচের পোষ্টে এরকম একটা জবাব দিলে ভাল হত।
Click This Link

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৯

সায়েম হক বলেছেন: জনগুরূত্বপূর্ন পোস্ট

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪২

অপ্রিয় বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে মহা মহা ইসলামী পন্ডিত্গণ বহু বিতর্ক করে গেছেন, নিরেট সমাধান পাওয়া যায় নি, আপনি কয়েক লাইনে দুই যোগ দুই চার মিলিয়ে দিলে কি হবে?

আসলে একটু খেয়াল করে দেখেন কোরানে বিষয়টি খুব পরিষ্কার করা নেই। কারণ খুব সহজ। ইসলাম এসেছে ইসমাঈলের বংশধারা থেকে। যে ইসমাঈল ও তার মা ইব্রাহীম কতৃক ত্যাজ্য ও আরবের মরুভূমিতে নির্বাসিত দ্বিতীয় পক্ষ বা মূলধারা বংশধর নয় দেখে। খেয়াল করুন প্রায় সব নবীই কিন্তু ইসহাকের বংশধর। মানে হচ্ছে ইসহাক হচ্ছে প্রকৃত পুত্র, ইসমাঈল নিচু পক্ষের পুত্র (ঐ সময়ে প্রকৃত স্ত্রীর পুত্রদের প্রকৃত বংশধর ও বাঁদীর পুত্রদের প্রকৃত বংশধর গণনা করা হতো না)।


ইব্রাহীমের ইতিহাস তিন ধর্মে মোটামুটি একই (ইসলাম, খ্রীশ্চিয়ান ও ইহুদী)। প্রথম স্ত্রী সারার সন্তান হচ্ছিল না তাই দ্বিত্বীয় স্ত্রী হাজেরাকে (মিশরীয় বাঁদী) গ্রহন (তখন এটি প্রচলিত)। হাজেরার সাথে প্রথম সন্তান ইসমাঈল, পরে সারার পুত্রলাভ, নাম ইসহাক। সুসন্তান ও সুমাতা হওয়ায় ইসহাককে প্রিয়পুত্র গণ্য করা ও প্রিয়তম ধন হিসাবে কোরবানী দিতে নিয়ে যাওয়া। হিংসুক ও নীচ স্বভাবের হওয়ায় হাজেরা ও ইসমাঈলকে পরিত্যাগ ও আরবে বনবাসে পাঠানো। শিশু ইসমাঈল তৃষ্ণায় যেখানে পা ঠোকাঠুকি করে, সেখানেই আবে জমজম কুপের সৃষ্টি। এই বাঁদীপুত্রেরই বংশধর আরব মুসলিমরা।

আরবেও এই বিতর্ক বিদ্যমান। সম্ভবত বাঁদীপুত্রের বংশধরেরা নিজেদের হীনমন্যতা কাটাতে ও কোরবানীকে একান্ত "ইসলামীকরন" করতেই ইসমাঈলকে কোরবানী দিতে কোরানের অস্পষ্টতাকে ব্যবহার করে। মিথের ইতিহাসের ভিত্তিতে ইব্রাহীমের কেরবানী তার প্রিয় পুত্র ইসহাককে স্রাক্রিফাইসের উদ্দেশ্যেই। এতে কোন সন্দেহ নাই।

এই কাহিনী ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে, যা ইসলাম আসার হাজার বছর আগে থেকে প্রচলিত। মজার ব্যাপার হচ্ছে সম্ভবত ঐ সময় মানব শিশু কোরবানী (বলী) দেওয়া সমাজে প্রচলিত ছিল। কোরবানীব এই পরীক্ষা এবং তা ভন্ডুল করা সম্ভবত মানব শিশু বলী বন্ধ করার শিক্ষা।

বহু পরে ইসলাম ধর্মে যে পশু কেরবানীর নির্দেশ দেওয়া হয় তাতে ইব্রাহীমের কোরবানীর বর্ণনা আছে কিন্তু কোরানে স্পষ্ট কোথাও নাই যে ইসমাঈলকেই কোরবানী দেবার জন্য নেওয়া হয়েছিল।

এখানে আরও তথ্য

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৫৬

আফরিনা আলো বলেছেন: সুন্দর পোষ্টরে জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০৩

দেব দূত বলেছেন: বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট দেব নারায়ণ মহেশ্বর এই লেখা তা যদি আগে পাইতেন? খালি খালি কস্ত করলো।

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০৩

দেব দূত বলেছেন: বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট দেব নারায়ণ মহেশ্বর এই লেখা তা যদি আগে পাইতেন? খালি খালি কস্ট করলো।

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩০

সায়েম হক বলেছেন: নারায়ণ বাবু হঠাৎ ক্ষেপছে ক্যান ? ফিফার অনুসন্ধানী পোস্ট চাই

২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩৪

ভীম-রুল বলেছেন: "আসলে কোরআনে এভাবে কোথাও লিখা নেই যে ইব্রাহিম (আ.) ইসমাইল কে কুরবানী করতে নিয়ে গিয়েছিলেন।"

আপনার লেখার ঐ একলাইনই প্রমান করে আপনার নিজের সংশয়ই কাটেনি। ইসমাঈল বড় না ছোট আর কাকে কুরবানী দিয়েছে দুটো আলাদা বিষয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৪০

নির্জন রহমান বলেছেন: আমার নিজের তো সংশয় ই নেই, কারণ কোরআন যেখানে বলে দিচ্ছে সব, সেখানে আমার সংশয় থাকার প্রশ্ন ই উঠে না।


দেখুন সুরা আস সাফফাত এর ১০০ আয়াত থেকে ১১০ আয়াত পর্যন্ত।


দেখে নই আয়াত গুলি একটু :
১০০) হে পরওয়ারদিগার! আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দাও৷”
এ দোয়া থেকে স্বতষ্ফূর্তভাবে একথা জানা যায় যে , হযরত ইবরাহীম সে সময় সন্তানহীন ছিলেন৷

১০১) আমি তাকে একটি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম৷
এ আয়াত দ্বারা এটাই বুঝা যায় আল্লাহ তাকে একটি সন্তান দিয়েছিলেন। যিনি ছিলেন হসমাইল (আ).

১০২) সে পুত্র যখন তার সাথে কাজকর্ম করার বয়সে পৌঁছুলো তখন (একদিন ইবরাহীম তাকে বললো, “ হে পুত্র! আমি স্বপ্নে দেখি তোমাকে আমি যাবেহ করছি, এখন তুমি বল তুমি কি মনে কর?” সে বললো, “ হে আব্বাজান! আপনাকে যা হুকুম দেয়া হচ্ছে তা করে ফেলুন, আপনি আমাকে ইনশাআল্লাহ সবরকারীই পাবেন৷”
এ আয়াতে এটা বুঝা যায় যে ইব্রাহিম (আ) ইসমাইলকে তার স্বপ্নের কথা জানান ও ইসমাইল (আ) তাতে রাজি হন।

১০৩) শেষ পর্যন্ত যখন এরা দু’জন আনুগত্যের শির নত করে দিল এবং ইবরাহীম পুত্রকে উপুড় করে শুইয়ে দিল৷

১০৪) এবং আমি আওয়াজ দিলাম, ৬২ “ হে ইবরাহীম!
১০৫) তুমি স্বপ্নকে সত্য করে দেখিয়ে দিয়েছো৷ আমি সৎকর্মকারীদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি৷
১০৬) নিশ্চিতভাবেই এটি ছিল একটি প্রকাশ পরীক্ষা৷”
১০৭) একটি বড় কুরবানীর বিনিময়ে আমি এ শিশুটিকে ছাড়িয়ে নিলাম।

২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩৮

টুন্টু কুমার নাথ বলেছেন: আল-আমিনব্বই -কে দুই গালে দুইটা থাপ্পর দেওয়া উচিত

২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৪০

বায়োস্কোপ বলেছেন: +++





২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মত এই ব্যাখ্যাটিই গতকাল রাত সাড়ে আটটায় ইসলামিক টেলিভিশনের লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইব্রাহীম বলেছেন।

ইব্রাহীম (আঃ) এর যখন ৮৬ বছর বয়স, তখন ইসমাইল (আঃ) এর জন্ম। আর তার ১০০ বছর বয়সে ইসহাক (আঃ) এর জন্ম। কুরবানীর সেই পরীক্ষার ঘটনাটি ইসহাক (আঃ) এর জন্মের পূর্বেই। সূরা আস-সাফফাতের আয়াতে আল্লাহ সেই সুসংবাদটিই ইব্রাহীম (আঃ) কে দিচ্ছিলেন, যে তাকে আরো একজন পুত্র সন্তান দেয়া হবে, যে কিনা ইসহাক (আঃ)।

ওই ব্যাক্তির যদি সত্যি জানার ইচ্ছে থাকত তাহলে উনি দেশের বা বিদেশের বিজ্ঞ আলেম সমাজের শরনাপন্ন হতে পারতেন। অথচ তিনি বিষয়টাকে আদালতে নিয়ে গেছেন। আরে, আদালতে তো আর আলেম, ওলামা বসে নেই! এই দেশে তো ইসলামী শাসন কায়েম নেই যে সেখানে কোন আলেম কাজী হিসেবে ফয়সালা দিতে বসে আছেন!!

আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করুন, আমিন। কারণ, তিনি দীন সম্পর্কে জানতে অনেক দূর গিয়েছেন, সুতরাং তাকেই আল্লাহ প্রথম হেদায়েত দান করুক, এই প্রত্যাশা করি। :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৪৩

নির্জন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: @ আলআমীন নব্বইঃ

আপনার এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক হয় নাই, মুসলমানের মন্তব্য এমন হওয়া উচিৎ নয়। হতে পারে এই ব্যক্তির এই ধরনের কর্মকান্ডই তার জন্য হেদায়েতের কারণ হতে পারে, who knows !!!

২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৫৩

মুনিম সিদ্দিকী বলেছেন: @ অপ্রিয়, আপনি এইসব বলে কি বুঝাতে চান? ইসলামের আল্লাহর কাছে কে বাঁদীর পুত্র আর কে রানীর পুত্র তার ভিত্তিতে বিচার হয়না। হয় তার কর্মের ভিত্তিতে।

অতএব আপনার কথামত মা যদি দোষি হন তারপরও তার পাপ বা প্রতিক্রিয়া সন্তানের উপর আসতে পারেনা।

আর ইব্রাহিম আঃ নবী ছিলেন। একজন নবী কখনো তার সন্থানের মধ্যে মায়ের কারণে বর্ণবাদী আচরণ করতে পারেন না। কারণ ইব্রাহিম আঃ কোন বর্ণবাদী পুরোহিত ছিলেন না।


আর আপনার কথা মত যদি হাজেরা খারাপ ছিলেন তাহলে কেমন করে সেই মহিলাকে আল্লাহ আশির্বাদ করলেন, মরুদ্যানে যেখানে কোন পানি ছিলনা সেখানে পানির ব্যবস্থা করলেন, যা আজ পর্যন্ত বজায় আছে?

আর সেই মহিলা যখন পানির আশায় সাতবার সাফা মারওয়া দৌড়ভাগ করেছিলেন, হাজীদের পালনীয় করে সেই দৌড়ভাগকে স্মরণীয় রাখতে কিয়ামত পর্যন্ত তার সুন্নতকে জারি করে দিলেন, একজন খারাপ মহিলাকে আল্লাহ এভাবে ইজ্জত দিতে পারেন কি?


সেই মহিলা যদি মক্কায় না আসতেন তাহলে কি আজ মক্কা মক্কা নগর হয়ে উঠত?

আর দেখেন এই বাঁদী পুত্রের অনুসারীরা আজ পৃথিবীর বুকে ১.৫৭ বিলিয়ন। এবং প্রতিবছর এই বাঁদী পুত্রের বংশধররা ২.২৯ % হারে বাড়তেছে, অচিরে এরাই হবে পৃথিবীর বৃহত্তম জনগোষ্ঠী।
আর এটি অবশ্য বাঁদী পুত্রের প্রতি আল্লাহর অশেষ নিয়ামত।

২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০১

শেলী বলেছেন: অপ্রিয়
উল্টোপাল্টা কথা বলে মুসলিমদের হার্ট করবেননা। একমাত্র মুসলিমরাই বিশ্বাসগতভাবে সবাইকে ভাল মনে করে,হাজেরাকেও আর সারাকেও।লজিকও বলে হিংসা আসলে সারারই হওয়া উচিত,কারন হাজেরার আগে পু্ত্র হয়েছিল।

২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩৮

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: দেব নারায়ণ দত্ত এমন বকা খাইবো কোটে বলার মতো না

২৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৩৭

মোঃ ফাহিমুজ্জামান বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ......... কালে কালে আরো কত অপপ্রয়াস চলবে...... কিন্তু এত সহজবোধ্য বিষয় নিয়ে নিতান্ত বোকা একটা লোকের দাবি আর হতবুদ্ধ কিছু লোকের সমর্থন সত্যি ব্যপক ভাবে হাস্যকর।

২৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৪৫

তুসিন আহমেদ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট..................

৩০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৯

অপ্রিয় বলেছেন: @ মুনিম সিদ্দিকী, @ শেলী, মুসলিমদের হার্ট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমরা আলোচনা করছি এমন একটা বিষয় যা ইসলাম আসার হাজার হাজার বছর আগে ঘটেছে। ঘটনাকে সেই সময়ের আলোকে দেখতে হবে।

বাঁদী বলাতে এত রিঅ্যাক্ট করছেন কেন? মদিনায় যিনি প্রথম আজান দেন তিনিও তো আফ্রিকান দাস ছিলেন। সব মানুষকে সমান চোখে দেখা তো আধুনিক ধারণা, ইসলাম সেই কারণেই তো গৃহীত ও জনপ্রিয় হয়েছে। বাঁদী সম্পর্কে আপনার ধারণাই তো খারাপ দেখা যাচ্ছে, আমার নয়।

কিন্তু ইব্রাহীম তো মুসলিম ছিলেন না, তার সমাজও অত্যন্ত শ্রেনী সচেতন ছিল, যেখানে বাঁদীপুত্রদের কোন অধীকার দেওয়া হতো না।

৩১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩০

সরোয়ার হোসেন বলেছেন: ভাবুন তো, কোন মুসলিম সংগঠন পক্ষ থেকে কোর্টে রীট করা হয় এভাবে- “রাবন-সী্তার কাহিনী কাল্পনিক বা দুর্গাপুজ়া হাস্যকর।” বিষয়টা আদালতে উঠার সাথে সাথেই আন্তর্জাতিক খবর হিসেবে শিরোনাম হবে। সংখ্যা-লঘুদের ধর্ম-বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করে তাদের ধর্ম পালনে বাধার অভিযোগ তোলে জাতিসঙ্ঘের কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করবে। তার সাথে যোগ হবে মুক্তমনাদের মাতম।

প্রথমত, কোর্ট এ বিষয়ে কেন আমল দিচ্ছে? এটা কি কোর্টের বিষয়? তাহলে মুসলিম বিদ্বেষী মুক্তমনারা (যারা মুলত নাস্তিক মৌলবাদী) মামলা করে দাবী করে যে কোরান, হাদিস ভুল, মিথ্যা। তারা কোর্টে এটাও রিট করে করতে পারে যে আল্লাহ নেই এবং প্রমান হিসেবে তারা বিবর্তনবাদকে উল্লেখ করবে। তখন কোর্ট কিভাবে ফয়সালা করবে?

যারা রিট আবেদন করেছে তা তারা চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা করেই এগিয়েছে। তাছাড়া কোর্টের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে, কেননা বিচার বিভাগের মুল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি কায়েম করা।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনিষ্ট হলে কোর্টকে এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।

৩২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৬

মুনিম সিদ্দিকী বলেছেন: @ অপ্রিয, কিন্তু ইব্রাহীম তো মুসলিম ছিলেন না, তার সমাজও অত্যন্ত শ্রেনী সচেতন ছিল, যেখানে বাঁদীপুত্রদের কোন অধীকার দেওয়া হতো না।

তাহলে ইব্রাহীম আঃ কি ছিলেন? প্যাগান? ঐ সময় তো আর ইহুদ/ খৃষ্টান ধর্মও ছিলনা। তিনি কি ছিলেন? উনার পিতার সাথে কি নিয়ে দ্বি-মত হয়েছিল? মুর্তিপূঁজা নিয়ে নয় কি?

মুসলিমরা কি মুর্তিপূজার সমর্থক? নিশ্চয় নয়, ইব্রাহীমও মুর্তিপূজার সমর্থক ছিলেন না। ছিলেন এক লা শরীক আল্লাহর পূজারী,

মুর্তিপুজা যারা করেনা তারা ইসলামিক আদর্শ তৌহিদপন্থী, আর এই তৌহিদ পন্থী যেমন ইব্রাহিম তেমনি মুসলিমরা।

কাজেই ইব্রাহিমও মুসলীম ছিলেন। আর ইসলাম কোন মোহাম্মদের প্রবর্তিত ধর্ম নয়। যদি তাই হত তাহলে এই ধর্মের নাম মহাম্মদের নাম অনুসারে প্রচলিত থাকত।


আপনি আপনার পরিচয় দিচ্ছেন না তাই কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে, আগে আপনার পরিচয় দেন, আপনি কি আস্তিক, প্যাগান, ইহুদ, খৃষ্টান, মসলিম?

আপনি একটি কথা ভুলে যাচ্ছেন যে -ইব্রাহিম কোন রাজা, কিংবা সামান্ত প্রভু ছিলেন না। তিনি ছিলেন আল্লাহর নবী, আর একজন আল্লাহ নবী কখন তার ঔরসজাত সন্তানকে শিশু অবস্থায় বিজন প্রান্তরে ফেলে যেতে পারেন না। আল্লাহ হুকুমেই তাদেরকে মক্কার প্রান্তরে রেখে গিয়েছিলেন।

আর সেটির কারণও ছিল। নতুবা আল্লাহর ঘর মানুষের পরিচয়ে আসতনা, এবং আল্লাহর প্রেরিত ধর্মের সর্বশেষ সংস্কারও হতনা।


৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২০

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আপনি ওই সুরার পরের কয়েকটা আয়াত তুলে ধরতে পারেন।একটু দেখলেই পাবেন।

এর একটি তে আছে আল্লাহ ইব্রাহীম(আঃ) কে ইসহাকের সুসংবাদ দিলেন।আরেকটাতে আল্লাহ বলছেন তিনি ইবরাহীম ও ইসহাকের বংশধরদের উপর আশির্বাদ বর্ষন করেছেন।(আমি হুবহু লিখতে পারলাম না কারন সামনে কুরয়ান শরীফ নেই।)

প্রথম আয়াত থেকে বোঝা যায় ইসহাকের জন্ম হয় নি।আল্লাহ তার সুসংবাদ দিচ্ছেন।

দ্বিতীয়টাতে ইব্রাহীম ও ইসহাকের(আঃ) এর বংশধরদের উপর আশীর্বাদের কথাটা বলা হয়েছে।আমার মনে হয় এই আয়াত টাই বুঝতে পারেন নি দেবনারায়ন সাহেব।

লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট দেয়ার জন্য।

৩৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ১১২.এবং আমরা তাকে ইসহাকের ব্যাপারে সুসংবাদ দিলাম - সৎকর্মশীলদের মাঝে থেকে একজন নবী হিসেবে।

১১৩. আমরা তাকে এবং ইসহাককে বরকত দান করলাম এবং তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক নিজেদের মধ্যে স্পষ্ট যুলুমকারী। [সূরা আস-সাফফাত, ৩৭ : ৯৯-১১৩

প্রথম আয়াত থেকে বোঝা যায় ইসহাকের জন্ম হয় নি।আল্লাহ তার সুসংবাদ দিচ্ছেন।

দ্বিতীয়টাতে ইব্রাহীম ও ইসহাকের(আঃ) এর বংশধরদের উপর আশীর্বাদের কথাটা বলা হয়েছে।আমার মনে হয় এই আয়াত টাই বুঝতে পারেন নি দেবনারায়ন সাহেব।
তিনি ভাবছেন ইসহাকের(আঃ) কথা যখন বলা হয়েছে তখন ইসহাক(আঃ) কেই জবাইয়ের জন্য নেয়া হয়েছে।


(পূর্বের মন্তব্য মুছে দিন)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.